আইসিস-এর কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবেই কোরানসম্মত............

লিখেছেন লিখেছেন অপি বাইদান ২৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০৮:৫৩:৫৫ সকাল




আইসিস-এর কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবেই কোরানসম্মত

আইসিস-সম্পর্কে একটি কথা প্রায়ই বলে থাকে মুছলিম ও বামাতিরা - ইহা ছহীহ ইছলাম নহে। নিচে কোরানের দশটি আয়াত উদ্ধৃত করা হলো, যে-আয়াতগুলো আইসিস অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। তবু নাকি আইসিস ইছলামসম্মত নয়! কেউ কেউ মিনমিন করে 'ইছলাম শান্তির ধর্ম', 'ইছলামে জোর-জবরদস্তি নেই', 'কোরানে অনেক শান্তিপূর্ণ আয়াতও আছে' জাতীয় যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করে। তাদের হয়তো জানা নেই নিচের তালিকার ১ নম্বর আয়াতটি, যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বক্তব্যের দিক দিয়ে সাংঘর্ষিক দু'টি আয়াত কোরানে পাওয়া গেলে পূর্বে নাজিলকৃত আয়াতটিকে abrogated (abrogate - ক্ষমতাবলে বাতিল/রদ/স্থগিত করা) অর্থাৎ বাতিল এবং পরে নাজিল হওয়া আয়াতটিকে ছহীহ বলে গণ্য করতে হবে।

কোরানের সমস্ত শান্তিকামী আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল নবুওয়তের প্রাথমিক যুগে, মক্কায়। মদিনায় হিজরত করতে গেলে নবীর কাছে একের পর এক জঙ্গিবাদী আয়াত পৌঁছে দিতে থাকে জিব্রাইল। মোদ্দা কথা, সুরা ২: ১০৬ - এই আয়াতটিই স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে - কোরানের শান্তিপূর্ণ আয়াতগুলার কোনও বেইল নাই। ওগুলো বাতিল।

১০. আইসিস-এর অমুছলিমবিদ্বেষের ভিত্তি

বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। (সুরা ৩:৩২)

৯. আইসিস-এর কঠোর আচরণের ভিত্তি

মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। (সুরা ৪৮:২৯)

৮. যুদ্ধবন্দী নারীধর্ষণ কোরানসম্মত

এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। (সুরা ৪:২৪)

যুদ্ধবন্দী নারীরা গনিমতের মাল বিধায় তাদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক হালাল - সুরা ২৩:১-৬, সুরা ৩৩:৫০ এবং সুরা ৭০:২২-৩০-এ এর স্পষ্ট অনুমোদন দেয়া ছিলো আগেই। কিন্তু ওপরের আয়াতের পটভূমি এরকম: হুনাইন যুদ্ধে আটককৃত কয়েক নারীর স্বামীরাও ছিলো যুদ্ধবন্দী। তখন কিছু মুছলিম যোদ্ধার মনে প্রশ্ন জাগে, স্বামীদের উপস্থিতিতে এইসব নারীর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন উচিত হবে কি না। সেই সময় আল্যা ওপরের আয়াতের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়, ওইসব নারীকেও ধর্ষণ করা হালাল।

৭. ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা, হাত-পা কেটে ফেলাও কোরানসম্মত

যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। (সুরা ৫:৩৩)

৬. হয় ইছলাম গ্রহণ করো, নয়তো মৃত্যু

অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা ৯:৫)

৫. ইছলাম গ্রহণ না করেও খ্রিষ্টান ও ইহুদিরা মৃত্যু এড়াতে পারবে, যদি...

তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। (৯:২৯)

৪. আইসিস-এর মুছলিমহত্যাও কোরানসম্মত

হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা। (সুরা ৯:৭৩)

ফলে "আইসিস তো মুছলিমদেরও হত্যা করে, অতএব অইসিস ছহীহ ইছলামী নহে"... জ্বী না, মুছলিমহত্যার বিধানও আছে কোরানে, যদি সে হয় মুনাফেক। এবং মুনাফেক হতে পারে কেবল মুছলিম ব্যক্তি।

৩. জিহাদের উদ্দেশ্য - মারা ও মরা

আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। (সুরা ৯:১১১)

২. আইসিস শান্তিকামী নয়, নয় সন্ধিপ্রত্যাশীও

অতএব, তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির আহবান জানিও না, তোমরাই হবে প্রবল। আল্লাহই তোমাদের সাথে আছেন। তিনি কখনও তোমাদের কর্ম হ্রাস করবেন না। (সুরা ৪৭:৩৫)

১. শান্তির আয়াতগুলো বাতিল কেন

আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান? (সুরা ২: ১০৬)

তাহলে আইসিস-এর কোন কর্মটি ইছলামের সমর্থনপুষ্ট নয়?

* এক মমিন খ্রিষ্টানের বানানো ভিডিওর সারসংক্ষেপ ওপরে তুলে ধরা হলো। ভিডিওতে আরও বিশদ বিশ্লেষণ আছে বলে সুযোগ থাকলে তা দেখে নেয়াটাই উচিত হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৩৮৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

351368
২৫ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:১৪
সাইফুল ঈদগাহ কক্স লিখেছেন : ইসলামে যুদ্ধনীতি সুস্পষ্ট। যে কেউ যা ইচ্ছা তা করে ইসলামের নাম লাগিয়ে দিলেই তা ইসলামী হয়ে যাবে না। প্রতিপক্ষের সাথে দাওয়াত ও মুশাওয়ারাহ অথবা শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করা বৈধ হলেও, তা হতে হবে মুসলিম জনসাধারণ কর্তৃক সমর্থিত আমীরের নির্দেশে, যুদ্ধ চলাকালীন শুধুমাত্র যোদ্ধাদের বিরুদ্ধেই। তবে বেসামরিক লোক বা স্থাপনায় অথবা সামরিক লোক বা স্থাপনার উপর বেসামরিক অবস্থায় চোরাগুপ্তা হামলা করা যাবে না। নারী, শিশু, বৃদ্ধ, রোগী ও দুনিয়াত্যাগী সন্যাসীদেরকে কখনো কোন ভাবেই আক্রমন করা বা কষ্ট দেয়া যাবে না। বেসামরিক স্থাপনায় আত্মঘাতী হামলা বৈধ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। অযৌক্তিক কথা, কাজ, হামলা ইত্যাদি কোনটাই ইসলাম সমর্থন করে না। যুক্তিকে যুক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করতে হয়, গুপ্তহামলা করে নয়।
351369
২৫ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
সঠিক ইসলাম লিখেছেন : নামটাইতো ইংরেজ নাম, ইসলামী নাম হয় আরবী।
351370
২৫ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০৩
রক্তলাল লিখেছেন : নব্য আসমানী কিতাব - নিয়ে এসেছেন অপি ভাইদান।

দাদাদের রঙ্গখানায় উৎপন্ন, ঝকঝকে তকতকে মলাটে - আপনার কপি সংগ্রহ করুন।

১৪০০ বছর ধরে বিভিন্ন সভ্যতা আর সংস্কৃতি, শিক্ষায় যে কোরান আছে কান্ডারী হয়ে - সেই কোরান আজ শিখব অফি'র কাছ থেকে। নানিফ সংকেত ভাই কি কৌতুক লেখা বন্ধ করে দিল? নাহলে এই বেচারী টফি কেনো এত নর্তন কুর্দন করে আমাদের মজা দেওয়ার চেষ্টা করতেছে?
351377
২৫ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫০
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : আমি আমার পেছনটাই দেখিনা অনেক চেষ্টা করে দেখেছি পারিনাই ঘরে আয়নাও নাই সাইজ মতো তাইতো অপির সাহাজ্য ছারা চলেনা অপি যেমন ব্যখ্যা দেবেন তাতেই মন কচলাই...,আসলে অইসিস নাই মানবতার ক্রাইসিস তার হিসেব মিলানো দায় আইসিস এর কর্মকান্ড যদি মুসলমানদের বিরোধ্যেই যায় তাইলে...ভাবা দায়...আল্লাহই ভালো জানেন...আমার আল্লাহ্...আপির আল্যায় না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File