এর সঙ্গে ইছলামের কোনও সম্পর্ক নেই......................
লিখেছেন লিখেছেন অপি বাইদান ০১ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:০৫:৫০ দুপুর
ব্লগার-প্রকাশক হত্যা ও তাদের ওপরে হামলার সঙ্গে ইছলামের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রমাণ হিসেবে দেখা যাক শান্তির ধর্মের আছমানী কিতাব কোরান থেকে কয়েকটি শান্তিকামী আয়াত:
আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই। (সুরা ২:১৯১)
খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো। (সুরা ৩:১৫১)
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। (সুরা ৫:৩৩)
যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। (সুরা ৯:১৪)
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম। (সুরা ৯:২৯)
হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ (ইংরেজি অনুবাদে - strive hard) করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। (সুরা ৯:৭৩)
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন। (সুরা ৯:১২৩)
আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। (সুরা ৮:১২)
এবার দেখা যাক, কয়েকটি হাদিসে ইছলামের নবী কী বলেছে:
আমি সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছি। (বুখারি ৫২:২২০)
তরবারির ছায়ার নিচে বেহেশত। (বুখারি ৫২:৭৩)
অবিশ্বাসীকে হত্যা করা আমাদের জন্য একেবারেই ছোট্ট একটি ব্যাপার। (তাবারি ৯:৬৯)
এ ছাড়া, আল্যা-রসুলকে স্বীকার না করা পর্যন্ত অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার নির্দেশ দেয়া আছে বুখারী ৮:৩৮৭-এ ও মুসলিম ১:৩৩-এ।
ইবন ইসহাক/হিশাম ৯৯২-এ পাওয়া যাচ্ছে নবীজির নির্দেশনা:
যারা আল্লাহকে অবিশ্বাস করে, তাদেরকে হত্যা করো।
আসুন, এখন ইছলামের ইতিহাস থেকে জেনে নেয়া যাক কয়েকটি ঘটনা:
১. নবী ও তার অনুসারীদের আগ্রাসী নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মৌখিক প্রতিবাদ ও সমালোচনা করেছিলেন বলে ১২০ বছর বয়সী অতি বৃদ্ধ ইহুদি কবি আবু আফাককে নবীর আদেশে হত্যা করে তার অনুসারীরা।
২. আবু আফাক-কে হত্যার পর আসমা-বিনতে মারওয়ান তাঁর বিদ্বেষ প্রকাশ করলে নবীর নির্দেশে রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত নিরস্ত্র এই জননীকে নৃশংসভাবে খুন করে নবীজির এক চ্যালা। ঘাতক যখন এই জননীকে খুন করে, তখন এই হতভাগা মা তাঁর এক সন্তানকে বুকের দুধ পান করাচ্ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রত্যুষে খুনী তার প্রিয় নবী মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর সাথে একত্রে সকালের নামাজ (ফজর) আদায় করে।
৩. কাব বিন আল-আশরাফ নামের এক ব্যক্তি আল্লাহর নবীর কাজের নিন্দা করা শুরু করেন ও বদর যুদ্ধে যাদেরকে খুন করার পর লাশগুলো গর্তে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন কবিতা আবৃতির মাধ্যমে। তাঁকেও নির্দয়ভাবে খুন করে নবীর উম্মতেরা।
অতএব প্রমাণিত হয় যে, ইহা ছহীহ ইছলাম নহে।
বিষয়: বিবিধ
১৮৫০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
These are events of crimes. We need to put together the evidences. And, then decide who committed these crimes.
All indications are towards the government apparatus.
কোরানে কি লিখা আছে সেটা এই তদন্তে সম্পূর্ন অপ্রাসঙ্গিক।
কোরানের অনুসারীরা জানে সত্যের বাণী। শিয়ালের কাছ থেকে মুরগীর কি করতে হবে সে সবক না দিলেও চলবে!
প্রবলেম যদি কিছু থেকে থাকে - তবে তা স্টেইটমেন্ট দেওয়া মানুষজনের থাকতে পারে। আপনি ভাল করেই জানেন - মানুষ কখনো কখনো অসহায়, ভয়ে ভীত থাকে এবং তখন জীবনের মায়ায় সত্য কথা বলতে পারে না। আল্লাহ ওনাদেরকে মাফ করে দিবেন ইনশাল্লাহ্। আবার কে জানে সময় পরিবর্তন হলে আল্লাহর নির্দেশগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন ও করতে পারেন।
আপনার লিখা হতে আমার কাছে এমন চিত্রটাই বিমূর্ত হল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন