আকাশ থেকে 'গরু-বৃষ্টি' বর্ষণ করে করবানী পশুর চাহিদা মিটাতে পারবেন কি আল্লা???

লিখেছেন লিখেছেন অপি বাইদান ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:১২:৩৫ সকাল



আসছে কোরবানীর ঈদ। আল্লার মুমিনরা 'আল্লাহু আকবর' চিৎকার দিয়ে গরুর গলায় ছুরি চালাবেন। যন্ত্রনা কাতর পশুর ফিনকি দেয়া রক্ত দেখে "দয়াল-আল্লা" খুশি হবেন। মুমিনের হার্ড-ডিস্ক গরুর পশমের সমপরিমান লক্ষ/কোটি নেকিতে পূর্ণ হবে। এটাই কোরবানীর ধর্ম কথা।

কিন্তু বলা নেই, কওয়া নাই, হটাৎ করে মুমিনের মুমিনী নিয়তে পানি ঢেলে দিল প্রতিবেশী ভারত। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশে গরু পাঠানো বন্ধ করতে বিএসএফকে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। হায় হোসেন কারবাল!! বাংলাদেশে সে পরিমান গরু নেই যা কচুকাটা করে আল্লাকে খুশি করা যায়। উপায় কি! এতবড় কোরবানির ঈদে আল্লা কি গোমরা মুখ করে বসে থাকবেন??

এ বিষয়ে মর্দে মুমিনরা অক্ষম ক্রধে এখন ব্লগ, ফেসবুকে জ্বালাময়ী কথাবার্তা শুরু করেছেন, তা অনেকটা নিন্মরুপ-

১। ভারত গরু দেয়নি তো বয়েই গেল? আমরা প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান, মায়ানমার থেকে গরু আমদানি করে কোরবানীর নিয়ত পুরন করবই, ইনশাআল্লা।

২। প্রয়োজনে নিজেরা গোয়ালঘরে ঘুমিয়ে বসত বাড়ীতে গরু প্রজনন খামার গড়ে তুলব। তবুও ভারতের কাছে নতি স্বীকার নয়।

৩। আমরাও দেখে নিব- ভারত কত দিন গরু রফতানি বন্ধ করে থাকতে পারে। ভারতের অর্থনীতিতে কোটি/কোটি টাকার লোকশান গুনতে হবে। তখন বুঝবে বাছাধন।

ইত্যাদি, ইত্যাদি........ এমন অনেক কথা। কথার কথা। কিন্তু কেউই আসল কথা বলে না। মুমিনরা সম্ভবত আল্লার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।

ভারতের দান/দক্ষিনার দরকার কি? আল্লা কি পাথর-বৃষ্টির মত 'গরু-বৃষ্টি' বর্ষন করে বাঙালি মুমিনের গরুর চাহিদা পুরন করে দিতে পারেন্না? নাকি???????

বিষয়: বিবিধ

১৮৮২ বার পঠিত, ৪৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339654
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:৫৭
তাইছির মাহমুদ লিখেছেন : ভাইজান,
আপনার প্রতি একটি বিশেষ অনুরোধ। আপনি কোনো ধর্মে বিশ্বাস করতে পারেন, নাও পারেন। এটা আপনার সম্পুর্ণ ব্যক্তিস্বাধীনতা। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সে অধিকার দিয়েছেন। তবে দয়া করে কোনো র্ধম সম্পর্কে বিদ্রুপাত্বক মন্তব্য করবেন না। আপনি ধর্মে বিশ্বাসী না হলেও আপনি কারো ধর্মে আক্রমন করতে পারেন না। আর ধর্মে বিশ্বাসী হলে, নিশ্চয় আপনার ধর্মে কেউ আঘাত দিক-এটা আপনিও সহ্য করতে পারবেন না। সুতরাং ধর্ম নিয়ে বিরূপ মন্তব্য থেকে বিরত থাকাটা একটি শান্তিপুর্ণ সমাজের জন্য মঙ্গলজনক।

তবে ধর্ম সম্পর্কে কোনো কারণে আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলে, আমাকে লিখতে পারেন। আমি আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবো। ভালো থাকুন।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:২১
281014
অপি বাইদান লিখেছেন : আমার পোষ্টে প্রথম মন্তব্য, ধন্যবাদ বাইজান।

না, আপনি ঠিকি বলেছেন। ধর্মে বিশ্বাস করা, না করা ব্যক্তিস্বাধীনতা। নিরীহ সাদাসিধে কথা। শুনতে ভাল লাগে। ধন্যবাদ আবারো।

কিন্তু ভায়া আপনার ইসলাম ধর্মে জন্মগ্রহন করে কেউ যদি ইসলামকে বাজে ধর্ম জ্ঞান করে তা বর্জন করে সে ক্ষেত্রে ইসলাম তার ব্যক্তিস্বাধীনতাকে কতটুকু মুল্য দিবে? নাকি মুর্তাদ হিসেবে কল্লা কেটে দিবে?? যদি কল্লা কেটে দেয় তাহলে তো সেই বর্বর ধর্মকে ছাড় দেয়া যায় না। সেই ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে, পদেপদে অপদস্থ করা হবে, ব্যঙ্গ করা হবে। যেমন করা হয়ে থাকে সাহিত্য, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা বা অন্যান্য যাবতীয় বিষয়কে। এতে আপনার ধর্ম অনুভুতি আঘাত পেয়ে জর্জরিত হলেও কিছু করার নেই। দুঃখিত।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৪২
281015
রক্তলাল লিখেছেন : অপিঃ আপনি না আপনার মত ইতরেরা কোনো কালেই অপদস্থ করতে পারেনি পারবেনা।
শুধু লতিফ, তসলিমাদের পরিণতির দিকে তাকালেই হবে।

০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:১৫
281019
অপি বাইদান লিখেছেন : এক ক্ষুদ্র ইসরাইলের বিপরিতে বিশাল মধ্যপ্রাচ্যের মুমিনদের দশা দেখেও বুঝেন্না!! আর হাঁ, তসলিমা নাসরিনরা ইউরোপ নামক জানন্নাতের পাসপোর্ট পাওয়ার আসায় সমুদ্রে ঝাপ দিয়ে লোনা পানি পান করে না। ধন্যবাদ।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:২৯
281028
রক্তলাল লিখেছেন : তসলিমা কোনো ভিশনারী লেখিকা না।
মুখরোচক কচকচা কিছু পর্ণ লেখার কারণ রহস্যজনক। হয়তবা বেশ্যাবৃত্তি আর পর্ণব্যাবসা করে মৌলবাদের কাঁধে বন্দুক রেখে বিদেশে পাড়ি জমানোই মূল উদ্দেশ্য?

বাকি ইসলামবিদ্বেষী ইতরেরও হয়ত একি কুমতলব।
339657
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৫১
শেখের পোলা লিখেছেন : আমার আল্লাহ কাঁকর বৃষ্টি দিয়ে হজার হাজার বাইদানীকে নিমেষই নিঃশেষ করতে পারে৷ আপনার ভারতকে বলেন যেন কোনদিনও গু পাঠাবার হিম্মত না করে৷ এক সময় তাদের কোন জিনিষ না নিয়েও আমরা ভালই ছিলাম৷আবারও আমরা তাই তাথতে চাই।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:১৯
281012
অপি বাইদান লিখেছেন : তাহলে তো ভাল। দুর্গম সীমান্তে মুমিন গরুচোর গুলি খেয়ে অকাতরে শহীদ হবে না। ধন্যবাদ।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৪৪
281016
রক্তলাল লিখেছেন : গরুছোরের দোষ দিয়া লাভ কি Happy হাস্যকর!
বরং যে লোকেরা রাতের আঁধারে তাদের দেকতা মা গরুকে সীমান্তের এপারে এনে বলি দেয় টাকার জন্য - আবার সেই দেবতা গরুমতার চামড়া কিনে নিয়ে পায়ের জুতা বানায় তাদেরকেই দোষ দেওয়া উচিৎ Happy বেরি পাহ্-নি ! Happy
339667
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৪৭
রক্তলাল লিখেছেন : অপির মত গিরগিটি হিন্দু উগ্রবাদী ইসলাম বিদ্বেষীরা গরু মাতা দেবতার মুত্র পান করে রোগ বালাই সারায় (পাগল হয়ে ইতরামী শুরু করে)।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:১৮
281020
অপি বাইদান লিখেছেন : হায় হোসেন কারবাল!! বাংলাদেশে সে পরিমান গরু নেই যা কচুকাটা করে আল্লাকে খুশি করা যায়। উপায় কি! এতবড় কোরবানির ঈদে আল্লা কি গোমরা মুখ করে বসে থাকবেন??
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:৩৪
281021
রক্তলাল লিখেছেন : তা কি করে হয়। বরং ঠাকুরকে কুমারী উপহার দিতে হবে মনে হচ্ছে।
339672
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:৩৮
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : অবশ্য গরুর পরিবর্তে মানুষরুপী গরু হলেও চলে।
339679
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৪২
sarkar লিখেছেন : এই ধরণের সস্তা বাক্য ব্লগে লিখে লাইম লাইটে আসার দিন হ্মণ তসলিমা,দাউদ হায়দার রা নিয়ে নিয়েছে।তাই নতুন পাগলদার প্রলাপ আর কেউ গিলবেনা।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
281050
অপি বাইদান লিখেছেন : সাগরে ঝাপ দিয়ে ইউরোপের জান্নাতে চলে যান। তসলিমা নাসরিন, দাউদ হায়দার ঐ জােন্নাতেই আছেন। তবে সাবধান, আবার শিশু আয়নালের মত ডুবে মরে যায়েন্না।
339684
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:১৬
হতভাগা লিখেছেন : আল্লাহর উদ্দেশ্য এই পশু কোরবানী হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে । এসব আল্লাহরই আদেশ যা মানুষ মানতে বাধ্য । আর এসব পশুও আল্লাহর সৃষ্টি অন্যসব কিছুর মতই ।

আল্লাহ তার বান্দাদের এই কাজের জন্য ব্যবস্থা বন্ধ রাখবেন না ।

হয়ত এই কাজটা বাংলাদেশের জন্য শাপে বর হয়ে আসবে আর ভারতের জন্য হিতে বিপরীত ।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
281033
অপি বাইদান লিখেছেন : নিধীরাম আল্লার কোরবানি বিলাস!! বেহায়ার নাই লাজ, নাই অপমান.........
339697
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২২
হানিফ খান লিখেছেন : পরীক্ষার হলে যদি শিক্ষকেরাই ছাত্রদের লিখে দেয় ,তাহলে সেটা পরিক্ষা হয় না।
ঠিক তদ্রূপ আল্লাহ তা'লা যদি 'গরু বৃষ্টি' দিয়ে গরু পাঠিয়েই দেন তাহলে তখন তোমার মত ইসলাম বিদ্ধেষীরাই আগে গরুর জন্য সিরিয়ালে দাঁড়াতে।।
আর আরেকটি কথা মনে রেখো, কোরনানের জন্য গরু শর্ত নয়।
যেহেতু কোরবানের সময় এখনো দেরী তো অপেক্ষা করো, ইন্ডিয়ান ডান্ডিরা গরু না দিয়ে কই যাবে? যাদের সারা বছর শ্রম দিয়ে নিজেদের মা মণিকে বড় করে তুলছে, সেই মা মণিকে তারাই আবার চুরি করে এই বাংগালি মুছলমানদের হাতে তুলে দিবে। তখন তাদের মায়ের অংশ = মাংশ আমরাই খাবো। আর তাদের কাছে থাকা পরিত্যক্ত ও দৃষ্টিকটু তাদের মায়ের পশ্রাব খেয়ে তারা ধর্ম পালন করবে।।
সঠিক সময়ের অপেক্ষায় থাকো।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
281045
অপি বাইদান লিখেছেন : কিসের পরীক্ষা/টরীক্ষা? নাঁচতে না জানলে উঠান বাঁকা।

আপনার আল্লা নাকি পাথর বৃষ্টি নামিয়ে লুত আমলে অসংখ্য মানুষ খুন করেছেন। তো, এই আমলে একটু গরু বৃষ্টি দিয়ে মুমিনের কোরবানীর সাধ পুরন করেন্না কেন!!!
339701
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
পাকিস্তানি চাচা লিখেছেন : ভারতীয় মালাউনেরা বাংলাদেশে গরু পাঠায় না কিন্তু বিশ্ব বাজারের গরুর গোস্ত রপ্তানিতে প্রথম রেন্ডিয়া।

আর যার মাথা তার ব্যথা হওয়ার কথা কিন্তু কোরবানি নিয়ে মালাউনদের এতো চিন্তা কেন?
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
281048
অপি বাইদান লিখেছেন : এত বড় কোরবানির ঈদে গরুর আভাবে আপনার আল্লা গোমরা মুখ করে বসে থাকবেন, সেটাই চিন্তার কারন।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
281049
পাকিস্তানি চাচা লিখেছেন : আপনার মত মালাউনকে কেউ চিন্তা করার দায়িত্ব দেয় নাই।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
281052
অপি বাইদান লিখেছেন : মালাউনরাই আপনার আল্লার ঘুম হারাম করেছে। সামনে কোরবানীর ঈদ। আপনার আল্লাকে বলেন, ভারতের হাতে/পায়ে ধরে কিছু গরুর ব্যবস্থা করতে পারে কিনা??
339706
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৮
sarkar লিখেছেন : ১৮ ব্লগ লিখেই যার পুঞ্জি পাতি শেষ সে আর কি লিখবে? একেবারে স্রশ্টা কে সহ কটাহ্ম করতে হয়েছে।তার চেয়ে বরং প্রইমারীতে গিয়ে আবার ভর্তি হয়ে লিখা পড়া করে তারপর লিখতে আসেন।
১০
339718
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৫১
হানিফ খান লিখেছেন : আমাদের আল্লাহর কাছে আমরা গরু বৃষ্টি চাওয়ার দরকার নাই।
কিভাবে আমরা কোরবাব দেই সেটা দেখো।।।
মালাউনেরা বসে বসে তাদের গরু মায়ের গর্ভ থেকে থেকে একবার বাহির হোক বা আবার ডুকুক সেটা জানার দরকার নেই।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৬
281124
অপি বাইদান লিখেছেন : গরু বৃষ্টি কেন চাইবেন্না? সারাক্ষন তো ইহুদী-নাসারার ধ্বংস কামনা করে আল্লার কাছে নিঃস্ফল চিল্লাপাল্লা করেন। নাকি আল্লার ফাঁকা কলশীর খরব পেয়ে গেছেন। তাই??
১১
339723
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৫
হানিফ খান লিখেছেন : কওমে লূত, কওমে আদ, কও নূহ এভাবে সবাইকে আল্লাহ্‌ তা'লা শুরুতেই শাস্তি দেন নাই। তাদের আগে ছাড় দিয়েছেন, কিন্তু তারা সত্যের দিকে প্রত্যাবর্তন না করায় পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দেন নি।। মনে বাইদান সাঁপ, আমার আল্লাহ ছাড় দেন তবে ছেড়ে দেন না।।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৮
281125
অপি বাইদান লিখেছেন : আপনার আল্লা এত খুন খারাপি করতে পারেন তো সামান্য গরুর জন্য আল্লার মুমিনরা ভারতের মুখের দিকে চেয়ে থাকবে।
১২
340049
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৩:০৩
তাইছির মাহমুদ লিখেছেন : আপনার কাছে কোনো ধর্ম ভালো না লাগলে আপনি তা থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু বেরিয়ে যাওয়ার সময় আপনি ওই ধর্মকে গালি দিয়ে যেতে পারেন না?আপনার বিশ্বাস পরবর্তন হতে পারে। কিন্তু গালি দেয়ার কোনো অধিকার নেই।

আপনি যে দেশে বসবাস করেন সেই দেশের কিছু আইন-কানুন আছে। আপনি ওই দেশে বসবাস করতে হলে আপনাকে সেইসব আইন-কানুন মেনে চলতে হবে। অন্যথায় আইন অমান্য করার কারণে আপনার জেল-জরিমানা তো হবেই, এমনকি ফাঁসিও হতে পারে।
তেমনি প্রতিটি ধর্মের কিছু রীতি-নীতি আছে। ধর্মে বিশ্বাসী হলে সেগুলো মেনে চলতে হয়। শুধু ইসলাম ধর্মেই নয়, হিন্দু, শিক, মর্মেন খ্রিষ্টান, অর্থডস্ক ইহুদীসহ অধিকাংশ ধর্মের আইন কানুনের দিকে তাকান, দেখবেন সেখানে মুরতাদ বা ধর্মান্তির হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:১৬
281462
অপি বাইদান লিখেছেন : "শুধু ইসলাম ধর্মেই নয়, হিন্দু, শিক, মর্মেন খ্রিষ্টান, অর্থডস্ক ইহুদীসহ অধিকাংশ ধর্মের আইন কানুনের দিকে তাকান, দেখবেন সেখানে মুরতাদ বা ধর্মান্তির হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।"

কিন্তু ভায়া- হিন্দু, শিক, মর্মেন খ্রিষ্টান, অর্থডস্ক ইহুদী......... সহ সবই কিন্তু মিথ্যা/ভ্রান্ত/অভিষপ্ত/বিপদগামী ধর্ম। তো, এসব মিথ্যা ধর্মের সাথে আপনার আল্লার একমাত্র সত্য! ধর্ম! ইসলামের এত মিল কেন? নাকি মিথ্যা ধর্ম থেকে চুরি, চামারি করেই বর্বর ইসলাম ধর্মের গজাখিচুড়ি তৈরি হয়েছে। এ বিষয়টি আগে ক্লিয়ার করেন, তারপর মূল প্রসঙ্গে আসা যাবে। ধন্যবাদ।
১৩
340089
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
তাইছির মাহমুদ লিখেছেন : আপনি ধর্মে বিশ্বাসী নয় বলে কারো সাথে কথা বলার সময় তার প্রতি, তার ধর্মের প্রতি, তার বিশ্বাসের প্রতি নু্যনতম সম্মান দখাবেন না, এটা তো কোনো কথা হতে পারেনা। আমি সাধারণত এসব আলোচনা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাই, কিন্তু হঠাৎ নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি। আপনার সাথে অত্যন্ত শালিনতার সাথেই কথা বলছি। কিন্তু আপনি আমাকে আক্রমণ করে চলেছেন। এটা কিন্তু পারিবারিক শিক্ষারও বিপরীত।
আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন, আমি একজন মুসলিম (প্রাউড টু বি এ গুড মুসলিম)। এরপরও একটি গঠনমুলক আলোচনায় আপনি ইসলামকে আত্রমণ করে লিখছেন 'বর্বর ইসলাম'। আমি জানিনা, আপনার সাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারবো কিনা।
সে যাক আপনার প্রশ্নের জবাবে বলতে চাই- পৃথিবীতে লক্ষাধিক নবী ও রাসুল (দূত) এসেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, এমন কোনো জাতি নেই যাদের কাছে আমি কোনো নবী প্রেরণ করিনি। সুতরাংবুঝা যায়, এই লক্ষাধিক নবীর কেউ কেউ নতুন ধর্ম নিয়ে এসেছেন। আবার কেউ কেউ পুরাতন ধর্ম প্রচার করেছেন।

এসব ধর্মে বা ধর্মগ্রন্থে পরবর্তীতে মানুষ তাদের সুবিধার্থে মনগড়া অনেক বিধি বিধাল ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পরিবর্তন ও পরবির্ধন করে ধর্মকে ভ্রান্ত করে ফেলা হয়েছে।
যেমন খি্রষ্টানরা ইসা (আHappy কে নবী হিসেবে বিশ্বাস করে কিন্তু তারা মনে করে তিনি আল্লাহর পুত্র। আবার ইয়াহুদীরা মনে করে উজাইর (আHappy আল্লাহর পুত্র। এভাবেই সত্য ধর্মকে বিকৃত করা হয়েছে। মূল ধর্ম সত্য।
ইসলাম ধর্মের বিধি বিধান অন্য ধর্ম থেকে নেওয়া হয়েছে কি-না আপনার এ প্রশ্নটির জবাব হচ্ছে-সকল সত্য ধর্মের মূলমন্ত্র একটি। সময়ে সময়ে যুগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন ধর্ম এসেছে। কিন্তু আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তা একজন-এই ম্যাসেজ সমান। সুতরাং ইসলামেও অন্য ধর্মের সাথে মিল থাকবে-এটা স্বাভাবিক। তবে ইসলাম হচ্ছে শেষ ধর্ম। পরিপুর্ণ জীবন ব্যবস্থা এরপর আর কোনো ধর্ম নেই।
আপনার প্রতি একটি পরামর্শ, বিশ্বাস অর্জনের জন্য নয়; বরং জ্ঞানার্জনের জন্য ধর্ম সস্পর্কে পড়াশোনা করুন। অনেক বিভ্রান্তি কেটে যেতে পারে।

আর গঠনমুলক আলোচনার জন্য আপনাকে সবসময়ই স্বাগত জানাই। তবে শালিনতাহীন আলোচনা কন্টিনিউ করতে আমার আগ্রহ নেই।
ভালো থাকুন।

০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:৩৭
281591
অপি বাইদান লিখেছেন : দেখুন, বারবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে ডালে ডালে লাফ/ঝাপ দিলে বির্তকের শেষ হবে না।

আপনি প্রথমে বল্লেন- "আপনি কোনো ধর্মে বিশ্বাস করতে পারেন, নাও পারেন। এটা আপনার সম্পুর্ণ ব্যক্তিস্বাধীনতা।" তারপর সে অবস্থান থেকে সরে এসে U-TURN নিয়ে বল্লেন- "ধর্মান্তির হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।" আর সবশেষে এখন আপনি ইসলাম ধর্মের গন্ড বদ্ধমূল ধারনা দিয়ে সবাই কে ম্যানেজ করার চেষ্টা করলেন!! আসলে এতটা হাস্যকর ভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উন্মক্ত একটি ব্লগে ইসলামের বৈতরণি পার হওয়া যাবে না। এটি শফী হুজের মাদ্রাসা না যে আপনি যা বুঝাবেন তাতেই আমিন আমিন??

এবার মূলপ্রসঙ্গ :

১। আপনি বলেছেব- "আপনার বিশ্বাস পরবর্তন হতে পারে। কিন্তু গালি দেয়ার কোনো অধিকার নেই।"

গালি কি এমনি এমনি দেয়? ধর্মবিশ্বাস পরিবর্তনের কারনে যে ধর্ম মানুষের গলা কেটে দেয় সেই বর্বর ধর্মকে শুধু গালি না, বরংচ সভ্য জগৎ থেকে নির্মুল করা সবার মনবিক দায়িত্ব।

২। আপনি বলেছেন- "আপনি যে দেশে বসবাস করেন সেই দেশের কিছু আইন-কানুন আছে। আপনি ওই দেশে বসবাস করতে হলে আপনাকে সেইসব আইন-কানুন মেনে চলতে হবে। অন্যথায় আইন অমান্য করার কারণে আপনার জেল-জরিমানা তো হবেই, এমনকি ফাঁসিও হতে পারে।"

আপনার এ কথার সাথে শতভাগ সহমত। সভ্য দেশের সভ্য সমাজে বসবাস করে কেউ যদি চুরি/ডাকাতি করে, ঘুষখায়, ধর্ষন করে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আপনি এসে বলবেন- ৬০০ ডানার এক জিবরাইল দৈত্য গর্ত/গহব্বরে নেমে এসে অমুকের কাছে আসমানি ফরমান দিয়ে গেছে তা সবাই বিশ্বাস করতেই হবে। এটাই আইন। না করলে কল্লাফতে করা হবে! কিন্তু ভাই, মুসলিমের ঘরে জন্ম নিয়েছে বলেই সবার বিবেক, বুদ্ধি এবং বিজ্ঞানমনস্কতা তো মরে যায়নি যে সিন্দাবাদ দৈত্যের গল্প বিশ্বাস করবে। আপনি বলবেন অমুক ব্যাক্তি গাধা আকৃতির প্রানির পিঠে চড়ে মহাশুন্য ভ্রমন করেছেন, তাহলে তো মানুষ হাসাহাসি করেবেই। তবে হাঁ, এসব আজেবাজে কল্পকথা আপনি বিশ্বাস করতেই পারেন, তাতে কোন আপত্যি নেই। কিন্তু আপনার অদ্ভুত বিশ্বাস আন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার অবকাশ নেই।

৩। তারপর আপনি বাচালের মত অনেক কথাই বলেছেন, যেমন-
ক) "পৃথিবীতে লক্ষাধিক নবী ও রাসুল (দূত) এসেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, এমন কোনো জাতি নেই যাদের কাছে আমি কোনো নবী প্রেরণ করিনি...........

খ) "এসব ধর্মে বা ধর্মগ্রন্থে পরবর্তীতে মানুষ তাদের সুবিধার্থে মনগড়া অনেক বিধি বিধাল ঢুকিয়ে দিয়েছে.........."

গ) "তবে ইসলাম হচ্ছে শেষ ধর্ম। পরিপুর্ণ জীবন ব্যবস্থা এরপর আর কোনো ধর্ম নেই.."


দেখুন আপনার এবং আপনার আল্লার এসব খিস্তি খেউড়ে কথা অন্য ধর্মের লোকেরা বিশ্বাস করবে কোন দুঃখে? তাদের ধর্ম, দর্শন, শিক্ষা, আদর্শ, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, সংবিধান..... মরে গেছে নাকি?
বিষয়টি উল্টো ভাবেও দেখা যেতে পারে। ওরা যদি বলে আপনার আল্লা/টল্লা বলে কিছু নেই। সব বানোয়াট। ভন্ডামি। ধূর্ত নবী মোহাম্মদ নিজের উচ্চাভিলাস, যৌনতা এবং নারীলোভ পুরন করার জন্য কাল্পনিক আল্লা ভাইরাস পয়দা করেছেন। মূলত অন্য ধর্ম থেকে চুরি, চামারি, ধাপ্পাবাজি করে ইসলাম মানক জগাখিচুড়ির জন্ম।

তখন আপনি কি বলবেন??
১৪
340271
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:১৩
তাইছির মাহমুদ লিখেছেন : একটি প্রশ্ন রাখতে চাই । প্রশ্নটি হচ্ছে..
আপনার গ্রামের একজন নিরক্ষর লোক, যে কোনো দিন স্কুলের বারান্দাও দেখেনি, তাকে যদি বলেন তুমি একটি বই রচনা করো, সেকি লিখতে পারবে? সে যতই বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী হোক-অক্ষরজ্ঞান ছাড়া কি সে বই লিখতে পারবে?
আপাতত: এই প্রশ্নটির জবাব আপনার কাছ থেকে চাই। এরপর অন্য আলোচনায় আসবো।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:০৫
281659
অপি বাইদান লিখেছেন : আপনি তো কিছুই জানেন্না দেখছি?

'লোক সাহিত্য" বাংলা সাহিত্য ভাণ্ডারের নেয়ামক শক্তি। বাংলা সাহিত্যকে এই লোক সাহিত্য ব্যাপ্তি প্রদান করেছে, করেছে সমৃদ্ধ। 'লোক সাহিত্য' বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অথচ এর সৃষ্টি ঘটেছে অশিক্ষিত জনগোষ্ঠির মাধ্যমে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রসার ঘটেছে মৌখিকভাবে।

লোক সাহিত্য মূলত মৌখিক সাহিত্য। ফলে এধরণের সাহিত্য স্মৃতিসহায়ক কৌশল, ভাষার গঠনকাঠামো এবং শৈলীর উপরও নির্ভর করে। এদেশের লোক সাহিত্য সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করছে। এগুলো হচ্ছে মহাকাব্য, কবিতা ও নাটক, লোক গল্প, প্রবাদ বাক্য, গীতি কাব্য প্রভৃতি।
লোক সাহিত্যের ব্যাপ্তি বিশাল বিস্তৃত। প্রেম, ধর্ম, দর্শন, ভক্তি, কর্ম ও পরিশ্রম, পেশা ও জীবিকা, ব্যাঙ্গ ও কৌতুক এবং এসবের মিশ্রণ। আছে গানের শাখা- বাউল, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, গম্ভীরা, কবিগান, জারিগান, সারিগান, ঘাটু,যাত্রা ,ঝুমুর গান এবং জাগের গান।

বাংলা লোক সাহিত্যের অন্যতম কর্ণধার মরমী কবি লালন শাই। তিনি স্কুল তো দুরে কথা, স্কুলের বারান্দাও দেখিন্নি। অক্ষর জ্ঞানহীন লালন যে সাহিত্য রচনা করেছেন তা "পিএইচডি" ক্লাসের ছাত্ররা অধ্যয়ন করেন।

কবি নজরুলও প্রাইমারী স্কুলের বারান্দা পার হতে পারেন্নি। বাবার মৃত্যুর পর মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি স্কুল জীবনের ইতি টানেন। শুরু হয় কর্ম জীবন।


এমন উদাহরন শতশত আছে। বিখ্যাত 'ময়মনসিংহ গীতিকা' র নাম শুনেছেন? বলেন তো এর রচয়িতা কারা???
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
281666
অপি বাইদান লিখেছেন : "খনার বচন" শব্দটির সাথে আপনি পরিচিত কিনা?

'কলা রুয়ে না কেট পাত, তাতেই কাপর তাতেই ভাত'

‘খনা বলে চাষার পো,/ শরতের শেষে সরিষা রো।’

‘ষোল চাষে মূলা, তার অর্ধেক তুলা,/ তার অর্ধেক ধান, বিনা চাষে পান।/ খনার বচন, মিথ্যা হয় না কদাচন।’

ধানের গাছে শামুক পা,/ বন বিড়ালী করে রা।/ গাছে গাছে আগুন জ্বলে,/ বৃষ্টি হবে খনায় বলে।’

যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পূর্ণ দেশ'

‘কচু বনে ছড়ালে ছাই,/ খনা বলে তার সংখ্যা নাই।’


ক্ষন জন্মা 'খনার এ ধরনের শত সহশ্র বচন সংগ্রহ করে ডঃ দীনেস চন্দ্র সেন খনার বিশাল সাহিত্য সমগ্র সংকলন করেছেন। যা এখন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি।


বিঃ দ্রঃ- অক্ষর জ্ঞানহীন খনা বা ক্ষণা কথিত আছে তার আসল নাম লীলাবতী জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী নারীর যিনি বচন রচনার জন্যেই বেশি সমাদৃত, মূলত খনার ভবিষ্যতবাণীগুলোই খনার বচন নামে বহুল পরিচিত। মনে করা হয় ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তার আবির্ভাব হয়েছিল। কিংবদন্তি অনুসারে তিনি বাস করতেন পশ্চিমবঙ্গের চব্বিস পরগনা জেলার বারাসাতের দেউলিয়া গ্রামে।
১৫
340439
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৩৩
তাইছির মাহমুদ লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্য‍বাদ। নজরুল নিরক্ষর ছিলেন না, নতুবা রুটির দোকানে খুঁটিতে হেলান দিয়ে পুঁথি পড়তে পারতেন না। তিনি অষ্টম পর্যন্ত পড়েছেন। নজরুল রচনা সমগ্রতে তাঁর জীবনী দেখলে পাবেন। তাছাড়া নজরুল ছিলেন স্বশিক্ষিত।
রবী ঠাকুর মেট্রিকুলেশন পর্যন্ত পড়েছেন। অন্যান্য যাদের কথা বলেছেন, তারা কেউই নিরক্ষর ছিলেন না।

সেযাক, আপনি লোক সাহিত্যের কথা বলেছেন। নিরক্ষর লোকেরা লোক সাহিত্য রচনা করতে পারেন। কারণ এখানে
ভাষাগত দিক খুব বিবেচ্য নয়। মুল বিষয়বস্তু ঠিক থাকলেই হলো। কিছু ছন্দ আর ভাবার্থ থাকলেই হলো।
এবার আপনার কাছ থেকে একজন নিরক্ষর লোকের নাম জানতে চাই যিনি রবী ঠাকুর, কবি নজরুল, সৈয়দ মুজবতা আলী, হুমায়ুন আজাদ, হুমায়ুন আহমদ, আহমদ শরীফ মানের গ্রন্থ রচনা করেছেন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:৪৮
281912
অপি বাইদান লিখেছেন : আবল তাবল ধাঁধাঁ?
১৬
340558
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০২:০৮
সুমন আহমেদ লিখেছেন : মুর্খ পন্ডিতের চাইতে একেবারে মুর্খের সাথে তর্কবিতর্ক করা ভাল ওদের কে যে আল্লাহ কে টিটকারী করে তাঁর উপর ছেড়ে দেয়াই ভাল দেখা যাক কার। শক্তি বেশী।
১৭
340574
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৩৭
তাইছির মাহমুদ লিখেছেন : আপনি আমার সর্বশেষ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলছেন আবোল তাবুল ধাঁধা। অর্থাৎ এই প্রশ্নের জবাব আপনার কাছে নেই। যেসক লেখকের কথা বললাম তারা সকলেরই স্বাক্ষরজ্ঞান ছিলো। কেউ নিরক্ষর ছিলেন না। লোক সাহিত্য, এমনকি চারন কবিতা রচনাও অক্ষর জ্ঞান ছাড়া সম্ভব নয়।
তাহলে আপনার কাছে আমার প্রশ্ন-আজ থেকে চৌদ্দশ বছর আগে আরবে জন্মনেয়া মেষপালক এক নিরক্ষর রাখাল ব্যক্তির পক্ষে পবিত্র কুরআনের মতো উচুমানের একটি গ্রন্থ রচনা করা কীভাবে সম্ভব হবে? তখনকার সময়েও তো আপনার মতো অনেকেই বলেছিলেন, ওটা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) রচিত একখানী গ্রন্থ ছাড়া কিছুই নয়। কিন্তু ঐ গ্রন্থেই তো আল্লাহ তায়ালা চ্যালেঞ্জ করে বসেছিলেন, ক্ষমতা থাকলে কুরআনের সবচেয়ে ছোট বাক্যের মতো একটি বাক্য রচনা করে নিয়ে আসো। সেদিন সকলের মুখ চুপসে গিয়েছিলো। আরবে তখন অনেক উঁচুমানের কবি ও সাহিত্যিকরা ছিলেন। কিন্তু কোথায়, কেউতো একটি লাইনও রচনা করতে পারেননি। কুরআন পড়তে আপনাকে বলবো না। কারণ আপনার বিশ্বাস, ওটা মাবরচিত। আরবের ইতিহাস পড়ুন । এসব ঘটনা জানতে পারবেন।
আর আপনাকে সেই সুযোগটা দেওয়া হলো, চেষ্টা করে দেখুন পবিত্র কুরআনের আদলে দুই এক লাইন রচনা করতে পারেন কি-না?
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:৫৮
281987
অপি বাইদান লিখেছেন : আপনি এখন ধানাইপানাই কথা শুরু করেছেন। আপনার মোহাম্মদ নিজে চ্যালেঞ্জ দিয়ে নিজেই দাবি করেন চ্যালেঞ্জে তিনি জিতে গেছেন। মূর্খের একটা লিমিট থাকা দরকার।

দেখুন, কোরাণের পুথি অত্যন্ত নিচু মানের। এর কোন সাহিত্যমান নেই। আপনি কখনো হোমার, ওডেসি, চর্যাপদ এসবের নাম শুনেছেন? শুনেন্নি, শুনেছেন শুধু কোরাণের কিচ্ছা কাহিনী। হোমার, ওডেসি, চর্যাপদ.....র নাম উচ্চারণ করতে গেলে নবী মোহাম্মদের দাঁত ভেংগে যাবে।

কোরাণের স্বর্গীয় পুঠি রচনা করতে বলেছেন, তাহলে শুনুন।

"কুল আউযুবিরাব্বিল নাস,
মালেকিন নাস,
ইলাহিন নাস"


"সবাই বল গাধা খায় ঘাষ,
ছাগু খায় ঘাষ,
গরু খায় ঘাষ"


কি? অবিকল আল্লার কোরাণের মত উন্নত মানের হয়েছে এবার? তো্ এসব পুথির চ্যালেঞ্জ দিয়ে এত বড়াই???????
১৮
340585
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:১৬
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : গরু বৃষ্টি হয় এই কথা কোন বিজ্ঞানী বললো? একটু বলেন দেখি? @কাফেরঅপি
১৯
340745
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:০৩
তাইছির মাহমুদ লিখেছেন : জনাব আপি,
পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারায় একটি আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, "আল্লাহ ওদের অন্তরসমুহ ও শ্রবনশক্তির ওপর মোহর মেরে দিয়েছেন এবং চুক্ষুর ওপর ফেলে দিয়েছেন আবরন, আর তাদের জন্য রেখেছেন কঠোর শাস্তি".

আমার বিশ্বাস ওই 'ওদের' দলে আপনি পড়বেন না। যেহেতু আপনার জ্ঞান-বুদ্ধি আছে। একসময় আপনি ইসলামের বাণীতে মুগ্ধ হয়েই যাবেন।
ভালো থাকুন। প্রকৃত অর্থে কিছু জানার আগ্রহ থাকলে যোগাযোগ করবেন। বন্ধুর মতোই আপনাকে সহযোগিতার চেষ্টা করবো। আপাতত এ পর্যন্তই।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩৩
282145
অপি বাইদান লিখেছেন : "আল্লাহ ওদের অন্তরসমুহ ও শ্রবনশক্তির ওপর মোহর মেরে দিয়েছেন এবং চুক্ষুর ওপর ফেলে দিয়েছেন আবরন, আর তাদের জন্য রেখেছেন কঠোর শাস্তি"

কিন্তু দেখুন আল্লা যাদের অন্তরে সীল মেরে শাস্তির ভয় দেখান সেই তাদের দেশে পিপিলিকার মত ছুটে চলছে আপনার মত অন্তর খোলা আল্লার মুমিনরা। আল্লার লাজ স্মরমের বলাই একটুকুও নেই? লজ্জা, লজ্জা....
২০
340816
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:১১
তাইছির মাহমুদ লিখেছেন : শুনুন, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল ছিলেন। এরপরও তাঁকে মক্কা ছেড়ে মদীনায় যেতে হয়েছে। আল্লাহ তাঁকে চাইলে মক্কায়ই রাখতে পারতেন? কিন্তু সেটা তিনি চাননি। তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবেই হয়েছে।

আর ব্রিটেনসহ ইউরোপের দেশগুলো এতো সমৃদ্ধ কেন? জানতে চান এই প্রশ্নের জবাব? ওরা যে ভালো কাজ করে। এই যে আপনিই বললেন, সিরিয়ার শরনার্থীদের তারা আশ্রয় দিচ্ছে-তারা তো এর প্রতিদান পাওয়া উচিৎ। হ্যা, প্রতিদান তাদের নগদে দিয়ে দেন আল্লাহ তায়ালা। এজন্যই তারা দুনিয়ার জীবনে ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের বাসিন্দা। পরকালে তাদের জন্য কিছু নেই।
সেযাক। আপনাকে কুরআন হাদীসের প্রমাণ দিয়ে আর কোনো কিছু লিখতে চাইনা। ওগুলো আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হবেনা। কারণ আপনি তো কোনো ধর্মেই বিশ্বাস করেন না? বরং বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকে কথা বলতে পারেন।
আমি আগেই জানতে চেয়েছিলেন, কুরআনের মতো গ্রন্থ কিভাবে মুহাম্মদ (সাঃ) এর মতো একজন নিরক্ষর মেষ পালকের পক্ষে রচনা করা সম্ভব হলো বলে আপনি মনে করেন? বিশ্লেষন করলে খুশি হবো। আর একটি বিনীত অনুরোধ, আমি আল্লাহ ও রাসুলের (আঃ) ওপর বিশ্বাসী। আপনি যদি আল্লাহ ও রাসুলকে (সা.) আঘাত করে কিছু বলেন তাহলে আমাকে আক্রমন করবেন। তাই কোনো ধরনের আক্রমন না করে শালিনভাবে কথা বলুন।
আপনি অনেক জ্ঞানী। আমার সামান্য জ্ঞান দিয়ে আপনার সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
আমার অনেক সহকর্মী আছেন, যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী নয়। কিন্তু তারা কোনো দিনও কারো বিশ্বাসের প্রতি আঘাত দিয়ে কথা বলেননি। বরং সবসময় সম্মান দেখিয়েই তারা কথা বলেন। ধন্যবাদ।
২১
341197
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫২
একটি সকাল লিখেছেন : চিংড়ি মাছের মাথায় কাদা থাকে তাই লাফ দেওয়ার চেষ্টা করিলেও পিছনে গিয়ে পড়ে।

নাস্তিকরা না মানে ধর্ম,আইন,যুক্তি আর না মানে সমাজের কোন রীতিনীতি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File