মিলাদ কেন হারাম?
লিখেছেন লিখেছেন মুসলমান ০৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১০:১৪:৪২ সকাল
শাইখ রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন,
পৃথিবীর সমস্থ ইবাদত হারাম। শুধুমাত্র যে ইবাদত করার হুকুম আল্লাহ তা'আলা করেছেন। আর যা রাসূল(সাঃ) করেছেন বা করতে বলেছেন বা করার অনুমোদন দিয়েছেন।
এখন কেউ যদি বলেন, মিলাদ পড়া হারাম তার দলিল দেখান সেটা দেখানো যাবে না। কারণ এর কোন দলিল নাই। তবে আপনি যদি কোন ইবাদত করতে চান সেটার দলিল আপনাকেই দেখাতে হবে।যেহেতু মিলাদ রাসূল(সাঃ) করেন নাই, করতে বলেন নাই, অনুমোদন দেন নাই। তাই মিলাদ পড়া হারাম।
-
যেমন ঢাকা শহরের কোন বাড়ির মালিকানা যদি আপনি দাবী করেন তাহলে আপনাকে তার দলিল দেখাতে হবে। কারন, আপনি কাউকে বলতে পারবেন না যে, এই বাড়িটা যে আমার নয় সেটা কোথায় লেখা আছে দেখান!
-
আর পৃথিবীর সমস্থ খাবার হালাল। শুধু যেগুলো আল্লাহ তা'আলা খেতে নিষেধ করেছেন সেগুলো ব্যাতিত। আর মানব জাতির জন্য যা ক্ষতিকর আল্লাহ তা'আলা সেটা খেতে নিষেধ করেছেন।
-
যেমন কুরআনের কোথাও বলা নাই লালশাক হালাল। কিন্তু যেহেতু লালশাক হারাম কোথাও বলা নাই আর এটা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় তাই এটা হালাল।
বিষয়: বিবিধ
২২০৬ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু যারা মিলাদ পড়ে, তারা কত কত দলিল যে দাড় করায়,
একবার দেখেছিলাম ফেইস বুকে
আর মিলাদ নিয়ে এত মতপার্থক্য না করাই ভালো যখন এটা অনেক জল ঘাটা হয়েছে।
-
মিলাদ আরবী শব্দ এর অর্থ জন্ম বা জন্মদিন বা জন্মকাল ইত্যাদি বুঝায়।
আমাদের দেশে কারো মৃত্যু হলে বা কোন ব্যবসা শুরু করার সময় অথবা বিভিন্ন উপলক্ষ্যে মিলাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। মৃত্যু হলে জন্মদিন পালন করছে শুধু অর্থ না বুঝে। এক শ্রেনীর আলেম এটা চালিয়ে যাচ্ছেন দু'টি পঁয়সার জন্য। প্রচলিত মিলাদ গোপন শির্ক এবং স্পষ্ট বিদআত। মিলাদ একারণে বিদআত যে, এ অনুষ্ঠানের দলিল কুরআন, হাদীস, ইজমা, ক্বিয়াস ও ফিক্বাহর কিতাব সমুহে কোথাও নেই। চার মাযহাবেও এর কোন স্বীকৃতি নেই। শুধু মাত্র বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের আলিমদের মধ্যেই এটা চালু রয়েছে। আরব, মিশর, কুয়েত, জর্দান, তুরস্কের মত কোন মুসলিম দেশে এ প্রথা অদ্যাবধি চালু হয়নি। কোন আলিম পরের বাড়িতে ছাড়া নিজের বাড়িতে এটা কখনো করেন না। মিলাদে ইজহার ইয়া রাসুলুল্লাহ বলে ডাকা এবং হাজির-নাজির ধারণা করা কেবল গোপন নয় প্রকাশ্য শিরক। (সংক্ষেপিত)
প্রাক ইসলামী যুগে এক জাতীয় আচার অনুষ্ঠান ছিল। যেমন- গ্রীক, ইউনান, ফিরায়ানা ইত্যাদি সভতায় তারা স্বীয় দেবতার অনুষ্ঠান উৎযাপন করত। তাদের থেকে গ্রহণ করেছে তাদের পরবর্তী খৃষ্টান সম্প্রদায়। যাদের কাছে বড় ঈদ তাদের নবীর জন্মদিন পালন করা। খৃষ্টানদের জন্মোৎসব বা বড়দিন অনুষ্ঠান শুধু প্রাক ইসলামী যুগেই ছিলনা বর্তমানেও আছে, সেখান থেকেই অনুসৃত হয়ে এক শ্রেনীর মুসলিম সমাজে প্রবেশ করেছে।
আমি বুঝাতে চাচ্ছি, মানুষ বিভিন্ন মাহফিলে, দাওয়াতে দাঁড়িয়ে মিলাদ পড়ে কিয়াম করে, সেটার কথা বলছি। আপনি যে ইদে মিলাদুন্নবির কথা বলতেছেন, আমি সেটাকে বুঝাইনি।
এইসব নিয়ে বেশি বাজাবাজি না করে মূল আকিদা, ফরজ ওয়াজিবগুলো নিয়ে লিখেন, খুব ভাল হয়। আমি হলফ করে বলতে পারি, যারা মিলাদ করে, তারা আপনার এই লেখা থেকে কিছুই নেয়ার চেষ্টা করবেনা। তাদের মত করেই চলবে। বরং আপনাকে তাদের ঘর বিরোধী মনে করবে, আপনি যে তাদের ভ্রান্ত আমল নিয়ে বিরোধিতা করছেন, সেটা বুঝবেনা বুঝার চেষ্টাও করবেনা।
নিপাত যাক যত বিদআত।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন