প্রশ্ন করবেন উত্তর পাবেন না কিন্তু মজা পাবেন!
লিখেছেন লিখেছেন মুসলমান ২৪ মার্চ, ২০১৬, ০২:৫০:৩৮ দুপুর
১। প্রশ্নঃ হুজুর শাফেঈরা যে নামাযে বুকে হাতবাঁধে, রফেলইয়াদাইন করে, বড় করে আমিন বলে,১২ তাকবিরে ২ ঈদের নামায পড়ে…..তাদের নামাজকি হবে?
উত্তর আসবে ‘হাঁ হবে’।
আর একজনহানাফি যদি সেসব করে ?
উত্তরঃ “তার নামাজ হবে না কারণ হানাফি মাযহাবে থেকে শাফেঈদেরআমলকরা যাবে না।” ।
প্রঃ কেন? উভয়েই তো মুসলমান।আপনিইতো বললেন ৪ মাযহাবই হক্কের মধ্যেআছে”?
আর হানাফি মাযহাবের ফেকাহ্ তে আছে গ্রামের মসজিদে জুম্মার ছালাত পড়া যাবে না, শহরের মসজিদে পড়তে হবে,, আর অন্য ৩ মাযহাবে বলছে সবখানেই জুম্মার ছালাত বৈধ,,, তহলে আপনারা কেন হানাফি মাযহাবে থেকে অন্য মাযহাবের মত অনুসরণ করে গ্রামে জুম্মা পড়েন..??
এ প্রশ্নেরও উত্তর পাবেন না, তবে মজা পাবেন।
২। প্রশ্নঃ হুজুর; আরবরা দেখলাম কচ্ছপ, কাঁকড়া সহঅনেক জলচর ও স্থলচর প্রাণী খায় যা আমরা খাইনা। এটা কেন?
উঃ কারণ ওদের মাযহাবে সেগুলোহালাল।
প্রশ্নঃ হানাফিরাও কি ইচ্ছেকরলে সেগুলোখেতে পারবে?
হুজুরের উত্তরঃ “কক্ষনোনা।কারণ সেগুলো হানাফিদের জন্য মাকরুহ”।
প্রশ্নঃএকই জিনিষ কিছু মুসলমানের জন্য হালাল আবার কিছুমুসলমানের জন্য মাকরুহ, তা কি করে হয়? কাহিনীকরেন?
উত্তর পাবেন না, কিন্তু মজা পাবেন।
৩। প্রশ্নঃ হুজুর; সৌদি আরবে দেখলাম ১ পরিবারেরজন্য ১ টি মাত্র ছাগল, ভেড়া,কিংবা দুম্বা দিয়ে কোরবানী করে। তারা বলে এটাই সুন্নত। তাদের কোরবানি কি হবে?
উঃ হবে।
প্রঃ হানাফিরাও কি তাদের মতো করলে কোরবানী বৈধ হবে?
উঃ নাহবেনা। কারণ এটা তাদের জন্য যায়েজ, হানাফিদের জন্য নয়।
প্রঃ উভয়েই একই নবীর উম্মত কিন্তু ২ধরণের নিয়ম কেন? উত্তর পাবেন না, তবে মজা পাবেন।
৪। প্রশ্নঃ মৌলভী সাহেবকে জিজ্ঞেস করুন,আচ্ছা হুজুর, যারা কোন নির্দিষ্ট মাযহাব মানে না,মৃত্যূর পর কবরে যদি ফেরেশতা তাকেজিজ্ঞেস করে “তোমার মাযহাব কোনটি”? তখনসে কি উত্তর দেবে?
হুজুর আমতা আমতা করে যাবলবেন তা হল, এ ধরনের প্রশ্ন ফেরেশতারলিষ্টে আছে বলে উনার জানা নেই।
৫। প্রশ্নঃ শেষ বিচারের দিন আল্লাহ কি আমাদেরকে জিজ্ঞেস করবে তুমি কি “হানাফী,নাকি শাফেঈ …ইত্যাদি?
হুজুর বলবেন “অবশ্যই নয়”।
প্রঃ তাহলে ঐ মাযহাব মানার দরকারইবা কি?
হুজুররেদীর্ঘ উত্তরের সার সংক্ষেপ হল – মাযহাব ছাড়ারাসুলকে মানা সম্ভবই না। এক একজন ইমাম রসুল (সঃ)এর রেসালতের সমস্ত কর্মকাণ্ড ‘কপি-পেষ্ট’করে নিজেদের মধ্যে নিয়ে ফেলেছেন।ইনাদের আগে বা পরে কোন আল্লার বান্দা একাজ করতে সক্ষম হন নাই, হবেনও না। মায-হাবঅনেকটা ৪টি টানেলের মত। এই ৪টির যে কোনএকটি মধ্য দিয়ে গেলেই আপনি রাসুলের সন্ধানপাবেন, নচেৎ নয়। (আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনিররজীম)।
এতক্ষন পর মাযহাবের থলের বিড়ালটার মিউ শব্দে মামলাটা কিছুটা পরিষ্কার হয়েছ বলে আপনার মনে হয়।
৬। প্রশ্নঃ প্রশ্ন করুন এই টানেল জাতিয় হাদিসটি কোথায় পেয়েছেন?
উত্তর পাবেন না, তবে মজা পাবেন। এভাবে অজু, ইকামত, নামাজ, রোজা,হজ্ব, বিবাহ, তালাক্ব সহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মাযহাব ভেদে ভিন্নতা দেখবেন এবং প্রশ্ন করলেআজগুবি ধরণের গোল মেলে ও স্ববিরোধী উত্তর পাবেন। আবার চুড়ান্ত প্রশ্নের উত্তরই পাবেন না। তবে yes একটি জিনিষ নিশ্চিত পাবেন। তা হচ্ছে গালি। আপনাকে লা-মাযহাবী, ইয়হুদী- নাছারার দালাল, ইসলামের শত্রু, রাফেজী-খারেজী এমনকি কাফের বলতেও দ্বিধা করবে না। অতএব আপনার গায়ের চামরা যদি গণ্ডারের চামড়ার মতো বা কাছাকাছি হয় তবেই এ ধরনের ঝুঁকি নেবেন, নচেৎ নয়।
আল্লাহু সুবহানাহু তায়ালা সঠিক বুঝ দান করুন।(আমিন)
(কপিপেষ্ট ফ্রম ফেসবুক। পুরা সঠিক না হলেও ম্যাক্সিমাম কাছাকাছি মনে হল তাই)
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন