অবিশ্বাস্য উচ্চবিত্তের ভিক্ষুক!
লিখেছেন লিখেছেন মুসলমান ০৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:৫৫:১৬ দুপুর
ভিক্ষুক দেখে অনেক মানুষের মধ্যেই দুঃখ হয়। দুই-চার-পাঁচ বা এর বেশি যাই হোক কিছু অর্থ তাদের ভিক্ষা দেন তাঁরা। এই ভিক্ষা করে বতর্মানে তাদের আয় কত হতে পারে? কখনো কী ভাবেন?
বিশ্বাস করতে কষ্ট হতে হলেও বাস্তবতা হলো, ভারতে অনেক ভিক্ষুকের আয় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা প্রকৌশলী বা অন্য চাকরিজীবীদের চেয়ে বেশি! উচ্চ আয়ের পাঁচ ভারতীয় ভিক্ষুকের সন্ধান দিয়েছে ভিন্নধর্মী সংবাদের ওয়েবসাইট ‘স্টোরিও’।
ভারত জৈন (মাসিক আয় ৭৫ হাজার রুপি)
ভারতের ধনী ভিক্ষুকদের অন্যতম একজন হলেন ভারত জৈন। ৪৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ভিক্ষা করেই কোটিপতি হয়েছেন। এখনো মুম্বাইয়ের পারেল এলাকায় ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি ভিক্ষা করেন। জৈন প্রতি মাসে ৭৫ হাজার রুপির মতো আয় করেন। থাকার জায়গার সংকটে ভুগছে মুম্বাইয়ের অনেক মানুষ, সেখানে ভিক্ষুক জৈনের ৭০ লাখ টাকার একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট আছে। এখানেই শেষ নয় তাঁর একটি জুসের দোকানও আছে, যা থেকে প্রতি মাসে ভাড়া পান ১০ হাজার রুপি। জৈনের পরিবার স্টেশনারি সামগ্রীর ব্যবসা করে। তারা জৈনকে বারবার ভিক্ষা বন্ধের অনুরোধ করেছে, তবে কোনো কাজ হয়নি। ভিক্ষাবৃত্তিতেই অনড় ভারত জৈন।
কৃষ্ণ কুমার গাইত (মাসিক আয় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার রুপি)
মুম্বাই শহরের আরেক উচ্চ আয়ের ভিক্ষুক কৃষ্ণ কুমার গাইত। শহরের চারনি রোডের সিপি ট্যাংকের কাছেই তাঁকে অহরহ দেখা যায়। ওই স্থানে দিনে দেড় থেকে দুই হাজার রুপি আয় হয় তাঁর। শহরের নাল্লাসপাড়া এলাকায় তাঁর নিজস্ব ফ্ল্যাট আছে। সেখানে তাঁর সঙ্গে আপন ভাই, যিনি তাঁর সব টাকার হিসাব রাখেন। প্রতি মাসে কৃষ্ণের আয় হয় ৪৫ হাজার রুপির মতো।
শাম্ভাজি কালে (মাসিক আয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার রুপি)
মুম্বাইয়ের আরেক ভিক্ষুক শাম্ভাজি কালেও আয়-রোজগারে কম যান না। প্রতি মাসে আয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার রুপি। মুম্বাইয়ের খার এলাকায় তিনি ভিক্ষা করেন। দিনে আয় হয় এক থেকে দেড় হাজার রুপি, যা দিয়েই চলে চার সদস্যের পরিবার। ভূ-সম্পত্তিতে ভারত জৈন ও কৃষ্ণ কুমারই গাইতের চেয়ে এগিয়ে। মুম্বাইয়ে একটি ফ্ল্যাটের পাশপাশি আছে দুটি বাড়ি। এ ছাড়া এক টুকরো জায়গা আছে শোলাপুরে। এরপরও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে অর্ধ লাখ রুপি।
সরভাতি দেবী (বছরে বিমায় জমা ৩৬ হাজার রুপি )
ভারতের পাটনার ভিক্ষুক সরভাতি দেবীর আয় নির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও তা অনেক প্রকৌশলী ও চাকরিজীবীর চেয়ে বেশি। কারণ এই আয় দিয়েই বাড়ি করেছেন পাটনায়। আর প্রতিবছর বিমা হিসেবে জমা দেন ৩৬ হাজার রুপি। শুধু তাঁর আয় দিয়েই মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন। সরভাতি দেবী নির্দিষ্ট কোনো স্থানে ভিক্ষা না করে ভারতজুড়ে ঘুরে বেড়ান। এক সাক্ষাৎকারে সরভাতি বলেন, ভিক্ষুক হলে ট্রেনে বিনা পয়সায় যেমন ঘোরা যায়, তেমনি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছা না পর্যন্ত ভিক্ষা করা যায়।
লক্ষ্মী দাস (বিশাল অঙ্কের টাকা ব্যাংকে জমা)
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নামকরা ধনী ও উচ্চ আয়ের ভিক্ষুক লক্ষ্মী দাস। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি ভিক্ষা শুরু করেন। বর্তমানে বয়স ৫০ হলেও ভিক্ষাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যাংকে বিপুল অর্থ জমা আছে লক্ষ্মী দাসের। এখনো বাড়ছে ব্যাংকের অর্থ। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো অবসর নেবেন লক্ষ্মী দাস।
বিষয়: বিবিধ
১০৪৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাবতিছি একটা মাজার কাম ভিক্ষার ব্যবসায় নামব!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন