ইনশা আল্লাহ আবার একদিন সুন্দরবন ভ্রমণে যামু! দুইবার গেছি কিন্তু ভাল করে দেখা হয়নি।

লিখেছেন লিখেছেন মুসলমান ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:১৬:৫২ দুপুর



পর্যটকদের কাছে সুন্দরবনের আকর্ষণ দুর্নিবার। প্রায় বছর জুড়েই পর্যটকরা ভিড় করেন সেখানে, মিশে যান প্রকৃতির এই অনবদ্য সৃষ্টির মাঝে। সুন্দরবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন রহস্য ও রোমাঞ্চভরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অ্যাডভেঞ্চার, ভয় ও শিহরণের স্থান এটি।

ভ্রমণপিপাসু মানুষ ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে যেতে পারেন বাঘ-হরিণের দেশ সুন্দরবনে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে পারেন জীববৈচিত্র্যে ভরপুর পৃথিবীর বৃহত্তম এ ম্যানগ্রোভ বনে।

এখানে সময় কাটাতে পারেন হরিণ দেখে, বাঘ খুঁজে, বানরের সঙ্গে লুকোচুরি করে। কিংবা নির্জন বনের বিচে গোসল ও সাঁতার কেটে।



কী আছে সুন্দরবনে?

কী আছে সুন্দরবনে না বলে বরং বলা উচিত কী নেই সুন্দরবনে? সুন্দরবনকে জালের মতো জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদার চর ও ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা।

বিশ্ববিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ, বনমোরগ, শূকর, হরেক রকম বানর, অজগর, বহু প্রজাতির পাখি, অপরূপ লতাগুল্ম ও বৃক্ষরাজি, নদীতে নানা প্রজাতির মাছ রয়েছে। গাছের মধ্যে সুন্দরী, কেওড়া, গরান, বাইন, গেওয়া, পশুর, গোলপাতা, হেতাল, কাঁকড়া, ঝানা, সিংড়া, খলসা ইত্যাদি। নদীতে কুমিরসহ প্রায় ৩৩ প্রজাতির সরীসৃপ বাস করে সুন্দরবনে। এখানে জেলে, বাওয়ালি, মৌয়ালদের সঙ্গে দেখা ও কথা বলার সুযোগ পেতে পারেন অনায়াসেই। রাতে সুন্দরবনের শান্ত স্নিগ্ধ রূপ আর নদী সমুদ্রের সৌন্দর্য অপরূপ। এসব ছাড়াও সুন্দরবনের আশপাশে রয়েছে অসংখ্য পর্যটন আকর্ষক স্থান।



৬ বার রূপ বদলায় সুন্দরবন:

সুন্দরবন ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৬ বার তার রূপ বদলায়। খুব ভোরে এক রূপ, দুপুরে অন্যরূপ, পড়ন্ত বিকালে আরেক রূপ, সন্ধ্যায় সাজ নেয় ভিন্নরূপে। মধ্য ও গভীর রাতে সৌন্দর্য আরেক রকম। আর যদি চাঁদনী রাত হয়, তবে তো কথাই নেই। এর সব ক’টি রূপ আপনাকে দেখতে হলে অবশ্যই একটু সময় নিয়ে আসতে হবে। এ বনে ঝুঁকি এড়াতে ভ্রমণের সময় বনরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।



সুন্দরবনের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থান:

হিরণ পয়েন্ট:

হিরণ পয়েন্ট, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ লোনাবন। সুন্দরবনের দক্ষিণাংশের একটি সংরক্ষিত অভয়ারণ্য। এর আরেক নাম নীলকমল। প্রমত্তা কুঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে, খুলনা রেঞ্জে এর অবস্থান। হিরণ পয়েন্ট, ইউনেস্কো ঘোষিত অন্যতম একটি বিশ্ব ঐতিহ্য। অভয়ারণ্য হওয়ায় এখানে অনেক বাঘ, হরিণ, বানর, পাখি ও সরীসৃপের নিরাপদ আবাসস্থল। সুন্দরবন এলাকায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার অন্যতম একটি স্থান হলো হিরণ পয়েন্ট। এখানে দেখা পাওয়া যায় চিত্রা হরিণ, বন্য শূকরের; পাখিদের মধ্যে আছে সাদা বুক মাছরাঙা, হলুদ বুক মাছরাঙা, কালোমাথা মাছরাঙা, লার্জ এগ্রেট, কাঁদা খোঁচা, ধ্যানী বক প্রভৃতি। এছাড়া আছে প্রচুর কাঁকড়ার আবাস। আর আছে রং-বেরঙের প্রজাপতি। হিরণ পয়েন্ট থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে কেওড়াসুঠিতে রয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার (ওয়াচ টাওয়ার), যা থেকে আশপাশের প্রকৃতি দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত তিনটি ভালো রেস্টহাউজ আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে তাতে থাকা যায়। থাকতে পারবেন একশোজনের মতো। সব ডাবল বেডের রুম। ভাড়া ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা।



এটাই হিরণপয়েন্ট।

কটকা-কচিখালি:

কচিখালি এলাকার সংলগ্ন সমুদ্র তীরবর্তী অংশের তৃণভূমি জাতীয় বনভূমি ১২০ বর্গমাইল এলাকায় কটকা-কচিখালি অভয়ারণ্য অবস্থিত। এই বিস্তীর্ণ তৃণভূমিতে প্রায় সারা বছর বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণি নির্ভয়ে বিচরণ করে। এখানে বন্যপ্রাণি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে।



দুবলার চর:

দুবলার চর সুন্দরবনের দক্ষিণে, কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং হিরণ পয়েন্টের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি দ্বীপ, যা চর নামে হিন্দুধর্মের পূণ্যস্নান, রাসমেলা ও হরিণের জন্য বহুল পরিচিত। কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মধ্যে এটি একটি বিচ্ছিন্ন চর। দুবলার চর মূলত জেলে গ্রাম। মাছ ধরার সঙ্গে চলে শুঁটকি শোকানোর কাজ। প্রতি বছর কার্তিক মাসে (নভেম্বর) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাসমেলা এবং পূণ্যস্নানের জন্যও দ্বীপটি বিখ্যাত। এটি একটি নয়নাভিরাম দ্বীপ। এখানে চিত্রল হরিণের দলকে ঝাঁকে ঝাঁকে চরতে দেখা যায়। এই দ্বীপকে দুবলার ট্যাকও বলা হয়। দুবলার মাটি খুঁড়লে মিষ্টি পানি পাওয়া যায়। দুবলার চর কটকা কিংবা হিরণ পয়েন্টের চেয়ে আরও মনোরম জায়গা।



করমজল:

সুন্দরবনের পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের অধীনে করমজল পর্যটন কেন্দ্র। নদীপথে খুলনা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার এবং মংলা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এ পর্যটন কেন্দ্রটির অবস্থান। একটি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র ছাড়াও এখানে রয়েছে হরিণ ও কুমির প্রজনন ও লালন পালন কেন্দ্র। মংলা থেকে ইঞ্জিন নৌকায় চড়লে করমজলের জেটিতে পৌঁছানো যাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টায়। পর্যটন কেন্দ্রটির শুরুতেই বিশাল আকৃতির মানচিত্র সুন্দরবন সম্পর্কে সাম্যক ধারণা দেবে। মানচিত্র পেছনে ফেলে বনের মধ্যে দক্ষিণে চলে গেছে আঁকাবাঁকা কাঠের তৈরি হাঁটা পথ। পথের নাম মাঙ্কি ট্রেইল।



জামতলা সমুদ্র সৈকত :

কটকা ওয়াচ টাওয়ারকে পিছু ফেলে সোজা উত্তরে প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে গেলে জামতলা সমুদ্র সৈকত। পথে চলতে চলতে বিভিন্ন আকারের জামগাছ সৈকতটির নামের সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়। জামতলা সৈকতটি নির্জন ও পরিচ্ছন্ন। বেলাভূমিজুড়ে শুধুই দেখা যায় কাঁকড়াদের শিল্পকর্ম। কোথাও কোথাও দেখা যায়, জোয়ারের ঢেউয়ে ধুয়ে যাওয়া গাছের শেকড়। সৈকতটি সোজা পুবে গিয়ে শেষ হয়েছে কচিখালিতে। জামতলা সমুদ্র সৈকতটি গোসলের জন্য আদর্শ জায়গা নয়।



অভয়ারণ্য:

বর্তমানে সুন্দরবনে তিনটি অভয়ারণ্য রয়েছে। এগুলো হলো কটকা কচিখালি অভয়ারণ্য, নীলকমল অভয়ারণ্য ও পশ্চিম অভয়ারণ্য। নীলকমল অভয়ারণ্য হিরণ পয়েন্ট ও নীলকমল এলাকায় পর্যটকদের খুবই আকর্ষণীয় স্থান। ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণ এ এলাকায় বিচরণ করে। ১১০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে এটি বিস্তৃত। মংলা বন্দর থেকে এখানে যেতে ৬/৭ ঘণ্টা সময় লাগে।



যেভাবে আসতে হয় সুন্দরবনে :

ঢাকার মতিঝিল, আরামবাগ, শ্যামলী, কল্যাণপুর, গাবতলী থেকে গ্রিনলাইন, সোহাগ, হানিফ, ঈগল, এ কে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন এসি/ননএসি বাস খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। খুলনা নেমে লোকাল বাসে মংলা যাওয়া যাবে। এছাড়া সায়েদাবাদ থেকে সুন্দরবন, পর্যটক, বনফুলসহ বিভিন্ন বাস খুলনা, বাগেরহাট ও মংলার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। খুলনায় ট্রেনে এবং যশোর পর্যন্ত প্লেনেও যাওয়া যাবে। পাশাপাশি নৌপথেও আসা যায়।

বাসে ভাড়া পড়বে ৫০০-১৫০০ টাকা। ট্রেনেও প্রায় একইরকম। প্লেনে গেলে ভাড়া গুনতে হবে সাড়ে ৩ হাজার টাকার মতো।



যেখানে থাকবেন:

খুলনায় থাকা-খাওয়ার জন্য হোটেল সিটি ইন (০৪১-২৮৩৪০৬৭), হোটেল রয়্যাল (০৪১-৭৩০৭১৪), হোটেল ক্যাসল সালাম (০৪১-৭৩০৩৪১), হোটেল অ্যাম্বাসেডর (০৪১-৭২২৩৭০), হোটেল টাইগার গার্ডেনসহ (০৪১-৭২২২৪৬), বেশ কয়েকটি ভালোমানের হোটেল রয়েছে। বাগেরহাটে থাকতে চাইলে বাগেরহাট সদরে আছে বেশকিছু হোটেল। মংলায় আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল পশুর (০১৭৭৩-০৪৪৪৭০) এছাড়া আমিন ইন্টারন্যাশনাল লি. (০১৭২৫-৮১৯৪৫৩)। খরচ পড়বে ননএসি-এসি ভেদে ৫০০-৩০০০ টাকা।



চাইলে এদের সাহায্য নিতে পারেন-

ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী সুন্দরবন ঘুরিয়ে দেখাতে রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থা। এর মধ্যে খুলনার উল্লেখযোগ্য- সাওদার্ন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ( ০১৭১২-৭৭৩৩৬১), এক্সপ্লোর ট্যুরিজম করপোরেশন লি.( ০১৭১১-১৭৬৫৯৩), দি গাইড ট্যুরস লি. (০১৭১১-৫৪০৪৩১), ভিশন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লি. (০১৭১১-০০০০৩৮), দি বেঙ্গল ট্যুরস লি.।



ভ্রমণের খরচ:

সুন্দরবন ভ্রমণের সহযোগী সংগঠন মংলা লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রহমান বলেন, ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের লঞ্চ, ট্রলার রয়েছে।

তিনি জানান, মিনি দোতলা ১৬ কেবিনের একটি লঞ্চে ৩৪ জন একসঙ্গে সুন্দরবন যেতে পারেন। তিন দিনের এ ট্যুরে খাওয়া দাওয়াসহ সব মিলে ভাড়া ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এছাড়া একদিন এক দুপুরের ট্যুরের জন্য বিভিন্ন ভাড়ায় লঞ্চ ও ট্রলার পাওয়া যায়।

খুলনার দি গাইড ট্যুরস লি. এর পরিচালক বাবলু বলেন, খুলনা-সুন্দরবন-ঢাকা ৫-৭ দিন দোতলা লঞ্চ (৫০) জন খাওয়া খরচসহ প্রতিজনে ১৬ হাজার টাকা লাগে।

মংলার সাওদার্ন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, সুন্দরবনের দুবলার চর, হিরণ পয়েন্ট, করমজল, কচিখালি, কটকা তিন দিনে ঘুরে আসতে দোতলা লঞ্চে খরচ পড়বে জন প্রতি ৭-১০ হাজার টাকা।

প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত তথ্য:-

সুন্দরবনে প্রবেশাধিকার অবারিত নয়। সংরক্ষিত বনাঞ্চল বলে বনবিভাগের অনুমতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক। বিনা অনুমতিতে সুন্দরবনে ঢোকা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সুন্দরবনে ভ্রমণ করতে হলে ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার বাগেরহাট বা ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার খুলনা বরাবরে দরখাস্ত করে অনুমতি নিতে হয় এবং প্রয়োজনীয় ফি দিতে হয়।

প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর:

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (০৪১-৭২০৬৬৫), সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (০৪৬৮-৬৩১৯৭), মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ-৭৬১৮৩০, ৭৬১০৫৬, প্লেন বুকিং অফিস খুলনা (০৪১-৭৩১০২০), খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (০৪১ ৭২০৪৪৪) সদর হাসপাতাল-(০৪১-৭২৩৪৩৩)।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, সুন্দরবনের অভায়রণ্যে যেতে ভ্রমণ পাসের ক্ষেত্রে দেশি পর্যটকদের ১৫০ টাকা এবং বিদেশিদের ১ শ’ টাকা দিতে হয়। সবার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য।

তিনি আরও জানান, সুন্দরবন ভ্রমণে যে পর্যটকই নিরাপত্তা চেয়ে থাকেন বন বিভাগ তাকেই নিরাপত্তা দেয়।

বিষয়: বিবিধ

১৯১৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

343712
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩১
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
343724
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৬
শেখের পোলা লিখেছেন : বার তিনেক গেছি৷ দুইবার পিকনিকে৷ বেশী গভীরে যাইনি৷প্রথমবার ছাত্র অবস্থায় ১৯৬৭তে লঞ্চ নিয়ে অনেক ভিতরে গিয়ে ছিলাম৷ সাথে শিকারী ছিল৷ আপত্তি সত্বেও একটা হরীণ মেরেছিল৷ তখন খুলনা থেকেই লঞ্চে যেতে হত৷ কোন গাড়ির রাস্তা ছিলনা৷ লঞ্চের ভাড়া স্কুলের আর আমাদের জন প্রতি দশ টাকা৷ দুইদিন দুই রাতের টূর ছিল৷ এত কিছু জানা ছিল না। জানা হল,ধন্যবাদ৷
343744
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ। শেষ বার গেছি ১৬-১৭ বছর আগে। আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File