ঘোড়ার লেজ নাড়ানো বিষয়ক হাদীসের পর্যালোচনা
লিখেছেন লিখেছেন মুসলমান ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:০৯:৩৬ দুপুর
রফউল ইয়াদাইন করার বিপক্ষে হানাফিরা জাবের বিন সামুরা (রাঃ) বর্ণিত হাদিস দলিল হিসেবে উপস্থাপন করেন। হাদীসটি হচ্ছেঃ
জাবের বিন সামুরা (রাঃ) একদিন রাসূল (সাঃ) আমাদের নিকত তাশরিফ আনলেন এবং বললেন, “কি ব্যাপার আমি, তোমাদেরকে হাত উঠাতে কেন দেখি যেন তা, বেয়াড়া ঘোড়ার ঊর্ধ্বে উথিত লেজ! তোমরা সালাতে স্থির থাক।”
– সহিহ মুসলিম (১/১৮১)
এই হাদীস থেকে কিছু আলেম বলতে চাচ্ছেন যে, এই হাদীসে রাসূল(সাঃ) রফউল ইয়াদাইন করতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি সালাতে স্থির থাকতে বলেছেন। এর আগে মুসলিমে এটি বর্ণিত হয়েছে কিন্তু তাতে সালামের সময় স্থির থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আলিমদের দাবী এই হাদীস এবং পরের হাদীসের মতন এক না এবং দুটি হাদীস দুই প্রেক্ষাপটে বর্ণিত।
তাহলে এই হাদীস সম্পর্কে সালাফগণ কি বলেছেন এবং এই হাদীস আর কোথায় বর্ণিত হয়েছে সেটা যাচাই করলেই আমরা দেখতে পারব আসলে এই হাদীসকি আসলেই রফউল ইয়াদাইন করতে নিষেধ করেছেন কিনা?
জাবের বিন সামুরা (রাঃ) এর হাদীসের ব্যাখ্যাঃ
জাবের বিন সামুরা (রাঃ) হতে বরনিতঃ রাসুল (সঃ) বলেন, কি ব্যাপার, আমি তোমাদেরকে দুষ্ট ঘোড়ার মত হাত উঠাতে দেখি কেন? নামাযে শান্ত থাক এবং ধীর ভাবে নামায পড়।
– মুসলিম হাদিস নং ৮৬৩
আমিরুল মু’মিনীন ফিল হাদীস ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেনঃ
যে মানুষ জ্ঞানের সামান্য ছোঁয়া পেয়েছে সেও এ হাদীস দ্বারা রফউল ইয়াদাইন বর্জনের দলিল নেবে না। এটা একেবারে পরিষ্কার ও প্রসিদ্ধ বিষয়। এটা হচ্ছে সালামের ব্যাপারে। এতে কোন মতভেদ নেই।
– যুয রাফউল ইয়াদাইন ১৫ পৃষ্ঠা
এ হাদীস রুকূর আগে ও পরের রফউল ইয়াদাইন নিষেধ হওয়া সম্পর্কে ইবারতের মধ্যে তার কোন উল্লেখ নেই। কেও দেখাতে পারবে না যে কোন হাদীসের ইমাম কোন হাদীস গ্রন্থে এই বিষয়ে বর্ণিত কোন হাদীস রফউল ইয়াদাইন না করা আনুচ্ছেদে নিয়ে এসেছে। এ হাদিসে সালাম ফিরানোর সময় হাত দিয়ে ইশারা করতে নিষেধ করা হয়েছে। যেটা ২য় বর্ণনা (পরবর্তী হাদিস ৮৬৪ মুসলিম) থেকে তার ব্যাখ্যা মউযুদ রয়েছে।
জাবের (রাঃ) বলেন আমরা রাসুল (সাঃ) এর সঙ্গে সালাত পরছিলাম। যখন আমরা সালাম ফিরাচ্ছিলাম তখন আমরা হাত দিয়ে ইশারা করছিলাম। এটা দেখে রাসুল(সাঃ) আমাদের বললেন, কি ব্যাপার কি ব্যাপার, আমি তোমাদেরকে দুষ্ট ঘোড়ার মত হাত উঠাতে দেখি কেন? নামাযে শান্ত থাক এবং ধীর ভাবে নামায পড়।
এ দুটি হাদীস মুসলিম এর একই আনুচ্ছেদে বর্ণিত। আর এই শব্দ “আমি তোমাদেরকে দুষ্ট ঘোড়ার মত হাত উঠাতে দেখি কেন?” দু জায়গায় বর্ণিত হয়েছে। যেটা একই ঘটনার জ্বলন্ত প্রমান।
ইমাম নববী (রহঃ) ঐ দুটি হাদিস এভাবে একই আনুচ্ছেদে এনে শুরু করেছেন “সালাতে শান্ত থাকাঃ সালামের সময় হাত উঠিয়ে তা দ্বারা ইশারা করা নিষেধ”।
– শরহে মুসলিম
ইমাম নাসাঈ এই হাদিসের উদ্দেশে এভাবে বাব বেঁধেছেন “সালাতে শান্ত থাকাঃ সালামের সময় হাত উঠিয়ে তা দ্বারা ইশারা করা নিষেধ”।
– সুনানে নাসাঈ ইঃ ফাঃ
ইমাম আবু দাউদ এ হাদিসের উপর এভাবে বাব বেঁধেছেন “সালাতে শান্ত থাকাঃ সালামের সময় হাত উঠিয়ে তা দ্বারা ইশারা করা নিষেধ”।
সুনানে আবু দাউদ, পৃষ্ঠা ৭০, ইঃফাঃ।
তিনি এই বাবে উপরের আলোচিত হাদিসটি এনেছেন। তার মানে সহজেই আমরা বুঝতে পারি ইমাম আবু দাউদের (রহঃ) মতে এই হাদিসে রাসূল(সঃ) রফউল ইয়াদাইন না করার আদেশ দেন নি।
হাদিসটি নিম্নরুপঃ
সুনানে আবু দাউদ, পৃষ্ঠা ৭২, হাদিস নাম্বারঃ১০০০; ইঃফাঃ।
আর ইমাম তাহাবি যিনি হানাফী মাযহাবের একজন বিখ্যাত পন্ডিত তিনিও এ হাদিসের উপর এভাবে বাব বেঁধেছেন “সালাতে শান্ত থাকাঃ সালামের সময় হাত উঠিয়ে তা দ্বারা ইশারা করা নিষেধ।”
এবং প্রমান করেছেন এটা সালামের ব্যাপারে। ইমাম তাহাবী এ হাদিস নিয়ে রফউল ইয়াদাইন মানসুখের দলিল নেন নি।
এই হাদিস থেকে আমরা কি রফউল ইয়াদাইন না করার দলিল নিতে পারবঃ
এই হাদিস সম্পর্কে মুহাদ্দিসগন বিস্তারিত আলোচনা করেছেনঃ
প্রথমেই ইমাম বুখারি (রহ) এর কথাঃ
ইমাম বুখারি (রহ) বলেন, “যে ব্যক্তি জ্ঞানের সামান্য ছোঁয়া পেয়েছে সেও এ হাদিস দ্বারা রফউল ইয়াদাইন বর্জনের দলিল নেবে না। এটা একেবারে পরিষ্কার ও প্রসিদ্ধ বিষয়। এটা হচ্ছে সালামের ব্যাপারে। এতে কারও কোন মতভেদ নেই।”
(যুয বুখারী ৩৭ পৃষ্ঠা, আল তালখিস আল কাবির, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২২১)
ইমাম বুখারী তার রেসালার যুয বুখারী ১৩ পৃষ্ঠায় এই বিষয়টি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
হাদিসের সকল ইমাম তাদের নিজ নিজ গ্রন্থে সালামের আনুচ্ছেদে এনাছেন। সালাতে রফউল ইয়াদাইন না করার আনুচ্ছেদে কেও আনেন নি।
হাফেয ইবনে হাযার (রহঃ) তালখিছের মধ্যে বলেন, “এ হাদিস থেকে রুকূর সময় রফউল ইয়াদাইন নিষিদ্ধ কখনও প্রমানিত হয় নাই। কেননা এ হাদিস সংক্ষিপ্ত, যেটা পরবর্তী হাদিসে এই হাদিসের তাফসির হিসাবে এসেছে। আর সালামের সময় হাত দিয়ে ইশারা করা ঠিক নয়।”
(তালখিস ৮২ পৃষ্ঠা)
তারপর হাফেয ইবন(রহঃ) ঐ পৃষ্ঠায় বলেন, “এ হাদিস থেকে রফউল ইয়াদাইন না করার দলিল নেয়া সঠিক হবে না। হ্যাঁ, প্রথম হাদিস অবশ্যই সংক্ষিপ্ত রূপ (ওটা সালামের সময় হাত দিয়ে ইশারা করা নিষেধ করা হয়াছে) যেটার বর্ণনা ২য় হাদিছে এসেছে।”
(তালখিস ১ম,২২১ পৃষ্ঠা)
এরপর ইবনে হাজার (রহ) ইবনে হিব্বান(রহঃ) থেকে একি কথা নকল করেছেন।
ইবনে হিব্বান বলেন, “এ হাদিস থেকে রুকূ ওয়ালা রফউল ইয়াদাইন না করা সঠিক নয় যেটা সহীহ হাদিস থেকে প্রমাণিত। হ্যাঁ, অবশ্যই ওটা সালামের সময় হাত দিয়ে ইশারা করা নিষেধ করা হয়াছে যেটার বর্ণনা মুসলিমের ২য় হাদিছে এসেছে।”
(তালখিস ১ম,২২১ পৃষ্ঠা; সহিহ ইবনে হিব্বান, ৩/১৭৮, হাদিস ১৮৭৭)
ইমাম নববী (রহ) বলেন, “যে ব্যক্তি এই হাদিস থেকে রুকুতে যাওয়ার আগে এবং রুকু থেকে উঠার পরে রফউল ইয়াদাইন না করার দলিল গ্রহন করল, সে একটা বড় ধরনের অবাধ্যতা করল। কেননা রুকুর পূর্বে এবং পরে রফউল ইয়াদাইন করা সহীহ এবং ভুল প্রমাণিত করা যাবে না।”
(শরহে মুহাযযাব ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪০৩)
হাফিয ইবন আল-মুলকান (রহ) বলেন, “এই হাদিস থেকে দলিল গ্রহন করা খুব মারাত্বক এবং বড় ধরনের অবাধ্যতা, যে আমল রাসূল(সঃ) এর সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত, কারন এই হাদিস রুকু আগে এবং পরে রফউল ইয়াদাইন করা নিয়ে বর্ণিত হয় নি, আসলে, সাহাবায়েগন সালাম ফিরানোর সময় হাত দ্বারা ইশারা করতেন……আর এই বিষয়ে নিয়ে আহালূল হাদিস (বিদ্বানদের) দের মধ্যে কোন ভিন্ন মত নেই। যার হাদিসের সাথে খুব সামান্য সম্পর্ক রয়েছে, কেবল সেই এই হাদিস গ্রহন করতে পারে।
(আল বদর আল-মুনয়ার ,খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ৪৮৫)
অনেক বড় হানাফি লেখকদের বইতে এবং যে সব হানাফি ভাই দাওয়াত এর কাজ করেন তারাও এই হাদিস থেকে রফউল ইয়াদাইন না করার দলিল দেন। আসা করি এর পর তারা আর এরকম মিথ্যাচার করবেন না।
আল্লাহ আমাদের এরকম মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করুন।
(কপি পেষ্ট)
বিষয়: বিবিধ
২১৬০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
( ولنا ) ما روى أبو حنيفة بإسناده عن عبد الله بن مسعود أن النبي صلى الله عليه وسلم { كان يرفع يديه عند تكبيرة الافتتاح ثم لا يعود بعد ذلك } ، وعن علقمة أنه قال : صليت خلف عبد الله بن مسعود فلم يرفع يديه عند الركوع وعند رفع الرأس من الركوع فقلت له : لم لا ترفع يديك ؟ فقال : صليت خلف رسول الله صلى الله عليه وسلم وخلف أبي بكر وعمر فلم يرفعوا أيديهم إلا في التكبيرة التي تفتتح بها الصلاة .
وروي عن ابن عباس رضي الله عنهما أنه قال إن العشرة الذين شهد لهم رسول الله صلى الله عليه وسلم بالجنة ما كانوا يرفعون أيديهم إلا لافتتاح الصلاة وخلاف هؤلاء الصحابة قبيح .
وفي المشاهير أن النبي صلى الله عليه وسلم قال { : لا ترفع الأيدي إلا في سبع مواطن عند افتتاح الصلاة ، وفي العيدين ، والقنوت في الوتر ، وعند استلام الحجر ، وعلى الصفا والمروة ، وبعرفات وبجمع وعند المقامين عند الجمرتين } .
وروي { أنه صلى الله عليه وسلم رأى بعض أصحابه يرفعون أيديهم عند الركوع وعند رفع الرأس من الركوع فقال : ما لي أراكم رافعي أيديكم كأنها أذناب خيل شمس اسكنوا في الصلاة } ، وفي رواية { قاروا في الصلاة } ولأن هذه تكبيرة يؤتى بها في حالة الانتقال فلا يسن رفع اليدين عندها كتكبيرة السجود ، وتأثيره أن المقصود من رفع اليدين إعلام الأصم الذي خلفه وإنما يحتاج إلى الإعلام بالرفع في التكبيرات التي يؤتى بها في حالة الاستواء كتكبيرات الزوائد في العيدين وتكبيرات القنوت ، فأما فيما يؤتى به في حالة الانتقال فلا حاجة إليه ; لأن الأصم يرى [ ص: 208 ] الانتقال فلا حاجة إلى رفع اليدين وما رواه منسوخ فإنه روي أنه صلى الله عليه وسلم كان يرفع ثم ترك ذلك بدليل ما روى ابن مسعود رضي الله عنه أنه قال رفع رسول الله صلى الله عليه وسلم فرفعنا وترك فتركنا دل عليه أن مدار حديث الرفع على علي وابن عمر وعاصم بن كليب .
قال : صليت خلف علي سنتين فكان لا يرفع يديه إلا في تكبيرة الافتتاح ، ومجاهد قال صليت خلف عبد الله بن عمر سنتين فكان لا يرفع يديه إلا في تكبيرة الافتتاح فدل عملهما على خلاف ما رويا على معرفتهما انتساخ ذلك على أن ترك الرفع عند تعارض الأخبار أولى ; لأنه لو ثبت الرفع لا تربو درجته على السنة ولو لم يثبت كان بدعة وترك البدعة أولى من إتيان السنة ; ولأن ترك الرفع مع ثبوته لا يوجب فساد الصلاة والتحصيل مع عدم الثبوت يوجب فساد الصلاة ; لأنه اشتغال بعمل ليس من أعمال الصلاة باليدين جميعا وهو تفسير العمل الكثير وقد بينا المقدار المفروض من الركوع في موضعه .
কপি পেষ্ট এখানে
আপাতত এটা দেখুন। আপনি যে হাদীসটা দিয়েছেন-
وفي المشاهير أن النبي صلى الله عليه وسلم قال { : لا ترفع الأيدي إلا في سبع مواطن عند افتتاح الصلاة ، وفي العيدين ، والقنوت في الوتر ، وعند استلام الحجر ، وعلى الصفا والمروة ، وبعرفات وبجمع وعند المقامين عند الجمرتين } .
এই হাদীস নাসবুর রায়া 391/1 এ আছে।
এই হাদীসটি দূর্বল বা দাইফ্।
its narrator “Muhammad bin Abdur-Rehman bin Abi Laila”, according to the Jumhoor of Muhadditheen, is Weak.
Introduction to Muhammad bin Abdur-Rehman bin Abi Laila in the field of Jarha and ta'deel:
Jarha (Criticism):
1: Shu’bah bin Al-Hajjajsaid:
ما رأيت أحدا أسوأ حفظا منه، I never saw any person weak in memorization more than him
And said:
ومرة: أفادني أحاديث فإذا هي مقلوبة
[Al-Jarah wal-Ta’deel 322/7]
2: Zaidah said:
“ترك حديثه” Leave his narrations
[Ref: Same as above]
3: Yahya bin Sa’eed al-Qattan said:
“سيئ الحفظ جدا” Very weak in memorization
[Ref: Same as above]
4: Ahmed bin Hanbal said:
“سيئ الحفظ مضطرب الحديث Weak in memorization, Mudtarib ul-Hadith
[ref:Same book, Pg 323]
5: Yahya bin Ma’een said:
ضعيف الحديث,/ ليس بذاك He is nohing/ Weak in Hadith
[Al-Majroheen 245/2]
6: Abu Haatim ar-Raazi said:
محله الصدق كان سيئ الحفظ،إنما ينكر عليه كثرة الخطأ Muhalla al-Sidq, He is weak in Hifz, He is abandoned due to making a lot mistakes
[Al-Jarah wal Ta’deel]
7: Abu Zu’rah said:
“صالح ليس بأقوي ما يكون” Saalih (Pious), (but) not the strongest
[Same book]
8: Al-Juzjanisaid:
“سيئ الحفظ” Weak from the memory
[Ahwaal-Al-rijaal: 86]
9: Al-Nisai said:
“يس بالقوي في الحديث” He is not strong in Hadith
[Al-Du’fa by Al-Nisai: 525]
10: Ibn Adi said:
“مع سوء حفظه يكتب حديثه” With his poor memory, write his narrations
[Al-Kaamil 2195/6]
11: Salma bin Kuhailsaid:
یکذب علیLied upon
[Al-Du’fa by Al-Ukaili]
12: Al-Daraqutnisaid:
ثقة، في حفظه شيء، ومرة: ليس بحافظ، ومرة : ضعيف الحديث سيئ الحفظ رديء الحفظ كثير الوهم
Thiqqah, fi Hifza Shai, And said: He is not a Haafidh, also said: He is Weak in Hadith, Weak in memorization. Poor in memorization, Has many illusions
[Al-Sunan 124/1, 241/1, 263/2…]
13: Ibn HIbban said:
رديء الحفظ كثير الوهم فاحش الخطأ فاستحق الترک
Poor in memorization, Has many illusions, Grossly mistaken, Deserves to be abandoned
[Al-Majroheen 244/2]
14: Al-Baihaqi said:
كثير الوهم ضعیف فی الروایہ، لسوء حفظه وكثرة خطأه
Has a lot of illusions, Weak in narrating, Weak in memorization, Makes many Mistakes
[Al-Sunan al-Kubra 24/1, 334/5]
15: Zailai Hanafi said:
“ضعیف” Weak
[Nasb ur-Rayaa 318/1]
16: Muhammad bin Tahir al-Maqdasi said:
“اجمعوا علیٰ ضعفہ” There is consensus on his weakness
[Tadhkiratul-Mawdo’at: 90, 24]
17: Al-Dhahabi said:
“صدوق سيئ الحفظ” Truthful, Weak in memorization
[Diwaan al-Du’fa 279]
18: Ibn Hajr said:
“ضعیف” Weak
[Fathul-Bari 214/4]
19: Tahawi said:
“مضطرب الحفظ جداً” Very Confused in memorization
[Mushkil al-Athaar: 226/3]
20: Al-Haithami said:
“ضعیف” Weak
[Majma al-Zawaid 78/1]
21: Muhammad bin Ishaaq al-Sa’di said:
یستحق ان یترک حدیثہ His ahadith deserve to be abandoned
[Al-Majroheen 246/2]
22: Al-Sajisaid:
“سيئ الحفظ” Weak in Memorization
[Tahdheeb (without any sanad)]
23: Ibn Jareer al-Tabari said:
لا یھتج بہ He is not a Hujja
[Same]
24: Ibn Khuzaimah said:
“ليس بحافظ” He is not a Hafidh
[Same]
25: Abu Ahmed al-Hakim said:
“عامۃ احادیثہ مقلوبۃ”
[Same]
26: Ibn al-Madini said:
سيئ الحفظ واھی الحدیث
[Same]
27: Ibn al-Qatan said:
سيئ الحفظ Weak in memorization
[Nasb ur-Rayaa 182/2]
28: Al-Nadwi said:
“ضعیف” Weak
[Nasb ur-Rayaa 84/4]
29: Ibn Al-Jawzi said:
“ف کلھم ضعا” They all weakned him
[Nasb ur-Rayaa 107/4]
30: Al-Mundhiri said:
ثقہ ردئ الحفظ کثیراٰ کذا قال الجمھور فیہ
[Al-Targheeb 525/5]
31: Ibn Hazam said:
“سيئ الحفظ” Weak in Memorization
[Al-Muhalla 123/7]
32: Al-Sakhawi said:
“سيئ الحفظ” Weak in Memorization
[Al-Qaul al-Badee’ 167,168]
Ta'deel (Praise):
1. Al-Ijli said:
“صدوق ثقہ” Truthful, Siqqah
[Ma’rifat al-Thiqqat 244,243/2]
2. Ya’qoob bin Sufyan said:
“ثقة عدل” Siqqah, Just
[Tahdheeb] (without any sanad)
3. Zaidah said:
“كان أفقه أهل الدنيا” He is the jurist of the people of earth
[Al-Jarah 322/7]
4. Tirmidhi:
“صحح لہ” Authenticated him
[Derwi 165]
5. Al-Dhahabi said:
“ھدیثہ فی وزن الحسن”
[Tadhkirat al-Huffaz 171/1]
6. Ibn al-Qayyim, and al-Haithami said:
ھدیثہ حسن ان شاء اللہ
[Derwi, Pg 165, 166]
From the above sayings of Imams and Muhadditheen, we came to know that a huge amount of scolars have declared Muhammad bin Abi Laila to be Da’eef, Sai ul-Hifz, and Kathir ul-Wahem. According to Baihaqi, he was Kathirul-Khata (one who makes a lot of mistakes); therefore the authentication of just a few scholars is rejected. Some scholars declaring him to be a Faqeeh (Jurist), is not an evidence of his authentication.
Zaidah declared him to be Faqeeh, but still he rejected his ahadith.
The sayings of Dhahabi and Haithami are contradictory, therefore they are neutral. The scholars who have praised him, they have done so, only on his personality, he was a truthful person, but was weak in Hadith due to his weak memory, and making a lot of mistakes.
আচ্ছা ভাই, তাবেই মুজাহীদ (র) এর এই আসার তো সহীহ বুখারী ও মুসলিমের ইবনে উমার (রা) এর সহীহ হাদীসের বিপরিত। তাহলে সহীহ বুখারী ও মুসলিমের হাদীসকি বাতিল বলা যাবে?
صليت خلف ابن عمر فلم يكن يرفع يديه إلا في التكبيرة الأولى من الصلاة .
আমি ইবনে উমার (রা) এর পিছনে সালাত আদায় করেছি তিনি প্রথম তাকবিরে ছাড়া হাত উত্তলন করেন নাই।
(শরহ্ মা'আনিল আছার ১/২২৫)
এই হাদীসের রাবী আবু বাকার সম্মন্ধ্যে ইমাম দের জারাহ:
ইমাম ইবনে মাইন বলেন: حديث أبي بكر عن حصين إنما هو توهم منه لا أصل له
হুসাইন থেকে আবু বাকারের বর্ননা একটি ভুল। এর কোন ভিত্তি নেই। (জুজ আল রা্ফউল ইয়াদাইন ১৬, তোহফাতুল আওয়াদী হা/২৫৭)
ইমামুস সুন্নাহ ইমাম আহমাদ বলেন: رواه ابوبكر بن عياش عن حصين عن مجاهد عن ابن عمر وهو باطل
وقد روى عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم خلاف ذلك
আবু বাকার হুসাইন থেকে হুসাইন মুজাহীদ থেকে বর্ণনা এটি وهو باطل
বাতিল। ইবনে উমার (রা)থেকে এর বিপরীত বর্ণনা পাওয়া যায় নবী (সা) থেকে। (মাসায়েলে আহমাদ, ইবনে হানি ১/৫০)
ইমাম দারাকুতনি বলেন:
ইমাম দারাকুতনী এই হাদীসের সমন্ধ্যে বিরুপ মন্তব্য করেছেন। (আল ইলাম ২৯০২)
ইমামু ফিল হাদীস ইমাম বুখারী বলেন:
ইমাম বুখারী এই হাদীসের সম্মন্ধ্যে বিরুপ মন্তব্য করেছেন তার জুজ আল রাফউল ইয়াদাইন কিতাবে। তোহফাতুল আওয়াজী হাদ/২৫৭ তে বিস্তারিত দেখুন।
@@@@@@@@@@
আপনার অন্তর জানে যে রফউল ইয়াদাইন করা ঠিক ও সুন্নাহ তার পরেও জানিনা কোন অজানা কারনে ডিফেন্স করেন নিজের মাযহাবী মতকে যদিও বা সহীহ হাদীস রয়েছে রফউল ইয়াদাইন করার পক্ষ্যে।
আল্লাহই একমাত্র হেদায়াত দাতা।
এখন সহজ ইকুয়েশন:
রফউল ইয়াদাইন জদি মানসুখ হত তাহলে নিশ্চই সাহাবা (রা) গন রসুল (সা) এর মৃত্যুর পরে তা করতে না।
যেমন, ইবনে মাসউদ (রা) রুকুতে দুই হাতকে একত্র করে দুই হাটুর মাঝে রাখতেন ও তাবেইদের কে রাখতে বলতেন এমনকি তিনি হাতে মাইর দিতেন না রাখলে।
অথচ অন্য সাহাবী (রা) বলেছেন যে, এরখম ছিলো তবে পরবর্তিতে নিষেধ করে দু্ই হাটুকে আকড়ে ধরতে বলা হয়েছে।
একই ভাবে জদি রফউল ইয়াদাইন নিষিদ্ধ হত। তাহলে প্রথম সাহাবী (রা) গন ই বন্ধ করতেন রসুল (সা) এর জীবনেই তার হুকুম পেতেন।
অথচ, অনেক তাবেই হাদীস বর্ণনা করেছেন যে সাহাবী ইবনে উমার, উমার, আলী, মালিক বিন হুয়ায়রিস, ওয়াইল বিন হুজুর আরো অনেকে (রাআ) তারা রফউল ইয়াদাইন করতেন।
এর মানে স্পষ্ট যে রসুল (সা) এর মৃত্যুর পরেও রফউল ইয়াদাইন ছিলো তা মানসুখ হয়ে যায় নি। কেননা তাবেঈ গন তার সাখ্য দাত।
কেউ যদি বলে যে রফউল ইয়াদাইন মানসুখ বা নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। তাহলে তাদের উচিত বেতের নামাজে ও দুই ঈদের নামাজে আগে রফউল ইয়াদাইন বন্ধ করা তার পরে অন্যকে বলা যে তা মানসুখ বা বাতিল করা হয়েছে। পারবে কি?
আমার বুজুর্গ গন অবশ্য রফউল ইয়াদাইন করতেন। আমরা পীরসাহেবও করতেন বলে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন