তাবলিগ জামাতের সাথে চিল্লায় যাওয়া নিয়ে শায়খ সালিহ আল-ফওজান (হা’ফিজাহুল্লাহ) এর ফতোয়া।
লিখেছেন লিখেছেন মুসলমান ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:৩৫:১৯ দুপুর
তাবলিগ জামাতের সাথে চিল্লায় যাওয়া নিয়ে শায়খ সালিহ আল-ফওজান (হা’ফিজাহুল্লাহ)। যিনি বর্তমানে আরব বিশ্বের সবচাইতে বড় আলেমদের একজন, তার ফাতওয়া অনুবাদ করে দেওয়া হলো তাবলিগ জামাত ও চিল্লা সম্পর্কে শায়খ সালিহ আল-ফাওজানের ফাতওয়াঃ
“চিল্লা দেওয়া যাবে?”
প্রশ্নকর্তাঃ আল্লাহ আপনার সাথে ভালো আচরণ করুন হে সম্মানিত শায়খ! এটাকি জায়েজ কোথায় বেড়িয়ে পড়া এক মাসের জন্য, এক সপ্তাহের জন্য অথবা একদিনের জন্য যেইভাবে তাবলিগ জামাতের লোকেরা করে থাকে এটা কি সুন্নত নাকি বিদআ’ত? শরীয়তের জ্ঞান অর্জনে অধ্যায়নরত এমন কারো জন্য এটাকি জায়েজ, এই জামাতের সাথে চিল্লা দেওয়া বা বের হওয়া?
শায়খ সালিহ আল-ফওজান এর ফাতওয়াঃ “এটা জায়েজ নয়, কারণ এটা একটা বিদআ’ত। এভাবে বেড়িয়ে যাওয়া ৪০ দিন, ৪ দিন, ৪ মাস এটা হচ্ছে বিদআ’ত। এটা প্রমানিত যে, তাবলিগ জামাত হচ্ছে ভারতীয় দেওবন্দীদের মধ্য থেকে একটা “সূফী” জামাত। তারা একদেশ থেকে অন্য দেশে যায় তাদের “সূফীবাদ” প্রচার করার জন্য। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অনুসারী কোন ব্যক্তি, তাওহীদের অনুসারী ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, তাদের সাথে তাবলীগে বেড়িয়ে পড়া। কারণ সে যদি এদের সাথে যায় তাহলে সে তাদেরকে বেদাত প্রচার করতে সাহায্য করলো। এবং লোকেরা তাকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করবে - “অমুক (আলেম বা শিক্ষিত লোক) তাদের সাথে তাবলীগে গেছে”, অথবা এটা বলবে “সাধারণ মানুষ সবাই আমাদের সাথে যায়”, অথবা তারা বলবে “আরে তাবলিগ জামাত এইদেশে (সৌদি আরবে) অবৈধ।”
এইজন্য তাদেরকে পরিত্যাগ করা ওয়াজিব, তাদেরকে পরিত্যাগ করা ওয়াজিব এবং তাদের দিকে মনোযোগ দেওয়া যাবেনা (তাদের কথা শোনা যাবেনা)। এটা এজন্য যে, তারা তাদের বিদআ’ত তাদের দেশে নিয়ে ফিরে যাবে, আমাদের আরব দেশগুলোর মাঝে ছড়াতে পারবেনা। এছাড়া তাদের সাথে গিয়ে তাদেরকে শিক্ষা দেওয়াও জায়েজ নয়। এটা ভুল, কারণ তারা দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করতে চায়না। তারা জ্ঞান অর্জন করতে চায়না কারণ তারা ধোকাবাজির লোক, তাদের বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। তারা এসেছে তোমাদেরকে (সূফীবাদ ও ইলিয়াসি তরীকা) শিক্ষা দেওয়ার জন্য, তারা এজন্য আসেনি যে তোমাদের কাছ থেকে কিছু শিখবে। তারা এসেছে তোমাদেরকে তাদের “সূফীবাদ” ও তাদের “মাযহাব” শিক্ষা দেওয়ার জন্য। তারা তোমাদের কাছে শিখতে আসেনাই, তারা যদি শিখতে আসতো তাহলে তারা আরব দেশের ওলামাদের সাথে মসজিদে বসতো এবং তাদের কাছ থেকে কিতাব অধ্যায়ন করতো। এসব ভুলের মধ্য থেকে এর দ্বারা ধোকায় পড়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নাআ’ম।
এছাড়া ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে ইব্রাহিম রাহিমাহুল্লাহ, ইমাম বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহ, ইমাম আলবানী সব আরব দেশের বহু আলেম ভারতীয় দেওবন্দী সূফী এই জামাতের গোমরাহীর কারণে উম্মতকে সতর্ক করেছেন এবং এদের থেকে দূরে থেকে বিশুদ্ধ কুরান ও সুন্নাহ ভিত্তিক পড়াশোনা
বিষয়: বিবিধ
১৭১৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আরে মিয়া ভাই। মানুষ কে মুসলিম বানাতে শিখুন।
কথায় কথায় মানুষকে শিরকি আর বেদাআতী বলে হেদায়েত করা যাবে না।
আগে তো তাদের ব্যাপারে বিস্তারীত জানা দরকার। কর্মপন্থা ও মূল উদ্দ্যেশ্য বুঝা দরকার, তারপর না হয়, বিদায়াতী ও মুশরিকের ফতোয়া দিবেন।
এটা শুধু ভারতের দেওবন্দে নয়, বর্তমানে আরবদেশের অনেক শায়খ ও এ কাজে জড়িত।
বিশ্বাস না হলে আবুধাবীর মুসাফফায় অবস্থিত মারকাজ মসজিদে এসে দেখুন। কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান এদের কাছে কম সেই। হাজার হাজার আরব ও আজম এখান থেকে দ্বীনের কাজে বের হচ্ছে।
আমার দেখা থেকে বলছিঃ সূদান, কুয়েত, জর্ডান, মিসর, ওমান ও আমিরাতের বড় বড় আলেমগন এই কাজে জড়িত।
কিছুটা পার্থক্য অবশ্যই আছে, তা হল ফাজায়েলে আমলের কিতাবে অনেকগুলো কাহিনী আছে যা আরবরা পড়ে না।
তারা হাদিসের কিতাবগুলো পড়ে। ভারত উপমহাদেশেও বর্তমানে ফাযায়েলে আমল থেকে মুনতাখাব হাদীস নামক হাদীসগন্থটিও বেশি তালিম করা হয়।
তাই মানুষকে আগে বুঝতে শিখুন। জানুন। তারপর না হয় ফতোয়া।
ধন্যবাদ
ও আচ্ছা! আপনি শুনেই শেয়ার করা শুরু করলেন, বাস্তবতা একটু যাচাই করার চেষ্টা করলেন না? প্রতারণা বললেন যে!
আরবীরা কি অধম, যে প্রতারণার শিকার হবে!
যাদের ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান কম
আরবদের ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান কম? আরে মিয়া! আরবেন একজন খৃষ্টানের কাছে ইসলামের যত জ্ঞান আছে, আমাদের দেশের অনেক মুসলিম পন্ডিতেরও ইসলাম সম্পর্কে তত জ্ঞান নেই।
যাই হোক, শুনা কথার চেয়ে তাহক্বিক করা কথাই ভালো। ধন্যবাদ, কারণ কেয়ামতের দিন জবাবদিহি করতে হবে তো!
আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অনুসারী কোন ব্যক্তি, তাওহীদের অনুসারী ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, তাদের সাথে তাবলীগে বেড়িয়ে পড়া।
আচ্ছা মুন্সী ভাই, যারা সাধারণ মানুষ, তাদেরকে ইসলামের আরো দেখাতে আমার আপনার প্রচেষ্টা কতটুকু?
যদি আলেম ওলামা, তাওহীদের অনুসারীগণ তাদের সাথে না যায়, তারাতো অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। কে তাদের পথ দেখাবে?
শরীয়তের কোন বিষয়কে না জায়েয বলতে হলে অবশ্যই নুসূস (কুরআন হাদীসের স্পষ্ট দলিল) লাগবে। আপনি নুসূস থেকে প্রমান পেয়েছেন তো!
গল্পে গল্পে শিক্ষা-ই
গল্পে গল্পে শিক্ষা-আ
গল্পে গল্পে শিক্ষা-ই
গল্পে গল্পে শিক্ষা-আ
এগুলোর তাবলীগ করতে হবে। যদি বলেন যে না এগুলোর তাবলীগ করা যাবে না, তাহলে সঠিক কারণ দরর্শাতে হবে। বড়বড় বুলিঝেড়ে কি হবে!! কয়জনকে সঠিক পথে আনলাম! এরখম বুজুর্গি কয়জন দেখাতে পারে??
মন্তব্য করতে লগইন করুন