মনছুর হাল্লাজ
লিখেছেন লিখেছেন মুসলমান ১৭ আগস্ট, ২০১৫, ০৯:৪১:০১ সকাল
ونحن نعوذ بالله أن نقول عليه ما لم يكن قاله أو نتحمل عليه في أقواله وأفعاله
আমরা আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি’ কারো বিরুদ্ধে এমন মতবাদ বা এমন কাজের কথা বলতে যা তার মধ্যে নাই বা যা সে করে নাই।
নাম; হুসাইন ইবনে মানছুর ইবনে মাহমী আল-হাল্লাজ আবু মুগীছ। এবং তাকে আব্দুল্লাহ ও বলা হত। তার দাদা ছিল অগ্নি পূজক। তার (দাদার) নাম ছিল মাহমী। সে ছিল পারস্যের বাইযা শহরের অধিবাসী।
মানছুর হাল্লাজ প্রথমে বাগদাদে আসে। আর মক্কায় বার বার আসা যাওয়া করত। প্রচন্ড ঠান্ডা ও গরমের সময়েও সে মসজিদে হারামে খোলা আকাশের নীচে বসে থকত। সারা বৎসর ব্যাপী সে নাস্তার সময় কিছু রুটি খেত ও পানি পান করত। সে জাবালে আবি-ক্বুবাইসে প্রচন্ড গরম পাথরের উপর বসে থাকত। সে সূফী স¤্রাটদের সংশ্রব গ্রহন করেছিল। যেমন; জুনাইদ ইবনে মুহাম্মদ, আমর ইবনে উসমান মাক্কী, আবুল হুসাইন নুরী।
খতীব বাগদাদী বলেন, সুফিরা মানছুর হাল্লাজের ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেছে। সুফিদের অধিকাংশই হাল্লাজকে তাদের দলভুক্ত মনে করত না। এবং তারা অসম্মত ছিল হাল্লাজকে তাদের মধ্যে গণণা করতে। কিছু সূফী হাল্লজকে তাদের অর্ন্তভূক্ত মনে করত। যেমন; আবুল আব্বাস ইবনে আতা বাগদাদী, মুহাম্মদ ইবনে খাফিফ সিরাজী, ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ নাছরাবাজী নাইছাবোরী। তারা মানছুর হাল্লাজের অবস্থা গুলোকে ছহীহ বলে প্রচার করত ও তার কথাগুলো লিখে রাখত। এমন কি ইবনে খাফিফ বলত; হাল্লাজ হচ্ছে আলেমে রব্বানী। আবু আব্দুর রহমান আস-সালামী বলেন; (তার নাম হচ্ছে মুহাম্মদ ইবনে হুসাইন) আমি ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ নাছরাবাজীকে বলতে শুনেছি; কেউ হাল্লাজকে কোন কারণে তিরষ্কার করছিল,তখন সে বললঃ যাকে তোমরা নিন্দা করছ প্রকৃতপক্ষে নবী ও সিদ্দীক্বীনদের পরে যদি কোন মুয়াহ্হীদ থেকে থাকে তাহলে সে হচ্ছে হাল্লাজ। আবু আব্দুর রহমান বলেন আমি মনছুর ইবনে আব্দুল্লাহকে বলতে শুনেছি, আমি শিবলীকে বলতে শুনেছি; সে বলত আমি এবং হাল্লাজ একই। তবে হাল্লাজ হচ্ছে প্রকাশ্যে আমি হচ্ছি গোপনে। এবং তার থেকে ভিন্ন আরেকটি বর্ণনা আছে তা হল; সে যখন হাল্লাজকে শুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখল তখন সে বলল, আমি তোমাকে পৃথিবী থেকে নিষেধ করি নাই।
খতিব বাগদাদী বলেন; যারা হাল্লাজকে সূফীদের অর্ন্তভূক্ত মনে করত না তারা হাল্লাজকে সম্পৃক্ত করত ধোকাবাজদের সাথে। এবং তারা মনে করত সে হচ্ছে একজন যিন্দিক। আর হাল্লাজ ছিল মিষ্ট ভাষী এবং সূফী তরীকার উপর তার অনেক কবিতা রয়েছে।
খতিব বাগদাদী বলেন, হাল্লাজের কতল পর্যন্ত তার বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। অথচ ফোকাহায়ে কেরাম এর ইজমার উপর ভিত্তি করেই তাকে কতল করা হয়েছে। সে ছিল একজন কাফির, যিন্দিক ও ধোঁকাবাজ। আর সূফীদের অধিকাংশ এই মতই পোষণ করতেন।
মানছুর হাল্লাজের বাহ্যিকতা ছুফিদের ধোকায় ফেলেছে। তারা তার অদৃশ্যের ব্যাপারে জানত না। কারণ; প্রথমে সে খুব ইবাদত করত; এবং সূলূকের লাইনে চলত। কিন্তু সে ছিল মূর্খ। তার কাজের কোন ভিত্তি ছিল না। তার বাহ্যিক অবস্থা ছিল তাকওয়ার উপর। এজন্যই সে ভালর চেয়ে খারাপটাই বেশী করত। সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা বলেন-
من فسد من علماءنا :كان فيه شبه من اليهود: من فسد من عبادنا: كان فيه شبه من النصاري.
অথ্যাৎ, “আমাদের আলেমদের মধ্য থেকে যে ভ্রান্ত হয়ে যায় তার মাঝে ইয়াহুদীদের সাদৃশ্য পাওয়া যায়। আর আবেদগণের মধ্য থেকে যে ভ্রান্ত হয়ে যায় তার মাঝে খৃষ্টানদের সাদৃশ্য পাওয়া যায়।”
আর এজন্যই হাল্লাজের মধ্যে হুলোলের (বান্দার মাঝে আল্লাহ্ তা’আলার মিশ্রণ হওয়া) আক্বিদাহ প্রবেশ করেছিল।
মানছুর হাল্লাজ বিভিন্ন শহরে আসা যাওয়া করত এবং সে মানুষের সামনে নিজেকে একজন দায়ী হিসাবে প্রকাশ করত। এবং ছহীহ ভাবে প্রমাণিত আছে সে হিন্দুস্থানে এসেছিল এবং যাদু শিখিয়েছিল। এবং সে বলত আমি এর (যাদু) মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করি। হিন্দুস্থানের লোকেরা তাকে মুগীছ (সাহায্যকারী) বলে ডাকত। ছুরকিছানের লোকেরা তাকে মুক্বীদ (খাদ্য দানকারী)বলে ডাকত। খুরাসান বাসীরা তাকে মুমাইয়িয (পার্থক্যকারী) বলে ডাকত। পারস্যবাসীরা তাকে আবু আব্দিল্লাহ যাহেদ বলে ডাকত। খুজেসতান বাসীরা তাকে আবু আব্দিল্লাহ যাহেদ হাল্লাজ আল-আসরার বলে ডাকত। আর বাগদাদ বাসীরা তাকে মুসতালাম বলে ডাকত। আর বসরাবাসীরা তাকে মুহাইয়ির বলে ডাকত। মানছুরকে হাল্লাজ নাম করণের কারণ হচ্ছে, সে মানুষের গোপন বিষয় প্রকাশ করত। কেউ বলেন হাল্লাজ একবার কোন এক ব্যক্তিকে বলল, তুমি আমার অমুক কাজগুলো করে দাও। অতপর ঐ ব্যক্তি বলল আমি তুলার বীজ বাছাই করতে ব্যাস্ত আছি। তখন মানছুর হাল্লাজ ঐ ব্যক্তিকে বলল, যাও আমি তোমার কাজ করে দিচ্ছি। ঐ লোকটি দ্রুত কাজ সমাপ্ত করে এসে দেখল মনছুর হাল্লাজ তুলা থেকে বীজ আলাদা করে বাছাই করে রেখেছে। বলা হয় হাল্লাজ সুরমার কাঠি দিয়ে ইশারা করলে তুলার বীজ আলাদা হয়ে যেত। (ইবনে কাছীর রহঃ) বলেন শয়তান তার সাথীদেরকে এ জাতীয় কাজে সাহায্য করে এবং তাদের মাধ্যমে কাজ নেয়। আর সে হুলোলের বিশ্বাসী ছিল যা তার কবিতা থেকে বুঝে আসে।
جبلت روحك في روحي كما … يجبل العنبر بالمسك الفنق … فإذا مسك شيء مسني … وإذا أنت أنا لا نفترق
১. তোমার রুহ আমার রুহে এমন ভাবে প্রবেশ করেছে, যেমনিভাবে মৃগনাভীর সাথে কোমল পানির মিশ্রণ হয়।
সুতরাং যখন কোন জিনিস তোমাকে স্পর্শ করে তা যেন আমাকেই স্পর্শ করে। অতএব তুমিই আমি, আমাদের মাঝে কোন পৃথকতা নেই।
وقوله … مزجت روحك في روحي كما … تمزج الخمرة بالماء الزلال … فإذا مسك شيء مسني … فإذا أنت أنا في كل حال
২. তোমার রুহ আমার রুহের সাথে এমন ভাবে মিশ্রণ ঘটেছে যেভাবে পানির মিশ্রণ ঘটে রঙ্গের সাথে। সুতরাং যখন কোন জিনিস তোমাকে স্পর্শ করে তা যেন আমাকেই স্পর্শ করে। অতএব সর্ব অবস্থায় তুমিই আমি, এবং আমিই তুমি ।
وقوله أيضا … قد تحققتك في سر … ي فخاطبك لساني … فاجتمعنا لمعان … وافترقنا لمعان … إن يكن غيبتك التعظي … م عن لحظ العيان … فلقد صيرك الوج … د من الأحشاء دان
৩. নিঃসন্দেহে আমিই তুমি , সুতরাং তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করা মানেই হচ্ছে আমার পবিত্রতা ঘোষণা করা। এবং তোমার একাত্ব মানেই হচ্ছে আমার একাত্ব, এবং তোমার অবাধ্যতা মানেই হচ্ছে আমার অবাধ্যতা।
وقد أنشد لابن عطاء قول الحلاج … أريدك لا أريدك للثواب … ولكني أريدك للعقاب … وكل مآربي قد نلت منها … سوى ملذوذ وجدي بالعذاب …
فقال بانن عطاء قال هذا ما تزايد به عذاب الشغف وهيام الكلف واحتراق الأسف فإذا صفا ووفا علا إلى مشرب عذب وهاطل من الحق دائم سكب وقد أنشد لأبي عبدالله بن خفيف قول الحلاج … سبحان من أظهر ناسوته … سرسنا لاهوته الثاقب … ثم بدا في خلقه ظاهرا … في صورة الآكل والشارب … حتى قال عاينه خلقه … كلحظة الحاجب بالحاجب …
فقال ابن خفيف علا من يقول هذا لعنه الله فقيل له إن هذا من شعر الحلاج فقال قد يكون مقولا عليه وينسب إليه أيضا … أوشكت تسأل عني كيف كنت … وما لاقيت بعدك من هم وحزن … لا كنت لا كنت إن كنت أدري كيف كنت … ولا لا كنت أدري كيف لم أكن …
قال ابن خلكان ويروى لسمنون لا للحلاج ومن شعره أيضا قوله … متى سهرت عيني لغيرك أو بكت … فلا أعطيت ما أملت وتمنت … وإن أضمرت نفسي سواك فلا زكت … رياض المنى من وجنتيك وجنت … ومن شعره أيضا … دنيا تغالطني كأن … ي لست أعرف حالها … حظر المليك حرامها … وأنا أحتميت حلالها … فوجدتها محتاجة … فوهبت لذتها لها …
وقد كان الحلاج يتلون في ملابسه فتارة يلبس لباس الصوفية وتارة يتجرد في ملابس زرية وتارة يلبس لباس الأجناد ويعاشر أبناء الأغنياء والملوك والأجناد وقد رآه بعض أصحابه في ثياب رثة وبيده ركوة وعكازة وهو سائح فقال له ما هذه الحالة يا حلاج فأنشأ يقول … لئم أمسيت في ثوبي عديم … لقد بليا على حر كريم … فلا يغررك أن أبصرت حالا … مغيرة عن الحال القديم … فلي نفس ستتلف أو سترقى … لعمرك بي إلى أمر جسيم … ومن مستجاد كلامه وقد سأله رجل أن يوصيه بشيء ينفعه الله به فقال عليك نفسك إن لم تشغلها بالحلق وإلآ شغلتك عن الحق وقال له الرجل عظني فقال كن مع الحق بحكم ما أوجب
(ইমাম ইবনে কাছীর (রহঃ) বলেন), হাল্লাজ শেষে স্থির থাকতে পারেনি । এবং সে ভুলে পতিত হয়েছে এবং সে বক্রপথ অবলম্বন করেছে,গোমরাহী ও বিদআতে লিপ্ত হয়েছে। আমরা আল্লাহর কাছে এর থেকে পানাহ চাই।
আবু আবদুর রহমান সালামী আমর ইবনে উসমান মাক্কী থেকে বর্নণা করেন, তিনি বলেন, আমি হাল্লাজের সাথে মক্কার কিছু জায়গায় হাটছিলাম ও কোরআন তিলাওয়াত করছিলাম হাল্লাজ আমার তিলাওয়াত শুনে বলল কোরআনের মত আমিও বলতে পারি। অতপর আমি তার থেকে পৃথক হয়ে গেলাম। খতীব বাগদাদী বলেন মাসউদ ইবনে নাসের বর্র্নণা করেন, ইবনে বাকু সিরাজী থেকে বর্ননা করেন, আমি আবু যুর’আ তাবারী থেকে শুনেছি তিনি বলেন, মানুষ এর মধ্যে কেউ হাল্লাজকে গ্রহন করেছে আবার কেউ প্রত্যাখান করেছে। মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহ্ইয়া রাজী বলেন, আমি শুনেছি আমর ইবনে ওসমান হাল্লাজকে লানাত করেছে এবং সে বলত আমার শক্তি থাকলে হাল্লাজ কে আমি নিজ হাতে হত্যা করতাম। আমি তাকে বললাম হাল্লাজকে কিসের উপর পেয়েছ? সে বলল আমি কোআনের আয়াত তিলাওয়াত করলাম, তখন সে বলল, আমি ক্ষমতা রাখি এমন কোরআন লিখতে এবং বলতে। আবু যুর’আ তাবারী বলেন আমি আবু ইয়াকুব আকতাহ্ কে বলতে শুনেছি, সে বলল আমি আমার মেয়েকে বিবাহ দিলাম, যখন সুলুকের লাইনে হাল্লাজের সুন্দর পদ্ধতি ও প্রচন্ড চেষ্টা দেখলাম। তার কিছুদিন পরে আমার কাছে বিকশিত হল যে সে হল একজন যাদুকর ও ধোঁকাবাজ ভেল্কীবাজ ও কাফের। ইমাম ইবনে কাসীর বলেন, এই বিবাহ মক্কায় হয়েছিল। মেয়ের নাম ছিল উম্মুল হুসাইন বিনতে আবু ইয়াকুব আক্তা। মেয়েটির ঘরে একটি সন্তান হয়ে ছিল যার নাম আহমদ ইবনে হুসাইন ইবনে মানসুর। আহমদ (হাল্লাজের পুত্র) তার বাবার জীবনিতে ঐ কথাগুলোই উল্লেখ করেছেন যেগুলো খতীব বাগদাদী বলেছেন।
আবুল কাসেম কুশায়রী তার রেসালায় উল্লেখ করেছেন হেফজ কুলুবুল মাশায়েখ অধ্যায়ে যে, আমর ইবনে ওসমান মক্কায় হাল্লাজের নিকট গিয়েছিল। তখন সে একটি পাতায় কিছু লিখছিল। তাকে জিজ্ঞেস করা হল, এটা কি? সে বলল, “ইহা কেরআনের বিপরীত লিখা হচ্ছে।” কুশায়রী বলেন অতপর হাল্লাজের জন্য বদ দু’আ করা হল। এরপর সে আর সফল হতে পারেনি। আর ইয়াকুব আক্তা হাল্লাজের সাথে তার মেয়ের বিবাহের ব্যপারটি অস্বীকার করল । আমর ইবনে ওসমান চিঠি লিখে বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে দিল যাতে মানুষদেরকে হাল্লাজের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। অতপর হাল্লাজ বিভ্রান্ত অবস্থায় শহরে ঘুরতে লাগল। আর লোকদের সামনে নিজেকে আল্লাহর দিকে আহবানকারী হিসাবে প্রকাশ করত। আর এতে বিভিন্ন ভেল্কির সাহায্য নিত। এভাবেই সে চলতে ছিল। এমনকি আল্লাহ্ তা’আলা তার এই অনিষ্ঠতা থেকে রক্ষা করল শরীয়াতের ফায়সালায় তাকে হত্যা করে। যে ফায়সালা জিন্দিক ছাড়া অন্য কারো উপর হয় না। আর হাল্লাজ কোরআনের উপর আক্রমন করেছিল। আর সে তা করতে চেয়েছিল হারাম শরীফে অথচ আল্লাহ তা’আলা জিব্রাইলের মাধ্যমে নাযিল করেছেন, وَمَنْ يُرِدْ فِيهِ بِإِلْحَادٍ بِظُلْمٍ نُذِقْهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ
এখানে (মসজিদে হারামে) যে-ই সততা থেকে দূরে গিয়ে জুলুমের পথ অবলম্বন করবে তাকেই আমি যন্ত্রনাাদায়ক আযাবের স্বাদ আস্বাদন করাব। (সূরা: হজ্ব ২০)
হাল্লাজের এই কাজের আর কি কাজ এমন হতে পারে যা সত্য থেকে দূরে সরায় তার কাজগুলি মক্কার কাফের কুরাইশদের কাজের সাথে সদৃশ্য রাখে। যেমনটা আল্লাহ বলেছেন,
وَإِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُنَا قَالُوا قَدْ سَمِعْنَا لَوْ نَشَاءُ لَقُلْنَا مِثْلَ هَذَا إِنْ هَذَا إِلَّا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ
যখন তাদের সামনে আয়াত তিলাওয়াত করা হয় তখন তারা বলে আমরা তা শুনলাম, আমরা যদি চাই তাহলে এই কোআনের মত আমরাও কিছু বলতে পারি। এতো সেই সব পুরনো কাহিনী যা আগে থেকে লোকেরা বলে আসছে (সূরা: আনফাল, ৩১)
বিষয়: বিবিধ
১২০৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
-আপনার আন্দাজ নাই!! আমার পীরের পীর কাফের তো আপনার কি সমস্যা!
মন্তব্য করতে লগইন করুন