কোন সাহাবী (রাঃ) এর কথায় বা তাদের ইজমায় কি কুরআনের কোন আয়াতের বিধান রহিত হয়?

লিখেছেন লিখেছেন মুসলমান ০৬ জুলাই, ২০১৫, ১১:৫৩:১৫ সকাল



আমরা জানি, যাকাতের খাত ৮টিঃ-

১. ফকির-নিঃস্ব

২. মিসকিন-অভাবী

৩. যাকাত বিভাগে নিয়োযিত কর্মচারী

৪. গরীব অমুসলিমদের মন জয় করে ইসলামে প্রতি আকৃষ্ট করতে (এটা রহিত?!?!?)

৫. দাসত্ব হতে মুক্তির জন্য মুকাতেব গোলামকে

৬. ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির ঋণ পরিশোধের জন্য

৭. ইসলামী আন্দোলনের পথে অস্ত্র সরঞ্জাম ক্রয়ের মুখাপেক্ষী মুজাহীদকে।

৮. পথিক মুসাফিরদের জন্য যে সাময়িকভাব রিক্ত হস্ত হয়ে পড়ছে। (তাওবা-৬০)।

গত জুম্মায় সালাত আদায় করলাম বাড্ডা এলাকার বড় এক মসজিদে। খতিব সাহেব বয়ানে যাকাত নিয়ে আলোচনা করলেন। তিনি আটটি খাতের কথা বললেন। তারপর বললেন- "গরীব অমুসলিমদের মন জয় করে ইসলামে প্রতি আকৃষ্ট করতে" এই খাতটি হযরত ওমর (রাঃ) বিশিষ্ট সাহাবাদের নিয়ে আলোচনা (ইজমা) করে রহিত করেছেন! তারপর থেকে এই খাতে আর যাকাত দেওয়া যাবে না! যদিও এটা কুরআনে আছে কিন্তু এটা মানা যাবে না!

একজন ইসলামী গবেষক লিখেছেন, কোন সাহাবী কেন নবী (সাঃ) কখনও কুরআনের বিপরীত কোন কথা বলেন নাই। তাই যদি দেখা যায় কোন সাহাবী (রাঃ) কুরআনের কোন আয়াতের বিপরীত কথা বলেছেন তাহলে সেটাকে ভুল ধরে নিতে হবে। কারণ কোন সাহাবী কখনই কুরআনের বিপরীত কথা বলতে পারেন না। এরকম পাওয়া গেলে ধরে নিতে হবে সেটা জাল অথবা ইসলামের শত্রুদের ষড়যন্ত্র।

তেমনিভাবে কুরআনের কোন আয়াতের বিপরীত কোন হাদীস পাওয়া গেলে ধরে নিতে হবে সেটা জাল অথবা ইসলামের শত্রুদের ষড়যন্ত্র। কারণ রাসূল (সাঃ) কখনই কুরআনের কোন আয়াতের বিপরীত কোন কথা বলতে পারেন না।

যাদের এ বিষয়ে জানা আছে তারাই শুধু উত্তর দিবেন। অনুগ্রহ করে কেউ আজাইরা কমেন্টস করবেন না। ব্যাপারটা নিয়ে আমি দু্ই একজনের সাথে আলাপ করেছি কেউ সঠিক উত্তর দিতে পারেন নাই। আমি কনফিউশনে আছি।

বিষয়: বিবিধ

১০২২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

328918
০৭ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৩৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমার মনে হয় এটা নওমুসলিম এর কথা হবে। ইজমা এর মাধ্যমে কুরআন এবং সহিহ হাদিস এর নির্দেশ বদল করা যায়না। এই বিষয়ে আরও মতামত আশা করি।
০৭ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:১৫
271195
মুসলমান লিখেছেন : ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য কোন অমুসলিমকে যাকাত প্রদান করা : ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে অথবা কোন অনিষ্ট বা কাফেরের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে কোন অমুসলিমকে যাকাতের অর্থ প্রদান করা যায়।[7]

হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِىِّ قَالَ بَعَثَ عَلِىٌّ رضى الله عنه وَهُوَ بِالْيَمَنِ بِذَهَبَةٍ فِيْ تُرْبَتِهَا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَسَمَهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ الْحَنْظَلِىُّ وَعُيَيْنَةُ بْنُ بَدْرٍ الْفَزَارِىُّ وَعَلْقَمَةُ بْنُ عُلاَثَةَ الْعَامِرِىُّ ثُمَّ أَحَدُ بَنِيْ كِلاَبٍ وَزَيْدُ الْخَيْرِ الطَّائِىُّ ثُمَّ أَحَدُ بَنِيْ نَبْهَانَ قَالَ فَغَضِبَتْ قُرَيْشٌ فَقَالُوْا أَتُعْطِى صَنَادِيْدَ نَجْدٍ وَتَدَعُنَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنِّيْ إِنَّمَا فَعَلْتُ ذَلِكَ لأَتَأَلَّفَهُمْ فَجَاءَ رَجُلٌ كَثُّ اللِّحْيَةِ مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ غَائِرُ الْعَيْنَيْنِ نَاتِئُ الْجَبِيْنِ مَحْلُوْقُ الرَّأْسِ فَقَالَ اتَّقِ اللهَ يَا مُحَمَّدُ قَالَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَمَنْ يُطِعِ اللهَ إِنْ عَصَيْتُهُ أَيَأْمَنُنِيْ عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ وَلاَ تَأْمَنُوْنِيْ قَالَ ثُمَّ أَدْبَرَ الرَّجُلُ فَاسْتَأْذَنَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فِيْ قَتْلِهِ يُرَوْنَ أَنَّهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيْدِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا قَوْمًا يَقْرَءُوْنَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَقْتُلُوْنَ أَهْلَ الإِسْلاَمِ وَيَدَعُوْنَ أَهْلَ الأَوْثَانِ يَمْرُقُوْنَ مِنَ الإِسْلاَمِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ لَئِنْ أَدْرَكْتُهُمْ لأَقْتُلَنَّهُمْ قَتْلَ عَادٍ-

আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী (রাঃ) নবী (ছাঃ)-এর নিকট কিছু স্বর্ণের টুকরো পাঠালেন। তিনি তা চার ব্যক্তির মাঝে বণ্টন করে দিলেন। (১) আল-আকরা ইবনু হানযালী যিনি মাজায়েশী গোত্রের লোক ছিলেন। (২) উআইনা ইবনু বাদার ফাযারী। (৩) যায়েদ ত্বায়ী, যিনি পরে বনী নাবহান গোত্রের ছিলেন। (৪) আলকামাহ ইবনু উলাছাহ আমেরী, যিনি বনী কিলাব গোত্রের ছিলেন। এতে কুরাইশ ও আনসারগণ অসন্তুষ্ট হলেন এবং বলতে লাগলেন, নবী (ছাঃ) নজদবাসী নেতৃবৃন্দকে দিচ্ছেন আর আমাদেরকে দিচ্ছেন না। তখন নবী (ছাঃ) বললেন, আমি তো তাদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য এমন মনরঞ্জন করছি। তখন এক ব্যক্তি সামনে এগিয়ে আসল, যার চোখ দু’টি কোটরাগত, গন্ডদ্বয় ঝুলে পড়া, কপাল উঁচু, ঘন দাড়ি এবং মাথা মোড়ানো ছিল। সে বলল, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় করুন। তখন তিনি বললেন, আমিই যদি নাফরমানী করি তাহলে আল্লাহর আনুগত্য করবে কে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীবাসীর উপর আমানতদার বানিয়েছেন, আর তোমরা আমাকে আমানতদার মনে করছ না। তখন এক ব্যক্তি তাঁর নিকট তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইল। (আবু সা‘ঈদ (রাঃ) বলেন, আমি তাকে খালিদ ইবনু ওয়ালিদ বলে ধারণা করছি। কিন্তু নবী (ছাঃ) তাকে নিষেধ করলেন। অতঃপর যখন অভিযোগকারী লোকটি ফিরে গেল, তখন নবী (ছাঃ) বললেন, এ ব্যক্তির বংশ হতে বা এ ব্যক্তির পরে এমন কিছু সংখ্যক লোক হবে তারা কুরআন পড়বে, কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। দ্বীন হতে তারা এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমনি ধনুক হতে তীর বেরিয়ে যায়। তারা ইসলামের অনুসারীদেরকে হত্যা করবে আর মুর্তি পূজারীদেরকে হত্যা করা থেকে বিরত থাকবে। আমি যদি তাদেরকে পেতাম তাহলে তাদেরকে আদ জাতির মত অবশ্যই হত্যা করতাম।

বুখারী হা/৩৩৪৪, বঙ্গানুবাদ বুখারী, (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ৩/৩৮০ পৃঃ; মুসলিম হা/১০৬৪।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File