একজন ইসলামী গবেষক লিখেছেন এই কথাগুলো ইসলামের শত্রুদের দ্বারা ঢুকানো হয়েছে ইসলামে!!!
লিখেছেন লিখেছেন মুসলমান ০৫ জুলাই, ২০১৫, ০২:১১:৫০ দুপুর
চার মাযহাবের কোন একটির তাকলীদ করা(অন্ধঅনুসরণ) করা অবশ্য কর্তব্য (ফরজ)। মাযহাবের তাকলীদ না করে আপন আপন খেয়াল-খুশির মত চলা বৈধ নয়।
(সূত্র- আল-মুখতাসারুল কুদুরী, আরাফাত পাবলিকেশন্স, ২০০১ সালের নতুন সংস্করণ, জানুয়ারী ২০০৮ এ প্রকাশিত, পৃষ্ঠা-১২।
শরহে বেকায়া, আরাফাত পাবলিকেশন্স, ৩য় সংস্করণ, সেপ্টেম্বর-২০০৬, পৃষ্ঠা-৮।
হেদায়া, আরাফাত পাবলিকেশন্স, ২য় প্রকাশের পূনঃমৃদ্রণ, মে ২০০৫ইং, পৃষ্ঠা-৫০)।
১ম ও দ্বিতীয় যুগের (হিজরী ৭ম শতাব্দির মাঝামাঝি সময়) মুজতাহিদগণ এমন একটি পূর্ণাঙ্গ ফিকাহশাস্ত্র দান করিয়া গিয়াছেন যাহাতে মানব জীবনের প্রত্যেকটি সমস্যারই সমাধান রহিয়াছে।...........অতএব এখন ইজতিহাদ(গবেষণা) করার অর্থ জ্ঞাত বিষয়কে জানার চেষ্টা করিয়া সময় ও শক্তির অপচয় ব্যতিত অন্যকিছু হইবে না!
(হেদায়া, আরাফাত পাবলিকেশন্স, ২য় প্রকাশের পুণঃমুদ্রণ, মে ২০০৫, পৃষ্ঠা-৫০)
হে মুসলিম আর কুরআন নিয়ে গবেষণা করিও না। শুধু ফিকাহশাস্ত্র পড়িয়া যাও আর মেনে চল। সেখানেই যাহাই থাকুক! উহা কাহারা লিখিয়াছে বা কোন অমুসলিম বিকৃত করিয়াছে কি-না তাহা জানিয়া তোমার কাজ নাই!!!
৭ম স্তরের আলেমগণের (ঈমাম বুখারী, আওযায়ী, সাওরী, আলবানী ইত্যাদি ব্যাক্তিবর্গের চেয়ে নিম্নমানের আলেমগণ) কোন মাসাআলার মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা নাই! ভাল-মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার মতো যোগ্যতা তাদের নাই! তাঁহারা শুধু মাসআলা শিক্ষা করিয়া থাকেন। ফতোয়া দেয়া তাদের জন্য জায়েজ নাই। তাঁহারা শুধু ইতিহাসের মতো মাসআলা বর্ণনা করিতে পারিবেন।
(হেদায়, আরাফাত পাবলিকেশন্স. ২য় প্রকাশের পুণঃমুদ্রণ, মে-২০০৫, পৃষ্ঠা-৫২)
এরকম আরো অনেক ভয়ঙ্কর জিনিস পড়ানো হয় মাদ্রাসার সিলেবাসে। কুরআনে বর্ণিত আকল( কমন সেন্স) দিয়ে এরা চিন্তা গবেষণা করে না! একথাগুলো কুরআনের বিপরীত কি-না!!!
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৯ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসলাম কে সিমাবদ্ধ করাই এদের ইচ্ছা!
অন্ধ অনুস্মরণ বলা হয় এক অন্ধ আরেক অন্ধের অনুস্মরণ করলে। অন্ধ যদি চোখ বিশিষ্ট মানুষের অনুস্মরণ করে সেটাকে অন্ধ অনুস্মরন বলে না।
দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ কোরান হাদিস পড়ে তার অর্থ করতে পারে না। তাঁকে আপনি বলছেন কোরান হাদিস দেখে চলতে?
মাথা আছে মগজ নাই।
ইজতিহাদ আর করতে হবে না এই মিথ্যা কথাটা কেন বললেন? কে বলেছে আপনাকে আহলে হাদিস?
আহলে হাদিস যদি মিথ্যা বলা হালাল মনে করে তাহলে মা আসসালামাহ
কোরাআন ও হাদীস থেকে মুসলিমদের কে দুরে রাখতে পারলেই অমুসলিমদের কষ্ট সার্থক। আর এজন্য কিছু আলেম নামের নামধারী আছে যারা আবার এগুলোকে কোরআন ও হাদীস দিয়ে প্রমান করতে চায়। আশ্চর্য ব্যাপার হাহাহা।
আল্লাহ হেদায়াত দাতা আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন