>>এক বেকার বাউন্ডলে যুবকের বিয়ের আত্নকাহিনী<<

লিখেছেন লিখেছেন সফেদক্যানভাস ২৬ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:৩৮:২৮ দুপুর



কাহিনীটি বলার আগে আমাদের সম্মানিত অভিভাবকদের মহোদয়দের কাছে আমার একটি প্রশ্নের উত্তর ভিষণ জানতে ইচ্ছে করছে। কেউ কি আছেন আমার এই প্রশ্নটির উত্তর দিয়ে আমাকে একটু সহযোগীতা করবেন..??

প্রশ্নটি হলো:

বিয়ে করার ব্যাপারে একটি ছেলের তার স্ত্রীর ভরণপোষণের আর্থিক যোগ্যতা টাকার অংকে কত? কত টাকা মাসিক আয় হলে বা জমা হলে একজন তরুন বিয়ের চিন্তা করতে পারে?

বেশ কয়েক বছর আগে টিভিতে একটা বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম। এক তরুন গাড়ীতে (প্রাইভেট কারে) চলন্ত অবস্থায় মাকে ফোন করে বলছে, " মা, ব্রীজের কনট্রাক্টটা পেয়ে গেছি। ......... ঢাকাতে একটা প্লটও বুকিং দিয়ে দিলাম।"

ও পাশ থেকে মা বললেন, "গাড়ী হলো, বাড়ী হলো, এবার বিয়েটা করে ফেল বাবা।"

গাড়ী, বাড়ী হওয়ার পর একজন সুন্দরী নারীকে ঘরে আনার চিন্তা করাটা হয়তো অনেকেই নিরাপদ মনে করবেন। তবে, ব্রীজের কনট্রাক্ট পাওয়ার ভাগ্য যেমন সকলের হয় না, তেমনি গাড়ী, বাড়ী (বিশেষ করে বাংলাদেশে) করার পর বিয়ে করতে হলে ছেলেটাকে হয়তো পুরো যৌবনটাই আইবুড়ো হয়ে থাকতে হবে।

তাহলে আর্থিক সামর্থ্য কতটুকু হলে বিয়ে করা যাবে? প্লিজ জানাবেন কেউ..............???

আর আপনারা যদি প্রশ্নের উত্তর না দেন তাহলে আমি আপনাদের আমার পরিচিত এক ভাইয়ের জীবন থেকে নেয়া একটি সত্য কাহিনী শুনাতে চাই। এটি শুনলে আপনারা নিজেরাই উত্তর পেয়ে যাবেন।

কাহিনীটা ছিলো এমন-

-২৫ বছর চলে যাচ্ছে দেখে আব্বা যখন জোর করে বিয়ে দিয়ে দিলেন, তখন আমার চাকুরী নেই, একেবারে কপর্দকশূন্য যাকে বলে। বিয়ের সব খরচ বাবার - কনের গহনাগাটি, পোশাক থেকে শুরু করে বৌভাতের খরচ পর্যন্ত। মোদ্দাকথা, আমার একটা ফুটো পয়সাও খরচ করার সামর্থ্য ছিল না।

আমার দেওলিয়াত্বের বিষয়টি আব্বার কাছে মৃদুস্বরে তুলতে তিনি উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই বলে যে, তোমার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা তো আছেই। বৌমার থাকার জন্য তোমার ঘরটি শেয়ার করবে আর একজন নতুন মানুষের খাবারের ব্যবস্থা আমি করতে পারবো।



চাকুরী না থাকাতে তেমন অসুবিধা হয়নি। সমূদ্রে বা পাহাড়ে হানিমুনে না গেলেও শুক্লপক্ষের প্রতিটা রাত দুজনে মিলে জ্যোৎস্নায় ভিজেছি। চাঁদের আলোয় ছাদে বসে বসে গভীর রাত পর্যন্ত গল্প করেছি, এমনকি বাড়ীর পিছনের নদীর ধারে বসে শান্ত নদীর পানির ঝিকিমিকি দেখেছি, নদীতে নামার জন্য বাড়ির সাথে সান বাধানো ঘাট করা আছে, পানিতে পা ডুবিয়ে তাতে বসে থেকেছি। দুইজন মিলে ক্ষেত-খামারে ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছি। নদীর ধার দিয়ে হেটে হেটে চলে গিয়েছি অনেকদূর। বাড়ীর আশে-পাশে শাক-সবজি, ফুলের গাছ লাগিয়েছি। আমি কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে ঝুরঝুরে করেছি আর সে তাতে বীজ বুনে দিয়েছে। সেই বীজ থেকে যখন প্রথম পাতাগুলো মাটির আড়াল থেকে মাথা বের করে হেসেছে, তখন মনে হয়েছে দুনিয়াতে এর চেয়ে বেশী আনন্দের দৃশ্য আর হতে পারে না। কপর্দকশূণ্য সেই দিনগুলোই জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন হয়ে রয়েছে।



এর মধ্যে ঘটলো আরেক ঘটনা। বিয়ের ১ বছরের মধ্যে আমাদের সংসারে একেবারে আনকোরা নতুন অতিথি আসার সম্ভাবনার কথা জানা গেলো। বউ বললো, অনেক তো হলো বৃক্ষলতা দেখা, চাষাবাদ করা আর চাঁদের দিকে চেয়ে থাকা, এবার বোধ হয় আয়-রোজগারের দিকে তোমার নজর দেয়া দরকার। সে তখনও ছিল ছাত্রী, তাই হয়তো নিজেই রোজগারের চিন্তা করেনি।

অদ্ভুত ব্যাপার হলো, চাকরী খুজতে ঢাকায় এলাম আর চাকরী পেয়ে গেলাম। বেতন তেমন বেশী নয়। দুই বেডরুমের একটা ছোট বাসা ভাড়া করে যখন থাকা শুরু করলাম, তখন বাসায় ফার্নিচার বলতে ছিল মাত্র একটি জাহাজের খাট আর একটা স্টিলের আলমারি। টিভি নেই, ফ্রিজ নেই, সোফা নেই, এমনকি খাবার জন্য একটা ডাইনিং টেবিলও নেই। সেই শূন্য ঘরে ফিরে যখন ভাবতাম আমার কয়েক মাসের মেয়ে আমাকে দেখে হাসছে বা আমার কাছে আসার জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে, তখন আনন্দ ধরে রাখা কষ্ট হয়ে পড়তো। সবচেয়ে বড় কথা হলো, যা ছিল, তা নিয়েই আমরা এতো সুখী ছিলাম যে, কী নেই তা ভাবার অবকাশ পেতাম না। এখনও আমরা কখনো কোনো কিছুর অভাব অনুভব করি না।



পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একটি আল্লাহর রাসুলে (স.) এর একটি হাদীসের কথা মনে পড়ছে। একবার রাসুল (সঃ) এর কাছে এক নারী এলেন যিনি বিয়ে করতে চান। রাসুল (সঃ) এর সাথে বেশ কয়েকজন সাহাবা ছিলেন। তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কী ই নারীকে বিয়ে করতে আগ্রহী?

একজন সাহাবা বললেন যে তিনি বিয়ে করতে চান, কিন্তু তার আর্থিক সামর্থ নেই। রাসুল (সঃ) জানতে চাইলেন, তোমার কী কোনো কিছুই নেই? তিনি বললেন, তাঁর একটি লোহার আংটি আছে। তিনি তাঁকে লোহার আংটি বিক্রি করে তাই দিয়ে মোহরানা দিয়ে বিয়ে করতে বললেন।

ইসলাম ধর্মে বিয়ের জন্য পুরুষের নূন্যতম আর্থিক সামর্থের বিষয় এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়।

কিন্তু পরিচিতজনদের মধ্যে দেখেছি, বিয়ের জন্য আমরা যে ধরণের প্রস্তুতি নিই, সে ধরণের প্রস্তুতি আগের যুগের রাজারা যুদ্ধে যাবার জন্যও নিতেন না। বিয়ের অনুষ্ঠানই হবে কয়েক সপ্তাহ ধরে। তাতে কয়েক হাজার লাইট জ্বলতে হবে, বর-কনের গায়ে হলুদ হবে ১সপ্তাহ ধরে, বিয়ের সময় যাতে শ্যামলা রঙ কোনভাবেই প্রকাশ হয়ে না পড়ে তার জন্য আছে বিশেষ আয়োজন, বিশেষ ধরণের উপহার-সামগ্রী, বিশেষ আচার-বিচারও আছে। আছে কার্ড ছাপানোর ব্যবস্থা। তার পর হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। তার জন্য বিশেষ পোশাক, বিশেষ উপহার, বিশেষ কার্ড। এ উপলক্ষে বিশেষ ভাবে সাজাতে হবে বাড়ী, প্রয়োজন হবে রাজকীয় গাড়ী। তারপর বউভাত। সেখানেও কার্ড, উপহার, সাজ-সজ্জা, হাজার বাতি। তারপরেও শেষ হয় না। বর শ্বশুরবাড়ীতে গেলে পঁচিশ কেজি ওজনের রুইমাছ নিয়ে যেতে হবে, উপহার সামগ্রীর স্তুপ নিতে হবে, ইত্যাদি কত কিছু। তারপর হানিমুন। আজকাল দেশের মধ্যে হানিমুন করার কথা উঠলে মান-সম্মান একবারেই চলে যায়।

অথচ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন, সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বিয়ে হলো সেই বিয়ে যে বিয়েতে কম খরচ করা হয়। কারণ যে বিয়েতে খরচ কম সে বিয়েতে বরকতও বেশি........

সমাজে বিয়ের দিকে তাকালে (হোক তারা ইসলামিস্ট অথবা নন ইসলামিস্ট সবখানে) মনে হয় ভোগবাদীতার কত গভীরে আমরা ডুবে গেছি - এ যেন তারই পরিমাপক। এখনকার যুগে রাজা-বাদশা নেই, গলায় গজমতির হার আর ময়ুর সিংহাসন দিয়ে নিজেদের শান-শওকত দেখানোর সুযোগ নেই। সে অভাবটা আমরা মেটানোর চেষ্টা করছি বিয়ের অনুষ্ঠান দিয়ে। অনেক ক্ষেত্রে গায়ে হলুদ, বিয়ে কিংবা বউভাতের কার্ড ছাপাতে যে খরচ করা হয়, তা দিয়ে হয়তো একটা গ্রামকে স্বাবলম্বী করে দেয়া যায়।

এ পরিচিত অভিভাবক একবার বলেছিলো, বউকে এফোর্ড করার ক্ষমতা না হলে বিয়ে করা উচিৎ নয়। এই এফোর্ড করার বিষয়টি খুব মারাত্মক, কেননা এর কোন সীমা নেই, শেষ নেই, বিশেষ করে যদি অর্থ-বিত্তের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। বছর শেষে আপনার পরিচিত কেউ বিদেশে বেড়াতে যায়। আপনার কাছে যদি এফোর্ড করার মানে তার সাথে টেক্কা দিয়ে বিদেশে বেড়ানো হয়, তাহলে এফোর্ড করাটা বড় কঠিন হয়ে পড়বে। কেননা, পরিচিতজনের মধ্যে অনেকেরই অনেক টাকা থাকবে, দামী গাড়ী থাকবে, অভিজাত এলাকায় আলিশান ফ্লাট থাকবে।

আমার মনে হয়, ভোগবাদিতা বর্জনের প্রধান ধাপ হচ্ছে বিয়ের ক্ষেত্রে মানবিক হওয়া। একটি ছেলে যখন কনে খোজার সময় ফর্সা রঙ দেখে, শ্বশুরের অর্থ-বিত্ত দেখে, তখন বিষয়টি যেমন নিন্দনীয়, তেমনি একটি মেয়ে যখন হবু স্বামীর টাকাটা বড় করে দেখে, তখনও বিষয়টি একই রকম। প্রকৃতির দিকে তাকালে দেখা যাবে, সৃষ্টিজগতের আসল কাজ হচ্ছে বংশ রক্ষা। বিয়ে করে সংসার করাই হচ্ছে মানব জীবনের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক লক্ষ্য। বিয়েকে কঠিন করতে থাকলে এক সময় মানব বংশ রক্ষাই দুস্কর হয়ে পড়বে। এখনই তার কিছু লক্ষণ দেখা দিয়েছে। পোপকে বলতে হচ্ছে, তোমরা বিয়ে করো, পৃথিবীকে শিশুদের থেকে বঞ্চিত করো না।

মনে হচ্ছে ছোটো মুখে একটু বেশি বলে ফেললাম। সমাজের সবার চিন্তার ঠিক উল্টটা চিন্তা করে ফেললাম।

মাফ করবেন সম্মানিত অভিভাবক বৃন্দ...!!

বিষয়: বিবিধ

৩৪৪৬ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337919
২৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:০১
বেদনা মধুর লিখেছেন : ভাল লেগেছে
337921
২৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:০৪
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : ধন্যবাদ...........!!!
337930
২৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৮
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


আপনার গল্পের ঐ ভাইয়ের মতই প্রায় আমার বিয়ের ইতিহাস, তারপর একে একে আট ভাই-বোন সবাই সংসারী হলাম প্রায় একই কায়দায়!

আপনি বলেছেন-
বেতন তেমন বেশী নয়। দুই বেডরুমের একটা ছোট বাসা ভাড়া করে যখন থাকা শুরু করলাম, তখন বাসায় ফার্নিচার বলতে ছিল মাত্র একটি জাহাজের খাট আর একটা স্টিলের আলমারি।


আমার ব্যাপারটা ছি একটু অন্যরকম-
বেতন তেমন বেশী নয়। এক বেডরুমের একটা ছোট্ট বাসা ভাড়া করে যখন থাকা শুরু করলাম, তখন বাসায় ফার্নিচার বলতে ছিল মেস থেকে আনা নিজের ব্যাচেলর জীবনের সাথী সেই নড়বড়ে চৌকি, আর কিছুই নয়

সেই শূন্য ঘরে ফিরে যখন দেখতাম আমার কয়েক মাসের মেয়ে আমাকে দেখে হাসছে বা আমার কাছে আসার জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে, তখন আনন্দ ধরে রাখা কষ্ট হয়ে পড়তো।


আমার সেই মেয়েও আজ ছেলের মা

**********

আমাদের [পিতা-মাতা-অভিভাবকদের] উচিত আমাদের সন্তানদের এমনভাবে তৈরী করা যেন তারা উচ্চশিক্ষিত হয়েও অতি অল্পে তুষ্ট পবিত্র জীবন যাপনের মত উদার মনের আধিকারী হয়!!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
২৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৪
279640
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ ভাই। দোয়া করবেন, আমিও যেন দ্রুত আপনার মত একটি অতি সাধারণ বিয়ে করতে পারি।
337934
২৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৫
হতভাগা লিখেছেন :
কাহিনীটি বলার আগে আমাদের সম্মানিত অভিভাবকদের মহোদয়দের কাছে আমার একটি প্রশ্নের উত্তর ভিষণ জানতে ইচ্ছে করছে।


০ এই অভিভাবক মেয়ের পক্ষের হলে ভাল হত কারণ তারাই দামদস্তুর ঠিক করে।

টাকা খরচ করতে না পারলে শশুড়বাড়িতে কয়দিন পরেই জামাইয়ের কদর নেমে আসে।

বিয়ে যেহেতু সামাজিক হিসাব , তাই সমাজে মুখ দেখাবার মত তো একটা খরচ করা চাই ।

বউয়ের চাহিদা মত খরচ না করতে পারলে সেই দাম্পত্য জীবন নড়বড়ে হয়ে পড়ে , বউয়ের কাছে উত্তম বলে স্বীকৃতি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে।
২৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৮
279641
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : ভাই আপনি যে অজুহাত তুলছেন তা ইসলামী আদর্শের কাছে টিকবেনা। আপনি আসলে টাকা দিয়ে সুখ আ সম্মান কিনতে চাচ্ছেন। অথচ এই একটি কারনে সমাজের যুবকরা আজ কোন দিকে যাচ্ছে বোঝেন.??
আর টাকা হলেই যে সুখ, সস্মান কেনা যায় না তার অসংখ্য উধারণ আমারে কাছে আছে। কারন লোভ যার মধ্যে আছে তার চাওয়া-পাওয়া আ অভাবের কোনো শেষ নেই। সুতরাং খোড়া যুক্তি না দেখিয়ে আল্লাহ দেয়া সুমহান আদর্শ ইসলাম দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করুন। ভালো থাকবেন..!!
২৮ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:০২
279724
হতভাগা লিখেছেন : টাকা ছাড়া বিয়ে করতে যাওয়া বৈঠা ছাড়া মাঝ সাগরে নৌকা চালাতে যাবার মত ।

থিওরী নিয়ে বসে থাকলে ঐ বসেই থাকতে হবে ।

অভাব দুয়ারে এসে দাঁড়ালে ভালবাসা ও সুখ জানালা দিয়ে পালাবে ।

ইসলামের দোহাই দিয়ে তখন আপনি সেটাকে আটকাতে পারবেন না ।

আপনি ১০০০০ টাকা বেতনে একটা অফিসে কাজ করছেন ৫-৬ বছর ধরে । আপনার কাছে যদি বেটার আরেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে একই ধরনের উচ্চপদে কাজ করার জন্য ৫০০০০ টাকার অফার আসে - তাহলে কি করবেন ?
337935
২৬ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৯
রাইয়ান লিখেছেন : আপনার লেখার হাত দারুন ! আর বাস্তব অতি জরুরি বিষয়টিকেও সহজ সাবলীল ভাষায় তুলে ধরেছেন ... খুব ভালো লাগলো। এমনি করেই লিখতে থাকুন....
২৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৯
279642
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ ভাই। শুনে খুব খুশি হলাম।
337940
২৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
শেখের পোলা লিখেছেন : ৩০ বছর বয়সে যখন বিয়ে করলাম তখন আমি বলতে হয় বেকার৷ তিন ভাইয়ের যৌথ সংসার৷ বড় ভাইয়ের বিয়ে আমার অভিভাবকত্বে হয় আর ছোট নিজেই করে৷ কোন কিছুই বাধ সাধেনি৷ তখন হানিমুন হয়নি এখন হরদম হচ্ছে৷ আসল কথা হল তাওয়াক্কুল আলাল্লাহ৷ধন্যবাদ৷
২৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৪০
279643
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ ভাই। শুনে খুব খুশি হলাম যে দুনিয়াতে এখনো আপনাদের মত অনেক ভালো মানুষ আছে।
337951
২৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শিক্ষনিয় পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমরা বিয়ে কে এখন কঠিন করে ফেলছি। বেীকে খাওয়ানর দায়িত্ব কেন পিতা মাতা নিতে চান না সেটাই বুঝিনা।
২৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৪১
279644
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : সমাজের এথিক্স কি হবে সেটি নির্ধারনের দায়িত্ব চলে গেছে পুজিবাদি আর ভোগবাদিদের হাতে। এজন্য এ অবস্থা। আর যারা ইসলামিস্ট আছে তারাও শুধু মাঝে মাঝে কোমোর ভাঙ্গ গান শোনায়..!!
337958
২৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন :
আমার দেওলিয়াত্বের বিষয়টি আব্বার কাছে মৃদুস্বরে তুলতে তিনি উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই বলে যে, তোমার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা তো আছেই। বৌমার থাকার জন্য তোমার ঘরটি শেয়ার করবে আর একজন নতুন মানুষের খাবারের ব্যবস্থা আমি করতে পারবো।


হুম ভাল কথা বলেছেন যে, আমার দেওলিয়াত্বের বিষয়টি আমার আব্বা মেনে নিয়ে আমাকে বিয়ে করাতে চাচ্ছে। কিন্তু এখানে একশ টাকার প্রশ্ন হল, মেয়ের বাবা কি আমার দেওলিয়াত্বের বিষয়টি মেনে নিয়ে আমার হতে মেয়ে তুলে দিতে চাইবে? Winking
২৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৪২
279645
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বেশি করে গড়ে তুলুন। দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে..। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
337964
২৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:১৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন :
আপনি লিখেছেনঃ ও পাশ থেকে মা বললেন, "গাড়ী হলো, বাড়ী হলো, এবার বিয়েটা করে ফেল বাবা।"

গাড়ী, বাড়ী হওয়ার পর একজন সুন্দরী নারীকে ঘরে আনার চিন্তা করাটা হয়তো অনেকেই নিরাপদ মনে করবেন। তবে, ব্রীজের কনট্রাক্ট পাওয়ার ভাগ্য যেমন সকলের হয় না, তেমনি গাড়ী, বাড়ী (বিশেষ করে বাংলাদেশে) করার পর বিয়ে করতে হলে ছেলেটাকে হয়তো পুরো যৌবনটাই আইবুড়ো হয়ে থাকতে হবে।

তাহলে আর্থিক সামর্থ্য কতটুকু হলে বিয়ে করা যাবে? প্লিজ জানাবেন কেউ..




প্রতিষ্ঠিত হতে হতে বুড়ো হবার পাশাপাশি চরিত্র শেষ হয়ে যায়.।!! মেয়ে পক্ষ বা ছেলে পক্ষ দু পক্ষই আজকের সমাজে উদাসীন!!! যা সমাজ ও সংস্কৃতিতে ধ্বংস আনে! ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য।
২৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৩
279646
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন ভাই..।। আসলেই আমরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছি.!!
১০
337984
২৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:০৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
সুন্দর কথাগুলো তুলে ধরেছেন। এমন বাবাই বা কয়জনের আছে যে, পুত্রবধুর খরচ বহন করবে? যেখানে মা বাবা নিজেই সন্তানের উপর নির্ভর, সেখানে পুত্রবধু!

তবে আমার বিবাহ সম্পূর্ণ আমার বাবার টাকায় হয়েছে, আমার এক টাকাও খরচ করার মত ছিল না। মাসে ৩হাজার টাকা বেতন, তাও ৪মাস বাকি।
বাবাকে দিবো কোত্থেকে.
যাই হোক, সেই বেকার আলহামদু লিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা ভালই রেখেছেন।
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেনমেয়ের বাবা কি আমার দেওলিয়াত্বের বিষয়টি মেনে নিয়ে আমার হতে মেয়ে তুলে দিতে চাইবে?

হ্যাঁ ভাই এমন কিছু মানুষ পৃথিবীতে এখনো আছে। তবে বিপরীতটাই বেশি।

সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ জাযাকাল্লাহ খাইর
১১
338053
২৭ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:১৮
ফরিদুল ইসলাম তুষার লিখেছেন : সুন্দর পোষ্ট। তবে সব অভিবাক এক না।
১২
338101
২৭ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৩
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : সকলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আর ধন্যবাদ পেতে পেতে তো আমি একেবারে হাপিয়ে উঠেছি। তাই সকলকে একবারে বলছি- জাঝাকাল্লাহু খইর.!! একই সাথে সকলকে স্বাগত জানিয়ে আর একটি পোস্ট উপহার দিচ্ছি--আশা করি ভালো লাগবে।
যতসব ফালতু শরিয়তী সেন্টিমেন্ট...‍!!!

আজ শুনলাম এক ভদ্রলোকের আনুষ্ঠানিকতার সামর্থ্য না থাকায় ৪০ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু মাগার সুন্নতে খাতনা দিতে পারছেন না অর্থাৎ খাতনা হচ্ছে না। ভদ্রলোকের কষ্ট দেখে আমারতো খুব কান্না পাচ্ছিলো। কিন্ত কি আর করা..? সামাজিকতা বলেতো একটা কথা আছে তাই না। তাই পরামর্শ দিলাম, যতদিন সামর্থ্য না হয় ততদিন ধৈর্য্য ধরুন, কেমন..?? আপনি কি জানেন না..?? আল্লাহ ধৈর্যশীলকে পছন্দ করেন।

তাহলে যে সব ছেলেরা আনুষ্ঠানিকার সামর্থ্য না থাকার কারনে বিয়ে করতে পারছে না তাদের আর কি বা দোষ..?? সামাজিকতা বলে কথা..!! এখানে তো আর ঐসব ফালতু শরিয়তী সেন্টিমেন্ট দেখালে কাজ হবে না। বিয়ে করবেন আর অনুষ্ঠান করতে পারবেন না। তাহলে তো আপনার জন্য বিয়ে যায়েজই হয়নি ..!! পাত্রীকে পার্সোনা থেকে সাজিয়ে আনতে না পারলেও অন্তত ব্রাইডল থেকেতো সাজিয়ে আনতেই হবে; তাছাড়া কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া, পুরো অনুষ্ঠান অডিও-ভিডিও রেকর্ড এবং পরে সেটি থেকে মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ইউটিওবে চ্যানেল খুলে আপলোড দেয়া, ওয়ালিমার অনুষ্ঠানে অন্তত ২০০-থেকে ৫০০ লোককে তো খাওয়াতেই হবে। ৪০ হাজার টাকা দরে গোটা দশেক বেঁনারসি না হলে কি হয়..?? গঁহোনা আর হলুদের অনুষ্ঠানের কথাতো ভুলেও গেছি। ওটাতো আবার মিনিমাম ২ দিন ধরে চলা লাগে।

তাহলে..?? বয়স ৩৬ হয়ে যাচ্ছে বলে টেনশন করছেন..?? হা হা....!! টেনশনের কি আছে..?? আপনার টাকা আছে না..?? টাকা থাকলে আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন। আমাদের অসংখ্য মুমিন ঐশরিয়া, ক্যারিনা আপু আছে ..?? খালি বিজ্ঞপ্তিটা দেন; তারপর দেখেন খেলা। কেমনে হিড়িক পড়ে যায়। তখন কোনটা রেখে কোনটা সেই টেনশনেই অস্থির হয়ে যাবেন...!!

ও হ্যা, যেসব যুবকরা ফালতু শরিয়তী সেন্টিমেন্টের অজুহাত দেখিয়ে এগুলো করা থেকে দুরে থাকবে বলে গো-ধরে বসে আছো তোমরা আপাতত দূরে থাকো। তোমাদের এখন বিয়ের বয়সই হয় নি। আর বয়স যদি হয়েই থাকে তাহলে ব্যবস্থাতো একটা আছেই। তোমারা সারা বছর রোজা থাকবা, কেমন..।। কেনো তুমি কি জানোনা.?? এটি আমাদের প্রিয় নবী (স.) বলেছেন, যাদের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোজা রাখে। তাহলে তুমি কন্ট্রোল করতে পারবে।
১৩
338343
২৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:৩৯
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : সফেদক্যানভাসের সব চিন্তাই সফেদ..মানে শুভ্র বা সাদা। আর সাদা হল পবিত্রতার প্রতীক.. অনেক ধন্যবাদ...
২৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ০২:২৭
279826
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : আমি কি আসলে এত পাওয়ার যোগ্য ভাই.?? ধন্যবাদ ভাই, কষ্ট করে পড়ে আমাকে উৎসাহ দেবার জন্য।
১৪
338755
৩১ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৫:৪৭
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী লিখেছেন : ঘটনাটা অনেক সুন্দর হয়েছে।
আমি নিজেও কায়দা করে সেরে ফেলেছি। সে ঘটনা না হয় আরেকদিন বলা যাবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File