বিয়ে করবেন না কি শয়তানের দলে যাবেন.??

লিখেছেন লিখেছেন সফেদক্যানভাস ২২ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:৫২:৫৬ সন্ধ্যা

বিয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক সব দৃষ্টিকোণ থেকেই এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে ইসলামে বিয়েকে বলা হয়েছে ঈমানের অর্ধেক। বিয়ের মাধ্যমেই ঈমানের পূর্ণতা পায়। তাছাড়া বিয়ে মানব জীবনের অন্যতম চাহিদাও বটে। এ কারণে ব্যক্তি যখন বিয়ের উপযুক্ত হয় তার জন্য বিয়েকে ফরজ করেছে ইসলাম। বিয়ে যে কেবল শারীরিক চাহিদা বা ঈমাণ পূর্ণ করে তাই নয়, পুরুষের ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘটায়। সমাজে গ্রহযোগ্যতা তৈরি করে। এজন্য সময়মতো বিয়ে করাকে এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। আর যারা বিয়ের উপযুক্ত হওয়ার পরও তা করেন না তাদের শয়তানের দলভূক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত একটি হাদিস যেটি হজরত আবু জর রা. থেকে বর্ণিত। একবার রাসুলুল্লাহ সা. আক্কাফ রা. কে বললেন, হে আক্কাফ! তোমার স্ত্রী আছে? তিনি বলেন, না। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, তোমার কি সম্পদ ও স্বচ্ছলতা আছে? সে বললো, আমার সম্পদ ও স্বচ্ছলতা আছে। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, তুমি এখন শয়তানের ভাইদের দলভূক্ত। যদি তুমি খ্রিস্টান হতে তবে তাদের রাহেব (ধর্ম গুরু) হতে। নিঃসন্দেহে বিয়ে করা আমাদের ধর্মের রীতি। তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি যে অবিবাহিত। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যেও নিকৃষ্ট ব্যক্তি যে অবিবাহিত। তোমরা কি শয়তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাও। শয়তানের কাছে নারী হলো অস্ত্র। সবাই নারী সংক্রান্ত ফেৎনায় জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু যারা বিয়ে করেছে তারা নারীর ফেৎনা থেকে পবিত্র। নোংড়ামি থেকে মুক্ত। তারপর বলেন, আক্কাফ! তোমার ধ্বংস হোক। তুমি বিয়ে কর নতুবা তুমি পশ্চাৎপদ মানুষের মধ্যে থেকে যাবে। (মুসনাদে আহমদ, জমউল ফাওয়ায়েদ, ইমদাদুল ফাতওয়া খ- ২, পৃষ্ঠা ২৫৯।)



এ হাদিস অনুাযায়ী অবিবাহিত স্বাবলম্বী পুরুষকে পশ্চাৎপদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে আমাদের সমাজে এমনটাই দেখা যায়। স্বাবলম্বী পুরুষরা বিয়ে না করার কারণে যৌবনের তাড়নায় লিপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধে। ব্যভিচারের মতো নিকৃষ্ট কাজে জড়িয়ে পড়তেও দ্বিধা করছে না। অথচ যথা সময়ে বিয়ে রুখতে পারে ভয়ঙ্কর এসব অপরাধকে।

ইসলামে ব্যক্তির স্বাবলম্বী ও সক্ষমতার বিভিন্ন ধরণসাপেক্ষে বিয়েকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সক্ষম পুরুষকে বিষয়টি গুরুত্বসহ মনে রাখা উচিত।

ওয়াজিব বিয়ে : যখন শারীরিক চাহিদা থাকে। তার এই পরিমাণ সামর্থ থাকে যে প্রতিদিনের খরচ প্রতিদিন উপার্জন করে খেতে পারে। তখন বিয়ে করা ওয়াজিব। এ অবস্থায় বিয়ে থেকে বিরত থাকলে গুণাহগার হতে হবে।

অর্থাৎ বলা হচ্ছে না যে, বিয়ে করতে গেলেই তাকে লাখ লাখ টাকার বান্ডেল নিয়ে নামতে হবে; কথিত ওয়ালিমার নাম করে গরু মেরে খাওয়াতে হবে এবং স্বামার্থ থাকুক আর নাই থাকুক লক্ষ টাকার নিচে মোহোরানা না হলে চলবে না।

ফরজ বিয়ে : যদি সামর্থ থাকার সাথে সাথে শারীরিক চাহিদা এতো বেশি থাকে যে, বিয়ে না করলে ব্যাভিচার বা হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন বিয়ে করা ফরজ। ব্যাভিচারের আওতায় যেগুলো পড়ে তা হলো- কুদৃষ্টি, পর্নগ্রাফী আসক্ততা, অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক বা লিভটুগেদার, হস্তমৈথুনের মতো হারাম কাজ ইত্যাদি।

নিষিদ্ধ বিয়ে : যদি কারো আশঙ্কা হয় সে স্ত্রীর অধিকার আদায় করতে পারবে না। চাই তা দৈহিক হোক বা আর্থিক হোক। তার জন্য বিয়ে করা নিষিদ্ধ।

কিন্তু অবস্থা যদি এমন হয় যে কোনো পুরুষ এতটাই অসামার্থ যে সে একেবারে নিস্বম্বল, অক্ষম। নিজের মাথা গোজারমতো এতটুকু ঠাই নেই তবে এক্ষত্রে তাকে রোজা রাখতে হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিয়ের ইচ্ছে থাকলেও সক্ষম পুরুষে বিয়ে না করে রোজা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হাদিসে। কারণ রোজা দৈহিক কাম উত্তেজনা দূর করে। তবে এ সময় সক্ষমতা অর্জনের জন্য বেশি বেশি কাজ ও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।

অনেক সক্ষম ও স্বাবলম্বী পুরুষও মনে করেন, বিয়ে করলে স্ত্রীর ভরণ পোষণ দিতে পারবে না। সামান্য আয়ে দুজনের সাংসারিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে। এ জন্য বিয়ে থেকে দূরে থাকে। এটা আদৌ উচিত নয়। কারণ তাদের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,

ﻭَﺃَﻧْﻜِﺤُﻮﺍ ﺍﻟْﺄَﻳَﺎﻣَﻰ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻛُﻢْ ﻭَﺇِﻣَﺎﺋِﻜُﻢْ

ﺇِﻥْ ﻳَﻜُﻮﻧُﻮﺍ ﻓُﻘَﺮَﺍﺀَ ﻳُﻐْﻨِﻬِﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦْ ﻓَﻀْﻠِﻪِ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺍﺳِﻊٌ ﻋَﻠِﻴﻢٌ

( 32

অর্থাৎ,তোমাদের মধ্যকার যারা বিবাহবিহীন আছে এবং দাস দাসীদের মধ্যে যারা নেককার তাদের তাড়াতাড়ি বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তারা অভাবগ্রস্থ থাকে আমি (আল্লাহ্) নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী করে দেব। আর আল্লাহ্ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও সবকিছু জানেন।(সুরা নূরঃ ৩২)

রুজির চিন্তা করে যারা বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন তাদের উদ্দেশে মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مَخۡرَجٗا ٢ وَيَرۡزُقۡهُ مِنۡ حَيۡثُ لَا يَحۡتَسِبُۚ وَمَن يَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِ فَهُوَ حَسۡبُهُۥٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ بَٰلِغُ أَمۡرِهِۦۚ قَدۡ جَعَلَ ٱللَّهُ لِكُلِّ شَيۡءٖ قَدۡرٗا ٣ ﴾ [الطلاق : ٢، ٣]

‘আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য সংকট উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই।’ {সূরা আত-তালাক, আয়াত: ২-৩}

অপর এক আয়াতে আল্লাহ বলেন,

﴿ فَقُلۡتُ ٱسۡتَغۡفِرُواْ رَبَّكُمۡ إِنَّهُۥ كَانَ غَفَّارٗا ١٠ يُرۡسِلِ ٱلسَّمَآءَ عَلَيۡكُم مِّدۡرَارٗا ١١ وَيُمۡدِدۡكُم بِأَمۡوَٰلٖ وَبَنِينَ وَيَجۡعَل لَّكُمۡ جَنَّٰتٖ وَيَجۡعَل لَّكُمۡ أَنۡهَٰرٗا ١٢ ﴾ [نوح: ١٠، ١٢]

‘আর বলেছি, ‘তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল’। (তাঁর কাছে ক্ষমা চাইলে) ‘তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, ‘আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা’। {সূরা নূহ, আয়াত: ১০-১২}

সুতরাং আমরা কেনো আল্লাহর এতসব অনুগ্রহ পেয়েও কেনো লুফে নেবো না..??

এ দিকে রাসূলও (সা.) বিবাহিত ব্যক্তিকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আর এ কথাও স্বীকৃত, বিয়ে ব্যক্তির উপার্যন বাড়িয়ে দেয়, কমায় না।

রাসূল সা. বলেছেন, তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহর কর্তব্য, এক. আযাদী চুক্তিবদ্ধ গোলাম অর্থাৎ যে তার রক্তমূল্য আদায় করতে চায়, দুই. পবিত্রতার মানসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তি, তিন. আল্লাহর পথে যুদ্ধকারী।

এ ব্যাপারে রাসুল (সঃ) এর অপর একটি হাদীসে বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করে বলা হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

« مَنْ لَزِمَ الاِسْتِغْفَارَ جَعَلَ اللَّهُ لَهُ مِنْ كُلِّ ضِيقٍ مَخْرَجًا وَمِنْ كُلِّ هَمٍّ فَرَجًا وَرَزَقَهُ مِنْ حَيْثُ لاَ يَحْتَسِبُ ».

‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন।’ [আবূ দাঊদ: ১৫২০; ইবন মাজা : ৩৮১৯; তাবরানী : ৬২৯১]

সুতরাং একজন সামর্থবান পুরুষকে অবশ্যই যথা সময়ে বিয়ে করা উচিত। কোনো অজুহাতে এ থেকে বিরত থাকলে দুনিয়ার নানা রকম ফেৎনা ও ঝামেলায় জড়িয়ে যেতে হবে।

আর যারা ইসলামি আন্দলোন করছেন বা রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে রত উদ্দেশ্যে বলবো আগে নিজেদের জীবনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করুন; নইলে রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলেও আপনার ঐ ইসলাম আপনার জীবনে কোনো কাজে আসবে না।

কারণ আমার দীর্ঘ দিনের পর্যবেক্ষণে এটি দেখেছি ইসলামপন্থী ছেলে-মেয়েরা বিয়ের ব্যাপারে বিভষণ রকম পুঁজিবাদি ও ভোগবাদি মনোভাব পষোণ করে যা বিয়ে সম্পর্কে আল্লাহর ওয়াদার সাথে সম্পূর্ণ বিরোধী। এক্ষেত্রে ইসলামপন্থী মেয়েরা এবং তাদের অভিভাবকেরা আরও বেশি পুঁজিবাদি, ভোগবাদি এবং লোভী।

Co-Admin: Campaign for Early Marriage

https://www.facebook.com/groups/marriage.early/

বিষয়: বিবিধ

১৭০৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337597
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:৫৩
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : বুঝতে পারছি না। লেখাটি এতো মানুষ পড়লো অথচ একজনও সমালোচনা বা মন্তব্য করার সাহস করল না। এর মাধ্যমে আমি কি বুঝবো.?? সবাই আমার বিরোধী না পক্ষে.....??
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:১৯
279248
নাবিক লিখেছেন : সবাই বোধয় শরম পাইতাসে Happy
২৩ আগস্ট ২০১৫ রাত ০২:১২
279309
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : মন্তব্য পওয়ার ইচ্ছে হলে মন্তব্য করতে হয়!!! আপনিতো মন্তব্য করেননা।

337606
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:১৮
নাবিক লিখেছেন : আমাদের সমাজে নিজের বিয়ের কথাটা মুখ ফুটে পরিবারের কাছে বলতে অনেকেই লজ্জাবোধ করেন। আর মা-বাবাও ভাবে ছেলে মেয়ে আরেকটু প্রতিষ্ঠিত হোক তারপর বিয়ে-শাদীর কথা ভাবা যাবে। আর বেকার হলেতো কথাই নেই। উভয় পক্ষেরই মনোভাব পাল্টানো উচিত। সময়ের কাজ সময়ে করাই ভালো। সুন্দর পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৪১
279287
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ..কমেন্টস করার জন্য।
337614
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:৪৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কার্টুনটা ঠিক হয়নি। ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৪২
279288
সফেদক্যানভাস লিখেছেন : ভাই ছবিটা একটা প্রতিকি ছবি মাত্র। শুধু দৃষ্টি আকর্শনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ধন্যবাদ.।
337685
২৩ আগস্ট ২০১৫ রাত ০২:২১
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন :
ওয়াজিব বিয়ে : যখন শারীরিক চাহিদা থাকে। তার এই পরিমাণ সামর্থ থাকে যে প্রতিদিনের খরচ প্রতিদিন উপার্জন করে খেতে পারে। তখন বিয়ে করা ওয়াজিব। এ অবস্থায় বিয়ে থেকে বিরত থাকলে গুণাহগার হতে হবে।

অর্থাৎ বলা হচ্ছে না যে, বিয়ে করতে গেলেই তাকে লাখ লাখ টাকার বান্ডেল নিয়ে নামতে হবে; কথিত ওয়ালিমার নাম করে গরু মেরে খাওয়াতে হবে এবং স্বামার্থ থাকুক আর নাই থাকুক লক্ষ টাকার নিচে মোহোরানা না হলে চলবে না।

যৌতুক ও মোহোরানা বর্তমান সমাজে ভাইরাসে পরিনত হয়েছে। সুন্দর পোস্ট। পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ছবিটির ব্যাপারে আপত্তি আছে.....। প্রতিকী ছবি ব্যবহার করতে চাইলে অন্য ছবি ব্যবহার করতে পারতেন, ধন্যবাদ.

নিচে আমার একটি লেখা শেয়ার করলাম সময় থাকলে দেখে আসার অনুরোধ থাকলো।


বিয়ের পর আপনি যেভাবে যেনাকারী রূপে আবির্ভূত হচ্ছেন....!
337713
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৮:৫২
হতভাগা লিখেছেন : বিয়ে করতে গেলে টাকা লাগে , এর পর ভরণ পোষনও টাকা ছাড়া হয় না ।

এজন্যই ছেলেদের বিয়ে করতে ৩০+ বয়স পেরিয়ে যায় ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File