রিংটোনের মজার অভিজ্ঞতা
লিখেছেন লিখেছেন শুভ কবি ২৫ জুলাই, ২০১৫, ০৯:৩১:৩৭ রাত
লোকাল বাসে করে আজ রাজশাহীর অদূরে পুঠিয়া গিয়েছিলাম। রাতে ভাল ঘুম হয়নি,তাই বাসে ঝিমুচ্ছিলাম।
এমন সময় "ও বন্ধু লাল গোলাপি কই রইলারে" গান শুনে ঝিমুনি কেটে তাকিয়ে দেখি, ব্যাটা হেলপার এই গান তার মোবাইলের রিং টোন দিয়া রাখছে। আল্লাহগো এত দেখি অলটাইম দৌড়ের উপর ১৮+ এর হেলপার ভার্শন
একটু পর আবারো ঝিমুচ্ছিলাম। এবার রিংটোন " এক বিন্দু ভালোবাসা দাও আমি এক সিন্ধু হৃদয় দিব" বাপুরে কি গানগো যা ভেবেছিলাম তাই।গার্মেন্টস এ চাকরি করে এক আফায় তার মোবাইলে এই গান লাগাইছে
এবার,হেলপারের সাথে টাকা নিয়ে এক উঠতি বয়সি ছেলের বিবাদ। ধমকি ধামকি চলছে।এইক্ষনে, সেই ছেলের মোবাইলে বেজে উঠল সেই জ্বালাময়ী ভাষণ," রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিব......... " বুঝলাম,কেন তুমি হেলপারের সাথে হাফ ভাড়া নিয়া ফাইট লাগাইছো।
নাহ,এইসব রিংটোনে আর আমার ঝিমানো হলনা। পাশের ছিটে বসা দেবদাস মার্কা এক ছেলের সাথে কথা বলছিলাম। কথা বলে বুঝলাম ছেঁকা খাওয়া পাবলিক। তাই ভাবের দেবু বাবু হইছে। কবিয়াল ভাব। সেই কবিয়াল ভাব এবার স্পস্ট হল তার রিংটোন শুনে," অনন্ত,মেহেদি পাতা দেখেছ নিশ্চয়ই,উপরে সবুজ ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত........... "
এতসব উদ্ভট রিংটোন শুনে ভাবছিলাম আচ্ছা,যারা এরকম আজব ধরনের রিংটোন এটাচ করে তাদের নিজেদের কাছে কি এগুলো একটুও উদ্ভট মনে হয়না????? কেমনে পারো ম্যান?????
পুনশ্চ: আপনার রুচি আপনার ভিতরের সত্ত্বাকে চেনিয়ে দেয়। দয়া করে রুচিকে মার্জিত করুন
বিষয়: বিবিধ
২১৮৩ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই রিং টোনও আছে
মোবাইল রাখমু মাগার রং টোন রাখমু না।
রিংটোন নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিব্রত হতে দেখেছি মসজিদে..... নামাজ পড়া অবস্থায় কল এলো.... আমি পাথরে ফুল ফুটাবো ভালো-বাসা দিয়ে.... সাগরের ঢেউ থামাবো ভালো -বাসা... হি হি হি....
মসজিদে গান বাজানোর কথা বললে একসময় মানুষ লাঠিদিয়ে পিটায়ে চামড়া তুলে লবণ দিবে এমন ছিলো, এখন মোবাইলে গান বাজে কিন্তু লবন দেয় না ফাতাওয়া দেয় যে মোবাইল বন্ধ কোরবেন হাত দিয়ে
আমার লিখা ব্লগের লিংক http://pothikblog.net/author/shuvokabi
এই ব্লগার বিশেষ কিছু - The special one / chosen one
মন্তব্য করতে লগইন করুন