উদুর পানি মাকরুহ!

লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ২৯ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৫৭:২৪ দুপুর



নাপাকি হতে পবিত্র হতে পানির প্রয়োজন। পানি দিয়ে নাপাকি দূর করা হয়ে থাকে। নামাজের আগে অপবিত্রতা দুর করার জন্য উদু্ করা বাধ্যতামূলক।

আল্লাহ পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল করেন না। এবং এই পবিত্রতা বা উদু্ হচ্ছে নামাজের চাবি। চাবি ছাড়া তালা খোলা অসম্ভব নয় তবে মূর্খের কাজ। কেননা তালা, চাবি ছাড়া খুলতে গেলে তা ভেঙ্গে যাবে।

কেবল মুমিন ব্যাক্তিই যত্ন সহকারে উদু্ করে। ঈমানের অর্ধেক হচ্ছে উদু্। উদু্র শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আশাহাদুআল্লাহ ইলাহা ইল্লাহ ওয়া আশাহাদু আণ্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসুলুুহ পড়লে তার জন্য জান্নাতের ৮ টি দরজা খুলে দেয়া হয় সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করবে।

অনেক কথাই বললাম যা আমার পীরসাহেব আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন।

আসুন দেখি কখন উদু্র পানি মাকরুহ! বা অপছন্দনিয় হয়ে যায়।

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا خَالِي، يَعْلَى عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ

আলী বিন মুহাম্মাদ-> ইয়ালা-> সুফইয়ান-> মুসা বিন আবু আয়িশাহ-> আমর বিন শুআয়ব->তার পিতা (শুআয়ব বিন মুহাম্মাদ)->তার দাদা (আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস "রা") তিনি বলেন->

جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَسَأَلَهُ عَنِ الْوُضُوءِ

এক বেদুইন (আরব) নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে উদু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন->

فَأَرَاهُ ثَلاَثًا ثَلاَثًا

নাবী (সা) তিনি তাকে তিনবার করে উদুর অঙ্গগুলো ধৌত করে দেখালেন->

ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ هَذَا الْوُضُوءُ

তার পর বললেন-এই হলো উদু্।

فَمَنْ زَادَ عَلَى هَذَا فَقَدْ أَسَاءَ وَتَعَدَّى أَوْ ظَلَمَ ‏"‏

যে ব্যাক্তি এর চাইতে বেশি করলো সে অবশ্যই মন্দ কাজ করলো অথবা সীমালঙ্ঘন করলো অথবা জুলুম করলো

এজন্য তিনবারে বেশি উদুর অঙ্গগুলো ধোয় মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। রসুল (সা) তিন বারের বেশি উদুর জন্য ধৌত করতে নিষেধ করেছেন।

তাই তিনবারে চেয়ে অতিরিক্ত উদুর অঙ্গগুলো উদু করার সময় ধোয়া নিষেধ।

এটি আমার পীরসাহেবের শিক্ষা এর বেশি করলে হয় মন্দকাজ না হয় সীমালঙ্গন না হয় জুলুম করা হবে।

আসুন উপরোক্ত তাজকিয়ায়ে নাফস মেনে নফসের উন্নতি করি।

(হাদীস: সুনানু ইবুন মাজাহ ১/৪৮-৪২২, সুনানু আবি দাউদ ১৩৫, মুসানাদে আহমাদ ৬৬৪৬, -হাসান সহীহ) উৎস দিয়ে দিলাম কেননা অনেকে আমার বুজুর্গগণের গল্প শুনতে শুনতে হতাস!

বিষয়: বিবিধ

১৪৯৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

347705
২৯ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২২
শেখের পোলা লিখেছেন : কি যে বলেন! আমি হতাশ হইনি৷ আমার হুজুরও এমন নসিহত করেন৷আমরা ওজুতে অভ্যস্থ,ওদু কেমন নতুন নতুন লাগে৷ ধন্যবাদ৷
২৯ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:৩৭
288721
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : পীরসাহেব ওযু আর উদু্ এর মাঝে ফারাক আছে। উদু্ হচ্ছে পবিত্রতা অর্জনের পন্থা আর ওযু হচ্ছে যা দারা পবিত্র হওয়া হয়।
পানি হচ্ছে ওযু আর করার পন্থা হচ্ছে উদু্। আরবির বানাটি দেকতে পারেন।

আমার পীরসাহেব আফজালুল বাশার।
347771
৩০ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০২:৫৭
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।

শিরোনামটি দিয়ে পাঠক ভড়কে দিচ্ছেন কিন্তু আপনি!

শুকরিয়া!
৩০ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:০৩
288755
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : শিরোনাম দেখেও অনেকে লেখা পড়তে আসে। তার পর লেখাতে সুন্দর কিছু জানতে পারে ও জ্ঞানের কথার জ্ঞান অর্জন করে চলে যায়।
এজন্য শিরোনামটি একটু প্যাচিয়ে দিয়েছে। তবে এমন কিছু করিনি যাতে সমস্যায় পড়ব।

পুরুষের কঙ্গালের লেখার শিরোনাম ও তার ছবি দেখে তার পাঠক হয় কয়েশত! শিরোনাম অনেক কিছু করতে পারে। এটি আমার অভীমত মাত্র।

মানুষ ভালো খায়না তবে খারাপের দিকে একটি ক্লিক করতে অনেক বেশি উৎসুক।

সামনে আবার গল্পে গল্পে জ্ঞান আসছে!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File