সম্রাজ্ঞী নূরজাহান ও তার শিয়া বিতার্কিক

লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ২১ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:৪৬:১৩ রাত



সম্রাজ্ঞী নূরজাহান ও তার শিয়া বিতার্কিক

বাদশাহ জাহাংগীরের স্ত্রী “নূরজাহান” শিয়া ছিলেন। তাঁর খুব আগ্রহ ছিল যে জাহাংগীর-ও শিয়া হয়ে যাক। তাহলে পুরো অখন্ড ভারতে শিয়া মত বিস্তার লাভ করবে।

তো নূরজাহান, ইরান থেকে বড় একজন শিয়া আলেম এবং বিতার্কিক নিয়ে এল। ব্যবস্থা করে দেয়া হল যে, সে প্রথমে লাহোরে আসবে এবং শিয়াদের উপর বড় মাহফিল করবে, এরপর সেখান থেকে আরো এগিয়ে এসে আরেক স্থানে আরো বড় মাহফিল করবে। এভাবে আগ্রা পর্যন্ত পৌছতে পৌছতে সারাদেশে যেন শিয়া মতবাদ প্রচার হয়ে যায়, আর আগ্রা এসে যেন সূন্নী-হানাফী আলেমদের প্রকাশ্য বিতর্কের আহ্বান করে নাস্তানাবুদ করা যায়।

সেই সময় মিয়াঁ মীর সাহেব (রহ) সেই সময়ের সেখানকার (লাহোরের) ঈমাম এবং একটু ইবাদাতগোজার মানুষ ছিলেন। সেই শিয়া বিতার্কিক এসে, প্রথম দিন গেলেন মিয়াঁ মীর সাহেব এর সাথে দেখা করতে, কারণ মাদ্রাসার শিক্ষকদের কাছে দলিল থাকে, কিন্তু আউলিয়া প্রকৃতির ঈমামরা দলিল ঘাটাঘাটি করে না, এদেরকে খোচানো সহজ।

শীতের দিন ছিল, মিয়াঁ মীর সাহেব (রহ) বারান্দায় রোদে বসা ছিলেন, সেই অবস্থায় ঐ বিতার্কিক উপস্থিত। তাকে মীর সাহেব প্রশ্ন করলেন - কিছু বলবেন?

ঐ বিতার্কিক বলল - “আমরা আহলে বাইতের অনুসারী, তাদের শা'ন মর্যাদার বয়ান করি।”

মীর সাহেব, মতলব বুঝে বললেন - “আহলে বাইতের মর্যাদার বয়ানে আমাদের ঈমান তাজা হয়, কষ্ট করে যদি বয়ান করতেন।”

বিতার্কিক তো খুশি হয়ে নিজের বয়ান শুরু করল, বয়ানের এক পর্যায়ে এটাও বলল - “এটা আহলে বাইতদের আক্বীদা যে, নবীজী (সা) এর কলিজার টুকরা, হযরত হোসাইন (রা) এর কবর যেখানে, ঐ কবরের আশে-পাশের ৪০ হাতের সকল কবরকে আল্লাহ মাফ করে দিবেন।”

মিয়াঁ মীর সাহেব, হাত তুলে উনাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন - “একটু দাঁড়ান! একটু দাঁড়ান! আমাকে একটু বলেনতো, যদি হযরত হোসেইন (রা) এর এই মর্যাদা হয় তাইলে উনার নানার ঠিক পাশে যে ২জন শুয়ে আছে তারাও তো জান্নাতি? তাই না!”

এই কথা শুনে ঐ বিতার্কিক স্তব্ধ হয়ে গেলেন! যদি উত্তরে - হ্যাঁ বলেন, তাইলে তো উনার শিয়া মতবাদ-ই টিকে না। আবার না, বললে সেটাও মুশকিল, কেননা হোসাইন (রা) এর মর্যাদা তো রাসূল (সা) এর সূত্রে প্রাপ্ত!

ঐ শিয়া বিতার্কিক এমনভাবেই লজ্জিত হলেন জবাব খুঁজে না পেয়ে, সোজা ইরান ফেরত চলে গেলেন।

( সংগৃহীত )

বিষয়: বিবিধ

২৪৭৩ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

346753
২১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:১৯
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : বড়ই জ্ঞানের কথা। তবে সময় এসেছে এসব দ্বন্দগুলো মিটিয়ে ফেলার। ইজরাইলের প্ল্যান ছিল শিয়া-সুন্নী বিদ্বেশটা তাজা করে মুসলিমদের শেষ করতে আর সিরিয়া ও ইরাকে সে কাজে তারা সফলও হয়েছে। ইরান-পাকিস্তানের মাঝে যদি এমন কিছু শুরু হয় তবে মুসলিম উম্মাহকে বিরাট আকারে তার ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। আল্লাহ সকলকে শান্ত থাকার তৌফিক দিন।
২১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৩৩
287877
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : আপনার ঈমান ও বিশ্বাস ও চিন্তা দেখে আশ্চর্য হই মাঝে মাঝে। যেই শিয়া তিন খলিফাকে গালি দেয়, কাফের বলে সেই শিয়াদের সাথে আপনি কিসের দ্বন্দমিটাতে চান? যারা আয়েশাকে (রা) কে গালি দেয়? তার সাথে আপনি কিসের দ্বন্দমিটাতে চান?

আপনার জ্ঞান আছে তবে সেই জ্ঞান বিপথে পরিচালিত করতে পারে আপনাকে। আপনি আরও জ্ঞান অর্জন করুন।
২২ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:৩৮
287888
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : শিয়াদের ব্যাপারে আমি এই ব্লগে কমপক্ষে ৩টি লেখা লিখেছি। http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/63428#.VifUt-xriF4
এটা পড়ে দেখতে পারেন। তবে আবারো বলছি তাদেরকে কোন আলিম কাফির বলেননি। আর তারা যদি কাফির হয়, তবে সৌদি সরকার তাদের হজ্জ্ব করতে দিচ্ছে কেন? তাদের হজ্জ্ব হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোন আলেম ফতোয়া দেয়নি কেন? একটা সময় আপনার মত আমিও আবেগে ভাসতাম। চরম বিদ্বেশ থেকে এই লিখাটাও লিখেছিলাম http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/63124 শিয়াদের মাঝে নানান আকিদার দল আছে। সবাই সুন্নীদের সাথে বিদ্বেশ পোষণও করেনা। ইরান নেতৃত্বাধীন ১২ ইমামে বিশ্বাসী শিয়াদের একটি দলই কেবল সুন্নী বিদ্বেশী কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে কাজেই আমি গোটা শিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কিভাবে বিষোদাগার করি? সুন্নী হয়েও সেই একই কাজ কি সৌদি আরব করেনি ইরাকি সুন্নীদের সাথে? পাকিস্তান ও সৌদি সুন্নী জোট আফগানিস্তানের সুন্নীদের সাথে? তাই যারা অত্যাচারী শুধুমাত্র তাদের শাস্তিই আমি দাবি করতে পারি, সকলের রক্ত আমি হালাল বলতে পারিনা। আপনি কি জানেন, সাহালউদ্দিন আইয়ুবী (রঃ) ছিলেন কোরানের হাফেজ ও শাফেয়ী মাজহাবের অনেক বড় আলেম তার শিক্ষক ছিলেন নুরুদ্দীন জিনকি (রঃ)। যখন ক্রুশেডাররা মিশর আক্রমণের প্রস্তুতি শুরু করল তখন শিরকুহ আদ দীন সিরিয়ায় এলেন এবং নুরুদ্দীন (রঃ) এর কাছে সাহায্য চাইলেন তখন নুরুদ্দীন (রঃ) তাদের সাহায্য করতে চাননি কারণ তারা ছিল ফাতেমী। কিন্তু সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (রঃ) বসে থাকেননি তিনি শিরকুহ আদ দীন এর ডাকে সাড়া দিলেন যদিও তিনি ভয় পাচ্ছিলেন তিনি হয়ত মারা যাবেন। অর্থাৎ ফাতেমী শুনার পরেও তিনি মুখ ফীরিয়ে নেননি। হ্যা! সেই সময়ে তাকে ১০ বছর শুধু মুসলিমদের সাথেই যুদ্ধ করে কাটাতে হয়েছিল কারণ এসব মুসলিম নামধারীরা ক্ষমতার লোভে ক্রুশেডারদের সাহায্য করতে শুরু করেছিল যার মধ্যে বড় একটা অংশই ছিল মূলত শিয়া, যারা সুন্নী বিদ্বেশের জন্যই এটি করে যাচ্ছিল। কাজেই আমরা সমস্ত শিয়াকে কাফির বলতে পারিনা। তারা সাহাবাদের সম্পর্কে যা বলেন তা সত্যিই ভয়াবহ কিন্তু তার জন্য তাদের কাফিরও বলতে পারিনা বরং সে বিচারের ভার আল্লাহর উপরেই ছেড়ে দেয়া ভাল।
আবূ রাবী আল আতাকী ও কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ সমস্ত পৃথিবীকে ভাজ করে আমার সামনে রেখে দিয়েছেন। অতঃপর আমি এর পূর্ব দিগন্ত হতে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত দেখে নিয়েছি। পৃথিবীর যে পরিমাণ অংশ গুটিয়ে আমার সম্মুখে রাখা হয়েছিল সে পর্যন্ত আমার উম্মাতের রাজত্ব পৌছবে। আমাকে লাল ও সাদা দুটি ধনাগার দেয়া হয়েছে। আমি আমার উম্মাতের জন্য আমার প্রতিপালকের নিকট এ দুআ করেছি, যেন তিনি তাদেরকে সাধারণ দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস না করেন এবং যেন তিনি তাদের উপর নিজেদের ব্যতীত এমন কোন শক্রকে চাপিয়ে না দেন যারা তাদের দলকে ভেঙ্গে টুক্বরা টুকরা করে দিবে। এ কথা শুনে আমার প্রতিপালক বললেন, হে মুহাম্মদ! আমি যা সিদ্ধান্ত করি তা কখনো প্রতিহত হয় না। আমি তোমার দুআ কবুল করেছি। আমি তোমার উম্মাতকে সাধারণ দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস করবো না এবং তাদের উপর তাদের নিজেদের ব্যতীত অন্য এমন কোন শক্রকে চাপিয়ে দেবো না যারা তাদের সমষ্টিকে বিক্ষিপ্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। যদিও বিভিন্ন প্রান্ত হতে লোক সমবেত হয়ে চেষ্টা করে না কেন। তবে মুসলমানগণ পরস্পর একে অপরকে ধ্বংস করবে এবং একে অপরকে বন্দী করবে। (মুসলিম: ৬৯৯৪)
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (অন্য সনদে) ইবনু নুমায়র (রহঃ) সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদা আলিয়া হতে এসে বনূ মু-আবিয়ায় অবস্হিত মসজিদের নিকট গেলেন। অতঃপর তিনি উক্ত মসজিদে প্রবেশ করে দুরাকআত সালাত আদায় করলেন। আমরাও তার সাথে সালাত আদায় করলাম। এ সময় তিনি তার প্রতিপালকের নিকট দীর্ঘ দুআ করলেন। এবং দুঁআ শেষে আমাদের নিকট ফিরে এলেন। এরপর তিনি বললেনঃ আমি আমার প্রতিপালকের নিকট তিনটি জিনিস কামনা করেছি। তন্মধ্যে তিনি আমাকে দুটি প্রদান করেছেন এবং একটি প্রদান করেননি। আমি আমার প্রতিপালকের নিকট কামনা করেছিলাম, যেন তিনি আমার উম্মাতকে দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস না করেন। তিনি আমার এ দু’আ কবুল করেছেন। তাঁর নিকট এও প্রার্থনা করেছিলাম যে, তিনি যেন আমার উম্মাতকে পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস না করেন। তিনি আমার এ দু’আও কবুল করেছেন। আমি তাঁর নিকট এ মর্মেও দু’আ করেছিলাম যে, যেন মুসলমান পরস্পর একে অন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত না হয়। তিনি আমার এ দুআ কবুল করেননি।(মুসলিম:৬৯৯৬)
ধন্যবাদ।
২২ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১২:৪২
287892
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

@ঘুম ভাঙাতে চাই:
কোন আলিম কাফির বলেননি। আর তারা যদি কাফির হয়, তবে সৌদি সরকার তাদের হজ্জ্ব করতে দিচ্ছে কেন? তাদের হজ্জ্ব হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোন আলেম ফতোয়া দেয়নি কেন?

আপনার এ কথাটি আমি যে কতজনকে বলেছি- জবাব নেই!
কিন্তু তাঁদের গোঁ ছাড়বেননা!!
২২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৯:৩৮
287936
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ডোন্ট মা্ইন্ড প্লিজ:
শিয়াদের মতে: মুতা (কিছুক্ষণের জন্য) বিবাহ করা অনেক সওয়াবের কাজ, এটা কোন জেনা নয়।
আপনি কি করবেন?
২২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৯:৪৩
287937
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : অনেক উত্তর দেয় যায় যারা মডারেট মুসলিম তাদের উদ্দেশ্যে। এতে কাজ হবে বলে মনেহয় না। আপাতত এই লিংটি পড়ুন শী’আরা কি আসলে মুসলমান? একটি পর্যালোচনা
২২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:০০
287940
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনি অযথাই তর্ক করছেন। আমি শিয়াদের ব্যাপারে ২ টি লেখার লিংকও দিয়েছি আপনি ইচ্ছা করলে পড়তেও পারতেন।
শিয়াদের মাঝেও অনেকগুলি গ্রুপ রয়েছে সবার আকিদা একইরকম না। তাও যেহেতু কথা উঠালেন আমি আমার লেখা থেকেই প্রয়োজনীয় অংশ উল্লেখ করছি।
সাবাই বা শিয়া সম্প্রদায়: ইবনে সাওদা নামে খ্যাত আবদুল্লাহ ইবনে সাবা এর অনুসারীরা শিয়া নামে পরিচিত। সে ছিল ইয়েমেনে জন্মগ্রহণকারী এক নারীর গর্ভজাত ইহুদি সন্তান। প্রত্যাবর্তনবাদী ধর্ম বা শিয়াইজম তার হাতেই গড়ে ওঠে। খলিফা উসমান (রাঃ) এর হত্যায় তার ভূমিকা ছিল প্রধান।

আব্বাস মাহমুদ আল আক্কাদের বর্ণনামতে, ইহুদি বিশ্বাস "দাউদ বংশে ত্রাণকর্তার আবির্ভাব হবে", মানব রূপে ভগবানের আবির্ভাব বিষয়ক ভারতীয় ধর্ম বিশ্বাস, যীশুর আবির্ভাব সংক্রান্ত খৃষ্টানদের বিশ্বাস এবং রাজ বংশীয় রাজপুরুষদের প্রতি পারসিকদের ধর্মীয় পবিত্রতা আরোপ ইত্যাদি বিভিন্ন চিন্তার সমন্বয়ে গড়ে ওঠে তার ধর্ম বিশ্বাস।(আল আবকারিয়াতুল ইসলামিয়্যাহ পৃ. ৯৭১)
ইয়েমেন হল সাবাই ধর্ম বা শিয়া-রাফেজী ধর্মের জন্মস্হল।শিয়াদের নিকট নির্ভরযোগ্য রিজালশাস্ত্রীয় গ্রন্হরূপে বিবেচিত "রিজালকুশী" নামক গ্রন্হে আবদুল্লাহ ইবনে সাবা সম্পর্কে বলা হয়েছে:

"তিনিই সর্বপ্রথম আলী (রাঃ) এর ইমামতের অপরিহার্যতার ধারণা প্রচার করেন এবং তার শত্রুদের সাথে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেন এবং তাদের প্রতি কুফুরি আরোপ করেন। একারণেই শিয়া বিরোধীরা বলে থাকেন যে, ইয়াহুদী ধর্ম থেকেই শিয়া চিন্তাধারার উৎস। (রিজালকুশী, পৃষ্ঠা: ৭১)"

আবদুল্লাহ ইবনে সাবা ও তার নির্বোধ অনুসারীরা আলী (রাঃ) এর ব্যাপারে চুড়ান্ত অতিরঞ্জন করে ছেড়েছিল যেভাবে খৃষ্টানরা ঈসা (আঃ) ব্যাপারে করেছে। তারা প্রথমে আলী (রাঃ) এর নবুয়তের কথা প্রচার করে, শেষধাপে উপাস্য, রক্ষাকর্তা হিসেবেও তাকে সামনে আনে। সাহায্যের জন্য তারা ইয়া আলী! ইয়া আলী! বলে আলী (রাঃ) কে আহবান করে, যেভাবে খৃষ্টানরা রক্ষাকর্তা হিসেবে জিসাস! জিসাস বলে যিশুকে আহবান করে। তারা খিলাফতের ধারণাকে অস্বীকার করে। আয়েশা (রাঃ) এর উপর ব্যাভিচারের অভিযোগ আরোপ করে। আবু বকর(রাঃ), উমার(রাঃ), ওসমান(রাঃ) কে মিথ্যাবাদি, জাহান্নামি, কাফির, দুর্নীতিবাজ, ক্ষমতালোভী ইত্যাদি বলে লোকজনের মাঝে প্রচার করতে লাগল। আত্বীয়তার দিক থেকে আলী (রাঃ) খিলাফত এর দায়িত্ব পাবার অধিক হকদার ছিলেন কিন্তু তা থেকে বঞ্চিত করে অবৈধভাবে পূর্ববর্তী খলিফারা খিলাফত দখল করেছিল বলে দাবি করল। প্রথম সারির অনেক সাহাবীর নামে অপবাদ আরোপ করতে লাগল। শিয়াইজম ইয়েমেন, মিশর, সিরিয়া হয়ে ইরাকেও এসে পৌছালো এবং আলী (রাঃ) ঘটনা জানার পর রেগে গিয়ে বলেছিলেন, এসব লোকদের গর্তে ফেলে আগুনে পোড়াও।

তিনি তড়িৎ ব্যাবস্হা নিলেন। আবদুল্লাহ ইবনে সাবাকে মাদায়েনে নির্বাসন দিলেন। কিন্তু খারেজীদের হাতে আলী (রাঃ) নিহত হলে সে আবার তার প্রচারণায় ফীরে আসে। নতুনভাবে প্রচার করতে শুরু করে, আলী (রাঃ) কখনো মরতে পারেননা, তিনি ঈসা (আঃ) এর মত আকাশে জীবিত আরোহণ করেছেন। পরবর্তীতে শিয়াদের মাঝে ১২ জন ইমামের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। যার ১ম ইমাম আলী (রাঃ) এবং সর্বশেষ ও ১২তম ইমাম হল ইমাম মাহদি।

রাসূল (সাঃ) শিয়াদের ব্যাপারে আলী (রাঃ) কে ভবিষ্যৎবাণী করে বলেছিলেন,

"হে আলী! তোমার মাঝে ঈসা ইবন মারিয়ামের উদাহরণ রয়েছে, ইয়াহুদীরা তার প্রতি এমনই বিদ্বেশ পোষণ করেছিল যে, তারা তার মা কে পর্যন্ত অপবাদ দিয়েছিল। পক্ষান্তরে নাসারাগণ তার প্রতি এমনই ভক্তিপোষণ করেছে যে, তারা তাকে ঐ মর্যাদায় সমাসীন করেছে করেছে যার উপযুক্ত তিনি নন।

হাদিসটি হারিস ইবনে হাসীরাহ হতে, তিনি আবু সাদিক হতে, তিনি বারীয়া ইবন নাজিদ হতে, তিনি হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন।

“হযরত আলী (রাঃ) মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বললেন: সাবধান! ২ শ্রেণীর লোক আমাকে কেন্দ্র করে হালাক হবে। সীমাতিরিক্ত ভক্তি পোষণকারী (শিয়া), যে আমার এমন প্রসংসা করবে যা আমার মাঝে নেই, দ্বিতীয়ত: এমন বিদ্বেশ পোষণকারী (খারেজী) যে আমার প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করবে। শুনে রাখ, আমি নবী নই, আমার প্রতি কোন ওহী নাজিল হয়না, তবে আমি আল্লাহর কোরান ও তার নবীর সুন্নতের উপর যথাসম্ভব আমল করি। সুতরাং আল্লাহর আনুগত্যের যে আদেশ আমি তোমাদের করি পছন্দ হোক বা না হোক সে ব্যাপারে আমার আনুগত্য করা তোমাদের কর্তব্য।(তথ্যসূত্র: গ্রন্হ "হযরত আলী রাঃ জীবন ও খিলাফত" লেখক: সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদভী। বইটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকেও প্রকাশ হয়েছে বাংলা অনুবাদ করেছেন মাওলানা আবূ তাহের মেসবাহ)”

পরবর্তীতে তাদের মাঝে নানান শিরক প্রথা, চরম সুন্নী বিদ্বেশি মনোভাব, কোরান হাদিসে স্পষ্টভাবে হারাম বলে ঘোষনাকৃত কাজগুলোকে নিজেদের জন্য হালাল করে নেয়া সহ তারা নানান বিকৃতি আসে।

নীচে কয়েকটির ব্যাপারে বর্ণনা দেয়া হল:

#মুতা বিবাহ: এটি ছিল জাহিলিয়াত আরবদের কালচার যা ৭ম হিজরীতে ইসলাম হারাম বলে ঘোষনা দেয় এবং বলা হয় মুতা বিবাহ নিকৃষ্ট কাজ, অথচ শিয়ারা মুতা বিয়েকে নিজেদের জন্য হালাল করে নিয়েছে।

#উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ) এর উপর ব্যাভিচারের মিথ্যা অভিযোগ আরোপ এবং ৩ খলিফাসহ প্রথম সারির সাহাবীদেরকে ইসলাম থেকে বিচ্যুত দাবি করা: পবিত্র কোরানে মহান আল্লাহ নিজে আয়েশা (রাঃ) এর পবিত্রতার ব্যাপারে সাক্ষ দিয়েছেন। সাহাবীদের ব্যাপারে সমালোচনা করতে পবিত্র কোরানে নিষেধ করা হয়েছে কারণ, ইসলামের জন্য তারা যে পরিমাণ আত্বত্যাগ-কষ্ট স্বীকার করেছেন, বিপদে যেভাবে ধৈর্যধারণ করেছেন, তা আমাদের পক্ষে সম্ভব হতোনা। তাই যদিও তারা মানুষ হিসেবে ভুলের উর্দ্ধে ছিলেননা, কিন্তু মর্যাদায় তারা আমাদের অনেক উপরে এজন্য তাদের সমালোচনা করার মত কতটুকু অধিকার আমরা রাখি? কিন্তু দুঃখের বিষয় শিয়ারা আয়েশা (রাঃ) এর উপর ব্যভিচারের অভিযোগ আরোপ করে এবং ৩ খলিফাকে কাফির ও অন্যান্য সাহাবীদের উপর কুফরের মত ভয়াবহ অভিযোগ আরোপ করে অথচ আল্লাহ স্বয়ং পৃথিবীতেই ১০জন সাহাবীকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেছেন।

# ধর্মের ভিত্তি ১২ ইমাম: প্রথম ইমাম আলী (রাঃ) ও শেষ ইমাম হচ্ছেন, মাহদি (আঃ)। তাদের বিশ্বাসমতে, তিনি এখন জীবিত আসমানে অবস্হান করছেন। খুব তাড়াতাড়ি তিনি মধ্যপ্রাচ্যে আবির্ভূত হবেন এবং তাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন এবং তাদের সাহায্যে সুন্নী কাফিরদের কচুকাটা করে মক্কা-মদিনার দখল নেবেন এবং শিয়া ইমামত কায়েম করবেন। অথচ এই বিশ্বাসের কোরান-হাদিস ভিত্তিক কোন দলিল নেই।

স হীহ হাদিস গ্রহণে অস্বীকৃতি ও ৪০ পাড়া কোরানে বিশ্বাস: যেহেতু প্রথম সারির অনেক সাহাবী এমনকি উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ) যিনি সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারীদের মাঝে ২য় (২২১০টি) তাই এসব হাদিস তাদের কাছে অসমর্থনযোগ্য। তাদের দাবি আল্লাহর পক্ষ থেকে ১৭০০০ কোরানের আয়াত নাজিল হয়েছিল কিন্তু আয়েশা (রাঃ) সর্বপ্রথম কোরানের আয়াত গণনা করেন এবং ৬৬৬৬ আয়াতের কথা বলেন। তাদের দাবি সাহাবীরা কোরানের কাট-ছাট করে ৪০ পারা কোরানকে ৩০ পারায় রূপান্তর করে। অথচ হযরত উসমান (রাঃ) যখন কোরানকে পূর্ণাঙ্গরূপে লিপিবদ্ধ করেন এবং বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা কোরানের বিকৃত কপি পুড়িয়ে দেয়ায় তার বিরুদ্ধে অনেকে সমালোচনা করেন তখন শিয়াদের চোখে নবী, আলী (রাঃ) উক্তি করেছিলেন উসমান (রাঃ) যা করছেন আমি আলীও সেই একই কাজ করতাম।
মূলত ইরান নেতৃত্বাধীন ১২ ইমামে বিশ্বাসী শিয়া গ্রুপটিই সুন্নীদের সাথে শত্রুরা পোষন করে। তবে individually সবাইকেও তার জন্য দোষারোপ করা যায়না।
শেষ কথা: আমি এখানে ইতিহাস ও বাস্তবতার আলোকে মূলত ইরান নেতৃত্বাধীন ১২ ইমামে বিশ্বাসী শিয়াদের অবস্হান তুলে ধরেছি আমি গোটা শিয়া সম্পদায়কে নিয়ে মোটেও কোন বিদ্বেশকে সমর্থন করিনা। শিয়াদের মাঝে সকলেই সুন্নী বিদ্বেশী মনোভাব পোষণ করেননা আর তাদের মাঝেও রয়েছে বহু মতবাদে বিশ্বাসী শিয়া গ্রুপ, যেমনি রয়েছে সুন্নী পরিচয় দানকারীদের মাঝেও (মাজারী, বিদাতী)। আমরা হাদিস ও মাজহাবের আলেমদের ইজতিহাদকে একজায়গায় জড়ো করলে দেখতে পাই, কেউ তাদের সরাসরি কাফির বলেননি, তবে বলেছেন, তারা ইসলামের মূল আকিদা থেকে বিচ্ছিন্ন বা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের আদর্শ বিচ্যুত। হ্যা! ইরাক, সিরিয়ায় সুন্নীদের উপরে যা হচ্ছে সেই বাস্তবতায় কোরানের এই আয়াতটিই সবচেয়ে উপযোগী_

যারা ঈমানদার নর-নারীর উপর যুলুম-নির্যাতন করেছে এবং পরে তাওবাও করেনি, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব ও দহন যন্ত্রণা ।(বুরুজ;১০, ৩০ পারা)

কাজেই আজ যেসব উগ্র শিয়া তাদের শিয়াইজমের নামে সুন্নীদের উপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে, তাদের ব্যাপারে অবশ্যই আমরা কঠোর। কিন্তু তাদের বেলায় নয়, যারা বিশ্বাসে দূর্বল বা বিভ্রান্ত, নিরস্ত্র-নিরীহ তাদের ও আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আমরা যেমন নিরাপত্তা চাই, তেমনি তারাও নিরাপত্তা পাবার অধিকার রাখে।
এটা ছিল আমার লেখার কিছু অংশ আর সাদাচোখে ভাইয়ার কমেন্টটা আমার কাছে এমদম উপযুক্ত মনে হয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন:
19702 ১৩ মে ২০১৫ সকাল ০৫:৫৯
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
আমি আপনার লিখা ও অতগুলো প্রশংসাসূচক কমেন্ট দেখে - কিছু না লিখার সিদ্ধান্ত নিতে চাইলাম। পরে শুধু মাত্র বিবেক এর তাড়নায় কমেন্ট করতে বাধ্য হলাম। স্বল্প পরিসরের কমেন্ট করবো বলে - হয়তো আমি আমার অনুভব ও অনুভূতিকে যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারবোনা - তারপর ও চেষ্টা।

১। শিয়া ও সুন্নীর মধ্যস্থিত আজকের লেভেল এর বিরোধ এর শুভ সূচনা ঠিক কখন শুরু হয়েছিল, কিভাবে হয়েছিল, কেন তা হয়েছিল - এটা নিয়ে চিন্তা ও ভাবনা করে - এ বিষয়ে লিখলে আমার মনে হয় উম্মাহ র উপকার হবে।

২। অন্যথায় যারা যে কারনে এ বিরোধীতার জন্ম দিয়েছে এবং একে অপরকে অপছন্দ করার লেভেল এ নিয়েছে এবং তারপর ঘৃনায় এবং তারপর দ্বন্ধে এবং সব শেষে খুনোখুনি এবং এখন যুদ্ধের লেভেল এ পৌছেছে - তাদের উদ্দেশ্যের সাথে এ লিখা সমূহ আরো ভাল জ্বালানী হিসাবে কাজ করবে।

৩। আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপনার লিখায় বিভিন্ন শিয়া সম্প্রদায়ের, বিভিন্ন ইসলামবিরোধী আকিদাকে 'এক করে একটা আর্টিকেল এ - এভাবে উপস্থাপন করাকে' - একাডেমিক্যালী সাউন্ড মনে করি না - কারন তাতে সাধারন মানুষ - ওদের সবার প্রতি বাঁচবিচার না করে প্রচন্ড ঘৃনা বোধ করবে এবং বিভিন্ন নামে (কাফের ইত্যাদি) অভিহিত করে বসবে। অথচ আমার জানাশোনা মতে - ওদের মধ্যস্থিত বেশ কিছু সম্প্রদায় আছে - যারা মেইনস্ট্রীম সুন্নীদের সাথে আকিদা কিংবা শরীয়ায় লিটারেলী কোন পার্থক্য করে না। অনুরূপভাবে আমরা যদি সুন্নিদের মধ্যস্থিত বিভিন্ন গ্রুপ এর কোরান ও হাদীস বিরোধী আকিদা ও শরীয়াকে সামনে এনে এমন আর্টিকেল লিখি - তা নিশ্চয়ই এ্যাকাডেমিক্যালী সাউন্ড হবেনা। (দয়া করে ব্যাক্তিগতভাবে নিবেন না - আমি আপনাকে গভীরভাবে চিন্তা করার জন্য এ পয়েন্টগুলো লিখছি।)

৪। আপনার কনক্লুশান এর পয়েন্ট টির ইন্ডিং (মক্কা মদীনা দখল তথা হিজাজ দখল) আমার কাছে সত্য বলে মনে হয় - কারন আমার লিমিটেড আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনুযায়ী তা ইয়েমেন এর ফায়ার সংশ্লিষ্ট হাদীসকে সাপোর্ট করবে (আল্লাহ অবশ্যই ভাল জানেন)। কিন্তু আপনি যেভাবে ইয়েমেনবাসীকে (শিয়া অংশটুকুকে - যদিও তা ফ্যাক্টচুয়ালী রাইট না) আসামী সাজিয়েছেন ও সৌদীকে (বর্তমান সরকারকে - যদিও তা ফ্যাক্টচুয়ালী রাইট না) পুলিশ সাজিয়ে প্রিএ্যাম্পটিভ এ্যাকশানকে জাস্টিফাই করেছেন - তা না ইসলামিক যুদ্ধের বিধান অনুযায়ী সঠিক (নারী শিশু ও বৃদ্ধকে হত্যা করা হচ্ছে, ওয়ার্নিং ছাড়া হত্যা করা হচ্ছে, দূর্বলকে আক্রমন করা হচ্ছে, শত্রু দ্বারা আক্রমনের শিকার হয়নি আগে কিংবা হুমকিও পায় নি আগে ইত্যাদি) আর না স্যেকুলার বিধানানুযায়ী সঠিক (আক্রান্ত না হলে বর্ডার ক্রস করে আক্রমনের কোন আইন নাই, উৎখাত করা প্রেসিডেন্টকে রিইনস্টলেশান করার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রকর্তৃক আক্রমনের কোন আইন নেই, প্রিএ্যাম্পটিভ আক্রমন করার কোন আইন নেই, ইউএন পারমিশান ছাড়া আক্রমন করার কোন আইন নাই ইত্যাদি।)

৫। আমার মতে এই উপসংহারটি মূলতঃ এমন যে, ঠিক যেভাবে সিরাজউদ্দোলা ব্যবহৃত হয়েছিল এবং পর্যাপ্ত ব্যবহারের পর যখন আর ব্যবহার করার মত কিছু ছিল না তখন মীরজাফর দিয়ে তাকে উৎখাত করা হয়েছিল আর মীরজাফরের ব্যবহার পর্যাপ্ত হলে তাকে উফড়ে ফেলা হয়েছিল - অনুরূপভাবে অটোম্যান এ্যাম্পায়ারকে ঐ একই শক্তি প্রায় সাড়ে চারশ বছর ব্যবহার করে হেজাজ এর গভর্নর শরীফ হোসেনকে দিয়ে উপড়ে ফেলেছিল, আবার শরীফ হোসেন এর পারপাস পূর্ন হলে ইবনে সৌদ কে দিয়ে তাকে শরীফ হোসেন কে উপড়ে ফেলেছিল আর এখন সময় হয়েছে শিয়া ইরান কে দিয়ে সৌদকে উপড়ে ফেলার। এক্ষেত্রে প্রতিটি ক্ষেত্রেই যাকে দিয়ে উফড়ে ফেলা হয়েছে তাকে প্রলোভন দেয়া হয়েছে ঠিক তাই ই যা সে মনে প্রানে চাইছে। মীরজাফরকে মসনদের, শরীফ হোসেনকে খেলাফত এর, সৌদকে মসনদ এর এবং আজকের ইরানকে হেজাজ নিয়ন্ত্রনের অধিকার।

সো ঐ একই শক্তি (ভিন্ন নামে) ইরান সাথে যে নেগোশিয়েশান চালাচ্ছে - তার মূল কন্ডিশান হল (প্রমান দিতে পারবো না এই মূহুর্তে কিন্তু সব সাইন তাই ইন্ডিকেট করছে - সো আগামী দিন তা প্রমান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি - যদি আল্লাহ তা চান) ইরান ঐ শক্তির কথানুযায়ী চলবে ঠিক যেমন আর্লি মীরজাফর রাজী হয়েছিল। বিনিময়ে ইরানকে তথা শিয়াদেরকে হেজাজ তথা হজ্জ নিয়ন্ত্রন/ম্যানেজ করার তথা মক্কা ও মদীনা নিয়ন্ত্রনের অধিকার দেয়া হবে।

৬। এর পার্ট হিসাবে ইরাক, বাহরাইন, সিরিয়া, লেবানন ও সবশেষে ইয়েমেনকে ব্যাটেলগ্রাউন্ড বানানো হয়েছে যেখানে দেখানো হচ্ছে শিয়ারা সুন্নি দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত, এবং তার মেইন সাপোর্ট আসছে সুন্নিদের বড় শক্তি সৌদী ও মিশর হতে এবং তারা এমন কিছু কাজ কনটিনিউ করছে বা করতে আদিষ্ট হচ্ছে যাতে পৃথিবীর সুন্নি মুসলিমদের কাছে তারা নৈতিকভাবে দূর্বল হয় এবং তাদের প্রতি সিমপ্যাথী চলে যায়। স্বভাবতঃ একটা মোক্ষম সময়ে সৌদীরা হয় রাজনৈতিক আশ্রয়ে যাবে নতুবা তাদেরকে মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কিংবা ওয়ার ক্রাইম এর অপরাধে কিংবা আগ্রাসনের অপরাধে হেগ এর বিচারক এর সামনে দাঁড়াতে হবে এবং সৌদী আরব এর সাধারন মানুষ তাদের মনোবল এতটাই হারাবে ঐ সব নিউজ ও এ্যানালাইসিস শুনে যে - শিয়াদের নিয়ন্ত্রন না মেনে উপায় থাকবে না।

সো স্যেকুলার দৃষ্টিতে আমরা উপরে নিউক্লিয়ার নেগোশিয়েশান দেখলে ও ভিতরে ভিতরে হেজাজ এর নিয়ন্ত্রনের বিনিময়ে - ওয়াশিংটন ও ইজরাইলের পলিসির বিরোধিতা না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। আর ইসলামের দৃষ্টিতে আখেরী জামানার আরো একটি সাইন ফুলফিলড হবে।

আপনি হয়তো বলতে পারেন কেন ইরান তা করবে? আমার উত্তর সেক্ষেত্রে হবে

সম্ভবতঃ ইরান বিশ্বাস করে হেজাজ নিয়ন্ত্রনে এলে ইমাম মেহেদীর আবির্ভাব হবে (যেভাবে শিয়া বইতে লিখা আছে) এবং অনলি দেন তারা আমেরিকাকে হারাতে পারবে ইমাম মেহেদীকে দিয়ে এবং ইসলামের বিজয় নিশ্চিত হবে।

আশা করি শিয়া বিষয়ে লিখার সময় আপনি নূন্যতম এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন - আসছে দিন গুলোতে শিয়া ও সুন্নির মধ্যে যে দাংগা হবে - তাতে কেউ আপনার এ লিখাকে উপজীব্য করে কোন শিয়া কিংবা সুন্নির নিরাপরাধ কোন বাচ্চা, বুড়া কিংবা মহিলাকে হত্যা না করে বসে - কে জানে কাল কেয়ামতের কঠিন দিন আমরা না এ প্রশ্নের সন্মুখিন হই

মোহাম্মদের সঃ উম্মতের ৭৩ ভাগের এক ভাগের কোন এক নিরাপরাধ শিশুকে আমি আমার কিবোর্ড ব্যবহার করে হত্যায় উৎসাহিত করেছি কেন।

দয়া করে আমার মন্তব্যটি এ ভাবে নিবেন যে - এটা সিম্পলী একজন অর্ডিনারী মুসলিমের একটা অর্ডিনারী প্রয়াস যাতে আপনি আপনার চিন্তা ও সচেতনতা আরো বিস্তৃত করেন। আর সে চেষ্টার নিয়তের কারনে আল্লাহ আমাকে যেন কিছু পূন্য দেন এ প্রত্যাশায়। শিয়া কিংবা সুন্নী প্রীতি কিংবা বিদ্বেষ কিংবা অন্য কোন কিছুর জন্য এ মন্তব্য নয়।

ধন্যবাদ-ভাল থাকবেন সবসময়।
২২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:০৬
287941
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আর সুন্নীদের মাঝেও অনেনে কারবালার ঘটনার জন্য মুয়াবিয়া (রাঃ) কে গালাগালি করে থাকে। তার জন্য কি আমরা এসব সুন্নীদেরও কাফির বলব? মুতা বিবাহ শিয়াদের আকিদায় হালাল তাও সবার দৃষ্টিতে না। আর বিষয়টা এমনও না যে, প্রত্যেক শিয়াই মুতা বিবাহ করছে অহরহ। এটি জাস্ট কারো বিশ্বাসের জায়গায় অবস্হান করছে আবার কারো অবস্হান করছেনা।
২২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:০৮
287942
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : শিয়ারা বলে যে তাদের যে কোরআন আছে সেখানে এটা সুরা আছে যা ওসমান (রা) এর সংকলিত মাসহাফে নাই।
ওদের ক্লেইম করা সুরাটি এখানে পাবেন السـور المفتراة في قرآن الرافضة المزعوم

এই বিষয়ে ইমাম ইবন তাইমিয়া বলেন:
The same applies to those among them who claim that some verses of the Qur’aan have been taken away or concealed, or who claim to have some esoteric interpretations that exempt him from having to do the actions prescribed in sharee’ah etc., who are called al-Qaraamitah and al-Baatiniyyah, and who include al-Tanaasukhiyyah [names of esoteric sects]. There is no dispute that they are kaafirs.

Al-Saarim al-Maslool, 3/1108-1110.
আপনার বলা তাদেরকে কোন আলিম কাফির বলেননি কথাটি ভুল প্রমানিত হল।


প্রশ্ন: আর তারা যদি কাফির হয়, তবে সৌদি সরকার তাদের হজ্জ্ব করতে দিচ্ছে কেন? তাদের হজ্জ্ব হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোন আলেম ফতোয়া দেয়নি কেন?
উত্তর: সাউদি আরবের ওরা কি অন্তর চিরে দেখবে? নাকি গায়েব জানে? এত কোটি মানুষের হজ্জের সময় কি তারা এক এক করে চেক করবে? প্রশ্ন করবে?
কবরে সেজদা করে এরকম মুসলিমও যায় হজ্জে তাদের কেও তো নিষেধ করে না?
এখনে অন্তর চিরে দেখা সম্ভব নয় খেয়াল রাখার বিষয়।

তবে শিয়ারা কাফের। যে শিয়া শিয়াদের কুফরিমতবাদ গুলো মানে না। সাহাবীদের গালি দেয় না সে তো শিয়াই থাকে না! সে হয়েযায় আহেল সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী। এটিও খেয়াল রাখবেন।

ওদের বই থেকে উদাহরন আপনার পোস্টেই আছে তাই কলেবর বৃদ্ধি করার ইচ্ছা নেই।
২২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:২৮
287943
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : আপনাকে বুঝতে হবে, যে কেউ শিয়াদের আকিদা বিশ্বাসে বিশ্বাসী নয় এমন কোন ব্যাক্তি শিয়া থাকে না তখন সে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হয়ে যায়।
বেসিক থিংস মাথায় রাখুন।

গালি দানে কাফের বলিনি তবে জাহান্নামী হবে ইনশা আল্লাহ। সাহাবীদেরকে, ৩ খলিফাকে গালি দেয় এগুলো সাধারন বিষয় নয়। এছাড়াও গালি দেয়া মুনাফিকের লক্ষন। মুনাফিক জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্থরে থাকবে।

আপনি কি নিয়ে ডিফেন্ড করছেন সে সমন্ধ্যে সালাফদের আকিদা বিশ্বাস ভালো করে পড়ুন।

তবে হ্যাঁ বুঝদানের মালিক আল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে বোঝার তাওফিক দিন। আপনি আমার দ্বীনি বোন। কথায় কষ্ট দিলে দুঃখিত।
২২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:৩৩
287945
জ্ঞানের কথা লিখেছেন :

শিয়াদের আজান শুনুন। দেখূন কি বলে?
২২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:২৪
287950
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনার মন্তব্যটি পরিমার্জিত করে পোষ্ট আকারে দিলে ভাল হয়।
346797
২২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন : কাউকে কাফের বলার অধিকার আল্লাহ কাউকেই দেননি৷ এমনকি মুনাফেকও বলা যাবেনা৷তাই আমাদের কাজ হবে তাদের ভুলগুলো ধরিয়ে শুধরাবার ব্যবস্থা করা৷ধন্যবাদ৷
২২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৯:৪৫
287938
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : কাউকে কাফের বলার অধিকার আল্লাহ কাউকেই দেননি৷
-উয়াহুদ ও খৃষ্টানদেরকে কি বলা যাবে না?
-স্পষ্ট কুফরি দেখলেও কি বলা যাবে না?
-কাদিয়ানিকে কি কাফের বলা যাবে?
-দেওয়ানবাগী কে কি কাফের বলা যাবে?
২২ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
287958
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : তাহলে কি ভাই ইহুদি খ্রিস্টান হিন্দুদেরও কাফির বলা যাবে না? আপনি যা বলছেন তা মুসলমানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, আর মূসলমান হওয়ার নূন্যতম শর্ত হলো আল্লাহ, তাঁর রাসূল (সাঃ), তাঁর কিতাব ইত্যাদি মৌলিক বিষয়ে সঠিক বিশ্বাস পোষন করা। কিন্তু তাহরিফে কুরআনে বিশ্বাসকারী, খুলাফায়ে রাশেদার তিনজন জলীরক্বদর খলীফাসহ মাত্র ৫জন বাদে সমস্ত সাহাবীদের মুরতাদ বলনেওয়ালা, উম্মাহাতুল মু'মীনিন আয়িশাহ ও হাফসা (রাযি.)-এর পবিত্র চরিত্রের উপর কলঙ্ক আরোপকারীকে কি বলবেন ভাই? মুসলমান?
২২ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
288028
শেখের পোলা লিখেছেন : না, কার অন্তরে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন৷যুদ্ধের ময়দানে জীবন বাঁচাতে এক মুশরীক কলেমা পড়েছিল কিন্তু সাহাবী তা বিশ্বাস নাকরে তাকে কতল করেছিলেন৷ খবর শুনে রসুল বললেন যে, তুমি অন্যায় করেছ,তুমি তার অন্তর দেখনি৷ বলা হয়েছে, তোমরা তাদের দেবতাকে গালি দিওনা,ফলে তারা নাবুঝে তোমাদের আল্লাহকে গালি দেবে৷ কাউকে মুরতাদ ঘোষণা দেবার অধিকার এক মাত্র ইসলামী সরকারের আছে পাবলিকের নয়৷আমি আমার নিজেকেই চিনিনা অন্যকে কি বলব৷ শুনে রাখুন৷ ইসলাম বিদ্বেষী সরকারের অধীনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নাকে আরাম আয়েশে বাস করলেও কাফের হতে হয়৷(সুরা মায়ীদা,৪৪,৪৫,৪৭)
২২ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:২৯
288045
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ইয়াহুদ খৃষ্টানকে কাফের বলা যবে না?
দেওয়ানবাগি??
348193
০২ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : শীয়াদের মধ্যে জায়েদীয়ারা তাওহীদের নিকটবর্তী মনে করা হয়। অন্যরা কুরআন,রসূল,আল্লাহসহ সব মৌলিক বিষয়ের স্বীকৃতি দেয় আবার এমন কিছুও বিশ্বাস করে যা শিরক। আর সাহাবাদের গালি দেওয়া,উম্মুল মোমেনিনদের ব্যাপারে খারাপ ধারনা রাখা তো আছেই। অনেক প্রসিদ্ধ আলেম তাদেরকে মুসলিম বলেননি। আবার অনেকে মুসলিম বলেছেন কিন্তু বিপথগামী মুসলিম বলেছেন। বিষয়টা এভাবেই ছেড়ে দেওয়া যায়। তারা যেহেতু হাদীসের সূত্রই বিশ্বাস করেনা তাই তাদের সাথে তর্ক করা অনর্থক। তবে আপনার উপরোক্ত ঘটনাটি বেশ শিক্ষনীয়।
০২ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩১
289082
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ভালো বলেছেন। বর্তমানে সবগুলোই ভ্রান্ত রাস্তায় চলছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File