ভয়াবহ "আকিদা" পুরুষ হুর(!) আছে এর উত্তর।
লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ০৫ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:৪৪:৫৬ দুপুর
রসুল (সা) তার সাহাবী (রা) এবং তাবেঈন তাবাতাবেঈন (রহ) সালাফদের কেউ কখনই বলেন নাই যে, পুরুষ হুর আছে।
কিন্তু বর্তমানে কিছু দালাল চালবাজরা মুসলমানদের ভিতরে এই ভয়ংকর আকিদা ঢুকিয়ে দিয়ে যাচ্ছে।
ইনশাআল্লাহ! আমরা হক্কানী পীরের মুরীদগন তা কখনই হতে দিবো না। আসুন আমরা দেখি আলেমগণ কি বলেন এই বিষয়ে প্রশ্নত্তরে।
আব্দুল কাইয়ূম হুজুরের উত্তর:
Click this link
আকরামুজ্জামান হুজুরের উত্তর:
Click this link
ড সাইফুল্লাহ হুজুরের উত্তর:
Click this link
আসিম আল হাকিম হুজুর:
Click this link
ইয়াসির কাদী হুজুরের উত্তর:
Click this link
আবু জায়েদ জামীর হুজুরের উত্তর:
Click this link
হুর হচ্ছে নারী বা ফিমেইল। নারীরা জান্নাতে জদি তাদের পৃথিবীর স্বামীও জান্নাতে থাকে তাহলে তাদেরি হবে। রসুল (সা) বলেছেন: নারী তার শেষ স্বামীর হবে জান্নাতে। আয়েশা (রা) কে রসুল (সা) বলেছেন তুমি আমার ই হবে জান্নাতে।
কোন মহিলা বিয়ের আগে মারা গেলে তার কি হবে? বিয়ের আগে কি পুরুষ মরে না? তো ঐ পুরুষের সাথে বিয়ে দেয়া হবে।
অনেকে বলবেন ডা: জাকির হুজুর তো বলেছেন যে হুর মানে পুরুষ ও মেয়ে?
জাকির হুজুর কি নবি নাকি? যাক জাকির হুজুরের পিস টিভিতেই ইয়াসির কাদি হুজুর বলেছেন যে, হুর মানেই মেয়ে। উপরে ভিডিও আছে দেখুন।
এর পরেও কেউ জদি বলেন যে, না হুর পুরুষ আছে তাহলে দয়া করে হতভাগা ভাইয়ের প্রশ্নর উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।
সঠিক আকিদা: হুর হচ্ছে নারী, পুরুষ নয়।
বিষয়: বিবিধ
২২৭৭ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাক, হুর সম্পর্কিত একটি পোষ্ট আমি গত বছরের সেপ্টেম্বরে পোষ্ট করেছিলাম। অনেকে মন্তব্য করেছেন। আমার বিশ্লেষন টি ভিন্ন ধারার, পড়ার দাওয়াত রইল, নীচে লিঙ্ক দিলাম:
জান্নাতের নারী, হুর ও গেলমান! এগারটি প্রশ্নের খোলা উত্তর
আবার অনেকে না বুঝেই না জ্ঞান অর্জন করেই ডিফেন্ড করে যদিও তারা মুসলিম।
এজন্য ঘোলা পানিকে একটু ফিটকিরি দিয়ে পরিস্কার করলাম।
পীরসাহেব কেমন আছেন?
আমি এখানে আবারও কোরআনের একটি আয়াত টানছি-
"যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।" -সুরাহ নাহল ৯৭
এখানে নারী পুরুষের পুরস্কার আলাদাভাবে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তাহলে একপেশে ভাবে পুরুষকে হুর দেয়া হবে এ ব্যাপারটা কি উপরের আয়াতটির সাথে সাংঘর্ষিক নয়?
প্যাচাল না করে কোরআন থেকে এর সমাধান দিবেন?
আমার দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম। একটু ঘুরে আসবেন। আপনার
পোষ্টেরপোষ্টের লিংকটি প্রিয়তে রেখে দিলাম। সুযোগ করে পড়ে নেব।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)
সুরা নাহাল-৯৭ আয়াত ব্যাখ্যা নিচের হাদীস:
উম্মে সালামা (রা) বলেন: আমি জিজ্ঞাস করলাম ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা) আমাদের মধ্যে থেকে কোন কোন মহিলা পৃথিবীতে একাধিক স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, মৃত্যুর পরে যদি ঐ মহিলা জান্নাতে প্রবেশ করে এবং তার সব স্বামীরাও যদি জান্নাতে প্রবেশ করে তাহলে এদের মধ্যে কোন ব্যাক্তি তার স্বামী হবে?
নবী (সা) বললেন: হে উম্মে সালামা! ঐ মহিলা তার স্বামীদের মধ্যে থেকে যে কোন এজনকে বাছাই করবে। আর সে নি:সন্দেহে উত্তম চরিত্রের স্বামীকেই বাছাই করবে। মহিলা আল্লাহর নিকট আরয করবে যে, হে আমার প্রভূ! এ ব্যাক্তি পৃথিবীতে সবথেকে ভালো চরিত্র নিয়ে আমার সাথে চলেছে, অতএব তার সাথেই আমাকে বিয়ে দিন। হে উম্মে সালামা! উত্তম চরিত্র দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্থ কল্যানের মধ্যে উত্তম।
(ইমাম ত্বাবারানী এই হাদীস বর্ণনা করেছেন, হাদিসটি বিদায়া ওয়ান নিহায়াতে ইবনে কাসির এনেছেন, হাদীসটি সহিহ)
হুর হচ্ছে রমনী/নারী/নিসা, এবং তার তার স্বামীর অপেক্ষায়, রসুল (সা) এর বানী:
আনাস (রা) বলেন: রসুল (সা) বলেছেন; জান্নাতে আকর্ষনীয় চক্ষুবিশিষ্ট হুরেরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন এবলে;
"আমরা সুন্দর এবং সতী ও সৎচরিত্রের অধিকারীনি, আমরা আমাদের "স্বামীদের" অপেক্ষায় অপেক্ষমান ছিলাম"
(ইমাম ত্বাবারানী এই হাদীস তার কিতাবে বর্ননা করেছেন, হাদীসটির সানাদ সহীহ, হাদিসটি সহীহুল জামে আস সাগীর হা/১৫৯৮ তে পাবনে)
বুঝছেন কি মুরীদসাহেব পানি ঘোলা কে করে? হুররা তার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করবে।
আপনি মানেন বা না মানেন এটা আপানর ব্যাপার তবে আমি মানি হুরহচ্ছে রমনী/নারী । কখনই পুরুষ নয়।
সালাফেসলেহীন দের থেকে এর কোন প্রমান নাই যে হুর হচ্ছে পুরুষ।
হতভাগার প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে আপনাকে কবরে যেতে হবে তবে উত্তর দিতে পারবেন না এটা আপনিও জানেন মুরীদসাহেব।
যারা আপনাকে অনুসরণ করে তাদের আপনি নিয়ে যান। যারা রসুল (সা) কে অনুসরণ করে তারা তো আপনার বিপরিতেই থাকবে আজীবন।
অথচ আল্লাহ জান্নাতকে শান্তি ও আনন্দের জন্য বানিয়েছেন, ঝগড়া ফ্যাসাদের জন্য নয়। তার পরও আমরা আমাদের সীমাবদ্ধ জ্ঞান দিয়ে সেভাবেই চিন্তা করি যা আমরা দেখি!
আল্লাহ তো বলেই দিয়েছেন যে, সর্বোপরি জান্নাত আল্লাহর এমন এক সৃষ্টি যার রুপ- বৈশিষ্ট্য, এবং তার মধ্যকার 'হুর' 'গিলমান' সহ যাবতীয় সৃষ্টিসমুহকে আল্লাহ পাক কোন্ শৈল্পিক রুপ দিয়ে সাজিয়েছেন তা যেমন কোন চোঁখ দেখেনি, কোন কান শুনেনি, তেমনিভাবে কোন মানব হৃদয়ের কল্পনা করারও সাধ্যে নেই।
আলোচনা চলতে থাকুক, হুরকে নারী মনে করা আবার সংগী মনে করার মাধ্যেমে কেউ ইমান হারাবে না আবার কাফের ও হবেনা। এটা মতামতের বিষয় মাত্র। আল্লাহর দেওয়া বিধানের কোন কিছুর ব্যাপারে সঠিক লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য সুন্দর ভাবে বিতকর্ করাও সওয়াব। আল্লাহ তাতে খুশী হন। সবাইকে আবারো ধন্যবাদ।
কোরআনের তাফসির কি একটাই?
স্পিকার তো বনবেনই কেননা নিজের আকল দিয়ে দ্বীন ইসলাম চালালে দ্বীন ইসলাম আপনাকে স্পিকারই বানাব।
এতগুলো হুজুরের বক্তব্য দিলাম সেগুলো কি শুনছেন? না শুনলে শুনে আসেন।
জ্ঞানের কথা ও মুক্ত কণ্ঠ।
আমরা কেন বিতর্কে লিপ্ত হচ্ছি! শয়তান এই সমস্ত কাজে উৎসাহ দিয়ে থাকে। আপনাদের দু'জনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তো একটি কথাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই। হয়ত দু'জনের মাঝে বিশ্লেষনের তফাৎ হচ্ছে। যেহেতু নিয়ত এবং লক্ষ্য এক ও অভিন্ন, তাই সওয়াবের ভাগীদার হবেন কিন্তু কাদাছোড়াছুড়ি করতে গিয়ে আপনাদের কত গুরুত্বপূর্ন সময় নষ্ট হচ্ছে। এই ফাঁকে আপনারা দুজনেই আরো দুটি নতুন পোষ্ট লিখে ফেলতে পারতেন।
'আল্লাহ সেই ব্যক্তির জন্য নিজ দায়িত্বে জান্নাতে একটি বাড়ী বানান, যে ব্যক্তি শুধু বিতর্ক বন্ধ করার জন্যই তার যুক্তিসঙ্গত উত্তর দানে বিরত থেকেছেন। যদিও তার উত্তরে যুক্তি ছিল এবং সেটার সঙ্গত কারণ ছিল'। আশা করি এই হাদিসটি আপনাদের পাথেয় হবে।
দু'জনকেই ধন্যবাদ।
আমার দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম। সবাই একটু ঘুরে আসবেন।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)
আনাস (রা) বলেন: রসুল (সা) বলেছেন; জান্নাতে আকর্ষনীয় চক্ষুবিশিষ্ট হুরেরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন এবলে;
"আমরা সুন্দর এবং সতী ও সৎচরিত্রের অধিকারীনি, আমরা আমাদের "স্বামীদের" অপেক্ষায় অপেক্ষমান ছিলাম"
(ইমাম ত্বাবারানী এই হাদীস তার কিতাবে বর্ননা করেছেন, হাদীসটির সানাদ সহীহ, হাদিসটি সহীহুল জামে আস সাগীর হা/১৫৯৮ তে পাবনে)
আফনার পীরের তন আমার পীর অনেক বেশি পাওয়ার ওয়ালা, আফনার পীর ত্যাগ করি আমার পীরের ছায়া তলে চলি আসেন। দুনিয়া ও আখেরাতে উনি আফনারে ব্যাপুক হেল্প করিবেন।
মক্তবে হুজুর বাচ্চাদের উপদেশ দি্ছেন যে ভাল কাজ করলে বেহেশ্তে ৭০ জন হুর পাওয়া যাবে৷ বাচ্চারা এ সব বোঝার বয়স তখনও পাইনি৷ তবে ৭০ অনেক৷ এক বাচ্চা প্রশ্ন করল এত হুর দিয়ে কি করব৷ হুজুর উত্তর দিলেন, দুদু খাবি৷
জাকির হুজুরের লেকচার নিচেঃ
https://m.youtube.com/watch?v=mNCMmRJ2_GU
আপনার দারা এরকম কথা অআশাতীত!
আমি পুরুষ। আল্লাহ যদি আমাকে জান্নাত দেন, তাহলে তো আমার চিন্তার কিছু নেই। ৭০/৭২ জন হুর তো আমি পাবই। কিন্তু আমার উদ্ব্যেগ হল, আমি ৭২ জন হুর বেস্টিত হয়ে বিনোদন করব, আর আমার স্ত্রি বসে বসে আঙ্গুল চুসবে? দুনিয়ায় একজন সতিন সহ্য করতে পারে না আর বেহেশতে ৭২ জন সতিন সহ্য করবে?
আপনার সঠিক আক্বিদা মানতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু এই প্রশ্নগুলোর কোন সমাধান দিবেন?
উম্মে সালামা (রা) বলেন: আমি জিজ্ঞাস করলাম ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা) আমাদের মধ্যে থেকে কোন কোন মহিলা পৃথিবীতে একাধিক স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, মৃত্যুর পরে যদি ঐ মহিলা জান্নাতে প্রবেশ করে এবং তার সব স্বামীরাও যদি জান্নাতে প্রবেশ করে তাহলে এদের মধ্যে কোন ব্যাক্তি তার স্বামী হবে?
নবী (সা) বললেন: হে উম্মে সালামা! ঐ মহিলা তার স্বামীদের মধ্যে থেকে যে কোন এজনকে বাছাই করবে। আর সে নি:সন্দেহে উত্তম চরিত্রের স্বামীকেই বাছাই করবে। মহিলা আল্লাহর নিকট আরয করবে যে, হে আমার প্রভূ! এ ব্যাক্তি পৃথিবীতে সবথেকে ভালো চরিত্র নিয়ে আমার সাথে চলেছে, অতএব তার সাথেই আমাকে বিয়ে দিন। হে উম্মে সালামা! উত্তম চরিত্র দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্থ কল্যানের মধ্যে উত্তম।
(ইমাম ত্বাবারানী এই হাদীস বর্ণনা করেছেন, হাদিসটি বিদায়া ওয়ান নিহায়াতে ইবনে কাসির এনেছেন, হাদীসটি সহিহ)
কি বুঝলেন মুরীদ ভাই? ধর্ম আপনার কথায় চলে না, ধর্ম চলে আল্লাহ ও তার রসুলের কথায়।
ভালো করে হাদীস পড়েন, মহিলা একজনকেই স্বামী হিসেবে নিবেন।
ভালো চরিত্র গঠন করেন মুরীদভাই যেন আপনার বউ আপনাকেই চায়।
উপরের হুজুরদের লেকচারগুলো শোনেন নাই তানা হলে এরকম প্রশ্ন করতেন না।
আপনার প্রশ্ন গুলোর সহজ সমাধান: ওয়ামা আতাকুমুর রসুলু ফা খুুজুহু, ওয়ামা নাহাকুম আনহু ফনাতাহু। বুঝলেননি মুরীদভাই?
আরে পীরসাব, সোজাসোজি বলেন, হুর পুরুষের জন্য হলে তার বিপরীতে নারীর জন্য কি আছে?
শরিয়তের হুকুম আহকাম নারী পুরুষ উভয়ের জন্য সমান অথচ, জান্নাতে গিয়ে পুরুষ ৭২ রমনীর সাথে রমন কার্য করবে, আর নারীরা! তারা ৭২ টি. ..গুন পাবে নাকি?
উম্মেসালামার হাদীস আবার পড়ুন। আর যদি বলেন মহিলাও ৭২ স্বামী পাবে তাহলে হতভাগার প্রশ্নত্তর দিয়েন।
ওয়ামা আতাকুমুর রসুলু ফা খুুজুহু, ওয়ামা নাহাকুম আনহু ফনাতাহু। বুঝলেননি মুরীদভাই?
আমার দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম। সবাই একটু ঘুরে আসবেন।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)
আমি দেখাচ্ছি রসুল (সা) কি বলেছেন:
আনাসবিন মালেক (রা) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রসুল (সা) বলেছেন: সকাল সন্ধায় আল্লাহর পথে বের হওয়া, পৃথিবী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার সবকিছুর থেকে উত্তম। যদি ইমরাআতিম মিন নিসায়ী আহলাল জান্নাহ জান্নাতী রমনীদের মধ্য হতে কোন রমনী পৃথিবীতে উকি দিত, তাহলে পূর্ব থেকে পশ্চিম এর মাঝে যা কিছু আছে সব কিছু আলোকে উজ্জল হয়ে যেত। আর সমস্ত জায়গাকে সুগন্ধিতে ভরে দিত, জান্নাতের নারীদের মাথার ওরনা পৃথিবীর সমস্ত নিয়ামত থেকে মূল্যবান।
(সহীহ আল বুখারী, মিশকাতেও হাদীসটি আছে, বাব হচ্ছে, সিফাতিল জন্নাহ ওয়া আহলিহা)
বুজছেননি মুরীদভাই? "ইমরাআতিম মিন নিসায়ী আহলাল জান্নাহ" এটা রসুল বলেছেন: আর আল্লাহ বলেন: কুন ইনকুনতুম তুহিববুনাল্লা ফাত্তাবিউনি।
আত্বিউল্লাহ ওয়া আত্বিউর রসুল।
আপনি আমাকে হাদীস থেকে বা সাহাবীর কওল দেখান যে হুর মানে পুরুষ? দীর্ঘ আলোচনার কোন দরকার নাই। খুব সহজ! শুধু হাদীস বা সাহাবীর কওল দেখান।
হতভাগার উত্তর দিতে হলে আপনাকে আগে হাবল টেলিস্কোপের বাহিরে যেতে হবে, যা আপনার দারা কবরে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই।
আপনি আমাকে হাদীস থেকে বা সাহাবীর কওল দেখান যে হুর মানে পুরুষ? দীর্ঘ আলোচনার কোন দরকার নাই। খুব সহজ! শুধু হাদীস বা সাহাবীর কওল দেখান।
কি আশ্চর্য! আপনি শুধু হাদিস হাদিস চেচাচ্ছেন। দ্বীনের মৌলিক রিসোর্স কোরআনকে পেছনে ফেলে? কোরআনকে আল্লাহ বলেছেন পথ প্রদর্শক। আর হাদিস যদি কোরআনের বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক হয় তবে কোরআনের বত্তব্য অগ্রগন্য। উসুলে কোরআন উসুলে হাদিসতো এটাই বলে। যে কোরআনে সন্দেহের অবকাশ নেই সে কোরআনের সহজ সরল ভাবেই বোধগম্য আয়াতের অর্থ আর ব্যাখ্যা করছেন হাদিস দিয়ে! হাদিস তো তখন খুজবেন যখন কোরআনের কোন আয়াত আপনার কাছে বোধগম্য হবে না।
অথচ আপনাদের কাছে আল্লাহর কওলের চেয়ে সাহাবিদের কওল অনেক গুরুত্বপুর্ণ!
কোন হাদীসি কোরআনের বিপরীত নয়। সবগুলোই কোরআনের ব্যাখ্যাই এবং পক্ষে কথা বলে। এই জ্ঞান আপনার নাই সেটা কি আমার দোষ?
কোরআনে আল্লাহ সাহাবীদের সম্মন্ধ্যে কি বলেছেন সেটা দেখেন নাই? রাদিয়াল্লাহু আনহু ওয়া রাদু'আন।
রসুল (সা) কি বলেছেন: মা আনা আলাইহি ওয়া আসহাবী।
তিন যুগ উত্তম: খায়রুল উম্মাতি কারনী, সুম্মা্লাজীনা ইয়ালুনাহুম, সুম্মাল্লাজীনা ইয়ালুনাহুম।
এজন্যই চাইলাম কেননা কোরআন তো আপনার উপর আসে নাই, তাই ব্যাখা আগে তাদের যে তারা কোরআনে আয়াতকে কি বুঝেছে।
ওয়ামা আতাকুমুর রসুলু ফা খুুজুহু, ওয়ামা নাহাকুম আনহু ফনাতাহু। বুঝলেননি মুরীদভাই?
وَمَنْ يُشَاقِقْ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيرًا
“যদি কেউ তার কাছে হেদায়েত প্রকাশিত হওয়ার পরেও রাসূলের বিরোধিতা করে এবং বিশ্বাসীদের পথ ছেড়ে অন্য পথ অনুসরণ করে তাহলে আমি তাকে তার বেছে নেওয়া পথেই ছেড়ে দেব এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব, যা নিকৃষ্টতম গন্তব্যস্থল।”
(সূরা (৪) নিসা: ১১৫ আয়াত)
এখানে ‘বিশ্বাসীদের পথ’ বলতে স্বভাবতই সাহাবীদের পথ বোঝান হয়েছে, কারণ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সময়ের বিশ্বাসীগণ তাঁরাই। তাঁদেরকে নাজাত ও মুক্তির জন্য অনুকরণীয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন