গল্পে গল্পে শিক্ষা-ঐ
লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:১২:২৮ রাত
কবর হতে আওয়াজ আসে। রসুল (সা) এর কবর হতে সালামের উত্তর আসলে কেন অন্য কবর হতে আসবে না?
পীর আবু নাছর আবদুল ওয়াহেদ কারাখী বলেন, আমি হজ্জ সম্পাদন করিয়া জিয়ারতের জন্য হাজির হই। হুজরা শরীফের নিকট আমি বসা ছিলাম। ইত্যবসরে সেখানে দিয়ারে বিক্বরের পীর আবু-বকর আসিয়া কবর শরীফে ছালাম করেন "আচ্ছালামু আলাইকা ইয়া রাছুল্লাল্লাহ!"
তখন কবর শরীফ হইতে উত্তর আসে "অ-আলাইকাচ্ছালামু ইয়া আবা বকরিন!"
এই উত্তর উপস্থিত সমস্ত লোক শুনিয়াছিলো।
@@@@@@@@@@@@@
ফাজায়েল:
১. কবরে সালাম দিলে উত্তর পাওয়া যায়।
২. রসুল (সা) সালামের উত্তর দেন যা শোনা যায়
৩. আপনারা ট্রাই করেন সালাম শোনার জন্য
৪. নিজের বাপ দাদার কবরে সালাম দেন উত্তর আসতে পারে
৫. ইসলামে না থাকলেও আমার বুজুর্গ দের ধর্মে একাজ বৈধ।
৬. কুরবানীর ঈদ তাই বেশি ফাজায়েল দিয়ে মাথা নষ্ট করতে চাই না।
অল্প পরিমান ফাজায়েল বর্ণনা করলাম। কেননা কোরবানীর গরু কিনতে হবে সবাই ব্যাস্ত। এই ব্যাস্ততার মাঝে মাথা গড়ম হলে আমার বুজুর্গ দের অপমান হবে।
কিতাবে হাওয়ালা বুজুর্গ। গুস্থাকে বুজুর্গ। উল্টা পাল্টা কমেন্ট করলে মাফ নাই। আমার পীরসাহেবের মুরীদ দরাকার। মুরীদ হতে চাইলে সাড়া দিন।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৮ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শায়েখ আবুল খায়ের (রহ.) বলেন, একবার মদিনা মোনাওয়ারায় হাজির হইয়া পাঁচদিন পর্যন্ত আমাকে উপবাস থাকিতে হয়। খাওয়ার জন্য কিছুই না পাইয়া অবশেষে হুজুর (সাঃ) এর এবং শায়খাইনের কবরের মধ্যে সালাম পাড়িয়া আরজ করিলাম, ইয়া রাছুলাল্লাহ (সাঃ)! আমি আজ রাত্রে হুজুর (সাঃ) এর মেহমান হইব। এই কথা আরজ করিয়া মিম্বর শরীফের নিকট গিয়া আমি শুইয়া পড়িলাম। স্বপ্নে দেখি, হুজুরে পাক (সাঃ) তাশরীফ আনিয়াছেন, ডানে হযরত আবু বকর, বাম দিকে হযরত ওমর এবং সামনে হযরত আলী (রাঃ)। হযরত আলী (রাঃ) আমাকে ডাকিয়া বলিলেন, এই দেখ, হুজুর (সাঃ) তাশরীফ আনিয়াছেন। আমি উঠিবা মাত্রই হুজুর (সাঃ) আমাকে একটা রুটি দিলেন, আমি উহার অর্ধেক খাইয়া ফেলি। তারপর যখন আমার চোখ খুলিল তখন আমার হাতে বাকী অর্ধেক ছিল!!!
(ফাজায়েলে হজ্ব, পৃষ্ঠা-১৩৮, প্রকাশ কাল- সংশোধিত সংস্করণ-১লা এপ্রিল ২০০৯, তাবলীগী কুতুবখানা, ৫০-বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০)
হযরত আলী (রাঃ) বলেন, আমরা যখন হুজুর (ছাঃ) কে দাফন করিলাম তখন জনৈক বদ্দু কবরের উপর আসিয়া পড়িয়া গেল এবং আরজ করিল, হে আল্লাহর রাছূল (ছাঃ)! আপনি যাহা বলিয়াছেন আমরা তাহা শুনিয়াছি। আল্লাহ পাক আপনার উপর নাজেল করিয়াছেন-
"মানুষ নিজের নফছের উপর জুলুম করিয়া যদি আপনার নিকট আসিয়া আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং (ছাঃ) ও তাহাদের ক্ষমা চাহেন, তবে আল্লাহ তা'আলাকে তাহারা কবুল করনেওয়ালা এবং দয়ালু্ পাইবে।"
তারপর সেই বদ্দু বলিল, নিশ্চয় আমি নফছের উপর জুলুম করিয়াছি। এখন আপনার দরবারে মাগফেরাতের আশায় হাজির হইয়াছি। এই কথার পর কবর শরীফ হইতে আওয়াজ আসিল, নিশ্চয় তোমাকে মাফ করিয়া দেওয়া হইয়াছে।
(ফাজায়েলে হজ্ব, পৃষ্ঠা-১৪২, প্রকাশ কাল- সংশোধিত সংস্করণ-১লা এপ্রিল ২০০৯, তাবলীগী কুতুবখানা, ৫০-বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০)
সাজুরে নিতে পারেন , ভাল মুরিদ হবার ক্যাপাবিলিটি রাখে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন