গল্পে গল্পে শিক্ষা-ঊ
লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৫০:১০ সকাল
আমার ছুফি বুজুর্গ হাতে সাপ, বাঘের পিঠে বাপরে বাপ!!! বুজুর্গ দিক্ষা দিচ্ছেন। মুরিদ হলে সাপের লেজ ধরতে হবে। সাহস আছে কি?
ছুফী আবু আব্দুল্লাহ বিন আবি জোরআ বলেন, আমি একবার আমার পিতার সঙ্গে মক্কা শরীফে যাই। আমরা ভীষন অভাব গ্রস্থ ছিলাম ঐ অবস্থায় মদীনা শরীফে চলিয়া যাই।
রাত্রি বেলায় ক্ষুধায় চট্ পট্ করিতে থাকি।
আমি নাবালেগ ছিলাম বারংবার পিতার নিকট ক্ষুধার কথা বলিতেছিলাম।
আমার পিতা কবর শরীফের [রসুল (সা) এর কবর] নিকট গিয়া বলিলেন, হুজুর! আমরা আজ আপনার মেহমান এই বলিয়া তিনি মোরাকাবায় বসিয়া গেলেন। অনেক্ষন পর তিনি মাথা উঠাইয়া কাঁদিয়া উঠিলেন এবং হাসিয়া উঠিলেন।
লোকে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন, তিনি বলিলেন, আমার হুজুরের জিয়ারত নছীব হইয়াছে। হুজুর (ছঃ ) আমাকে কিছু দেরহাম দান করিয়াছেন।
দেখা গেল যে তাহার হাতে অনেকগুলি দেরহাম রহিয়াছে। ছুফীজি বলেন যে, আল্লাহ পাক উহাতে এমন বরকত দান করিয়াছেন যে সিরাজ ফিরিয়া যাওয়া পর্যন্ত উহা খরচ করিতে থাকি।
@@@@@@@@@@@@@
ফাজিলাত:
১. কবরওয়ালার নিকট চাওয়া যায়
২. কবর থেকে দেরহাম আসে
৩. কবরের সামনে মোরাকাবায় বসা জায়েজ
৪. কাঁদা ও হাঁসা একসাথে হতে হবে
৫. মোরাকাবায় বসে কবরের নিকট থেকে দেরহাম পাওয়া যায়
৬. হুজুরের কবরের নিকট বসে মোরাকাবা করলে জেয়রত লাভ হয়
৭. চার ইমামের চেয়েও বড় আমার বুজুর্গ
৮. ইমাম মালেক ঘড়ের ছাঁদ বেচে খেয়েছিলেন অভাবের কারনে, আমার বুজুর্গ কবর থেকে চেয়েই পেলেন।
৯. আবু হুরায়রা (রা) না খেয়ে পেটে পাথর বেধে শুয়ে থাকতেন, আমার বুজুর্গদের এগুলোর কোন টেনশান নেই।
১০. সাহাবারা (রা) কবরের কাছে কিছুই চাইলেন না, আমার বুজুর্গ চেয়েই পেলেন। বুঝা গেল আমার বুজুর্গ তাদের থেকে বড়।
১১. ব্রেলভিরা কবরে চায় সেটা শির্ক কিন্তু আমার বুজুর্গ চাইলে ও পাইলে তা কারামত।
১২. কবরে ধর্না দিন, মালামাল হয়ে যাবেন।
১৩. আমার বুজুর্গের কবরে চলে আসুন। মালামাল হয়ে যাবেন।
হাফিয়ে উঠলাম!!! আরো অনেক ফাজিলাত বর্ণনা করাযায়, থাক সেসব! আপাতত এতটুকুই যথেষ্ট হবে আপনাদের জন্য ভেবে ক্ষান্ত হলাম।
কিতাবের হাওয়ালা আমার বুজুর্গ। গোস্তাখে বুজুর্গ মাফ করা হয় না।
মুরীদ হতে চাইলে খুব সহজ! কমেন্ট বক্সে জানান। মুরীদ হলে মাসে কিছু হাদীয়া দিতে হবে। প্রথম মাস একদম ফ্রি!!
আগে আসলে আগে পাবেন বেসিসে করা হবে।
বিষয়: বিবিধ
১১৬২ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একে পাঠিয়ে দিলাম , রাত জাগা মুরিদ
আমার পীরসাহেব খুশিই হবে।
এগুলোর তাবলীগ করা ফরজ। কবর থেকে ফায়দা হাসিল করা যায়। মৃতরা নিজে আগুনথেকে না বাচলেও অন্যকে বাঁচাতে পারে।
আমার বুজুর্গরা এরকম মাপের অলী।
আমার পীরের মুরীদনির সংখা কম, কি করা যায় একটু বলবেন কি?
পেটের ক্ষিদে মিটানোর জন্য দিরহাম নিলেন ক্যান? দিরহাম কি খাওনের জিনিস? দিরহাম না নিয়ে সরাসরি ক্ষিদে নিবারণের খাদ্য নিলেই তো লেটা চুকে যায়! নাকি আন্নের বেজিরগুর পেটের গ্যাস্টিক মাথায় উঠার কারণে মাথা থেইক্যা উল্টা+ফাল্টা বয়ানাতের বর্ষণ শুরু হইছে?
বান্দর সোনার কীমত বুঝতে না পারার কারণে গলা থেকে হাঁর ছুড়ে ফেলে খাদ্যের হাড়ি নিয়ে টানাটানি করে। কিন্তু আন্নের বেজুরগু বান্দরের বংশধর হয়ে খাদ্য বাদ দিয়ে দিরহাম চাইলো কিল্লাই?
আমার তো সন্দেহ অইতাছে আন্নের বেজিরগু আসলেই বান্দরের বংশধর নাকি আদমের বংশধর??
অবশ্য তারা খাবারও পেয়েছেন কবরে মেহমান হবার পরে। সেসব জ্ঞানের কথা সামনেই আসছে।
আমার বুজুর্গ আদমের বংশ তাইতো দেরহামের দিকে ভালোবাসা। তা নাহলে তো আপনার কথা রাইট হত।
পেটের ক্ষিদে মিটানোর জন্য দিরহাম নিলেন ক্যান? দিরহাম কি খাওনের জিনিস? দিরহাম না নিয়ে সরাসরি ক্ষিদে নিবারণের খাদ্য নিলেই তো লেটা চুকে যায়!
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ভিখারীকি কে ভিক্ষা ছেড়ে দিয়ে কুঠার হাতে কাজ করতে শিখিয়েছেন। তিনি জিবদ্দশায় যে কাজ করেন নি, মরার পরে করবেন! এই বিশ্বাস করলে রাসুলের প্রতি সম্মান হয় নাকি বেইজ্জত হয়।
আলী (রা) মত ব্যক্তি খাদ্যের প্রয়োজনে বনে কাঠ সংগ্রহ করে রিজিক তালাশ করেছেন, বাইতুল মাল থেকে রাসুল (সাঃ) জামাতা, কণ্যা ও নাতীর জন্য ভিক্ষা দেন নাই।
এই ধরনের সুফিকে ধরে, গরুর নাঙলের সাথে জুড়ে দেওয়া উচিত। অন্তত ভাল চাষাবাদ হত। অনেক ধন্যবাদ
আমি সয্য করতে নারাজ। আপনাকে মুরিদ বানাতে চাই হবেন? খাটিঁ পীরের খাঁটি মুরীদ।
আপনি ঠিক বুঝেছেন এরকম বুজুর্গরর মুরিদ হওয়া চারটেখানি কথা নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন