উমার ইবন আবদুল আযীয (র) এর উপদেশ বানী

লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ০৩ আগস্ট, ২০১৫, ০৮:৫০:২০ সকাল



এক ব্যাক্তি পত্র যোগে উমার ইবন আবদুল আযীয (রহ) এর নিকটে তাকদ্বীর সমন্ধ্যে জানতে চাইলে তিনি তাকে নিম্নক্ত উপদেশ দেন:

আমি তোমাকে ওসীয়ত করছি-

আল্লাহ্কে ভয় করার জন্য এবং তাঁর হুকুম মেনে চলার জন্য এবং তাঁর নবীর সুন্নাতের অনুসরণ করাব জন্য । আর বিদ'আতিগণ যা উদ্ভাবন করেছে, তা পরিহার করার জন্য আমি তোমাকে ওসীয়ত করছি ।

বিদ'আতীরা এসব কথা তখন উদ্ভাবন করেছে, যখন রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সুন্নাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । বিদ'আত সৃষ্টির পর তারা বিভ্রান্ত হয়েছে । তোমার উচিত, সুন্নাতকে দুঢ়ভাবে ধারণ করা । কেননা, সুন্নাতের উপর আমল করলে তুমি আল্লাহর হুকুমে গুমরাহী থেকে বেঁচে যাবে ।

জেনে রাখ ! লোকেরা এমন কোন বিদ'আত সৃষ্টি করিনি, যা বাতিল হওয়ার জন্য দলীল বর্ণিত হয়নি এবং তা দেখাতে শিক্ষা হয়নি । আর সুন্নাতকে তিনি জারী করেছেন, যিনি জানতেন, এর বিরোধিতা করলে কিরূপ গুনাহ, ক্রটি-বিচ্যূতি ও আহমকী হবে ।

কাজেই তুমি সে তরীকার অনুসরণ কর, যে তরীকা অনুসরণ করেছিল পূর্ববর্তীগণ । কেননা, তাঁরা দীনের ইলম সম্পর্কে গভীর জ্ঞানী ছিলেন । আর যে কাজ করতে তাঁরা নিষেধ করেছেন, তা জেনে-শুনেই করেছেন । তারা দীনের অর্থ বুঝার ক্ষেত্রে আমাদের চাইতে অনেক ক্ষমতার অধিকারী ছিল । আর তাদের মাঝে যে যোগ্যতা ছিল, তা ছিল উন্নতমানের ।

তোমরা যে তরীকার উপর প্রতিষ্ঠিত আছ, যদি তা-ই হিদায়াত হয়, তবে তোমরা অগ্রগামী হয়ে যাবে । আর যদি তোমরা বল, যারা দীনের মধ্যে নতুন কথা সৃষ্টি করেছে ; তবে আমরা বলবোঃ আগের লোকেরাই উত্তম ছিল এবং তারা এদের চাইতে অগ্রগামী ছিল । যতটুকু বর্ণনা করার, তা তাঁরা করেছেন । আর যতটুকু বলা দরকার, তা সবই করেছেন ; এর উপরেও কিছু বলার নেই এবং নীচেও কিছু বলার নেই ।

কিছু লোক তাদের থেকে কম বর্ণনা করেছে, তারা ক্ষতি করেছে ; আর কিছু লোক তাদের চাইতে বেশী বর্ণনা করেছেন । পূর্ববর্তী আলিমগণ মধ্যপন্থী ছিলেন এবং তাঁরা সোজা-সরল রাস্তার অনুসরণকারী ছিলেন ।

(তথ্যসুত্র: সুনান আবু দাউদ, হা/৪৬১২, এই হাদীস মাকতু, সানাদ সহীহ )

বিষয়: বিবিধ

১২৫৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

333318
০৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:১৯
আবাবীল লিখেছেন : চমতকার উপদেশমালা। ভালো লোগলো, ধন্যবাদ।
০৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:২৩
275430
আবাবীল লিখেছেন : সরি, ভালো লাগলো।
০৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:৩৯
275437
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়র আবাবীল ভাই। এরকম উপদেশ আমাদের মুসলিমের জন্য খুবি জরুরী। কিন্তু আমরা কতজন তা বুঝি!!

সালাফদের অনুসরণেই রয়েছে আমাদের জন্য মুক্তি।
333331
০৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১০:১৯
ঝিঙেফুল লিখেছেন : ধন্যবাদ Praying
০৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:০৪
275460
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : জাজাকিল্লাহু খায়র। জ্ঞানের কথা সবসময় আপনাদের জন্যই কাজ করে যাবে।
333402
০৩ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৫১
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : এ ধরনের লেখা পোস্ট দিলে হাদীস নাম্বার উল্লেখ করলে ভালো হয়।
০৩ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৩
275538
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়র। ভাই পোস্টের নিচে দিয়েছি
(তথ্যসুত্র: সুনান আবু দাউদ, হা/৪৬১২, এই হাদীস মাকতু, সানাদ সহীহ )
০৩ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৫
275539
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ধন্যবাদ।
333474
০৩ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:৩৫
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : সত্যিই ইহা অনেক উঁচু মানের উপদেশ।
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
275628
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়র। মুসলিমের উপকার হবে এরকম কিছুই সদা সর্বদা খুজে ফিরি।
333518
০৪ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:৩৬
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার শেয়ার Rose
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
275629
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : জাজাকিল্লাহু খায়র। এরকম আরো খুজে পেলে দিয়েদিবো ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File