নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদীছের ত্বাহ্বক্কীক-০১
লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ১৮ জুলাই, ২০১৫, ১১:৫৪:৫৭ রাত
নাভির নিচে হাত বাঁধা সুন্নাহ!
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ الْكُوفِيِّ، عَنْ سَيَّارٍ أَبِي الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَخْذُ الأَكُفِّ عَلَى الأَكُفِّ فِي الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ
আবু হুরায়রা ও আলী (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, ছালাতে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে নাভির নিচে বাঁধা সুন্নাত। (আবু দাউদ হা/৭৫৮, ৭৫৬)
এই হাদীসের ভিত্তি রাবী আব্দুর রহমান বিন ইসহাক আল ওয়াসিতি আল কুফির উপর।
আবু দাউদ (র) এই হাদীস বর্ণনার পরে সয়ং নিজেই বলেন:
قَالَ أَبُو دَاوُدَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُضَعِّفُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ إِسْحَاقَ الْكُوفِيَّ
তথা: আমি আবুদাউদ ইমাম আহমাদকে বলতে শুনেছি তিনি এই হাদীছের রাবী আব্দুর রহমান বিন ইসহাক আল কুফীকে যঈফ বা দূর্বল বলেছেন। (আবু দাউদ হা/৭৫৮, ৭৫৬)
রাবী আব্দুর রহমান বিন ইসহাক আল কুফী সম্মন্ধ্যে রিজাল শাস্ত্রের ইমামদের মন্তব্য নিম্নরুপ:
১. আবু যুয়া’আহ রাযী (রহ) বলেছেন: তিনি শক্তিশালী নন। (আল জারাহ ওয়াত তা’দীল, ৫/২১৩)
২. আবু হাতীম রাযী (রহ) বলেছেন: তিনি হাদীছ বর্ণনার ক্ষেত্রে দূর্বল।তার হাদীছ লিখা যেতে পারে, তবে তার হাদীছ দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না। (আল জারাহ ওয়াত তাদীল, ৫/২১৩)
৩. ইবনু খুজায়মা তাকে যঈফূল হাদীছ বলেছেন। (কিতাবুত তাওহীদ, পৃ: ২২০)
৪. ইবনে মুঈন বলেছেন: তিনি দূর্বল এবং কিছু্ই নন। (তারিখে ইবনু মুঈন, রাবি নং: ১৫৫৯, ৩০৭০)
৫. আহমাদ ইবনু হাম্বাল বলেছেন: মুনকারুল হাদীছ (কিতাবুয যুয়াফ, ইমাম বুখারী রাবি নং: ২০৩, আত তারিখুল কাবীর, ৫/২৫৯)
৬. ইমাম বাযযার বলেছেন: তার বর্ণিত হাদীছ হাফেজদের বর্ণিত হাদীছদের মত নয়। (কাশফুল আসতার, রাবি নং: ৮৫৯)
৭. ইয়াকুব ইবনে সুফিয়ান তাকে যঈফ বলেছেন। (কিতাবুল মারিফাতি ওয়াত তারিখ ৩/৫৯)
৮. উকাইলি তাকে যুয়াফা কিতাবে উল্লেখ করেছেন (কিতাবুয যুয়াফা, ২/৩২২)
৯. আল ইজলি বলেছেন, তিনি যঈফ (তারিখুল ইজলী, রাবী নং: ৯৩০)
১০. ইমাম বুখারী (রহ) তাকে দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন। (আল ইলাল, ইমাম তিরিমিযি ১/২২৭)
১১. ইমাম নাসাঈ তাকে যঈফ বলেছেন। (কিতাবুয যয়াফা, নাসাঈ, রাবি নং:৩৫৮)
১২. ইবনে সা’দ তাকে যঈফুল হাদীছ বলেছেন।(তাবাকাতে ইবনে সা’দ, ৬/৩৬১)
১৩. ইবনে হিব্বান বলেছেন: এই রাবি তাদের অন্তভূক্ত যারা হাদীছ ও সনদে উল্টাপাল্টা করে এবং প্রসিদ্ধ রাবীদের থেকে মুনকার রিওয়ায়েত এককভাবে বর্ণনা করে। এই রাবীর হাদীছ দ্বারা দলীল গ্রহণ করা জায়েয নয়। (কিতাবুল মাজরুহীন, ৬/৫৪)
১৪. ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন।(সুনানে দারাকুতনী ২/১২১ হা/১৯৮২)
১৫. ইমাম বায়হাকী তাকে মাতরুক বা পরিত্যাক্ত বলেছেন। (আস সুনানুল কুবরা, ২/৩২)
১৬. ইবনে জাওযী তাকে আজ যুয়াফা ওয়াল মাতরুকীন (২/৮৯, রাবী নং: ১৮৫) বইয়ে উল্লেখ করার পর বলেছেন: মুগীরা হতে নুমান এবং নুমান হতে তিনি মুনকার হাদীছ সমূহ বর্ণনা করতেন।
১৭. ইবনু জাওযী মাওযুআত কিতাবে বলেন: আব্দুর রহমান বিন ইসহাককে মিথ্যার দোষে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
১৮. হাফেয যাহাবী বলেছেন: মুহাদ্দিছগণ তাকে যঈফ বলেছেন। (আল কাশিফ ৬/২৬৫)
১৯. ইবনে হাজার আসকালানী বলেছেন: তিনি যঈফ রাবী। (তাকরিবুত তাহযীব, রাবী নং: ৩৭৯৯)
২০. ইমাম নবাবী বলেছেন: এই হাদীছের যঈফ হওয়ার ব্যাপারে মুহাদ্দিছগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। (শরহে মুসলিম, নববী, ৪/১১৫: নাসবুর রায়া, ইমাম জায়লাঈ হানাফী, ১/৩১৪)
২১. ইবনু মুলিকিন বলেন: নিশ্চই তিনি যঈফ। (আল বাদরুল মুনীর, ৪/১৭৭)
২২. ইমাম যারকানী মুয়াত্তা ইমাম মালেকের ভাষ্য গ্রন্ধে(১/৩২১) বলেন: এই হাদীছের সানাদ যঈফ।
উপরের বিষদ আলোচনা থেকে এই কথা স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হল যে, এই রাবী জমহুর মুহাদ্দিছিনদের নকট যঈফ বা দূর্বল। এজন্যই হাফেজ ইবুন হাজার আসকালানী (রহ) বলেন: এ্ হাদীছের সানাদ যঈফ। (দিরায়া, ১/১৬৮) এবং ইমাম নববী (রহ) বলেন যে, এই হাদীছ যঈফ হওয়ার ব্যাপারে সকলেই একমত পোষণ করেছেন।(নাসবুর রায়াহ, ১/৩১৪)
এমনকি হানাফি আলেম আল্লামা নিমভী (রহ) তার আছারুস সুনান গ্রন্থে (হা/৩৩০) এই হাদীছকে যঈফ বলেছেন।
এছাড়াও এই হাদীছের সানাদের অন্য রাবী:
১. যিয়াদ বিন যায়েদ: মাজহুল বা অপরিচিত (তাকরীবুত তাহযীব, রাবী নং: ২০৭৮)
২. নামান বিন সা’দ: ইমাম ইবনু হিব্বান ব্যাতীত অন্য কে উ শক্তিশালী বলেননি। আর তার থেকে আব্দুর রহমান একাই এই হাদীছটি বর্ণনা করেছে। এজন্য হাফেজ যাহাবী (রহ) বলেন: তার দারা দলীল গ্রহন করা যাবে না।
এই হাদীছ আমল যোগ্য নয়।
বিষয়: বিবিধ
২৪৩৪ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমিরাতে অনেককে দেখছি হাতই বাঁধে না, আর আপনারা আছেন, বুক আর নাভি নিয়ে।
যারা নামায মোটেই পড়েনা, তাদেরকে নিয়ে চিন্তা ফিকির আছে তো!
ধন্যবাদ
আপনাকে জ্ঞানি হিসেবেই জানি। ত্বাহকিক এর ভুল পেলে জানাবেন। অযথা গোলমাল করার কিছু নেই।
আর আপনার যেখানে ইচ্ছা হাত বাধার বাধুন কে নিষেধ করছে!!
এখাকে (ব্লগে) অধিকাংশই জেনারেল শিক্ষিত, যারা আপনার দেওয়া রেফারেন্সগুলো কখনো তাহকীক করতে যাবে না, কিছু লোক হয়তো আপনার কথার উপর ভিত্তি করে আলেম ওলামাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে, জগড়ায় লিপ্ত হবে। সমাজের মানুষকে বিভক্ত করবে, হয়তো মারামারিও বাধবে, যা ফিৎনার অন্তর্ভুক্ত।
অথচ নামাযে হাতবাধা কোন ফরযিয়্যাত বা ওয়াজিবাত এর ম্যধ্যে পড়ে না।
এসমস্ত বিষয়গুলি আপনারা আলেম ওলামাদের সাথে বৈঠক করে একটি সিদ্ধান্তে পৌছতে পারেন, পাবলিক স্পেসে এগুলো আলোচনার কোন যুক্তি আছে বলে আমার মনে হয় না।
রাসূল (সাঃ) পাবলিক স্পেসে ঘোষনা দিয়েছেনঃ
قولوا لااله الا الله تفلحون
تعالوا الى كلمة سواء بيننا و بينكم
ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনি যদি এখানে মাসআলা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন, ফেসবুকের মত পক্ষ বিপক্ষ তৈরী হবে, (নিচের কমেন্টসগুলো তারই প্রমাণ) এদিকে "অপি বাইদানের" মত নাস্তিকরা হাসাহাসি করবে, মুমিনদের অসহায়ত্ব নিয়ে ব্লগ লিখবে।
সো ইখতেলাফী বিষয়গুলো নিজেদের মধ্যে সমাধান করাই ভালো পাবলিক স্পেসে আলোচনা না করে। বরং সবাই মিলে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইসলামের সোন্দর্য্য ও মহত্ব নিয়ে লেখােলেখিই যুক্তি যুক্ত।
আমার কথাগুলো বিবেচনায় রাখবেন, অনেক অনেক শুকরিয়া।
নিশ্চই আমাদেরকে দেখতে হবে আমরা কার কাছে দ্বীন গ্রহন করছি।
এখানে আমি মাযহাবের কোন মত বা পথ সম্মন্ধে কিছু বলিনি। আমিতো শুধু হাদিসের ত্বাহকিক দিয়েছি! কারো বিপরিতে কিছু বলিনি। বরং আপনি মাযহাব, সম্মানিত ইমাম আবু হানিফাকে টেনে এনেছেন যা আমি করিনি।
তাই, অনুরোধ যা বলছি সেখানে ভুল হলে ধরিয়েদিন কিন্তু নতুন কিছু এনে জটিল বানোর চেষ্টা করবেন না।
আর, নাস্তিক তো নাস্তিক ওজদি এত কিছু বুঝতো তাহলে কি নাস্তিক হতো? সে কি ভাববে সেজন্য কি হাদিসের ত্বাহকিক দেয়া বন্ধ করতে হবে!
মুহাদ্দিস দের সময়েও নাস্তিক ছিলো বলে আমি যানি।
জাজাকাল্লাহু খায়র।
আমরা বাঙ্গালীরাই পারি এসব।
দেশ ছেয়ে গেছে পাপে অনাচারে, আর ইনারা রাত জেগে দস্তা দস্তা কাগজ লিখেন কে নাভির নীচে হাত রাখল কিংবা উপরে এটা নিয়ে।
আমি যা করেছি তা তো রসুল (সা) এর উপর মিথ্যা অপবাদকে ঠেকানোর যা আপনি দ্বীন প্রতিষ্ঠায় করছেন।
এভাবেইতো পুর্নতা পাবে!
একটি হাদিছ ত্বাহকিক করে দেখুন বিশ্বাস না হলে!
আপনি অত্যন্ত ভদ্রভাবে উত্তর দেয়ার জন্য আসলেই আন্তরিক ধন্যবাদ।
আমার মূল কথা হল এসব নিয়ে যেন অযথাই কোন্দল না হয়।
নামাযে হাত বাধার সহি হাদিস কি?
আবু দাউদ কি সাহাবী নাকি তাবেঈ? আবু হানিফা তো তাবেঈ ছিলেন তিনি এমন হাদিসের আলোকে নামাযের মত গুরুত্ব পূর্ণ আমলের মাসায়ালা দিলেন কিভাবে? বিষয় গুলো জানা দরকার।
প্রত্যেকটা জিনিসেই খটকা। তাফসির পড়তে গিয়ে আর এক ভ্যাজাল। সূরা নাজিলের সময় কাল নিয়ে গুরুত্ব পূর্ণ সাহাবাদের বরাত দিয়ে মাক্কি মাদানি নিয়ে টানা টানি। রিয়ালি ভিভ্রান্ত হচ্ছি।
ধন্যবাদ।
হাত কোথায় বাধবেন এটি আমার পোস্টের বিষয় নয় তাই উত্তর দিবোনা ভাই।
হাদিসের ত্বাহকিক দেয়া আছে দেখে নিন।
রসুল(সা) যেখানে বেধেছে সেখানে বাধুন ভাই। তবে এই হাদিসের উপর আমল চলবে না এটাই আমার পোস্ট। আপনি জদি যানেন যে আমার ত্বাহক্কিক ভুল আছে বা উক্ত রাবির পেখ্যে দলিল আছে তাহলে সেটা দেবার অনুরোধ রইলো।
জ্ঞান গোপন করার কিছু নেই, আমি বলেছি এটি আমার পোস্টের বিষয় নয় তাই উত্তর দিবো না ও বিষয়ে।
জাজাকাল্লাহু খায়র।
আপনি ঢাকা হতে চিটাগাং যেতে পারবেন বাসে অথবা ট্রেন অথবা প্লেনে ।
এখন , কোনটাকে কি আপনি বলবেন যে এটাই সঠিক পথ ঢাকা থেকে চিটাগাং যাবার ?
আর কোন পথে তিনি (সা) গিয়েছেন সেটি জানার প্রধান বিষয় হচ্ছে হাদিসের ত্বাহকিক করা ও দেখা কোনটি সহিহ্।
এই হাদিস সহিহ্ নয় এটা নিশ্চিত, এর অর্থ একটা পথতো পেলেন যা রসুল(সা) থেকে অপ্রমানিত।
আর, মুসলিমের চরিত্র হবে ভুল পেলে সংশোধন করে নেয়া গোড়ামি করা নয়।
জাজাকাল্লাহু খায়র।
রাসুলুল্লাহ সব সময়ই এক রীতিতে স্ট্রিক্ট থাকলে এই জিনিস নিয়ে মতভেদ কম হত । মানুষ হিসেবে উনিও একই কাজ বিভিন্নভাবে করেছেন।
উনি হজরে আসওয়াদে চুমু একবারই খেয়েছিলেন । দ্বিতীয়বার খাওয়ার জন্য যান নি কারণ এটাকে হয়ত তার উন্মতেরা ম্যান্ডেটরি বা ফরযের পর্যায়ে নিয়ে যাবে ।
তেমনি ভাবে দৈনন্দিন খাবারের ব্যাপারেও উনি এক খাবারই সব সময় খান নি ।
চিটাগাং যাবার দুই পথ যদি বানের পানিতে ডুবে যায় তাহলে আপনি কি অলটারনেট নিবেন না যেটার উদাহরণ আছেই ?
রাসূল (সাঃ) এর একেক সময় একেক এবং সহী কাজকে সহজভাবে না নিয়ে কোন একটা কাজকে ম্যান্ডেটরি করার মাঝেই সৃষ্ট হয়েছে মুসলমানদের বিভাজন ।
ফরজ নিয়ে মানুষের সমস্যা হয় না , তুল কালাম বাঁধে সুন্নাহ নিয়ে ।
আপনাকে দেখতে হবে রসুল (সা) কি করেছেন। সেজন্য আপনাকে সকল পথের দলিল জানতে হবে ও কোনটি সঠিক সেদিকে চলতে হবে।
এজন্য দরকার হাদিস সমুহের ত্বাহকিক করে দেখা। একটি দলিল এখান থেকে জানলেন যা আমলযোগ্য নয়। এভাবে সবগুলো খোজ করে দেখুন।
১. ইমাম মুহাম্মাদ ইবন ইসমাইল আল-বোখারী(রহ) ছিলেন শাফী (মৃত্যু- ২৫৬ হিজরি)
২. ইমাম মুসলিম(রহ) ছিলেন শাফী (মৃত্যু- ২৬১ হিজরি)
৩. ইমাম আবু দাউদ(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ২৭৫ হিজরি)
৪. ইমাম নাসাঈ(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ৩০৩ হিজরি)
৫. ইমাম ইবন খুজাইমা(রহ) ছিলেন শাফী (মৃত্যু- ৩১১ হিজরি)
৬. ইমাম তহাবী(রহ) ছিলেন হানাফী (মৃত্যু- ৩২১ হিজরি)
৭. ইমাম আল-হাসান ইবন আলী আল-বারবাহারী(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ৩২৯ হিজরি)
৮. ইমাম তাবারানী(রহ) ছিলেন শাফী (মৃত্যু- ৩৬০ হিজরি)
৯. ইমাম বাইহাকী(রহ) ছিলেন শাফী (মৃত্যু- ৪৫৮ হিজরি)
১০. ইমাম ইবনে আকিল(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ৪৮৮ হিজরি)
১১. শেইখ আব্দুল কাদের জিলানী(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ৫৬১ হিজরি)
১২. ইমাম ইবন কুদামা(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ৬২০ হিজরি)
১৩. ইমাম মুহিউদ্দিন ইয়াহইয়া আন-নববী(রহ) ছিলেন শাফী (মৃত্যু- ৬৭৬ হিজরি)
১৪. ইমাম ইবন তাইমিয়াহ(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ৭২৮ হিজরি)
১৫. ইমাম যাহাবী(রহ) ছিলেন শাফী (মৃত্যু- ৭৪৮ হিজরি)
১৬. ইমাম ইবন কাইয়ুম(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ৭৫১ হিজরি)
১৭. ইমাম ইবন কাসীর(রহ) ছিলেন শাফী (মৃত্যু- ৭৭৪ হিজরি)
১৮. ইমাম ইবন রাজাব(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ৭৯৫ হিজরি)
১৯. হাফেজ ইবন হাজার আল-আস্কালানী(রহ) ছিলেন শাফী (মৃত্যু- ৮৫২ হিজরি)
২০. ইমাম শাখাবী(রহ) ছিলেন শাফী (মৃত্যু- ৯০২ হিজরি)
২১. ইমাম মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহাব(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দ)
এছাড়াও আমরা প্রায় সবাই যাদের সম্মান করি তাদের অনেকেই ছিলেন হাম্বলী। যেমনঃ
১. শেইখ আব্দুল আজিয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ). তিনি সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ছিলেন। তার হম্বলী হওয়ার প্রমানঃ
http://www.hanabilah.com/were-ibn-taymiyyah-ibn-qayyim-ibn-abdulwahab-ibn-baz-and-ibn-uthaymin-hanbalis/
http://www.binbaz.org.sa/mat/8225
http://islamqa.info/en/ref/23280/hanbali
২. শেইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমিন(রহ) ছিলেন হাম্বলী (মৃত্যু- ২০০১ খ্রিস্টাব্দ)
তার প্রমানঃ
http://www.hanabilah.com/were-ibn-taymiyyah-ibn-qayyim-ibn-abdulwahab-ibn-baz-and-ibn-uthaymin-hanbalis/
http://en.wikipedia.org/wiki/Muhammad_ibn_al_Uthaymeen
আমি জানি, অনেকেই হয়তো বা বলবেন যে, শেইখ বিন বায এবং ইবন উসাইমীন(রহ) এর অনেক মতামত হাম্বলী মাজহাবের বিরদ্ধে যায়, তাহলে তারা কিভাবে হাম্বলী? হ্যাঁ, আমি মানি তাদের অনেক মত হাম্বলী মাজহাবের বিরদ্ধে যায় কিন্তু আমি আগেই আলোচনা করেছি যে, নিজ ইমামের বিরদ্ধে কিছু মত গেলেই সে তার মাজহাব থেকে বহিষ্কৃত হবেন না, পূর্ববর্তী অনেক আলেমের উদাহরণ আমি ইতিপূর্বে উল্লেখ্য করেছি। এ ব্যাপারে শেইখ আব্দুল আযিয ইবন বায(রহ) কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, সেই প্রশ্ন এবং তার উত্তর আমি এখানে উল্লেখ করলাম,
[Question posted to Shaikh AbdulAzīz bin Bāz رحمه ﷲ]
س1: هل لسماحتكم مذهب فقهي خاص وما هو منهجكم في الفتوى والأدلة؟
ج1: مذهبي في الفقه هو مذهب الإمام أحمد بن حنبل رحمه الله وليس على سبيل التقليد ولكن على سبيل الاتباع في الأصول التي سار عليها، أما مسائل الخلاف فمنهجي فيها هو ترجيح ما يقتضي الدليل ترجيحه والفتوى بذلك سواء وافق ذلك مذهب الحنابلة أم خالفه، لأن الحق أحق بالاتباع، وقد قال الله عز وجل
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا
Translation:
Question: Do you Esteemed Shaikh follow a specific madh-hab and what is the methodology that you give the fatwa upon and deal with proofs?
Answer: My madh-hab in Fiqh is the madh-hab of Imām Ahmad bin Hanbal رحمه ﷲ, not on the methodology of Taqlīd rather it’s is by following him in his foundations (Usūl) in extracting rulings from fiqh which he took. As for the issues of Fiqh that have differences of opinions, my method in dealing with those is that I choose that which is substantiated with the proof, and then I give rulings based upon that which I’ve selected from that, whether or not it agrees with the opinion of the Hanbalī Madhab or goes against it, That is because the truth is more worthy of being followed, And Allah Says:
“O you who have believed, obey Allah and obey the Messenger and those in authority among you. And If you disagree over anything, refer it to Allah and the Messenger, if you should believe in Allah and the las day. That is the best way and best in result”
Reference: http://www.binbaz.org.sa/mat/8225
যদি নির্দিষ্ট কোন ইমামের অনুসরণ করা অনর্থক কাজ অথবা ভুল কাজ হয়ে থাকে তাহলে কি উপরে বর্ণীত সকল উলামাগন ভুল করেছেন? অনর্থক কাজ করেছেন? না কখনই না।
এখানে আমি বিশেষ আলেমদের কথা উল্লেখ্য করছিঃ
Shaykh al-Islam Ibn Taymiyah said:
No one has to blindly follow any particular man in all that he enjoins or forbids or recommends, apart from the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him). The Muslims should always refer their questions to the Muslim scholars, following this one sometimes and that one sometimes. If the follower decides to follow the view of an imam with regard to a particular matter which he thinks is better for his religious commitment or is more correct etc, that is permissible according to the majority of Muslim scholars, and neither Abu Haneefah, Maalik, al-Shaafa’i or Ahmad said that this was forbidden.
Majmoo’ al-Fataawa, 23/382.
Shaykh Sulaymaan ibn ‘Abd-Allaah (may Allaah have mercy on him) said:
Rather what the believer must do, if the Book of Allaah and the Sunnah of His Messenger (peace and blessings of Allaah be upon him) have reached him and he understands them with regard to any matter, is to act in accordance with them, no matter who he may be disagreeing with. This is what our Lord and our Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) have enjoined upon us, and all the scholars are unanimously agreed on that, apart from the ignorant blind followers and the hard-hearted. Such people are not scholars.
Tayseer al-‘Azeez al-Hameed, p. 546
কিন্তু এসব যদি কোন্দল ভাগ তৈরী করে তাহলে এসবে বেশী গুরুত্ব না দেওয়াই ভাল।
ঐসবে কত সময় ব্যায় করছেন?
তা না করলে কি ইসলাম পালনে গাফিলতি ও আল্লাহর নির্দেশ অমান্য হচ্ছে না?
মন্তব্য করতে লগইন করুন