মদ বা নেশা হালাল !?!?
লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ০৬ জুলাই, ২০১৫, ০৮:২১:৫৯ সকাল
প্রথমেই লেখার উদ্দেশ্য বলেনেই:
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য সম্মানিত ইমাম কে হেয় বা ছোট করার উদ্দেশ্য নয়। আমার উদ্দেশ্য, সত্য পেলে তা গ্রহণ করার মানুষিকতা সবার গড়ে তোলা। এবং ভুলকে ভুল হিসেবে স্বীকার করার মতো অন্তর প্রস্তুত করে সঠিক টিকে আকড়ে ধরার অন্তর প্রশস্ত করা।
আল হিদায়ার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায়। এই অনুবাদ করেছেন সম্মানিত মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ। হেদায়া কিতাবটি হানাফি ফিকহের একটি উজ্জল তম কিতাব হিসেবে গন্য করা হয়।
এই কিতাবের ৪/২৩৩ পৃষ্টায় আছে,
অনেক বর্ণনা দেবার পরে,
এতে এ কথা প্রতিয়মান হয় যে, ইমাম আবু হানিফা (র) এর মতে গম, যব, মধু, এবং জোয়ার দ্বারা যে মাদক দ্রব্য তৈরি করা হয়, তা হালাল। আর তার মতে যে ব্যাক্তি এ জাতীয় মাদক দ্রব্য পান করবে, তার উপর দন্ড প্রয়োগ করা হবে না, এতে নেশা সৃষ্টি হলেও।
স্কৃণ শর্ট দেখুন,
অথচ রসুল (সা) স্পষ্ট বলে দিয়েছেন,
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ "
ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছ থেকেই জেনেছি, তিনি বলেছেনঃ নেশা সৃষ্টিকারী প্রত্যেক জিনিসই মদ, আর যে কোন প্রকারের মদই হারাম।
(সহীহ আল মুসলিম, হা/৫১১৪)
স্কৃণ শর্ট দেখুন,
এছাড়াও রসুল (সা) স্পষ্ট বলেছেন কোন কোন জিনিস থেকে মদ তৈরি করা হয়,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُهَاجِرٍ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنَ الْحِنْطَةِ خَمْرًا وَمِنَ الشَّعِيرِ خَمْرًا وَمِنَ التَّمْرِ خَمْرًا وَمِنَ الزَّبِيبِ خَمْرًا وَمِنَ الْعَسَلِ خَمْرًا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
নুমান ইবন বাশীর (রাঃ) হতে বর্নিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম) বলেছেন: মদ বানানো হয় গম দিয়ে, মদ বানানো হয় যব দিয়ে, মদ বানানো হয় খেজুর দিয়ে, মদ বানানো হয় আঙ্গুর দিয়ে এবং মদ বানানো হয় মধু দিয়ে।
(তিরমিযি হা/১৮৭২ হাদীসটি হাসান এই হাদীস ইবনে মাজাহ তে হা/৩৩৭৯)
স্কৃণ শর্ট দেখুন,
এরকম স্পষ্ট হাদীস থাকার পরেও জদি কেউ এই ফাতাওয়া মানতে পারেন অথবা এই ফাতাওয়ার জন্য তর্ক করেন তাহলে সেই জনকে বলবো,
"আপনি আল্লাহ কে ভয় করুন হে মুসলিম"
আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এরকম কথা ইমাম আবু হানিফার (র) এর নয়, বরং তার নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। কেননা হেদায়াতে এই উক্তিগুলো সানাদ বিহীন ভাবে উল্লেখ করা রয়েছে।
আমাদের সবার উচিত এরকম ভুলগুলোকে সুধরানো এবং সঠিক বিষয়টি গ্রহন করা। কেননা এতের রয়েছে কল্যান।
আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৬০৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাকগে, যদি পান্তা খেয়েও মাতাল হয় তবে যেই পান্তা খেয়ে মাতাল হয়েচে সে পান্তাও মদ হিসেবে হারাম হবে কেননা রসুল (সা) স্পষ্ট বলে দিয়েছেন,
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ "
ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছ থেকেই জেনেছি, তিনি বলেছেনঃ নেশা সৃষ্টিকারী প্রত্যেক জিনিসই মদ, আর যে কোন প্রকারের মদই হারাম।
(সহীহ আল মুসলিম, হা/৫১১৪)
আর হেদায়ার পরের পৃষ্ঠায় লেখা আছে,
ইমাম আবু ইউসুফ ইমাম আবু হানিফার মতের দিকে ফিরে গেছেন।
তাই প্রান্তিক নয় এটা একটা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত। তবে কোন সুত্রে আবু ইউসুফ হতে কথাটি হেদায়াতে এসেছে তার কোন সনদ নাই তাই মনে হয় না এগুলো তাদের কথা । এগুলো বানানো কথা বলেই প্রতিয়মান হয়।
জাজাকাল্লহা
উক্তিটা দাঁড়িয়েছে কেবল, "বাবা দূরে থাকুক এমনকি রাসূলকেও(সঃ) মানা যাবে না"।হুম, এবার দেখুন এইসব out of context উদ্ধৃতি,ভিডিও প্রমাণের উদ্দেশ্য।শুধু এইটাই না,তাঁর বিরুদ্ধে এমন হাজারেও বেশি out of context উদ্ধৃতি টেনে ভণ্ড প্রমাণের প্রয়াস চলে দৈনিক।কারা করে এই মিথ্যাচার জানেন?
নাস্তিকরা?
না, খোদ মুসলিমরাই।কারণ একটাই। বাড়া ভাতে ছাই দেওয়া।জাকির নায়েক নাকি মাস'আলা নিয়ে বানোয়াট ফতোয়া দেন। মূলত তিঁনি নিজে কোন ফতোয়া দেন না। মক্কা-মদিনার আলেম-ওলামার ফতোয়াগুলোই তিঁনি দিয়ে থাকেন যদি তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। যেমন,নামাজে হাত বাঁধা, সজোরে আমিন বলা ইত্যাদি বিষয়ক ফতোয়া। মদিনার আলেমদের ফতোয়া গ্রহণের যৌক্তিক কারণ এই যে তারা সহীহ হাদিস আর কুর'আন সরাসরি অনুসরণ করেন।কিন্তু আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ অনারব ওলামাগণের মাস'লা-মাসায়েল মিল খায় না মক্কা-মদিনার সহীহ হাদিসভিত্তিক ফতোয়ার সাথে।তাই ডা.জাকিরের প্রতি যত ক্ষোভ।সেই ক্ষোভ থেকেই নানা ভাবে অপদস্থ করার চেষ্টা চালায় তাদের অনুসারী একদল ছেলেপুলে।আশা করি পাঠকগণ সাবধান হবেন মুসলিমদের বিভক্তকারী চক্রগুলো থেকে।
আপনার লেখাটা পড়ে অন্য জায়গা হইতে এই লেখাটা কপি করে দিলাম। আসলে বকধার্মিকেরা ধর্মটাকে নিজে মত বানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে রসুল (সা) এর ভর্বিষ্যত বানি হচ্ছে, একটি দল কিয়ামত পর্যন্ত হকের উপর থাকবে, বিরুদ্ধ বাদীরা তাদের কিছুই করতে পারবে না।
আমার মনেহয় ডা: জাকির হকের অনুসারী তাই তার বিরুদ্ধবাদীরা কিছুই করতে পারবে না ইনশা আল্লাহ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন