দুই বা আড়াইশত বছর পরে হাদীস সংকলন হয়েছে বলে যে ষড়যন্ত্র করা হয় তা ভিত্তিহীন।
লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ২৯ জুন, ২০১৫, ১২:৪৯:২০ দুপুর
দুই বা আড়াইশত বছর পরে হাদীস সংকলন হয়েছে বলে যে ষড়যন্ত্র করা হয় তা ভিত্তিহীন বানোয়াট:
মুসলিম জাতীর ইয়াকুত এর ভান্ডার প্রিয় নবী (সা) এর মুখনিসৃত বানী গুলোকে চক্রান্তের বেরাজালে আটকানোর জন্য একদল পাগল উঠে পরে লাগে। আসলে তাদের জ্ঞান নেই। কুয়োর ব্যাং এর মতো তারা অল্প পানিতেই সমুদ্র মনেকরে।
তারা ভুলেযায়,
রসুল (সা) যেসকল পত্র ফরমান পাঠিয়েছেন সেগুলো কিন্তু লিখিত ভান্ডারের হাদীস হিসেবে স্বীকৃত।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রা) বলেন: রসুল (সা) জীবনের শেষ দিন গুলোতে সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানোর জন্য "কিতাবুচ্ছাদাকাহ" রচনা করান। যাতে রয়েছে চতুস্পদ জন্তুর যাকাতের কিছু বিধান। (ইমাম তিরমযি তার জামে'য় আত তিরমিযিতে একথা সংকলন করেছেন সহীহ সানাদে।)
এরখম আরো অনেক সহীফা লেখা হয়েছে রসুল (সা) জীবিত অবস্থায় যেমন:
১. ছহীফায়ে আমর ইবনু হাযম (আহমাদ,আবুদাউদ, নাসায়ী,দারাকুতনী,দারিমী,হাকেম)
২. ছহীফায়ে আলী (আহমাদ)
৩. ছহীফায়ে ওয়ায়েল ইবনু হুজুর (ত্বাবরানী)
৪. ছহীফায়ে সাদ ইবুন উবাদাহ (তিরমিযি)
৫. ছহীফায়ে সামুরা ইবনু জুনদুব (হিফাজাতে হাদীস)
৬. ছহীফায়ে জাবের ইবনু আব্দিল্লাহ (মুসলিম)
৭. ছহীফায়ে আনাস ইবনু মালেক (হাকেম)
৮. ছহীফায়ে আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (ইবনু সা'দ)
৯. মুসনাদু আবু হুরায়রাহ (বুখারী)
১০. মক্কাবিজয়ের ভাষন (বুখারী)
১১. পত্রাদি ও সন্ধি সমুহ
এগুলো থেকে স্পষ্ট প্রমানিত রসুল (সা) এর যুগে হাদীস লেখার বিধান ছিলো। জীবনের শেষদিকে তিনি হাদীস লেখাতে নিষেধ করেন নাই।
আরোও অহরহ প্রমান আছে যে রসুল (সা) এর যুগে হাদীস সংকলন করা হয়েছে। রসুল (সা) হাদীসকে কোরআনের সাথে মিশাতে না করেছিলেন তবে সংকলন করতে আদেশও করেছেন। পার্থক্যটি খুবই সুক্ষ বুঝতে হবে।
এছাড়াও সাহাবী যুগে, তাবেঈ যুগে ও হাদীস লেখা হয়েছে তাবাতাবেঈ যুগেও লেখা হয়েছে আর পরবর্তীতে তো সংকলন হয়েছেই।
একটু ভেবে দেখুন! রসুল (সা) এর দুই বা আড়াইশত বছর পরে হাদীস সংকলন হয়েছে বলে যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, তা কতযে ভিত্তিহীন এবং মনগড়া, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাস্তবে হাদীসের বিরুদ্ধে এ সকল অপচেষ্টা আসল উদ্দেশ্য হল, মুসলিম সমাজকে কুরআন ও সুন্নাহের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত করে দেয়া এবং পশ্চিমাদের বেপরোয়া স্বাধীন সভ্যতাকে মুসলমানদের উপর চেপে দেয়া।
ইনশা আল্লাহ! হাদীস অস্বিকার কারীগণ এতে সফলকাম কখনই হতে পারবে না। তাদের চাল বহুত দূর্বল।
এই মুসলিম ইতিহাসের মতো হাদীসের রিজালবিদ আর পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই। রিজালশাস্ত্র মুসলিমদের জন্য একটি গর্বের বিষয় যা অন্য কোন জাতির পক্ষে আদউ সম্ভব না।
আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দিন আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন