ইসলামের ৫ম ভিত্তি কি?

লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ২৯ জুন, ২০১৫, ০৭:৩৪:৩৯ সকাল



যোহরের সালাত শেষে সবাই বসে পড়েছে। প্রত্যেকদিনের মতো তাদেরকে হাদীস শোনাতে হবে। সবাই আগ্রহ নিয়ে বসে আছে আজকে কি হাদীস শোনানো হবে।

যারা আগ্রহ নিয়ে বসে আছে তারা প্রতিনিয়ত আগ্রহ ভরে হাদীস শোনে ও চেষ্টা করে সে অনুযায়ী আমল করতে। তবে সবাই যে সহজে মেনে নেয় সেটিও কিন্তু সঠিক নয়।

হাদীস শোনানো হলো জামে'য় তিরমিজির হাদীস। যেখানে রসুল (সা) অন্যর ঘড়ে উকি দিতে নিষেধ করেছেন। কারো ঘড়ে উকি দেয়া ইসলামে নিষিদ্ধ।

রসুল (সা) বলেছেন, অনুমতির বিধানতো দৃষ্টিশক্তির জন্যই করা হয়েছে। আমাদেরকে অনুমতি নিতে হবে কারো বাড়িতে ঢোকার আগে।

হাদীসের পর্ব শেষ হলে একজন প্রশ্ন করলো "সালাত ছাড়া কি সিয়াম কবুল হবে?"

এই প্রশ্নর উত্তরের জন্য তাকে সালাতের গুরুত্ব বুঝানো খুবই জরুরি হয়ে দারালো। কেননা সালাত না পড়লে তার বাকি আমল আল্লাহর কাছে কবুল হবে এমন কোন শিওরিটি নেই।

প্রথমেই সালাতের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য ইবনে উমর (রা) এর বিখ্যাত হাদীস পড়ে শোনানো হলো।

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ ‏"

ইব্‌নে ‘উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি।

১। আল্লাহ্ ছাড়া ইলাহ্ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্‌র রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য দান।

২। সালাত কায়েম করা।

৩। যাকাত দেওয়া।

৪। হজ্জ করা এবং

৫। রমদান এর সিয়াম পালন করা।

এই হাদীসের ২য় রুকন হচ্ছে সালাত সেটাই বোঝানোর চেষ্টা ছিলো মূখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু আর এক নতুন প্রশ্ন উঠে আসলো!!!

প্রশ্ন হলো "আমরা তো জানি ১ম কালেমা তার পর ২য় সালাত তার পর ৩য় রোজা তার পর ৪র্থ হজ্জ তার পর ৫ম জাকাত আর এখানে বলা হচ্ছে রোজা ৫ নাম্বার?"

হ্যা আমাদের দেশে বই পুস্তকে এভাবেই বলা হয়েছে। ৫ম স্থানে জাকাত কে রাখা হয়েছে। তবে হাদীসের সাথে এর কোন মিল নেই। কেননা হাদীসে স্পষ্ট ভাবেই রুকন গুলো বর্ণনা করা হয়েছে।

তাদের যখন বোঝানো হলো যে হাদীসে এভাবেই আছে কেননা আরবিতে হাদীসে মতন পড়ে শোনানো হয়েছে সেখানে স্পষ্ট ভাবে ৫ম হচ্ছে রোজা বা সাওম। তার পরেও তারা একটু অস্বস্থি বোধ করছে। কেননা এরকমটি ৩০ বছর থেকে জানে আর আজ তা অন্যরখম ভাবে তাদের সামনে চলে আসছে। যা মানা খুবই কষ্ট কর। আর সবার মানার মানষিকতাও থাকে না আল্লাহর সাহায্য ছাড়া।

কথা হলো:

এই লোকগুলো হয়তো জানে না, বেশ কথা। তবে প্রকাশিত বই পুস্তকের জ্ঞানী লোকগুলো ও কি জানে না??? যে হাদীসে কিভাবে আছে???


এরা রসুল (সা) এর মুখনিসৃত বানীর ধারাবাহীকতাও রক্ষা করতে জানেন না। ধরাবাহীক ভাবে হাদীসে যেভাবে আছে তার থেকে এরা পাল্টিয়ে দিয়ে মানুষকে শেখাচ্ছে। আশ্বর্চ!! হই আবার অবাকও!! হই।

আলহামদুলিল্লাহ! অবশেষে কিছু মানুষকে রসুল (সা) এর কথার ধারাবিহকতা ও তার কথার অর্থ পরিবর্তন না করার বিষটি বুঝাতে পারা গিয়েছে। হয়তো আজকে গুটি কয়েকজন জেনেছে তবে এরাই তাদের সন্তান, পিতামাত, আত্বিয়দেরকে বিষয়টি বুঝাতে পারবে ইনশাআল্লাহ!।

আর এভাবেই একদিন সমাজথেকে জ্ঞানপাপীদের জ্ঞান উঠে গিয়ে জ্ঞানের কথার স্থান হবে ইনশা আল্লাহ!

বিষয়: বিবিধ

১৪৪৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

327904
২৯ জুন ২০১৫ সকাল ১১:০৭
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ঈমান আনার পর প্রথম কাজই হল সালাত আদায় করা। আর সুস্থ্য সবল প্রত্যেক বালেগ মুসলিমের উপর রোজা ফরজ। রোজা ৫ নং এ থাকুক আর ৩ নং এ থাকুক দুটোই ফরজে আইন। যাকাত ও হজ্জ ও অনুরূপ ফরজে আইন। এগুলি সক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত। আল্লাহ তার বিধানকে মানার তাওফিক দান করুন
২৯ জুন ২০১৫ সকাল ১১:৫০
270234
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ভাই, আপনার কথার সাথে আমিও আছি। তবে আমি যা বুঝাতে চেয়েছি তা হয়তো আপনি বোঝেন নি। আমি বোঝাতে চেয়েছি যে হাদীসে যেভাবে ধারাবাহিকতা আছে বাংলাদেশে বই লেখকরা সেভাবে ধারাবাহিকতা রক্ষা করেন নি।

একটি হাদীসে আছে রসুল (সা) বলেছিলেন নাবিউ আর সাহবা (রা) বলেছিলেন রসুলুহ তখন রসুল (সা) তাকে বলেছিলেন তুমি বলো নাবিউ। (হাদীসটির উৎস মনে নাই তবে আমার জানামতে সহীহ)

তাই হাদীসের শব্দের বা অর্থের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আমাদের জন্য জরুরী।

বাকি গুলো আপনার কথার সাথে আমি সহমত প্রকাশ করছি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File