ভুতের মুখে রাম রাম আর শাহবাগীর মুখে ইসলাম
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০২:৫০:৫৬ দুপুর
‘ভুতের মুখে রাম রাম আর শাহবাগীর মুখে ইসলাম’ বিষয়টা একই! এই কথা আগেই বলেছি! তার জলন্ত প্রমাণ ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের শুয়রকপ মাশরুফ হোসাইন জাপানে বসে বার বার দিয়ে যাচ্ছেন!
কিছুদিন আগে এই শুয়র কপের মুখে নতুন করে ইসলাম শিখলাম! ইসলামকে কটূক্তিকারী নারায়নগঞ্জের শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে নতুন করে ইসলাম শিখিয়েছেন! তিনি বাঙ্গালীদের উদ্দেশ্যে বয়ান ছাড়লেন, মক্কা বিজয়ের পর রাসূল (সঃ) সকল কাফেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। মাথামোটা বাঙ্গালীও বেশ ভালমতই সেই ওয়াজ গলাধকরন করেছে! অতিমেধাবী শুয়রকপকে বললাম, ৯ জন ব্যক্তি মতান্তরে ১৩ জন ব্যক্তিকে মক্কা বিজয়ের পর ক্ষমা করা হয় নি! তারা হলের রাসূল (সঃ) এর কটূক্তিকারীরা। এই বাক্য লেখার কারণে আমাকে জঙ্গি বলে গালি দিতেও পিছপা হলেন না! প্রয়োজনের খাতির তারা ইসলামের প্রচারক সাজ ধারণ করে। আর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে ইসলামের মূল স্তম্ভে আঘাত করে। সেই শুয়রকপ এবার কুরবানির বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন।
একটা বিষয় কি জানেন, এই সকল বলদরা গরুর প্রতি মায়াময় ষ্ট্যাটাস প্রসব করে হোটেল গিয়ে দলবেঁধে মুরগীর গ্রিল ভক্ষণ করে! কেউবা আবার চিকেন শর্মা অথবা চিকেন বিরিয়ানী নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন! কেউবা আর কেএফসি সিএফসি থেকে পেট ভরিয়ে ঘরে ফিরেন। আরে মিয়া! শুধু গরুর কষ্টটাই দেখলা মুরগীর কষ্টটা দেখলা না? এরকম অবিচার করলে কি আর চলবে? আশংকা হচ্ছে, ইমরান এইডসের নেতৃত্বে মুরগীরা শাহবাগে আন্দোলনের ডাক দিতে পারে!
আমি কোন ধর্মতত্বের দিকে যাচ্ছি না। সামাজিক চিন্তা চেতনা থেকে কিছু কথা বলছি!
কুরবানি নিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি বাংলারও প্রচন্ড চুলকানী দেখা যাচ্ছে। বিবিসি বাংলার অতি পাকনা সাংবাদিকগণ! কালীপূজার নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই! কালীর উদ্দেশ্যে যে কচি পাঠা বলি দেয়া হয় সেটাও শুনে থাকবেন হয়তো? পাঠা বলি দেয়া দেখেছেন কখনো? এক কোপে পাঠার মাথাটা আলাদা করে ফেলা হয়! পাঠা মহাদয় ভ্যা করারও টাইম পান না! কিন্তু এ নিয়ে তো কোনদিন বিবিসির পাতায় সংবাদ দেখিনি! শুধু গরুর গরুধাধিকার প্রতিষ্ঠা করলে তো হবে না, মুরগীর মুরগীধিকার এবং পাঠাদেরও পাঠাধিকারও প্রতিষ্ঠা করতে হবে! তাই না?
বৌদ্ধ ধর্মের মূল বক্তব্য অহিংসা পরম ধর্ম এবং জীবহত্যা মহাপাপ! কিন্তু এই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষরাও জীব হত্যা এবং তা দিয়ে পেট ভরান! অধিকাংশ বৌদ্ধরা বাড়িতে খিঞ্জির পালন করেন! অনেক এলাকায় এগুলোকে শূয়র নামেও চিনে থাকে! এই শূয়রকে কি করে হত্যা করা হয় জানেন? পেটের মধ্যে আস্ত চাকু ঠুকিয়ে দিয়ে তাকে প্রথমে আহত করা হয়। এরপর প্রচন্ড রক্তক্ষরনের কারণে খিঞ্জিরটি দুর্বল হতে থাকে! এভাবেই সে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঠলে পড়ে। কই এই বিষয়টা নিয়ে তো শাহবাগী কিংবা বিবিসি বাংলাকে নিউজ করতে দেখিনি।
এবার আসি মুল কথায়! বিবিসি বাংলার মাথামোটা সাংবাদিকগণ, আপনারা নিশ্চয়ই ধর্মতত্ব নিয়ে পড়াশুনা করে থাকবেন! আপনি জানেন কি, ধর্মীয় দিক থেকেই খৃষ্টানদের অন্যতম প্রিয় খাবার গরুর গোশত(!) আর ইউরোপের এত্তো বিশাল সংখ্যক খৃষ্টানদের জন্য কেএফসি প্রতিদিন কয়েকহাজার গরু জবাই করে! কই এটা নিয়ে তো আপনার রিপোর্ট দেখি না?
জাতির বিবেক নাকি সাংবাদিক! এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি, জাতির সবচেয়ে পঁচা সন্তান এই হলুদ সাংবাদিকরা! মান্যবর হলুদ সাংবাদিকগণ! আগে মুরগী এবং পাঠাদের জীবনাধিকার নিশ্চিত করুন! তারপর না হয় ইমরান এইডস এর নেতৃত্বে শাহবাগে গরুদের সমাবেশের কথা বিবেচনা করা যাবে!
শেষ কথা বলি! কিছুদিন আগে আসিফ মহিউদ্দিনের একটা পোষ্টে একজন দারুন একটা কমেন্ট করেন! যথারীতি আসিফ সাহেবও ছাগলমার্কা উত্তর দিলেন! তখন কমেন্টকারী বললেন, এই জ্ঞান নিয়ে আবার মুক্তমনা সাজো কেমন করে? আসিফ সাহেব বললেন, এই জ্ঞান আছে বলেই তো পশ্চিমারা আমাদের পিছনে হাজার হাজার ডলার ঢালে! এটাই হল মূল বিষয়! ইসলামের বিরোধীতা করতে সে জন্যই কুরবানীর বিরোধীতা করা! ইসলামকে গালি দিতে হবে সেজন্যই কল্পিত বিষয় সামনে এনে গালি দেয়া! আমরাও বুঝি! টাকা হলে যেমন বাঘেরও চোখ মিলে তেমনি টাকা হলে শাহাবাগীদের মুখেও ধর্ম
তত্বের আলোচনা আসে!
বিষয়: বিবিধ
১৬১৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গাছের ও প্রান আছে সেই জন্য উনারা কি গাছ ও খাবেন না!!
যথার্থ বলেছেন,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন