পুলিশ বাবু! আমারই টাকা খাও আবার আমাকেই মারো!
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ১৪ জুন, ২০১৬, ০৩:০১:২৮ দুপুর
ভারত উত্তর প্রদেশের দাদরি এলাকায় আখলাক হত্যা কান্ডের কথা নিশ্চয়ই আপনাদের স্মরন আছে। সেখানকার সবকিছু ছাপিয়ে উত্তর প্রদেশের পুলিশ প্রধানের বক্তব্যটাকেই আমার কাছে একমাত্র সভ্যতার অংশ বলে মনে হয়েছে। আখলাক হত্যার পর তার বাড়িতে প্রাপ্ত গোশত ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য ল্যাবে নেয়া হয়। ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা যায়, সেগুলো আসলে ছাগলের বাচ্চার গোশত ছিল। কিন্তু এরপর পুলিশ পুনরায় সেই গোশত গুলোকে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য ল্যাবে পাঠায়। এবার ল্যাবের রিপোর্টে দেখা যায় সেগুলো গরুরই গোশত। ল্যাবের এই রিপোর্ট প্রকাশিত হবার পর সেই রাজ্যের পুলিশ প্রধান বলেছিলেন, গোশত গরুরই হোক আর ছাগলেরই হোক, আখলাক মার্ডার হয়েছে এটাই সত্য! আর আমরা এটাকে স্রেফ মার্ডার মামলা হিসেবেই দেখব! সেই মামলার কতদূর অগ্রগতি হয়েছে তা জানি না, কিন্তু পুলিশ প্রধান যে গলা উচিয়ে এমন একটি কথা বলতে পেরেছেন তা দেখেই ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে নাহ! এ সমাজে এখনও কিছু সভ্য মানুষ রয়েছে।
২০১৪ সালের আজকের এই দিনে রাজধানীর পল্লবীতে বিহারি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ১০ জন মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। পত্রিকার ভাষ্যমতে শবে বরাত উপলক্ষ্যে ক্যাম্পে ব্যাপক আতশবাজি করা হয়েছিল। আর এই আতশবাজি বন্ধ করতে গেলেই সঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। তখন পুলিশ এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ একত্রিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। বাড়ি ঘরে আগুন দেয়া হয়। একুশে টিভির ক্রাইম প্রোগ্রাম ‘একুশের চোখ’ এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সে বাড়িগুলোতে আগুন দিয়ে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এই ঘটনা দেখে মনে হয়েছে ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত।
১০ টি প্রাণ যাওয়ার পরও পুলিশের আইজি, ডিএমপি এর কমিশনার কিংবা র্যাবের ডিজি এসে বলেন নি, ঘটনা যাই হোক! আমরা এগুলোকে মার্ডার হিসেবেই দেখছি! আর খুনিরা যেইহোক তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে! বাংলাদেশে আজ যেন একটি মৃত্যুপুরী! আজ সেখানে সরকার দলের সমর্থক ছাড়া আর কারোরই বেঁচে থাকবার অধিকার নেই! পুলিশদের আচার আচরন দেখলে এটলিষ্ট সেটাই মনে হয়! কিন্তু পুলিশ বাবু! তোমার ঐ বেতনে আমারও ট্যাক্সের টাকা আছে! আমার উপার্জিত টাকার একটি অংশ তোমার ভরন পোষনে চলে যায়! তাহলে তুমি কেন আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে না?
বিষয়: বিবিধ
২৪২৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন