বিজ্ঞানীদের চোখে আল্লাহপাকের অস্তিত্ব
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ১৯ মে, ২০১৬, ০১:১৭:১৯ দুপুর
পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্নটি কি, জানেন? আল্লাহপাকের অস্তিত্ব আদৌও আছে কি না! সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, শুধুমাত্র এই বিষয়টি নিয়েই পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় এখন পর্যন্ত ১৩০০ টি বই লেখা হয়েছে। আল্লাহপাকের অস্তিত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তৎকালীণ সেরা বিজ্ঞানীরা তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। সেই মতামত গুলোই আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
পদারর্থ বিজ্ঞানী রবার্ট মরিস পেজ বলেছেন, “ মহাসত্য উদ্ভাবনের জন্য জরুরী শর্তাবলীর ভিত্তিতে মহান আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে ষ্পষ্ট ধারনা লাভের চেষ্ঠা করা হলে তা শতস্ফূর্তভাবে স্পষ্ট ও প্রকট হয়ে ধরা দিবে। আল্লাহ ও মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক থাকতে পারে বা থাকা উচিত সে সম্পর্কে কেউ গবেষনা করলে সেই গবেষনার জন্য অবশ্য পালনীয় শর্ত সমূহ অতীব গুরুত্বসহকারে ও সর্বান্তকরনে পূরন করলে সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে”।
বিখ্যাত গণিত ও রসায়নবিদ, বিজ্ঞানী ক্লীভ কথরান বলেছেন, “যখন এই জগত নিজেকে নিজে সৃষ্টি করতে পারেনি। পারেনি তার পরিচালনাকারী আইন সমূহ তৈরী করতে। তখন নিশ্চয়ই এই সৃষ্টির পিছনে অযৌগ কোন প্রতিনিধি দ্বারা সম্ভব হয়েছে। একটি জড় পদার্থ যে নিজেকে নিজে চালাতে পারে না, সুতরাং নিশ্চয়ই তাকে অন্য কোন অজড় পদার্থ তৈরী করেছে। বা অজড় কোন প্রতিনিধি দ্বারা এগুলো সম্পাদিত হয়েছে। উক্ত প্রতিনিধি এই কাজ সম্পাদন করতে গিয়ে অতীব বিষ্ময়কর, অলৌকিক ব্যাপারাদি সম্পাদন করেছেন। তাতে এই প্রতিপন্ন হয় যে, এই প্রতিনিধ নিশ্চয়ই সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষার অধিকারী। সে মনীষাকে মনের প্রতীক বলা যায়”।
গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞানী ডোনাল্ড হেনরি পেটার বলেছেন, “ বিশ্ব প্রকৃতির প্রস্তূতি সম্পর্কে যে কোনো কিছুই বিবেচনা করা হোক না কেন, অথবা প্রকৃতির উৎপত্তি সম্পর্কে যে কোন পর্যালোচনাই করা হোক না কেন, একজন বৈজ্ঞানিক হিসেবে সকল বিষযে স্বকীয় প্রধান ভূমিকায় আল্লাহকে বসিয়ে আমি পরম সন্তুষ্টি লাভ করি। প্রতিটি ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ হচ্ছে মূল চরিত্র। যে সব প্রশ্নের আজও জবাব দেওয়া হয় নি, একমাত্র তিনিই জবাব”।
শরীরবৃত্তবিদ ও জীব রাসায়নিক অলটার অসকার ল্যান্ডবার্গ বলেছেন,“ প্রাকৃতিক প্রসঙ্গে যেভাবে আল্লাহকে মূর্ত করা হয়েছে, তার মাধ্যমে আল্লাহকে হৃদয়ঙ্গম করার ক্ষমতা আজো মানুষের জন্য সীমাবদ্ধ। তাই আল্লাহতেই মানুষের অস্তিত্ব। এই বিশ্বাসের এইটি আধ্যাত্নিক ভিত্তিও থাকে যা ঈমানের ভিত্তি। তাই মানুষের স্বভাবসিদ্ধ। ঈমানের ভিত্তিকে এক স্বয়ংক্রীয় আল্লাহতে বিশ্বাস করা অনেক মানুষের জীবনে ব্যক্তিগত আনন্দ ও তৃপ্তি লাভের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”।
কেমিষ্ট বিজ্ঞানী রিচার্ড থমাস ডেভিস পার্কস,‘সামান্য পানি আপনাকে গল্প বলবে’নামক বিজ্ঞান জার্নালে বলেন, “আমি অজৈব এই বিশ্বে আমার চারদিকে নিয়ম শৃঙ্খলা আর সুপরিকল্পিত পরিকল্পনাই দেখতে পাই। আমি এটা বিশ্বাস করি না যে, আকষ্কিকভাবে ও ভাগ্যক্রমে পরমানুর একত্রিত হওয়ার ফলে এগুলো সৃষ্টি হয়েছে এবং আমার চারদিকে তারা বিরাজ করছে। তার কারণ মনে করি, পরিকল্পনরা জন্য মনীষার প্রয়োজন। আর সেই মনীষাকে আমি আল্লাহ বলে অবিহিত করি”।
পদার্থ ও রসায়ন শাস্ত্রবিদ, অস্কার লিউ ব্রাউয়ার, ‘আমাদের মুখোমুখি অপরিহার্য প্রশ্ন’ নামক বইয়ে বলেন,“ সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মহান আল্লাহকে স্বীকৃতি দান এবং তার ফলে মহাবিশ্বের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হিসেবে মহান আল্লাহকে মেনে নেবার মাত্র একটি অর্থ থাকতে পারে। আর তা হলো, মানুষের প্রতি অমানুষি আচরনের পরিসমাপ্তি”।
ইরভিং উইলিয়াম নবলচ বলেন,“ আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আল্লাহকে বিশ্বাস করার কারণ হচ্ছে, আমি মনে করিনা যে সর্ব প্রথম ইলেক্ট্রন ও প্রোটন অথবা প্রথম পরমানু, এমাইনো এসিড,প্লাজমা বা সর্ব প্রথম বীজ ওকোষ তৈরীর জন্য কোন অযৌগই মুখ্য। আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি কারণ, আমার কাছে এই সকল কিছুর মূলে আল্লাহর পবিত্র অস্তিত্বই একমাত্র যুক্তিসিদ্ধ ব্যখ্যা হতে পারে”।
ইঞ্জিনিয়ার ক্লার্ক এম হাওয়ে বলেন,“ আমি যে বিষয়টিকে স্পষ্ট করে দিতে চাই তা হচ্ছে, মহাবিশ্বের পরিকল্পনাকে অবশ্যই অলৌকিক হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে, মহান আল্লাহ অলৌকিক”।
জ্যোতিবিদ ও গাণিতিক মার্লিন গ্র্যান্ট স্মিথ বলেন,“ আমার কথা হচ্ছে, আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ আছে এবং যারা তাকে অধ্যাবসায় সহকারে পাওয়ার চেষ্ঠা করেন,তিনি তাদের জন্য মহাপুরুষ্কার মহান দাতা”।
[সূত্রঃ স্রষ্ঠা ও সৃষ্টির তত্ত্ব,পৃঃ৫৯-৬৪]
অনেকেই বলে থাকেন, আল্লাহকে বিশ্বাস করার জন্য এইসব মুশরিকদের বক্তব্য আবার শুনতে হবে নাকি! যারা এই ধরনের মন্তব্য করেন তাদের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে! হয় তারা এলিয়েন গোছের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে অথবা তারা গরু গাধা টাইপের বুদ্ধিমত্তার অধিকারী।
বিষয়: বিবিধ
১৮৭৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন