নাস্তিকদের লাশ সৎকারের সবচেয়ে উত্তম পন্থা
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ০৭ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:৩৪:০৪ রাত
বাসে করে বাসায় ফিরতেছিলাম! বাসের দুই একজন ব্লগার হত্যাকান্ড নিয়ে কথাবার্তা বলা শুরু করল। এক বৃদ্ধ বললেন, কাজগুলো যেই করুক আমি কিন্তু দারুন খুশি! আরও খুশি হতাম, যদি আমিও দুই একটা কোপ দিতে পারতাম।
বাসের লোকজন সবাই বলে উঠল, আমরাও খুবই খুশি। সেই মুহূর্তে বাসে যেন খুশির জোয়ার বইতে শুরু করল। এর মধ্যে একজন বলল, তাকে কিভাবে সৎকার করা হবে? কবর দিবে নাকি পুড়ানো হবে? নাস্তিকদের আলাদা একটি প্রক্রিয়া থাকলে খুব ভালো হতো।
তখন আমি বললাম, একটা ছোট্ট ঘটনা বলি! এখান থেকে একটা আইডিয়া পেলেও পেতে পারেন। বাসের সব লোকজন এবার আমার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। বললাম, একবার এক নাস্তিক অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। মারা যাওয়ার আগে সে উইল করে গেছে, আমার কোন ধর্ম নেই।
তারপরও মুসলিমদের রীতি অনুযায়ী কবর দেবার জন্য তাকে কবর স্থানে নেওয়া হল। কবর স্থানের খাদেম বলল, সে কোন ধর্মের? উপস্থিত লোকজন বলল, তার কোন ধর্ম নেই। খাদেম সাহেব বলল, তাহলে তার এখানে কবর হবে না।
এরপর তারা লাশটাকে শ্মশানে নিয়ে গেল। শ্মশানের পুরোহিত বলল,সে কোন ধর্মের? উপস্থিত লোকজন বলল, তার কোন ধর্ম নেই। পুরোহিত বাবু বললেন, তাহলে লাশ পোড়ানো হবে না।
এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হল খৃষ্টান গির্জাতে। গির্জার ফাদারও জিজ্ঞেস করলেন, তার ধর্ম কি? উপস্থিত লোকজন আবারও বলল, তার কোন ধর্ম নেই। ফাদার বললেন, তাহলে তো ওকে খৃষ্টানরীতি অনুসারে কবর দেওয়া যাবে না।
এবার উপস্থিত লোকজন পড়লেন বিপাকে। এরপর তারা কবরের খাদেম, শ্মশানের পুরোহিত এবং গির্জার ফাদারকে একত্রিত করলেন এবং লাশটিকে সৎকারের পরামর্শ চাইলেন। এবার তিনজন মিলে বুদ্ধি করে বললেন, তার যেহেতু কোন ধর্ম নেই অতএব তাকে কোন ধর্মের রীতি অনুসারে সৎকার করা যাবে না। তবে একটা বুদ্ধি আছে!
তোমরা মরা নাস্তিকের পিছনে আক্কিওয়ালা বাঁশ ঢুকিয়ে দাঁড় করাই দাও! এটাই হলো নাস্তিকদের সৎকারের সবচেয়ে উত্তম পন্থা।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একথা বলার মত খাদেম এখন দুষ্প্রাপ্য!!
তাই এদের লাশকে সাগরে ফেলে দেওয়া যেতে পারে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন