ডারউইন এর ফালতু বিবর্তনবাদ এবং কয়েকটি প্রশ্ন!
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:২০:৫৩ দুপুর
আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি। সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল। সাইন্স এর সাবজেক্টগুলোর মধ্যে জীববিজ্ঞানটা আমার প্রিয় সাবজেক্ট ছিল। মজার বিষয় হলো, ক্লাসের সবাই যখন জীববিজ্ঞান নিয়ে টেনশনে অস্থির তখন সেটা আমার কাছে সবচেয়ে সহজ আর মজাদার লাগত। আর জীববিজ্ঞান ভালো পারার কারণে স্যারের সঙেও একটা ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাদের স্যারের নাম ছিল দিলিপ।
একদিন ক্লাস নিতে গিয়ে স্যার বললেন, তোমরা কি জানো আমরা একসময় বানর ছিলাম(!) ক্লাসের সবাইতো হতবাক। স্যার বললেন, বিশ্বাস না হলে পিছনে হাত দিয়ে দেখো! ঐখানে এক সময় আমাদেরও লেজ ছিল। কিন্তু গাছের ডালে ঘষা লাগতে লাগতে আমাদের লেজ ক্ষয় হয়ে গেছে। তারপরেই আমরা লেজ বিহীন বানর অর্থাৎ মানুষ হয়ে গেছি। আর বানরের চেহারা দেখলেই তো, বোঝা যায় আমাদের সঙে ওদের কত্তো মিল! তখন আমি দাঁড়িয়ে বললাম, স্যার! পাবদা মাছ আর বোয়াল মাছ দেখতে তো প্রায় একই রকম! তাহলে কি পাবদা মাছ বোয়াল মাছের আদি পুরুষ? গজাল মাছ, টাকি মাছ, মৌল মাছের মধ্যে মিল আছে, তাহলে কি এগুলো একটি আর একটির আদি পুরুষ? স্যার জবাবে বললেন, না এরা কোনটাই কারও আদি পুরুষ নয়।
তারপরে বললাম, আর বাংলাদেশের প্রায় জেলায় একটি করে চিড়িয়াখানা আছে! সেখানে তো হাজার হাজার বানর প্রতিনিয়ত ঝুলতেছে। গাছের ডালে ঘষা লেগে লেগে তাদের লেজও ক্ষয় হচ্ছে। কিন্তু আজ অবধিতো কেউ বলতেদ পারলো না তাদের মধ্যে কেউ মানুষ হয়ে গেছে! সুন্দরবনে হাজার হাজার বানর আছে! কোন পত্রিকায় তো আজ অবধি দেখলাম না, কোন বানর মানুষ হয়ে জঙল থেকে লোকালয়ে চলে এসেছে?
এবার আসি মূল আলোচনায়, বিবর্তনবাদ তত্ত্ব অনুসারে পৃথিবীতে সমস্ত জীবজগতের আবির্ভাব হয়েছে একটি সরল এককোষী জীব থেকে – যা “সাধারণ পূর্বপুরুষ” নামে পরিচিত। আর এই এককোষী ব্যাক্টেরিয়ার মতো জীবের আবির্ভাব নাকি হয়েছিল কেমিক্যাল বিবর্তন প্রক্রিয়ায়। প্রাকৃতিক নির্বাচনের (যেখানে যারা যোগ্য তারা পরিবেশে উদ্দেশ্যহীনভাবে টিকে থাকে; অন্যদিকে দুর্বল বা অনুপোযুক্তদের বিলুপ্তি হয়) মাধ্যমে কালের প্রক্রিয়ায় (মিলিয়ন বছর টাইম স্কেলে) উদ্দেশ্যহীন ও দৈবক্রমে অজৈব পদার্থ থেকে জীবের মৌলিক উপাদান- ডিএনএ ও প্রোটিন তৈরী হয়। তারপর এগুলো মিলিয়ন-মিলিয়ন বছর ধরে ট্রায়াল-এন্ড-এরর (Trial and error) প্রক্রিয়ায় কোনক্রমে হঠাৎ করে জোড়া-তালি লেগে হয়ে যায় এককোষী ব্যাক্টেরিয়ার মতো জীব বা আমাদের আদি-পিতা!
সেই এককোষী জীব থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে উদ্দেশ্যহীনভাবে ও দৈবক্রমে অপরিকল্পিত মিউটেশনের (জীনগত পরিবর্তন) মাধ্যমে ধাপে ধাপে তৈরী হয়েছে পৃথিবীর সমস্ত প্রজাতি। ডারউইনের সময়ে বিজ্ঞানের অগ্রগতি আজকের মতো ছিল না। সে সময় জীবকোষকে অত্যন্ত সরল মনে করা হতো – ডিএনএ আবিষ্কার তো দূরের কথা। তাই বিজ্ঞানী হিসেবে তার তত্ত্বের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হিসেবে ডারউইন বলে গেছেন যে তার তত্ত্ব প্রমাণের জন্য জীব সৃষ্টির পর্যায়ক্রমিক ধাপ বা ট্র্যানজিশনাল স্পিসিজ দেখাতে হবে। প্রায় ১৬০ বছর ধরে এই স্বপ্নের ট্র্যানজিশনাল স্পিসিজের ফসিল সন্ধানে পৃথিবীর যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কল্পিত “ট্র্যানজিশনাল স্পিসিজ” বা “মিসিং লিঙ্ক” এর টিকিটিরও সন্ধান পাওয়া যায়নি। যুক্তিবাদের খ্যাতিরে বলা যায় এদের সংখ্যা পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রজাতির সংখ্যা থেকে অনেক অনেক গুণ বেশী থাকার কথা। আর তাই বর্তমানে বিবর্তনবাদীরা ফসিল আলোচনা থেকে বিরত থাকতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। আর ব্যাখ্যা হিসেবে দেখায় নিও-ডারউইনিজমকে – বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে জেনেটিক সিকোয়েন্সের মিলের সামঞ্জস্যতাকে (genetic relatedness or homology)।
কিন্তু মিডলিকি নামের এক জীবাশ্মবিদ তার দীর্ঘ গবেষণায় প্রমাণ করেছে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতির উদ্ভব সম্ভব নয়। ২০০০ সালে হোমো হ্যাবিলিস (মেরুদণ্ডের উপর সোজা দাঁড়াতে অক্ষম) প্রজাতির একটি চোয়াল এবং হোমে ইরেকটাস (মেরুদণ্ডের উপর সোজা দাঁড়াতে সক্ষম) প্রজাতির একটি সম্পূর্ণ খুলির উপর এই গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণায় এই তত্ত্ব বেরিয়ে আসে যে, হোমে হ্যাবিলিস ও হোমে ইরেকটাস উভয় প্রজাতির বানর ১৫ লাখ বৎসর পূর্বে আফ্রিকায় একই সময় বিচরণ করেছে এবং এদের আয়ু ছিল ৫ লাখ বৎসর। প্রাচীন এই প্রজাতি দু’টি একই সময় বসবাস করলেও একে অন্যকে এড়িয়ে চলতো। কারণ হোমো হ্যাবিলিস ছিল নিরামিষাশী (তৃণভোজী) আর হোমে ইরিকটাস ছিল গোশত ভোজী। তাহলে এটা প্রমাণিত হয় যে, ডারউইনবাদে বর্ণিত হোমো হ্যাবিলিস থেকে হোমো ইরিকটাসের প্রবর্তনের তত্ত্বটি ছিল ভুল। ডারউইনের মতবাদে বলা হয়েছিল যে, হোমো হ্যাবিলিস থেকে হোমো ইরিকটাসের প্রবর্তন হয় এবং হোমো ইরিকটাস থেকে হোমো স্যাপিয়ান্স (মানুষ) প্রবর্তিত হয়। এই গবেষণায় সে মতবাদ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ হোমো হ্যাবিলিস (বানর) এবং হোমো ইরিকটাস (সিমপ্যাঞ্জি) একই সময় পৃথিবীতে বিচরণ করে থাকলে কি করে একে অন্য থেকে প্রবর্তিত হতে পারে।
এবার একটা মজার বিষয় বলি! বিবর্তনবাদ এর ইনপুট এ একটি কালো শিম্পাঞ্জি পরবর্তিতে আউটপুটে গিয়ে একটি সাদা মানুষে পরিনত হচ্ছে! কৃঞাজ্ঞ থেকে সরাসরি শেতাঙ্গ তে পরিনত হয়ে যাচ্ছে।
জগাখিচুড়ি মার্কা বিবর্তনবাদের এমন মহৎ কর্ম দেখে আমি সত্যিই পুলকিত। পৃথিবীতে তাহলে বর্ণবাদ তো কবেই বিলুপ্ত হয়ে যেত! নেলসন ম্যান্ডেলাকে আর কষ্ট করে আন্দোলন কিংবা কারাবরণ করতে হতো না।
আবার কতক গর্ধব আছেন, যারা বলে থাকেন পৃথিবীর আদি মানব আদম ও হাওয়া বিবর্তনবাদ থেকে এসেছেন। এসকল মূর্খকে বলি শ্রীলংকা গিয়ে একবার দেখে আসুন! আদি মানবের যে পদচিন্ত পৃথিবীতে প্রথম পড়েছিল তা তিন আঙুলের ছিল নাকি পাঁচ আঙুলের।
মানুষের সৃষ্টি সম্পর্কে আল্লাহপাক বলেছেন, "হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।" (সুরা আল-হুজজাত ৪৯: ১৩)
এছাড়া আদম (আঃ)-কে মাটি থেকে সরাসরি তৈরীর কথাই পাওয়া যায়, কিন্তু কোন চক্রের কথা পাওয়া যায় নাঃ
"নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মতো। তাকে মাটি দিয়ে তৈরী করেছিলেন এবং তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলেন।" (সুরা আল ইমরান, ৩:৫৯)
আরেকটি সম্পর্কযুক্ত আয়াতঃ
"হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয় জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।" (সুরা নিসা, ৪:১)
যাহোক, সচেতন ও যুক্তিবাদী পাঠকদেরকে সাক্ষি রেখে বিবর্তনবাদী মোল্লাদের প্রতি কিছু প্রশ্ন রাখা হলো–
১। চার্লস ডারউইন ও রিচার্ড ডকিন্স কিছু বলা মানেই সেটি সত্য হয়ে যায় কিনা? উত্তর যদি ‘না’ হয় তাহলে তারা ডারউইন-ডকিন্সের বই থেকে কিছু ভুল-ভ্রান্তি ও অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা বের করে দেখিয়ে দিতে পারবেন কিনা? আর উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তাহলে তারা ডারউইন-ডকিন্সকে নবী বা দেবতা হিসেবে আর তাদের লিখিত বইগুলোকে ধর্মগ্রন্থের মতো করে বিশ্বাস করেন কিনা?
২। বিবর্তনবাদীদের দাবি অনুযায়ী যে অণুজীব থেকে তাদের বিবর্তন শুরু হয়েছিল সেই অণুজীবের বাহ্যিক আকার-আকৃতি ও ভেতরের গঠনপ্রণালী কেমন ছিল? মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণীদের দেহে যে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আছে, প্রথম অণুজীবেও কি একই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিল নাকি কম ছিল? যদি কম থাকে তাহলে অবশিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো কোথা থেকে ও কীভাবে প্রাণীদের দেহে [ধীরে ধীরে?] সংযোজিত হলো?
৩। প্রথম অণুজীবকে বিবর্তনবাদীরা স্বচক্ষে দেখেছেন কিনা? কিংবা নিদেনপক্ষে প্রথম অণুজীবের কোন জীবাশ্ম আছে কিনা? সেই অণুজীব থেকে ‘এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন’ এর মাধ্যমে কবে, কোথায়, কেন, কতদিনে, ও কীভাবে [ধাপে ধাপে?] দ্বিতীয় জীব বিবর্তিত হয়েছিল? প্রথম ও দ্বিতীয় জীবের মধ্যে কী পার্থক্য ছিল? দ্বিতীয় জীব দেখতে কেমন ছিল? সেটির কোন জীবাশ্ম আছে কিনা? দ্বিতীয় জীব বিবর্তিত হওয়ার পর প্রথম অণুজীব বেঁচে ছিল নাকি মারা গিয়েছিল? একটিমাত্র অণুজীবের ক্ষেত্রে ‘প্রাকৃতিক নির্বাচন’-ই বা কী করে হয়েছিল! দ্বিতীয় জীব থেকে কীভাবে বংশবৃদ্ধি হয়েছিল?
৪। সরীসৃপ থেকে যখন পাখির বিবর্তন শুরু হয়েছিল ঠিক সেই সময় এই পৃথিবীতে একটি নাকি অনেক সরীসৃপ ছিল? একটি হলে সেটি কী ছিল? অনেক হলে ঠিক কোন্ সরীসৃপ থেকে বিবর্তন শুরু হয়েছিল এবং কেন? সরীসৃপ থেকে কতগুলো ধাপ অতিক্রম করার পর পাখি হয়ে আকাশে উড়তে শিখেছিল? সেটি কোন্ পাখি ছিল? সরীসৃপ ও পাখির মধ্যবর্তী ধাপগুলো কেমন ছিল? তারপর স্তন্যপায়ী বাদুড় সহ অসংখ্য প্রকারের পাখি কোথা থেকে ও কীভাবে বিবর্তিত হলো?
৫। বিবর্তন তত্ত্ব সত্য হলে অ-স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণী বিবর্তিত হতে হবে কিনা? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তাহলে ঠিক কোন অ-স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে বিবর্তন শুরু হয়ে ধাপে ধাপে কোন্ স্তন্যপায়ী প্রাণী বিবর্তিত হয়েছিল? একটি অ-স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে বিবর্তন শুরু হয়ে কতগুলো ধাপ অতিক্রম করার পর একটি পূর্ণাঙ্গ স্তন্যপায়ী প্রাণী হয়েছিল? স্তন্যপায়ী ও অ-স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যবর্তী ধাপগুলো কেমন ছিল?
৬। যে কোন ফলের গাছ – ধরা যাক ডালিম কিংবা আম গাছ – এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে কীভাবে ও কোন গাছ থেকে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়েছে? মধ্যবর্তী ধাপগুলো কেমন ছিল?
৭। এমন কোন লেজওয়ালা প্রজাতি কখনো ছিল কিনা যাদের লেজ বিবর্তনের ধারায় ধাপে ধাপে ছোট হয়ে এক সময় লেজবিহীন প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে? কিংবা এমন কোন লেজবিহীন প্রজাতি কখনো ছিল কিনা যাদের দেহে ধাপে ধাপে লেজ গজিয়ে এক সময় লেজওয়ালা প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে? বিবর্তনবাদীরা তো নিজেদেরকে লেজওয়ালা প্রজাতির ‘লেজবিহীন উত্তরসূরী’ হিসেবে বিশ্বাস করেন। তো তারা কি পরীক্ষা করে দেখাতে পারবেন যে এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পেছন দিকে ধাপে ধাপে লেজ গজিয়ে তারা ভিন্ন প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে বা হতে যাচ্ছে! শিংবিহীন ও শিংওয়ালা প্রজাতির ক্ষেত্রেও এমন কোন প্রমাণ আছে কিনা কিংবা পরীক্ষা করে দেখানো সম্ভব কিনা?
৮। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু সহ দু-জন সামর্থ্যবান নারী-পুরুষ [মানুষ অথবা পশু-পাখি] এর মিলনেই কেবল প্রাকৃতিকভাবে সন্তান তথা বংশবৃদ্ধি হয়। এই অবস্থায় শুক্রাণু-ডিম্বাণু সহ পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ কী করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হয়েছে ও বংশবৃদ্ধি করেছে? শুক্রাণু ও ডিম্বাণু কীভাবে ধাপে ধাপে বিবর্তিত হওয়া সম্ভব? বিবর্তনবাদী মোল্লাদেরকে খুব বেশি চাপে না ফেলার জন্য অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কথা না হয় আপাতত বাদ রাখা হলো!
৯। “দু-জন সামর্থ্যবান নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে বংশবৃদ্ধি হতে হতে আজ প্রায় সাত বিলিয়ন মানুষে এসে ঠেকেছে” আর “ব্যাকটেরিয়া-সদৃশ একটি অণুজীব থেকে শুরু করে বিবর্তিত হতে হতে হাতি-ঘোড়া-তিমি-তালগাছ-বিবর্তনবাদী’রা সহ পুরো উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগত বিবর্তিত হয়েছে” — এই দুই বক্তব্যের মধ্যে কোন একটিকে যদি মিথ বা কল্পকাহিনী বলতে হয় তাহলে কোনটিকে বলা যাবে? বিবর্তনবাদী মোল্লারা এ পর্যন্ত কোনটিকে মিথ বলে প্রচার করেছেন এবং কেন?
১০। উপরের প্রশ্নগুলো যৌক্তিক কিনা! যদি যৌক্তিক হয় তাহলে বিবর্তনবাদী মোল্লারা এই ধরণের প্রশ্ন করেন না কেন! তারা কি আরো প্রশ্ন দেখতে চান নাকি এগুলোরই জবাব আগে দিতে ইচ্ছুক! আশা করি প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন না করে, উল্লেখিত প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়ে যাবেন!
বিষয়: বিবিধ
২৫৯৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন