মাহবুবার পরকীয়া এবং কিছু কথা...................

লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৩:১৭:৪৬ দুপুর

ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ কম্লিট করে বিদেশ যাওয়ার কথা ভাবছে! কিন্তু সমস্যা একটাই সে বিদেশ চলে গেলে তার প্রেমিকা মাহবুবা কে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিতে পারে। তার প্রেমিকা মাহবুবা আবার তার আপন মামাতো বোন। তাদের সম্পর্কের কথাটি তেমন কেউ জানে না। আর কাউকে জানাতেও পারছে না। এদিকে ইব্রাহিমের সব কাগজ পত্র রেডি হয়ে গেছে। তিন মাস পরেই তাকে অষ্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়তে হবে। এমতাবস্থায় ইব্রাহিম ও মাহবুবা সিদ্ধান্ত নিল তারা নিজেরাই বিয়ে করে ফেলবে। তারপর ইব্রাহিম তার বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে বিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করে ফেলল। এরপর ইব্রাহিমও বিদেশ চলে গেল। কিন্তু ইব্রাহিম বিদেশ চলে যাওয়ার পরই মাহবুবাকে পরিবার থেকে বিয়ে দেয়ার কথা উঠল! তখন ইব্রাহিম পরিবারকে জানিয়ে দিল যে, তারা বিয়ে করে ফেলেছে। প্রথমব্স্থায় কিছুটা ঝামেলা তৈরী হলেও পরবর্তিতে দুই পরিবার বিয়েটাকে মেনে নেয়। এরপর মাহবুবা শ্বশুর বাড়িতে থাকা শুরু করে।

ইব্রাহিম পার্ট টাইম চাকরি করে যে টাকা পেতো সেটা তার আব্বার নামেই পাঠাতো। কিন্তু এটা মাহবুবার পছন্দ নয়। সে এই বিষয়টা নিয়ে বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি করা শুরু করল। শেষ পর্যন্ত অশান্তি যেন না হয় তাই ইব্রাহিম মাহবুবার নামে টাকা পাঠানো শুরু করল। আর মাহবুবা মাসের শেষে ডাচ বাংলা ব্যাংকে গিয়ে টাকা উত্তোলন করতো। এভাবে প্রেতিমাসে ব্যাংকে যাতায়াত করতে করতে ব্যাংকের একাউন্টেন্ড এর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে! তারপর সেই বন্ধুত্বের সম্পর্কটি ভালো লাগা এবং ভালোবাসার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এক কথায় যাকে বলে পরকীয়া প্রেম। এদিকে মাহবুবার আচার আচরন তার শ্বশুর শাশুড়ির মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। তারা কোন কথা জিজ্ঞেস করলেই ঝগড়া লেগে যেতো। হঠাৎ একদিন মাহবুবা উধাও। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক সপ্তাহ পর মাহবুবা সেই ব্যাংকের একাউন্টেন্ড কে বিয়ে করে বাড়ি ফিরে আসে। মাহবুবার বাবা নিজেও একজন লোভী মানুষ। এদিকে ইব্রাহিমের সব টাকাও মাহবুবার হাতে আবার নতুন একাউন্টেড জামাই পেয়ে মাহবুবার বাবা বেজায় খুশি! ইব্রাহিমের পরিবার সালিশ বসানোর চেষ্ঠা করলেও মাহবুবার পরিবার সেটাকে ভূলন্ঠিত করে দেয়। সেই মাহবুবা আজ দুই সন্তানের জননী হলেও তার ঘরে সুখ নেই। তার সেই একাউন্টেন্ড স্বামী তাকে বিশ্বাস করতে পারে না। কারণ যে একবার পরকীয়া করে বিয়ে করতে পারে সে অনেকবারই পরকীয়া করতে পারবে! বিয়ে করতে পারবে এবং ঘর সংসার ও সন্তানেরও জন্ম দিতে পারবে।

আজকে রাশেদ খান মেনন,হাসানুল হক ইনু, বেগম মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে সরকারের পরকীয়া সম্পর্ক চলছে। কারণ ৯০ সালের আগ পর্যন্ত এরা সকলেই ছিল আওয়ামিলীগের ঘোর বিরোধী! বেগম মতিয়া চৌধুরী যেখানে বলেছিলেন, “ শেখ মুজিবের চামড়া ছিলে ডুগুডগি বাজাবো ” সেখানে আর তাদের বিরোধীতার মাত্রাটা নতুন করে বলার প্রয়োজন রাখে না। আজ এদের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে প্রধান মন্ত্রী ভুলে গেলেন তার অতীতকে। যারা আওয়ামিলীগকে প্রতিষ্ঠা করেছেন, সন্তানের মত লালন করেছেন সেই সব নেতাদের প্রধানমন্ত্রী ভুলে গিয়ে উল্লেখ্য ব্যক্তিদের সাথে পরকীয়ায় মজেছেন। যার প্রমাণ সিলেটের প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সুলতান মনসুর তার ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে দিয়েছেন। সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেটের বিশিষ্ট রাজনীতিক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।

বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক হওয়ালে এক স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যর প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা।

তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় সিলেটের অনেক কৃতি সন্তানের নামোচ্চারণ করলেও মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনী ওসমানী, উপ প্রধান জেনারেল এম এ রব, সাবেক স্পিকার হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম.এস কিবরিয়া, সিলেট অঞ্চলে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাণপুরুষ দেওয়ান ফরিদ গাজীসহ অনেকের নাম মুখে তুলেননি। এমনকি সিলেটের উন্নয়নের অন্যতম রূপকার বিএনপি নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের নাম উল্লেখ না করায় প্রধানমন্ত্রীর উদারতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন সুলতান মহোম্মদ মনসুর।

তাজাখবরের পাঠাকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো:

‘‘সিলেটের ঐতিহাসিক আলেয়া মাঠে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ বক্তব্যে বাঙালির মুক্তি আন্দোলন, দলগঠন ও মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পুণ্যভূমি সিলেটের সন্তান হিসেবে যারা ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনী ওসমানী, উপ প্রধান জেনারেল এম এ রব, সাবেক স্পিকার হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম.এস কিবরিয়া, সিলেট অঞ্চলে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাণপুরুষ দেওয়ান ফরিদ গাজীসহ জাতীয় নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ না করায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করছি। এমনকি একজন সরকার প্রধান হিসাবে বৃহত্তর সিলেটের উন্নয়নের অন্যতম রূপকার এম. সাইফুর রহমানের নাম উল্লেখ করলে কোনো বিশেষ ক্ষতি হয়ে যেতো না। বলাবাহুল্য মাদরাসা মাঠ থেকে জাতীয় নেতৃত্ব হিসাবে আওয়ামী লীগের মঞ্চ থেকে যাদেরকে দিয়ে বক্তব্য দেওয়ানো হয়েছে যথাক্রমে এম এ মুহিত, বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ও আব্দুল মান্নান, এরা কেউই ৯০ সালের আগে আওয়ামীলীগ করেননি। এদের সবাই ৯০ সালের স্বৈরাচার পতনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ভুমিকা রেখেছেন। এবং ৭৫ পরবর্তী ভিবিন্ন সরকারের আমলে সুবিধা নিয়েছেন। পরবর্তীতে ৪-৫ দল পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় লগ্নে আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে আজকের ভোটারবিহীন সরকারের সুবিধা ভোগ করছেন। সত্যিকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুণ্যভূমির সর্বস্তরের জনগণকে আগামী দিনে সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সুবিধাবাদিদের বিরুদ্ধে সজাগ ও ঐক্যবধ্য হওয়ার আহবান জানাই। জয় বাংলা... জয় বঙ্গবন্ধু... জয় হউক বাংলার জনগণের”

একটি পরকীয়া সম্পর্কের শেষ ফলাফল কি হয় তা উপরে বর্ণিত ঘটনা থেকে এবং সমাজে ঘটমান অজস্র পরকীয়া দেখলেই বোঝা যায়! অতএব আমাদের সরকার প্রধান এবং বাম মন্ত্রীদের মধ্যে চলমান পরকীয়ার শেষ ফলাফলও সেরকই কিছু একটা হবে তা নিশ্চিত করে বলা যায়! এখন শুধু দেখার অপেক্ষায়.......

বিষয়: বিবিধ

৩০৩৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

357649
২৫ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:০৯
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ
২৬ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:১১
296836
শাহমুন নাকীব ফারাবী লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
357718
২৬ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:৩০
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : অবৈধ কিছু কোনদিন সুখ দিতে পারেনা। আমরাও দেখার আশায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
২৬ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:১১
296837
শাহমুন নাকীব ফারাবী লিখেছেন : অপেক্ষমান পুরো জাতি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File