প্রথম আলো আর শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে দু’টি কথা......
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ০৩ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:৩৫:০৮ সকাল
যারা সি,এন,এন আর ফক্স টিভিকে ইসলামের শত্রু বলে গালমন্দ করেন,তাদেরকে বলছি।সি,এন,এন আর ফক্স টিভি তো অনেক বড় শত্রুদের তৈরী করা ফাঁদ যাদের টার্গেট সারা বিশ্বের মানুষকে কৌশলে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধোঁকা দেয়া। ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ শুধু সেন্ট্রাল থেকেই পরিচালিত হচ্ছে না,বরং প্রত্যেকটা দেশে রয়েছে তাদের আঞ্চলিক কলাবেরটর। এই সেন্ট্রাল শত্রুদের বিরুদ্ধে একজন বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে আপনার পক্ষে লড়াই করা অনেক কঠিন কাজ, কিন্তু তাদের আঞ্চলিক শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করা মোটেই কঠিন কাজ নয়। শুধু একটু চোখ খুলুন, হাতের নাগালের কাছেই পেয়ে যাবেন সেই শত্রুদের আঞ্চলিক মুখপাত্রদেরকে। পৃথিবীর সকল দেশেই আমেরিকা ও ইসরাইল তাদের মুখপাত্র বা আঞ্চলিক সহয়তাকারীকে বেছে নিয়েছে সমাজের সেই সমস্থ ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়াকে যারা সমাজের রন্ধ্রে প্রবেশ করতে পেরেছে এবং সমাজকে (বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে) দারুনভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই সমস্ত ব্যক্তিবর্গ মেধাবী,বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী শিক্ষক, সাংবাদিক, কলাম লেখক ও বিশিস্ট বুদ্ধিজীবী টাইপের।
আর মিডিয়াগুলো সমাজে সমাজ সেবামূলক কাজে মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের আবেগের খোরাক দিয়ে তাদেরকে প্রভাবিত করার
শক্তি অর্জন করেছে।বাংলাদেশে ইসলামের এই শত্রুদের যে আঞ্চলিক মুখপাত্র মিডিয়া রয়েছে তার নাম প্রথম আলো।
ভাবছেন আমি কিভাবে এতো ইনফরমেশন জানলাম?
আপনাকে বলি আমি একজন ডাবল স্ট্যান্ড করা মেধাবী ছাত্র,বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ইসলামী প্রতিষ্ঠান সহ পশ্চিমা বিশ্বের খ্যাতি সম্পন্ন বিশ্ব-বিদ্যালয়ে স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষা করেছি।আমি-ও হতে পারতাম ওই মুনাফিকদের মতো যারা দুনিয়ার সামান্য অর্থের বিনিময়ে আখিরাতকে বিক্রি করছে, নিজের ধর্মের সাথে বেইমানী করে ইসলামের শত্রুদেরকে সহযোগিতা করছে।
আমি আপনাকে ১০০% কনফার্ম হয়েই বলছি,বাংলাদেশে ইসরাইলের মুখপাত্র হয়ে কাজ করছে যে পত্রিকাটি তার নাম
প্রথম আলো। আর বাংলাদেশ আঞ্চলিক জোনের প্রধান মুখপাত্র হচ্ছে শাহরিয়ার কবির। আমার কথা লিখে রাখুন, আর একটু ইনভেস্টিগেশন করুন, পেয়ে যাবেন তথ্য। শুধু এতটুকু লক্ষণ দিলাম শাহারিয়ার কবির ভারতের পাসপোর্ট ব্যবহার করে ইসরাইল যাওয়ার পথে ধরা পড়েছিলো গত বি,এন,পি-জামায়াত সরকার ক্ষমতা থাকা কালে। তখনই অনেকে বলেছিলো এই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে তাকে ফাঁসি দেয়া হোক,
কিন্তু জামায়াতের লিডারগণ বিষধরসাপকে দয়া দেখায়ে বলেছিলেন তাকে আরেকবার ভালো হওয়ার সুযোগ দেয়া হোক। সেই ভুলের মাশুল আজকে বাংলার মুসলমানদের দিতে হচ্ছে।দয়াবান হওয়া ভালো, কিন্তু রাসূলুল্লাহর চেয়ে বেশি দয়াবান হতে গেলে সমস্যা। রাসূল (স) যেমন দয়ার উদাহরণ দেখিয়েছেন,তেমনি অবস্থাভেদে সবচেয়ে নির্দয়তার-ও পরিচয় দিয়েছেন। বনু কায়নুকা ইহুদি সম্প্রদায়কে একদম কচুকাটা করার রায় গ্রহণ করেছেন।যেমনি মক্কা বিজয়ে সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোসনা করেছেন,তেমনি ব্যতিক্রম ৬ জনকে ক্ষমা করেন নি। রাসূল (স) যেমন তার শত্রুকে দয়া দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন, তেমনি ইহুদি কবি কা'ব ইবনে আশরাফ, আবু রফা দেরকে গুপ্ত হত্যা করেছেন। যেমনি তিনি মানুষের প্রতি নির্দয় হতে নিষেধ করেছেন তেমনি কিছু মানুষকে চোখ উপড়ে হাত কেটে পা কেটে পানি না খেতে দিয়ে হত্যা করেছেন। অবস্থাভেদে আপনাকে কিছু কিছু জায়গায় নির্দয় হতে হবে যদি আপনি টিকে থাকতে চান বা ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করতে যান। এটা নির্দয়তা নয়,বরং আগাম বড় ধরনের নির্দয়তাকে কে প্রতিহত করার জন্য ছোট নির্দয় হতে হয়।
যদি ১ জনকে হত্যার মাধ্যমে ১০০ মানুষকে রক্ষা করা যায় তাহলে সেই একজনকে হত্যা-ই ইসলামসম্মত। তাই আপনাদেরকে বলে দিচ্ছি প্রথম আলোর এই মতি মুনাফিক আর
শাহরিয়ার কবিরকে এখনো সময় আছে,বিষ-দাত ভেঙ্গে দিন।
অবস্থা দিনে দিনে কিন্তু কঠিন পর্যায়ে চলেছে। প্রথম আলো কয়েকবার কার্টুনের মাধ্যমে ইসলামের বিরোধিতা করেছে, এখন আর কার্টুন না, সরাসরি ইসলামের বিরোধিতা করছে তবে একটু টেকনিক খাটিয়ে। তারা এর আগে জামায়াতের দোহায় দিয়ে ইসলাম বিরোধিতা করেছে,হেফাজতের দোহাই
দিয়ে ইসলাম বিরোধিতা করেছে,এখন সরাসরি রাসূল (স)এর
সুন্নাতকে নিয়ে, জিহাদকে নিয়ে,হিজাব ও নিকাবকে নিয়ে রীতিমত তামাশা শুরু করেছে। আর মনে হচ্ছে বাংলাদেশে ইসলাম একটা এতিমদের ধর্ম,এখানে ইসলামের বিপক্ষে যার
যা খুশি বলে যাচ্ছে কোনো পরোয়া নেই,কিন্তু শেখ হাসিনা, শেখ
মুজিবের নামে একটুখানি খারাপ কথা বললেই জেল-হাজত।
শাহরিয়ার কবির তো ডাইরেক্ট হিজাবকে আরবের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিয়েছে,এখন সভা-সমাবেশ নাকি বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু
করা যাবে না, কোরআন তিলওয়াত করা যাবে না এমন কথা প্রকাশ্যে বলা শুরু করেছে, আর তাদের নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে আস্তে আস্তে দলে ভেড়ানো শুরু করেছে। অবস্থা নিয়ন্ত্রনের বাহিরে যাওয়ার আগেই আমি বলবো এই দুই কাল
সাপকে চিরতরে বিষ-দাত ভেঙ্গে দিন আর মস্থক মুচড়ে দিন যেন কবরে যেয়ে তাদের ওই নাস্তিক থিওরি প্রচার করতে পারে।আমি পরিষ্কার দেখতে পারছি আজ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে কিছু প্রজন্ম তৈরী হবে যারা যুক্তি দিবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিলে বাংলাদেশের লাভ হবে। আমি আপনাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি, এই প্রথম আলো পত্রিকা সম্পর্কে, কাল সাপের চেয়ে-ও ভয়ঙ্কর এই পত্রিকা। এমন ঠান্ডা বিষ যে আপনি বুঝতে-ও পারবেন না যে আপনি এই বিষে আক্রান্ত হয়েছেন, নেশার মতো আস্তে আস্তে আপনি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছেন আর ইসলামের শত্রুদের দলের দিকে পা বাড়াচ্ছেন। এখনই সময় এদের বিষদাত উপরে ফেলার।
-----লিখেছেন আলী ভাই, ক্যানাডা থেকে।
বিষয়: বিবিধ
১৭৫১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দূর্বল ঈমানসম্পন্ন মুসলমানরা মিডিয়ার কথা মত চলে ঈমান হারা হয়ে যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন