“ইসলাম” কে নিয়ে করা, জর্জ বার্নাডশ এর ভবিষ্যৎ বানী আজ সত্য হবার পথে......
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৫০:২৩ রাত
জর্জ বার্নাডশ তাঁর “গেটিং মেরেইড“ নামক বইয়ে ইসলামকে নিয়ে একটি ভবিষ্যৎ বানী করছিলেন।তিনি বলেছিলেন,“ এক শতাব্দির মধ্যে গোটা ইউরোপ জগত বিশেষত ইংল্যান্ড ইসলামের সুশিশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহন করবে”।
আজ পুরো ইউরোপের দিকে তাকালে,তার ভবিষ্যৎ বানীর সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়।পুরো ইউরোপজুড়েই চলছে ইসলামের সম্প্রসারন।আর সেকারনেই ই্উরোপে দিন দিন মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জর্জ বার্নাডশ তাঁর ভবিষ্যৎ বানীর সম্পর্কে “দি লাইট” পত্রিকায় ১৯৩৩ সালে ব্যাখ্যা প্রদান করেছিলেন।তিনি বলেছিলেন,“আমি সব সময় হযরত মুহাম্মদের ধর্মকে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের চোখে দেখি।এ ধর্মে আছে অসাধারন জীবনী শক্তি।আমার বিশ্বাস,হযরত মুহাম্মদের মত একজন মানুষ যদি আজ বিশ্বকে শাসন করত,তবে তিনি গোটা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা না একটা পথ ঠিক বের করতে পারতেন।আমার ভবিষ্যৎ বানী এই যে, হযরত মুহাম্মাদের ধর্মের অনুপ্রেরনায় অনুপ্রানিত হয়ে ইউরোপ আজ যা গ্রহন করতে শুরু করেছে,কাল তা সম্পূর্ন গ্রহন করবে”।
১৯৩৩ সালে বৃটেনে মাত্র তিনটি মসজিদ ছিল।সেখানে শুধুমাত্র ফজর,মাগরিব এবং এশার নামায হত।কিন্তু আজ শুধুমাত্র বৃটেনেই ৬০০ মসজিদ এবং ৪০০ ইসলামিক প্রতিষ্ঠান আছে।আর সেখানে মুসলিম বসবাসকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ।এখন সেখানকার মসজিদগুলোতে মাইকে আজান দিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামায হয়।
ইউরোপের ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি মুসলিম বসবাস করে।ফ্রান্সে মুসলিম বসবাসকারীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ।সেখানে রয়েছে ১৩০০ টি মসজিদ এবং ১৬০০ টি ইসলামিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।অবাক করা ঘটনা হচ্ছে,সেখানে জাতীয় পর্যায়ে শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্যই একটি রেডিও আছে।ফ্যান্সের বিখ্যাত শহর ’মুদগাসাকার’ এর পূর্বাঞ্চলে মুসলিমরা তাদের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে।২০০১ সালে তারা প্রথম ইসলামী কলেজ স্থাপিত করে। অক্সফোর্ড শ্বিবিদ্যালয়ের প্রখ্যাত স্কলার আব্দুর করীম মুরাদ বলেন, সর্বমোট মুসলমানের মধ্যে ১ লাখই ফ্রেঞ্চ (জন্মগত ভাবে ফ্রান্সের অধিবাসী)। অতি সম্প্রতি ফ্রান্সের সরকার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে।সে রিপোর্টে দেখা যায়, আগামী ১৫ বছরে সেখানে মুসলমানদের সংখ্যা দাড়াবে ৬০ থেকে ৮০ লাখ।
ইতালির একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়,সেখানে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ্।বর্তমানে সেখানে ৪৫০ টি মসজিদ এবং ইসলামিক সেন্টার রয়েছে।বিগত কয়েক বছরেই নতুন ৮০ হাজার লোক ইসলাম গ্রহন করেছে।
ইউরোপের মুসলিম ফোরামের পরিচালক মাহমুদ সিদ্দীকী সাদী বলেন,“জাতিসংঘ রিপোর্ট অনুসারে ইউরোপে মুসলমানের সংখ্যা ২কোটি ১০ লাখ্।কিন্তু প্রকৃত অর্থে মুসলমানদের সংখ্যা ৪ কোটি ২০ লাখ”।(আলহামদুলিল্লাহ)
সেদিন খুব বেশি দূরে নয়,যেদিন পৃথিবীর শাসনভার মুসলিমদের হাতে চলে আসবে।পৃথিবীতে কায়েম হবে খেলাফত।আর এই বিজয় অভিযান খোদ ইউরোপ থেকে শুরু হবে।
ইনশা আল্লাহু তায়ালা।
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আলহামদুলিল্লাহ
জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন