চাচা নাস্তিক!তাই বিয়ে হবে না।
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:১৩:০৪ রাত
বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা!
এ বিকেলে খরচ করার সময়,আব্বার এক বন্ধুর সঙ্গে আব্বার অনেক দিন পর দেখা হল!চাকরির কারনে আব্বার সঙ্গে খুব একটা দেখা হয় না!
স্বাভাবিক কথাবার্তা শেষ হবার পর তিনি আব্বাকে বললেন,তুই তোর দুইটা মেয়েরই বিয়ে দিয়ে দিলি অথচ আমি আমার তিনটা মেয়ের একটাকেও দিতে পারলাম না!তোর ভাগ্যই বলতে হয়।
আব্বা বললেন,কর্মের ফলাফলকে ভাগ্য দিয়ে বিচার করে কর্মকে ছোট করে দেখাটা কতোটুকু যুক্তিসঙ্গত(!)
ওনার বড় মেয়ের বারাবার বিয়ে ভেঙ্গে যাবার শুধুমাত্র একটাই কারন ছিল,আর তা হল বেপর্দা এবং আধুনিক উগ্র পোষাক!কলেজ জীবনে তথাকথিত আধুনিকতার বাতাস লেগেছিল!কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না বিধায় এখন সেই, মধ্যযুগীয় বোরখার নিচেই নিজেকে লুকাতে হল!তবুও ফায়দা হচ্ছে না!
এরপরও একটি বিয়ে প্রায় ঠিকঠাক হয়ে গেছে,কিন্তু হঠাৎ করে অন্য জায়গায় গন্ডগোল বেজে গেল!ছেলে পক্ষ কোথায় যেন খবর পেয়েছে,মেয়ের একমাত্র চাচা করেন উদিচীর আন্দোলন!তিনি নাকি আল্লাহতে বিশ্বাস করেন না!আর এ জন্যই এই সম্মন্ধটাও ভেস্তে গেল!
ভাস্তির বিয়ে ভাঙ্গার পর,নাস্তিক বেটার টনক নড়ল(!) তারও ঘরে দুইটা মেয়ে আছে।তারা
এখনো ছোট হলেও, একদিন তো বিয়ে দিতেই হবে।আর নাস্তিকরা যে কতোটা লুইচ্ছা তা তো সে ছাড়া আর কারও ভাল করে জানবার কথা নয়!আর জেনে শুনে লুইচ্ছার হাতে তো নিজের মেয়েকে তুলে দিতে পারি না।
তার কয়েকমাস পরেই ছিল রমজান মাস!
আমি হাসপাতাল মসজিদে প্রথম তারাবী পড়তে গেলাম।গিয়ে দেখি মসজিদের বারান্দার এক কোনায় নাস্তিক বাবাজি বসে আছেন!সেই যে শুরু তারপর ধীরে ধীরে আজ সে প্রথম কাতারের নামাজি হয়ে গেছে(!)
প্রথম কাতারের নামাজি হলেও তার অন্তরের যে কি অবস্থা সেই খবর বা কে জানে?তারপর থেকে তার মাথা থেকে আর কখনো টুপি নামেনী!
মোরালঃ আজকালকার অনেক তরুনীরা ধারনা করেন,যতো আধুনিক ও খোলা মেলা হতে পারবো ততো ভাল বর পাব(!) কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।বাস্তবতা বলে আপনি যেমন আব্রুর ভিতর এবং সৎ থাকতে পারবেন,আপনার ভাগ্যেও তেমনি বর জুটবে।
আপনি যতোটা ধার্মিক হতে পারবেন,আপনার গ্রহন যোগ্যতাও ততোটাই উপরে।অর্থাৎ আল্লাহর সাথে যার সম্পর্ক যতো বেশি তার সম্মানটাও ততোটাই বেশি।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ ।
বাংলাদেশে কারো নাস্তিক হওয়া বা নাস্তিক থাকা সম্ভব নয়!!
যারা নিজেদের নাস্তিক দাবী করে তারা নিজের সাথেও প্রতারণা করে!
এজন্যই সকল কম-রেড বেশী-রেড সবারই মরার পরে জানাযা ও কবরের প্রয়োজন হয়!
অথবা
দুনিয়াতেই আগুনে পোড়ানোর প্রয়োজন হয়!
জাযাকাল্লাহ..
এ বিকেলে খরচ করার সময়!
উপরের লাইনটি ঠিক বুঝতে পারিনি!! বুঝিয়ে বলবেন আশা করি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন