আয়লান কুর্দির মৃত্যুর জন্য আমরা নিজেরাও কি দায়ী নই??
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৩০:১৫ রাত
সম্প্রতি সিরীয়ার এক মজলুম শিশু, “আয়লান কুর্দি” এর লাশ নিয়ে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে!তারই অংশ হিসেবে আমাদের ভাইয়েরা আবেগঘন পোষ্ট দিচ্ছেন!কেউবা আইলানের লাশের ছবি শেয়ার করে,কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছেন!
এক আয়লানের লাশ না হয় আমরা খুঁজে পেয়েছি!কিন্তু সিরিয়ায় হাজারো আয়লান নিহত হচ্ছে কিন্তু তারপরও আমাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই!আমরা দোষারোপ করছি আরব নেতাদের কিংবা ওআইসিকে!কেউবা আহব্বান করছি জাতিসংঘের সাহায্যের!
কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন,আমাদের উপরও কিন্তু দায়ভার চলে আসে!এরকম হাজারো আইলানের মৃত্যুর জন্য কাল কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহপাক আমাদের কে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন!এর কারন তারা আমাদের ভাই!আর এঅবস্থায় বিপদ গ্রস্থ ভাইদের পাশে দাঁড়ানো ফরযে আইন(!)তাদের মুক্তির জন্য জিহাদ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ওয়াজিব হয়ে গেছে!
মুসলিম বিশ্বের এরূপ অবস্থায় আমাদের করনীয় কি,তা বিখ্যাত ফিকহবিদ এবং ইমামগন তাঁদের কিতাব গুলোতে উল্লেখ করে গেছেন!আসুন দেখে নেই,
এক: “মাজমাউল আনহার ফি সারহি মুলতাকিযুল আবহার” এর গ্রন্থকার হানাফী দৃষ্টিকোন থেকে বলেন,“জিহাদের আভিধানিক অর্থের দিকে তাকালে পাওয়া যায় নিজেদের মুখের এবং কাজকর্মের সমস্ত শক্তিকে কাজে লাগানো।কিন্তু শরীয়তের পরিভাষায়, জিহাদ বলতে বুঝায় ধর্মের দুশমনদের দমন,তাদেরকে খতম করে দেয়া!এ জিহাদ করতে হবে বিরুদ্ধ বাদীদের সাথে,মুশরিকদের সাথে এমনকি ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধেও।হুজুর (সাঃ) বলেছেন,কোন মুসলিম শহর অথবা কোন মুসলিম জনবসতি যদি কোন অমুসলিমরা দখল করে নেয়,তাহলে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জিহাদ করা ফরয হয়ে যাবে।এজন্য কোনো প্রকার অনুমতির প্রয়োজন নেই”।
দুই: “বাসালাতুল সালেক লি-আকরাবুল মাসালেক ফি মাজাবিল ইমাম মালিক” এর গ্রন্থকার বলেন,ইসলামের বিজয়ের জন্য প্রতিবছর জিহাদ করা ফরযে কেফায়া।ইমাম যদি হুকুম দেন অথবা মুসলিম জনবসতি দুশমনের হামলার সম্মুখীন হয়,তাহলে সে এলাকার সকল মুসলমানের উপর নামায রোজার ন্যায় জিহাদ ফরয হয়ে যায়!যদি সে এলাকার লোক দুশমনের মোকাবেলার জন্যে যথেষ্ঠ না হয়,তাহলে প্রতিবেশী মুসলমানদের জন্য জিহাদ করা ফরয হয়ে যাবে”।
তিন: “শাফী মাযহাবের অনুসারী ইমাম নববী বলেন,“নবী করীম (সাঃ) এর যুগে জিহাদ ফরযে কেফায়া ছিল।কারো কারো মতে ফরযে আইন ছিল।কিন্তু কুফফাররা যদি মুসলিম এলাকায় হামলার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে, সে ক্ষেত্রে তাদেরকে যে কোন উপায়ে হটিয়ে দিতে হবে।এ জন্যে যে জিহাদ হবে,তা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক”।(মতলুল মিনহাজ)
চার: আল্লামা ইবনে হাযম জাহেরী “আল মুহাল্লা” গ্রন্থে বলেন,“জিহাদ মুসলমানের জন্য ফরয।সাধারনত পিতা মাতার অনুমতি ছাড়া সন্তানের পক্ষে জিহাদে অংশগ্রহন করা বৈধ নয়।কিন্তু কোনো মুসলিম জনবসতি আক্রান্ত হলে সক্ষম সকল মুসলমানের ওপর জিহাদ ফরয,এমনকি পিতা মাতার অনুমতি না থাকলেও”।
আমাদের ভাইয়েরা আজ পশুর মতো মারা পড়তেছে,আর আমরা মসজিদের বারান্দায় গিয়ে জান্নাত খুজতে ব্যস্ত!কেইবা জান্নাতে হাজার হাজার গাছের চারা রোপন করতে ব্যস্ত!কেউবা গনতান্ত্রিক নেতাদের পৃষ্ঠদেশের মাছি তাড়িয়ে জান্নাত খুঁজছেন!অথচ হাদীসে রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আওফা থেকে (রাঃ) থেকে বর্নিত,“রাসূল (সাঃ) বলেছেন,জেনে রেখো বেহেশত তরবারির ছায়াতলে।(বুখারী মুসলিম আবু দাউদ)
আল্লাহপাক আমাদের জিহাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার তৌফিক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর কত আয়লান কুর্দির লাশ ইসলামী জেহাদবাজ'দের দরকার?
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তাকে বেন করা হোক। যার এত নিক ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন