নিজ দেশে অপরাধী,পরদেশে সম্মানী(!)
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ৩১ আগস্ট, ২০১৫, ১০:৩৩:০০ রাত
ড.মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন,“যেদেশে গুনীর কদর হয় না,সেদেশে গুনীরা কি আর জন্মগ্রহন করবে”।
সে প্রশ্নের উত্তর দিবে জাতি!কিন্তু আমরা হারিয়েছি অসাধারন এক গুনী ব্যক্তিকে!যার দেখানো পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশ্বের অনেক দেশে রাজনৈতিক শান্তি বিরাজ করছে!কিন্তু আমরা নিজ দেশের মানুষরা সেই পদ্ধতিকে বাতিল করে দিয়েছি!
হয়তো কিছুটা অনুমান করতে পারছেন!হ্যা আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিতর্কিত মানুষ, মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম স্যারের কথা বলছি!
তাঁর উদ্ভাবিত তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে পুঁজি করে পাকিস্তান,তাজিকিস্তান এবং নতুন করে তুরষ্ক ও গ্রীসে রাজনৈতিক স্থীতি বিরাজ করছে!নির্বাচন নিয়ে যাবতীয় বিতর্ককে এই তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দ্বারা তারা সমাধান করতে সমর্থ হয়েছে!(আলহামদুলিল্লাহ)
কিন্তু আমাদের দেশের সরকার সে ব্যবস্থাকে বাতিল করে দিয়েছেন!ক্ষমতা পাকাপোক্তের একটি বিষয় থাকলেও তারা কখনো জোর দিযে বলতে পারে না, এটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল!যদিও দুই একজন পাতি নেতা যে সে দাবি করেন নি,তা কিন্তু নয়!যেমনটা না জেনে আন্দাজের উপর সাহারা খাতুন বলেছিলেন,ইন্টারনেটের থ্রীজি ব্যবস্থা চালু করা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল(!)
মাঝে মাঝে আমাদের মন্ত্রী আমলাদের কথা শুনলে মনে হয়, পাবনার হেমায়েতপুরের আদলে তাদের জন্যও একটি হাসপাতাল স্থাপন করা প্রয়োজন(!)
যাইহোক মূল কথায় আসি!সেকুলার বাদিরা এই অধ্যাপক গোলাম আযমকে বিতর্কের মারপ্যাচে ফেলে সাধারন মুসলিম জনতা থেকে বিচ্ছন্ন করতে চেয়েছিলেন!যার কারনে ১৯৭১ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তাঁকে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি!প্রশ্ন হল এই দির্ঘ সময় অধ্যাপক গোলাম আযম কি করেছিলেন?
আমরা বাঙ্গালরা রত্ন চিনতে ভুল করলেও বিদেশিরা কিন্তু ভুল করে নি!এই সময় তিনি বিশ্বের অনেক জায়গায় আমন্ত্রিত মেহমান হয়ে বক্তব্য দিয়ে সময় কাটিয়েছেন!
তাঁর সফরের উল্লেখযোগ্য স্থানসমূহ গুলো হলো,
*১৯৭২ সালে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামী যুব সম্মেলনে আমন্ত্রীত অতিথি হয়ে বক্তব্য রাখেন।
*১৯৭৩ সালে বেনগাজীতে অনুষ্ঠিত ইসলামী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন।একই বছর লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলীতে ইসলামী যুব সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
*১৯৭৩ সালে মিশিগান ষ্টেট ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত মুসলিম ষ্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা এন্ড কানাডা এর বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
*১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক গোলাম আযম সৌদি বাদশাহ এর আমন্ত্রনে ৭ বার সাক্ষাৎ করেন।
*১৯৭৪ সালে রাবেতায়ে আলমে ইসলামীর আমন্ত্রনে মক্কায় একটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
*১৯৭৭ সালে কিং আব্দুল আজিজ ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্য রাখেন।
*১৯৭৭ সালে ইস্তামবুলে অনুষ্ঠিত ইসলামীক ফেডারেশন অফ ষ্টুডেন্টস অরগানাইজেশরে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
আমাদের দেশের হতভাগারা তাঁকে না চিনলেও পরদেশের বিজ্ঞরা ঠিকই চিনেছে এবং মূল্যায়নও করেছে!আর সেই মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিশ্ব তাঁর উদ্ভাবিত পদ্ধতিকে গ্রহন করছে।
পুরোনো কথা বলে আর কি লাভ!তিনিতো ইতিমধ্যেই সেই মহান মালিকের দরবারে যাত্রা করেছেন।ইনশা আল্লাহ তিনি মহান মালিকের দরবারেও মূল্যায়ন পাবেন।আল্লাহপাক তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
২০৯৫ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যথার্থ বলেছেন, সহমত
তিনি সর্বোত্তম মেহমানদারী পাচ্ছেন এবং পাবেন ইনশাআল্লাহ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
আমরা শুধু গুনি ব্যাক্তিকে নয় বরং ভাল ব্যবস্থাকেও ছুড়ে দিচ্ছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন