মুসলিমদের আর কবে-ই বা হুশ ফিরবে?
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ২৫ আগস্ট, ২০১৫, ০৯:৫৫:৩১ রাত
অনেক দিন আগের ঘটনা!
তখন আমাদের এস.এস.সি টেষ্ট পরীক্ষা চলতেছিল!লিখিত পরীক্ষা শেষ,প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা চলতেছে!
স্যার আসতে দেরি হওয়ায় আমরা, যতোরকমের দুষ্টামো আছে সব করতেছিলাম! এমন অবস্থায় মারাত্নক হট্টগোল আর গোলমালে ধাক্কা লেগে প্রচন্ড শব্দ করে কয়েকটি ব্রেঞ্চ পড়ে গেল!ক্লাসরুমটি ছিল তিন তালায়!
তিব্র শব্দ হওয়ায় একমাত্র হেডস্যার ছাড়া, সব স্যার চলে আসলেন!তারপর জিজ্ঞেস করলেন, কাজটি কে করেছে?
এখানে বলে রাখি, আমাদের এলাকায় দুটি বেশ বড় কোচিং সেন্টার আছে!দুটো কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্ধীদের মাঝে অদৃশ্য একটি দন্দ লেগেই ছিল!যার কারনে আমরা ভাবলাম,হয়তো বিরোধী পক্ষ সব বলে দিবে!আর বলে দিলেই সর্বনাশ!
স্যারদের মধ্য থেকে একজন বললেন,যদি কেউ স্বীকার না করো তবে সবাইকে মাইর খেতে হবে!এমতাবস্থায় সকলেই সকলের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলাম!তারপরও ক্লাস একদম নীরব!কারও মুখে কোন কথা নেই!
তারপর শুরু হলো উত্তম মধ্যম!দুইটা ব্যাত একসঙ্গে করে ড্রিল স্যার মাইর শুরু করলেন!প্রত্যেকের জন্য চারটি করে মাইর! সে মাইরের এতোটাই তিব্র ছিল যে, কয়েকজন একদম কেঁদে ফেলেছে!তবুও সকলেই নির্বিকার!
সেই একটি ঘটনা আমাদের মধ্যকার সম্পর্ককে পরিবর্তন করে দিল!তারপর আমাদের ক্লাসের, উল্লেখযোগ্য পরিমানে বন্ধুরা সকল ভেদাভেদ ভুলে নমনিয়তার পথ ধরলাম!
কলেজ জীবনের ফাকেঁ ফাকেঁ আমাদের সকলের একতাবদ্ধ হবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম!
একদিন একবন্ধু মোবাইল করে জানাল,তার বোনকে নাকি কারা তুলে নিয়ে যাবার হুমকি দিয়েছে!তারপর আমরা একসঙ্গে ৩৫ জন সেইসব বখাঠেদের ধাওয়া করেছিলাম!তারপর সেই বখাঠেদের বাবা মা আমাদের হাত ধরে ক্ষমা নিয়ে গেছে!
এরপর আমরা ৫০ জন বন্ধু মিলে সেচ্ছায় রক্তদানের একটি গ্রুপ চালু করলাম!আমরা সেখান থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ ব্যাগ রক্ত দিয়ে মানুষকে সাহায্য করেছি!আর এক অভাগা দম্পত্তির থেলাসেমিয়া আক্রান্ত দুই ছেলেকে প্রতি মাসে দুই ব্যাগ (O+) রক্ত এখনও ব্যবস্থা করে দিচ্ছি!( আলহামদুলিল্লাহ)
এতো বিশাল ইতিহাস লিখবার একটাই উদ্দেশ্য,গোটা মুসলিম বিশ্বের দিকে তাকিয়ে এখনও আমাদের হুশ হয় নি!
আমাদের মুসলিমদের একতাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন!তাহলে তাগুদের সকল আঘাত এবং ষড়যন্ত্রকে আমরা খুব সহজেই মোকাবেলা করতে পারবো!(ইনশা আল্লাহ)
আজ সানি লিওনকে ঠেকাতে মাঠে শুধুমাত্র হেফাজত ইসলাম কেন? এই সারিতে থাকতে হবে,জামায়াত ইসলাম,ইসলামী ছাত্র শিবির,খেলাফতে মজলিম,ইশা ছাত্র আন্দোলন,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, তাবলীগ জামায়াত সহ সর্বস্তরের মুসলমানগন!
তবেই এদেশে আর কখনো গনজাগরন মঞ্চের মতো, নাস্তিক্যবাদীদের আন্দোলন গড়ে উঠতে পারবে না!পারবে না আমার রাসূল কে নিয়ে অশ্লীল চটি লিখতে!পারবে না মুক্তমনা নামধারী নাস্তিকরা মাথা তুলে দাড়াতে!পারবে না ইসলামকে আফিমের সাথে তুলনা করতে!পারবে না লতিফ সিদ্দীকির মতো থৃষ্ঠতা দেখাতে!
আল্লাহপাক আমাদের সকলকে বুঝ এবং হুশ দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
১২৭২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন