স্যারের চেয়ে, আমাদের দেশীয় শিক্ষার্থীরা একধাপ বেশিই বুঝেন!

লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ২২ আগস্ট, ২০১৫, ১০:২২:৪২ রাত

কয়েকদিন আগে, হঠাৎ এক বন্ধু আমার ফেসবুকের ইনবক্সে ইউটিউবের একটি ভিডিও লিংক দিল!তারপরে সে বলল, ভিডিওটি দেখে আমার মাথা ঘুরতেছে!পুরোটা দেখার ধৈর্য কুলায় নি!অর্ধেকটা দেখেছি!তুমি পুরোটা দেখে একটা জবাব দিয়ে দিবা!

সেই ভিডিওটা অনেক আগেই আমি দেখেছি এবং নিঃশব্দে এড়িয়ে গিয়েছি!কারন ভিডিওটার প্রমোট করবার আমার বিন্দুমাত্রও ইচ্ছাও নেই!কিন্তু দেখলাম, ভিডিওটি ইতিমধ্যে প্রায় ২০ হাজারবার দেখা হয়ে গেছে!এদের ভিতর অনেকেই আবার বিভ্রান্ত হতে পারেন।সেই সকল ভাই এবং বোনদের উদ্দেশ্যে এই লেখাটি!

ভিডিওটি ছিল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রীর!সেই ভিডিওতে তিনি নিজেকে নাস্তিক দাবি করেছেন!সেই সাথে বলেছেন,তিনি যেহেতু বিজ্ঞানের ছাত্রী তাই আল্লাহ কিংবা সৃষ্টিকর্তাকে তিনি বিশ্বাস করেন না!তার বিজ্ঞান নাকি তাকে শিক্ষা দিয়েছে, যা চোখে দেখা যায় না তাতে বিশ্বাসও করা যায় না।অতঃএব আল্লাহ বলতে কিছুই নেই!

যাক উদ্ভট কিংবা কথার মার প্যাচে তার কথার জবাব দেবার বিন্দু মাত্রও ইচ্ছা আমার নেই!আমি উত্তর দিবো, বিজ্ঞানকে যারা আধুনিকায়ন করেছে বা করছে এবং মানুষের সামনে বিজ্ঞানকে উপস্থাপন করেছে কিংবা করছে সেই বিজ্ঞানীদের কথার মাধ্যমেই!

গনিত এবং রসায়নবীদ, বিজ্ঞানী ক্লীভ কথরান বলেছেন,“ যখন এই জগত নিজেকে সৃষ্টি করতে পারে নি,পারেনি তার পরিচালনাকারী আইনসমূহ তৈরী করতে,তখন এই সৃষ্ঠির পেছনে নিশ্চয়ই অযৌগ কোন প্রতিনিধি দ্বারা সম্ভব হয়েছে।একটি জড় পদার্থ যে নিজেকে নিজে চালাতে পারে না,নিজে কিছু আবিষ্কার করতে পারে না,সুতরাং নিশ্চয়ই তাকে কোন অজড় পদার্থ তৈরী করেছে।উক্ত প্রতিনিধি এই কাজ সম্পাদন করতে গিয়ে অতীব বিষ্ময়কর অলৌকিক ব্যাপারাদি সম্পাদনা করেছেন।তাতে এই প্রতিপন্ন হয় যে, এই প্রতিনিধি নিশ্চয়ই সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষার অধিকারী যে মনীষাকে মনের প্রতীক বলা যায়।আর সেই মনীষাই আল্লাহ”।

আবার, কেমিষ্ট বিজ্ঞানী রিচার্ড ডেভিস পার্কস “সামান্য পানি আপনাকে গল্প বলবে” নামক বিজ্ঞান জার্নালে বলেন,

“আমি অজৈব এই বিশ্বে আমার চারদিকে এই নিয়ম শৃঙ্খলা আর সুপরিকল্পিত পরিকল্পনাই দেখতে পাই।আমি এটা বিশ্বাস করিনা যে,আকষ্কিকভাবে ও ভাগ্যক্রমে পরমানুর একত্রিত হওয়ার ফলে এগুলো সৃষ্টি হয়েছে এবং আমার চারদিকে তারা বিরাজ করছে।তার কারনে মনে করি,পরিকল্পনার জন্য মনীষার প্রয়োজন।আর সেই মনীষাকে আমি আল্লাহকে অভিহিত করি”।

পদার্থ ও রসায়ন শাস্ত্রবিদ,অস্কার লিউ ব্রাউয়ার “আমাদের মুখোমুখি অপরিহার্য প্রশ্ন” নামক বিজ্ঞান জার্নালে বলেন!

“সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মহান আল্লাহকে স্বীকৃতি দান এবং তার ফলে মহাবিশ্বের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হিসেবে মহান আল্লাহকে মেনে নেবার মাত্র একটি অর্থ থাকতে পারে তা হলো, মানুষের প্রতি অমানুষী আচরের পরিসমাপ্তি”।

[সূত্রঃ স্রষ্ঠা এবং সৃষ্টির তত্ত্ব, পৃষ্ঠাঃ৫৯-৬৪]

জানি এরপরও সেই বোনটি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করবেন না!কারন,আল্লাহপাক সূরা বাকারায় নিজেই বলেছেন,“ আমি তাদের মনে মোহর মেরে দিয়েছি”।

আপনি কি বিশ্বাস করবেন না করবেন তাতে আমার কোন যায় আসে না!কিন্তু বিজ্ঞানের ছাত্রী হয়ে, বিজ্ঞানের স্যারদের চেয়ে একটু বেশিই বুঝে ফেলেছেন মনে হচ্ছে!তাই নয় কি?

বিষয়: বিবিধ

১২৩৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337616
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:৫১
নাবিক লিখেছেন : আমাদের দেশের পাতি নাস্তিকদের অবস্হাটা এরকমি, দুপাতা বিজ্ঞান পড়েই তারা নিজেদের মহা পণ্ডিত ভাবতে শুরু করে।
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৩২
279283
শাহমুন নাকীব ফারাবী লিখেছেন : অল্পবিদ্যা ভয়ানক
337619
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : উচ্চমাধ্যমিক এর বায়োলজি বই এর বিশাল অংশ জুড়েই এখন আছে ডারউইন এর তত্ব। তা পরে নাস্তিক হওয়া সহজ। যদিও সেই তত্বটি যে প্রমানিত নয় সেটা উন্নতদেশগুলির সিলেবাসে আছে। আমরা একটু বেশিই বুঝি!!
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৩৩
279284
শাহমুন নাকীব ফারাবী লিখেছেন : সরকারতো রাষ্ট্রিয়ভাবে নাসিক হবার বন্দোবস্ত করে দিচ্ছে!
337708
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৮:৩৬
হতভাগা লিখেছেন :
বাঁশের চেয়ে কন্চি বড়ই হয়

১২ হাত কাঁকুড়ের ১৩ হাত বিঁচি

কায়ার চেয়ে ছায়া বড় হয়

সূর্যের চেয়ে বালির তাপও বেশী হয়
337793
২৩ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:১৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File