আমরা মানুষরা কতোই না বোকা(!)
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ১৬ আগস্ট, ২০১৫, ১০:৫৬:৩৩ রাত
আমাদের এলাকায় এক মুরুব্বী ছিলেন!উনি এবং ওনার স্ত্রী দুজনেই সরকারী চাকরি করতেন!চাকরি করার কারনে তিনি মসজিদে খুব একটা নামায পড়তে পারেন নি!বিকেলে অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত শরীর নিয়ে আর মসজিদে যেতে পারতেন না!
একদিন সন্ধ্যায় ক্রিকেট খেলা শেষ করে মসজিদের দিকে যাচ্ছি!পথিমধ্যে ওনার সঙ্গে দেখা!উনি অফিস শেষে বাসায় ফিরতেছেন!উনি আমাকে বললেন,দাদু ভাই আর ছয় মাস পর আমিও মসজিদে নিয়মিত হবো!ছয় মাস পর আমি রিটায়ার্ড করতেছি!
দেখতে দেখতে ছয়টি মাস পেরিয়ে গেল এবং উনিও রিটায়ার্ড করলেন!রিটায়ার্ড করার পর বাসার সামনের পুকুরে মাছ চাষ শুরু করলেন!মাছ চাষ করা নিয়ে তিনি এতা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন যে,সেদিনের আমাকে সঙ্গে কথোপ কথনের কথা তিনি ভুলে গিয়েছেন!
ওনার বাসার সামনে বসার একটা টং ছিল!আমরা প্রায় ঐ টংএ বসে আড্ডা দিতাম!একদিন এক বড় ভাই,ঐ মুরুব্বীকে বললেন, চাচা বয়স তো আর কম হল না!এবার একটু মসজিদ মুখী হন!উনি জবাবে বললেন,এবার মাছ তুলে আর মাছ ফেলবো না!মসজিদে নিয়মিত যাবো!
কিন্তু কিছুদিন পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন!বেশ কয়েকমাস তিনি রংপুর মেডিকেলে ভর্তি ছিলেন!একদিন বিকেল বেলা আসরের কিছু আগে তিনি মৃত্যুবরন করলেন!
হাদীসে পাওয়া যায় রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“মানুষ কতোই না বোকা!সে নিজের জন্য সম্পদ অর্জন করা বাদ দিয়ে, সে অন্যের জন্য সম্পদ অর্জনে ব্যতিব্যাস্ত হয়ে পড়েবে!মানুষের নিজের সম্পদ হচ্ছে আমল এবং জ্ঞান!আর তার অর্জিত দুনিয়ার সম্পদ ওয়ারিশরা ভোগ করবে!সেই সম্পদ তার কবরের সঙ্গি হবে না!(বুখারী,মুসলিম)
দুনিয়ার প্রতি অতিরিক্ত ভালবাসার কারনেই আমরা এমন বোকামো করতেছি!আল্লাহপাক আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৫ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিবি তালাকের ফাতোয়া, তাখনুর উপরে পায়জামা পরিধান, মাছির ডানায় রোগ নিরাময়........... এই তো??
মুসলিমরা কতোটুকু বিজ্ঞান মনষ্ক(!)
পৃথিবী সৃষ্ঠী,ভূ-তত্ব এবং মহাকাশ নিয়ে পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক সর্বমোট ৭৫৬ টি আয়াত নাজিল করেছেন!আর আধুনিক বিজ্ঞান তো জংলী মুসলিমদের অবদান!
চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদানঃ
চিকিৎিসা শাস্ত্রে অস্ত্রপাচারের সূচনা করেন মুসলিমরাই!পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম অস্ত্রপাচার করেন আবুল কাশেম খালেদ।চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর ইবনে সিনার লেখা বই“আল কানূন”কে আজও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভিত্তি বলা হয়!
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যারা রূপকার তাদের নাম হচ্ছে, ইবনে আব্বাস,ইবনে সিনা,ইবনে দুহর,ইবনে রুশদ,ওমর বিন খলদূন।আর এরা সকলেই ছিলেন জংলী মুসলমান।
জ্যোতিবিদ্যায় মুসলমানদের অবদানঃ
জ্যোতিবিজ্ঞানের উৎস “জিসবায়ে মাসার” নামক গ্রন্থ থেকে হয়েছে!আর এ গ্রন্থটি রচনা করেছেন আবূ মাসার নামক একজন মুসলমান।আবুল হাসান নামে অপর মুসলিম দূরবিক্ষন যন্ত্রটি প্রথম আবিষ্কার করেন।আবু ওয়াদা ত্রিকোনমিতি এবং জ্যোতিবিজ্ঞান শাস্ত্র গবেষনায় নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।আবু ওয়াদা টলেমীর চান্দ্রিক মতবাদের ভুল প্রদর্শন করেন এবং স্বাধীন ও নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছিলেন।আল বিরুনীর লিখিত বই “আল কানূন আল মাসুদী” তে জ্যোতিবিদ্যা সম্পের্কে মৌলিক জ্ঞান পাওয়া যায়!
গনিতে মুসলমানদের অবদানঃ
আরবীয় মুসলিমরাই পাশ্চাত্য জগতকে সর্ব প্রথম গননা করতে শিখায়!দশমিক পদ্ধতির সর্বপ্রথম ব্যবহার শুরু করেন মুসলিমরাই!বীজগনিতকে পূর্নতা দান করে এই মুসলিমরাই!বীজগনিতকে জ্যামিতিতে সর্বপ্রথম মুসলিমরাই ব্যবহার করেন।এরপর থেকে জ্যামিতিতে বীজগনিতের ব্যবহার শুরু হয়!দ্বীঘাত সমীকরন আবিষ্কার করে মুসলিমরাই!মুসলিমরা গোলক জ্যামিতি আবিষ্কার করেন এবং জ্যামিতিকে আল জাব্রিয়ায় প্রয়োগ করেন। আর এসব কিছু যারা করেছেন তাঁদের নাম, আল ফারাবী, আল বাত্তানী,আল বিরুনী,আল খাওয়ারিজমী প্রমূখ!
রসায়ন বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদানঃ
জাবির ইবনে হাইয়ানকে আধুনিক রসায়নের জনক বলা হয়!তিনি রসায়নের উপর প্রায় ৫ শতাধিক বই লিখেছেন!পাতন পরিস্রবন এবং স্বচ্ছ করনের আবিষ্কাকারক এই মুসলিমরাই!উর্ধপাতন দ্রবীকরন ও স্ফটিকরন প্রর্ভতি পদ্ধতির আধুনিক রূপ প্রদান করেন মুসলিমরাই!ইতিহাসে বিখ্যাত রসায়নবিদ আল রাযি!
সবাই তো এরকম করেই ছাড় দিতে থাকে।পরে পরে পরে।
অনেকে বলে বয়স্ক হলে নামাজ কালাম করবে।কিন্তু তখন কি হয়?বয়স হলে অক্ষম হয়ে যায়।হাটাচলা করতেই কষ্ট।তখন আফসোস করে আগে ঠিক করে কেন করিনি।
আমরা নিজেদের জিবন সম্পর্কে কত অচেতন। মৃত্যু জিবনের চেয়ে ানেক কাছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন