স্বঘোষিত নাস্তিক অপি বাইদান সমীপে কিছু কথা!
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ১০ আগস্ট, ২০১৫, ১০:২৮:০৯ রাত
টুডে ব্লগে আসার পর অপি বাইদানের সঙ্গে কয়েকবার কথা কাটাকাটি কিংবা তর্ক বিতর্ক পর্যায়ে যায়!তবে আমি চেষ্ঠা করি তর্ক বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে!কারন আল্লাহপাক তর্ক বিতর্কের যে বিধান দিয়েছেন তা যথাযথ ভাবে পালন হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে!
সব নাস্তিকের ন্যায় যথারীতি সেও নিজেকে বিজ্ঞান মনষ্ক বলে দাবি করেন!আর আমাকে জংলী জানোয়ার বলে গালি দেয়!
আসুন দেখে নেই প্রাচীন কালের ইসলাম এবং নাস্তিকদের ভাষ্যমতে জংলী জানোয়ার মুসলিমরা কতোটুকু বিজ্ঞান মনষ্ক(!)
পৃথিবী সৃষ্ঠী,ভূ-তত্ব এবং মহাকাশ নিয়ে পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক সর্বমোট ৭৫৬ টি আয়াত নাজিল করেছেন!আর আধুনিক বিজ্ঞান তো জংলী মুসলিমদের অবদান!
চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদানঃ
চিকিৎিসা শাস্ত্রে অস্ত্রপাচারের সূচনা করেন মুসলিমরাই!পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম অস্ত্রপাচার করেন আবুল কাশেম খালেদ।চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর ইবনে সিনার লেখা বই“আল কানূন”কে আজও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভিত্তি বলা হয়!
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যারা রূপকার তাদের নাম হচ্ছে, ইবনে আব্বাস,ইবনে সিনা,ইবনে দুহর,ইবনে রুশদ,ওমর বিন খলদূন।আর এরা সকলেই ছিলেন জংলী মুসলমান।
জ্যোতিবিদ্যায় মুসলমানদের অবদানঃ
জ্যোতিবিজ্ঞানের উৎস “জিসবায়ে মাসার” নামক গ্রন্থ থেকে হয়েছে!আর এ গ্রন্থটি রচনা করেছেন আবূ মাসার নামক একজন মুসলমান।আবুল হাসান নামে অপর মুসলিম দূরবিক্ষন যন্ত্রটি প্রথম আবিষ্কার করেন।আবু ওয়াদা ত্রিকোনমিতি এবং জ্যোতিবিজ্ঞান শাস্ত্র গবেষনায় নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।আবু ওয়াদা টলেমীর চান্দ্রিক মতবাদের ভুল প্রদর্শন করেন এবং স্বাধীন ও নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছিলেন।আল বিরুনীর লিখিত বই “আল কানূন আল মাসুদী” তে জ্যোতিবিদ্যা সম্পের্কে মৌলিক জ্ঞান পাওয়া যায়!
গনিতে মুসলমানদের অবদানঃ
আরবীয় মুসলিমরাই পাশ্চাত্য জগতকে সর্ব প্রথম গননা করতে শিখায়!দশমিক পদ্ধতির সর্বপ্রথম ব্যবহার শুরু করেন মুসলিমরাই!বীজগনিতকে পূর্নতা দান করে এই মুসলিমরাই!বীজগনিতকে জ্যামিতিতে সর্বপ্রথম মুসলিমরাই ব্যবহার করেন।এরপর থেকে জ্যামিতিতে বীজগনিতের ব্যবহার শুরু হয়!দ্বীঘাত সমীকরন আবিষ্কার করে মুসলিমরাই!মুসলিমরা গোলক জ্যামিতি আবিষ্কার করেন এবং জ্যামিতিকে আল জাব্রিয়ায় প্রয়োগ করেন। আর এসব কিছু যারা করেছেন তাঁদের নাম, আল ফারাবী, আল বাত্তানী,আল বিরুনী,আল খাওয়ারিজমী প্রমূখ!
রসায়ন বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদানঃ
জাবির ইবনে হাইয়ানকে আধুনিক রসায়নের জনক বলা হয়!তিনি রসায়নের উপর প্রায় ৫ শতাধিক বই লিখেছেন!পাতন পরিস্রবন এবং স্বচ্ছ করনের আবিষ্কাকারক এই মুসলিমরাই!উর্ধপাতন দ্রবীকরন ও স্ফটিকরন প্রর্ভতি পদ্ধতির আধুনিক রূপ প্রদান করেন মুসলিমরাই!ইতিহাসে বিখ্যাত রসায়নবিদ আল রাযি!
পরিশেষে নাস্তিক ভাইবোনদের উদ্দেশ্যে ভারতের মহত্না গান্ধীর স্বরচিত বইয়ের একটি খন্ডিত অংশ,“প্রতীচ্য যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত,প্রাচ্যের আকাশে তখন উদিত হল উজ্জল নক্ষত্র এবং গোটা পৃথিবীকে তা দিল আলো ও স্বস্তি।ইসলাম মিথ্যা ধর্ম নয়।শ্রদ্ধার সঙ্গে হিন্দুরা তা অধ্যায়ন করুক,তাহলে আমার মতোই তারা এক ভালবাসবে”।[islam and it's holy prophet as judged by the non muslim world]
আল্লাহপাক অপি বাইদানসহ সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
২২০২ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু তারা শুনবে-ও না, বুঝবে-ও না,
"ওদের অন্তর তালাবদ্ধ"
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
আল্লাহ সম্পর্কে নবী সম্পর্কে যেই ভাবে বাজে কথা বার্তা বলে তাতে করে সে কোন ইনসান হতে পারেই না
০ আওয়ামী লীগের লোকেরা ।
ব্লগের দুই বিখ্যাত ব্লগার অপি বাইদান ও ফখরুল - উনাদেরকে উনাদের অবর্তমানেও ব্লগে তাদের উপস্থিতি জানানোর কাজ করে যাচ্ছে তাদের বিরোধীরা ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন