“পৃথিবীর যেই প্রান্তেই হোক যখন তুমি দেখবে তুমি তোমার ভাইদেরকে অপমানিত করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, শহীদ করা হচ্ছে কিন্তু তুমি এর প্রতিবাদে কিছুই করছো না।হুঁশিয়ার!মনে রেখো,কাফিরদের পরবর্তি টার্গেট কিন্তু তুমি”।

লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ২৭ জুলাই, ২০১৫, ০৯:৫৬:৩২ রাত

২০০১ সালের এক জুম্মা বারের ঘটনা! নামায শেষে খতিব সাহেব দাড়িয়ে বললেন,মুসলিম রাষ্ট্র আফগানিস্তানে মার্কিন তাবেদার সরকার হামলা করেছে।সেখানে হাজার হাজার সাধারন মুসলিম নর নারীকে বিনা বিচারে হত্যা করছে,মার্কিন বাহিনী! সে সকল মজলুম ভাইদের জন্য এখন দোয়া হবেেএবং বাকী নামায বাদ আমরা বিক্ষোভ মিছিল করবো!

তখন আমি অকেটাই ছোট মানুষ!সেদিন জীবনের দিত্বীয়বারের মতো মিছিলে গেলাম!মিছিল শেষে আমেরিকার পতাকায় আগুন দিয়ে বাড়ি ফিরলাম!মেনের ভিতরে আনন্দ!বিশাল একটা কাজ করলাম!

২০০৩ সালের আর এক জুম্মা বারের ঘটনা!নামায শেষে খতিব সাহেব বললেন, মার্কিন তাবেদার সরকার মুসলিম অধ্যুষিত ইরাকে অন্যায় ভাবে হামলা চালিয়েছে।হাজার হাজার মুসলিম নর নারীকে হত্যা করা হচ্ছে।আমরা এর তিব্র নিন্দা জানাই!এখন দোয়া হবে এবং নামায শেষে বিক্ষোভ মিছিল হবে। সেদিন প্রেসিডেন্ট বুশের কুশ পত্তলিকা দাহ করে বাড়ি ফিরলাম!

এর পর থেকে প্রায়ই আমাদের মসজিদে চেচনিয়া,বসনিয়া,কাশ্মির,ফিলিস্তীন, আফগানিস্তান এবং ইরাকের মুসলিম ভাই বোনদের জন্য দোয়া করা হতো।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“সকল মুমিন পরষ্পর পরষ্পর ভাই”। ধরুন, আপনার ছোট ভাইকে কেউ আপনার সামনে কিল খুশি লাত্থি মারতেছে!এ অবস্থায় আপনি কি শুধূ আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলবেন, হে আল্লাহ!তুমি আমার ভাইকে হেফাজত করো!আর গলা ফাটালেন, আমার ভাইয়ের যদি আর কিছু হয় তবে তোমাকে আমি ছাড়বো না!

না!কোনদিন এমনটা করবেন না।আপনার শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ঐ অত্যাচারিকে আপনি প্রতিহোত করবেন।নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও ছোট ভাইকে বাঁচাবেন।তবে আপনার মুমিন ভাইদের জন্য এগিয়ে আসছেন না কেন?

রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“এক মুসলমান অপর মুসলমানের জন্য ইমারতের মত হওয়া উচিত এবং তাদের এক অপরের জন্য এমনই দৃঢ়তা ও শক্তির উৎস হওয়া উচিত,যেমন ইমারতের একটি ইট অপর ইটের জন্য হয়ে থাকে।এরপর তিনি হাতের আঙ্গুলি সমূহ অন্য হাতের অঙ্গুলির মধ্যে স্থাপন করলেন”।[সহীহ বোখারী ও মুসলিম]

কিন্তু আজ কোথায় সেই ইমারত?

কয়েকদিন আগে এক পাকিস্তানী ভাই বললেন, আমাদের দেশের মসজিদ গুলোতে তোমাদের দেশের মজলুম মুসলিমদের জন্য দোয়া করা হয়!তখন আমার সামনে ভেসে উঠেলো, শহীদ আনওয়ার আল আওলাকী (হাঃফিঃরহ) এর সেই অমর বক্তব্যটি।

“পৃথিবীর যেই প্রান্তেই হোক যখন তুমি দেখবে তুমি তোমার ভাইদেরকে অপমানিত করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, শহীদ করা হচ্ছে কিন্তু তুমি এর প্রতিবাদে কিছুই করছো না।হুঁশিয়ার!মনে রেখো,কাফিরদের পরবর্তি টার্গেট কিন্তু তুমি”।

আল্লাহপাক আমাদের সহায় হোন।

বিষয়: বিবিধ

১১৪২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

332054
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:০৫
আবু জারীর লিখেছেন : “পৃথিবীর যেই প্রান্তেই হোক যখন তুমি দেখবে তুমি তোমার ভাইদেরকে অপমানিত করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, শহীদ করা হচ্ছে কিন্তু তুমি এর প্রতিবাদে কিছুই করছো না।হুঁশিয়ার!মনে রেখো,কাফিরদের পরবর্তি টার্গেট কিন্তু তুমি”।

একদম খাটি কথা। আর টু দ্যা পয়েন্টে এরকম খাটি কথা বলার কারণে তাকেই বাতিল শক্তির হাতে শহীদ হতে হয়েছে।

আল্লাহ্‌ মরহুমকে শাহাদতের মর্যাদা দান করুন। আমিন।
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:১৩
274304
শাহমুন নাকীব ফারাবী লিখেছেন : জী!ওনার মতো সাহসী মানুষের বড় প্রয়োজন ছিল!আল্লাহপাক ওনার শাহাদাতকে কবুল করুন।সুম্মা আমীন।
332062
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:১৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
আমরা এখন হারিয়ে ফেলেছি সেই একত্ববোধ।
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:১৭
274305
শাহমুন নাকীব ফারাবী লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ।সেই ভ্রাতৃত্ব আজ মাইক্রোইস্কুপ দিয়ে খুজলেও পাওয়া যায় না।
332079
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:৫৮
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

যথার্থ বলেছেন, সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ১১:০৭
274309
শাহমুন নাকীব ফারাবী লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ..।বারাকাল্লাহ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File