মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্তে আল্লাহপাকের সাথে সব চালাকি খতম!
লিখেছেন লিখেছেন শাহমুন নাকীব ফারাবী ২৬ জুলাই, ২০১৫, ০৯:৪৮:৪৮ রাত
অনেক দিন আগের ঘটনা!
আমাদের পাশ্ববর্তি এলাকায়,এক মুরুব্বী খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন।যোহরের নামায পড়ে সবাই যখন মসজিদ থেকে বের হচ্ছিল তখন সেই বাড়ি থেকে কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল!ইমাম সাহেব এবং মোয়াজ্জিন সাহেব সহ কয়েকজন মুরুব্বী সেই বাড়িতে গেলেন খোজ নিতে।গিয়ে দেখেন অসুস্থ মুরুব্বীর অবস্থা খুবই সংকাটাপন্ন।যেকোন সময় মারা যেতে পারেন!তিনি বলতেছেন,আমার ছোট ছেলে কোথায়?তাকে ডাকো!আমি দেখবো।
ইমাম সাহেব তার কানের কাছে মুখ লাগিয়ে বললেন,ভাই কালেমা পড়ার চেষ্ঠা করুন!উনি কিছুক্ষন চেষ্ঠা করলেন।কিন্তু বার বার জিহ্বায় জট লেগে যাচ্ছিল!এক সময়ে এরকম করতে করতে তিনি মৃত্যু বরন করলেন।
হযরত ইমাম ইবনে তাইয়্যেমা (রহঃ) এর এক বর্ননায় একটি ঘটনা পাওয়া যায়! একজন মুমূর্ষ ব্যক্তিকে তিনি দেখতে গেলেন।তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল!তার চেহারা মলিন হয়ে আসতেছিল!তখন হযরত তার কানে মুখ দিয়ে বললেন, ভাই কালেমা পড়ুন। ঐ অসুস্থ ব্যক্তি যখন কালেমা পড়ার চেষ্ঠা শুরু করলেন,তখন তার মুখ দিয়ে “খিস্তী দা,খিস্তী দাও” শব্দ বের হতে লাগল!তার অল্পক্ষন পরেই লোকটি মারা গেল!
লোকটি মারা যাবার পর হযরত লোকটির পরিবারকে জিজ্ঞেস করলেন,তিনি শেষ সময় কি বললেন?লোকটির পরিবার বলল,তিনি প্রচুর দাবা খেলতেন!আর শেষ সময়ের ”খিস্তী দাও,খিস্তী দাও” কথার অর্থ হল, ”চাল দাও,চাল দাও”।
হযরত ইমাম ইবনে তাইয়্যেমা (রহঃ) এর অপর একটি বর্ননা।
একদিন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) যোহরের নামায পড়ে মসজিদে নববীতে বসে আছেন।ঐ সময় মসজিদে নববীতে এক বেদুঈন আল্লাহর কাছে হাদ তুলে দোয়া করতেছিলেন।তিনি আল্লাহর কাছে বলতেছিলেন, হে আল্লাহ!আমার জীবনের শেষ আমলটা যেন উত্তম হয়।আর আমার জীবনের শেষ সাক্ষাৎকারটা যেন সহজ হয়!
আল্লাহর রাসূল এমন দোয়া শুনে চমকিত এবং আনন্দিত হন।তারপর সেই বেদুঈনকে কাছে ডেকে বললেন,তুমি এমন দোয়া কেন করলে?
বেদুঈন বললেন, আমার শেষ আমলটা উত্তম হবে যদি আমার গোটা জীবনের আমল উত্তম হয়।আর আমার শেষ সাক্ষাৎকার হবে,মহান আল্লাহ পাকের সাথে।সেই সাক্ষাৎ যদি আমার জন্য কঠিন হয়, তবে আমার পরকালীন গোটা জীবনটাই কঠিন হবে।রাসূল (সাঃ) বললেন,তুমি যথার্থই বুঝতে পেরেছো!
ঠিক তাই!সারাটা জীবন আমরা যে পথে ব্যয় করব,আমাদের জীবনের শেষ সময়টাও তেমনি হবে।সারাজীবন শয়তানের দেখানো পথে চললে,মৃত্যুর সময় আমাদের জিহ্বা হয়ে যাবে ভারি।আল্লাহপাকের নামই উচ্চারন করতে পারবো না,কালেমা পড়া তো আরো পরের কথা।
আর আল্লাহর দ্বীনের পথে থাকলে,মৃত্যুর সময় আল্লাহপাক আমাদের জিহ্বাকে হালকা করে দিবেন আর জবানে জারি করে দিবেন,”লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সোঃ)।
বিষয়: বিবিধ
১৬৬৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহতায়লা সকলকে উত্তম জিবন ও মৃত্যু দিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন