ত্রানা(তারানা)-যেহেতু তোমরা ভোটে নির্বাচিত না, তাই তোমাদের বিশ্বাস করা যায় না...
লিখেছেন লিখেছেন বার্তা কেন্দ্র ৩০ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:৪৯:০৯ সন্ধ্যা
সর্বশেষ : সিম নিবন্ধনের সময় আরো ১ মাস বৃদ্ধি করা হলো।
নর্তকী তারানা [ভোট ছাড়া, নির্বাচন না করে minister (monster!)] সুতরাং জনগণের নিকট তাই দায়বদ্ধতা নেই। দাদার-বাবুদের একটু পেন্নাম করতে পারলেই ওদের জীবন ধন্য। দাদার এসাইনমেন্ট পালন করার কাজে যতবেশি লম্ফ-ঝম্প করবে ততবেশি মন্ত্রীত্ব টিকে থাকবে।
কেন তবে লোক হাসালি? নিজের কথা নিজে রাখতে পারলি না। সারা জীবন ড্যান্স মাইরা এখন জনতার সেবা করে জাত উদ্ধার করতে চাস? যত গর্জে তত বর্ষে না-মনে রাখিস ত্রানা। একবার না আরো বহুবার টাইম বৃদ্ধি করতে হবে।
আরেকটি এক্সক্লুসিভ লিখা পোস্ট করছি :
সরি তারানা হালিম। আমি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রি-ভেরিফাই করবো না। প্রয়োজনে মোবাইল ইউজ করা বন্ধ করে দেবো।
৫ জানুয়ারি ২০১৪তে আপনারা নির্বাচনের নামে একটা প্রহসন করেছেন, এরপর থেকে আপনাদের প্রতিটি নিঃশ্বাস এবং প্রতিটি পদক্ষেপ অগণতান্ত্রিক, আপনারা যে ভাত খান সেই ভাতের প্রতিটি লোকমা অগণতান্ত্রিক। নাগরিকদের তথ্য নেয়ার অধিকার আপনারা রাখেন না! যেখানে সরকারেরই এই অধিকার নেই, সেখানে কর্পোরেট পুঁজির তো এই অধিকার থাকার প্রশ্নই আসে না, হু দা হেল গ্রামীনফোন রবি অর এয়ারটেল আর টু টেইক আওয়ার ইনফরমেশন?
আপনারা একটা নিওলিবারাল এনিফেল ফার্ম তৈরি করছেন। আপনাদের ওয়াচটাওয়ারের নিচে নববর্ষ পালন করতে হয়। আপনাদের পুলিশ গরীব হকারদের পেটে লাথি মারে। আপনাদের মালিকপক্ষের ইয়ারদোস্তরা নিয়মিতভাবে শ্রমিক হত্যা করা। পৃথিবীর সবচে কম মজুরি পাওয়া শ্রমিকদের আপনারা মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করেন, এবং সেই জীবনটা যাপন করতে দেন না, দুইদিন পর পর খুন করেন। কৃষকদেরকে আপনারা ফসলের ন্যায্য মূল্য দেন না। শেয়ার মার্কেট থেকে মধ্যবিত্তের টাকা চুরি করেন, ব্যাংক থেকে জনগণের অর্থ পাচার করেন।
“গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেগ্রিটির ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২ সালের বাংলাদেশে অবৈধ আর্থিক প্রবাহের (Illicit financial inflow) পরিমাণ ছিল ১৭৮০ মিলিয়ন ডলার। ২০০৩ সালে যা ছিল ৮০৩ মিলিয়ন ডলার। ২০০৬ ও ২০০৭ সালে ছিল সর্বোচ্চ ২,৬৬৭ মিলিয়ন ডলার ও ২,৪৩৬ মিলিয়ন ডলার। যা কর রাজস্বের কয়েকগুন বেশি। যেমন, ২০১১-২০১২ সালে আদায়কৃত কর রাজস্বের পরিমাণ ছিল, ১২৪.১ মিলিয়ন ডলার (জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বার্ষিক প্রতিবেদন হতে সংগৃহীত তথ্য হতে হিসেব করা হয়েছে)। অর্থাৎ ২০১২ সালের অবৈধ আর্থিক প্রবাহ হতে ১৪ গুণ কম। সুইস ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৩ সালে সে ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৪১৪ মিলিয়ন ডলার।” [কর, বৈষম্য ও উন্নয়নের চ্যালেঞ্জঃ কর ন্যায্যতা সম্পর্কে একটি সহজ পাঠ, সিবিএস ও একশনএইড যৌথপ্রকাশনা, পৃষ্ঠা ৩৩]
৭ বছরে আপনারা গোটা দেশটাকে টুকরো টুকরো করে ইন্ডিয়া, রাশিয়া, চীন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বেচে দিয়েছেন। সুন্দরবন ধবংস করে সেখানে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বানাবেন, বাঁশখালীতে কয়লার জন্য ৬টা মানুষকে খুন করলেন, টিকফা চুক্তি এই দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের বিকাশের সমস্ত সম্ভাবনা রুদ্ধ করে দিয়েছে। সবচে ভয়ংকর ঘটনাটা ঘটতে যাচ্ছে পাবনার রুপপুরে। নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়েও প্রতিবেশবিরোধী, তারচেও বড়ো কথা, এর দুর্ঘটনা ঝুঁকি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে মারাত্মক। অথচ রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলো কার্যকর করে আর নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিনা ঝুঁকিতে স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ সমস্যার সহজ সমাধান করা যেতো। চেরনোবিল বা থ্রিমাইল আইল্যান্ড বা ফুকুশিমার মতো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে? আপনারা যে নেবেন না তা তো নিশ্চিত।
দুনিয়াতে আর এমন কোন রাষ্ট্র আছে যারা এক নদীর ওপর ছয়টা বাঁধ দেয়? আপনাদের রাষ্ট্রীয় বন্ধুত্ব উত্তরবঙ্গকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে। এই বন্ধুদের জন্য আপনারা ১০০টা এসইজেড দিচ্ছেন। আপনাদের বিবেক নাই, বোধশক্তি নাই, মনুষ্যত্ববোধ নাই। মিডলক্লাসকে উন্নয়নের আফিম গিলিয়ে ঘোরগ্রস্ত করে রেখেছেন। এই দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার কোনো বিকাশ নাই, আপনারা শুধু আইটি দিয়ে উন্নয়ন করবেন, ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়বেন। না, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আমি এবং আমার মতো আরো অসংখ্য মানুষ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রি-ভেরিফাই করবো না, নিওলিবারাল ফ্যাশিস্তদের এই কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে অন্তত এইটুকু প্রতিবাদ আমরা করবো। যা পারেন করেন।
(লেখক :ইরফানুর রহমান রাফিন-ফ্রম ফেসবুক)
বিষয়: বিবিধ
১৫০১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন