বাংলাদেশকে নাস্তিক্যবাদের চারণভুমিতে পরিণত করার চুড়ান্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায়..
লিখেছেন লিখেছেন বার্তা কেন্দ্র ০৯ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:৪৯:৪২ রাত
চলুন দেখে নেওয়া যাক বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় নাস্তিক্যবাদের অনুশীলনের জন্য কি কি বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে
আর কি কি যোগ করা হয়েছে.....
পাঠ্যপুস্তকে বাংলা বই থেকে বাদ দেওয়া বিষয় গুলো হচ্ছে-
১) দ্বিতীয় শ্রেণী- বাদ দেওয়া হয়েছে ‘সবাই মিলে করি কাজ’ শিরোনামে মুসলমানদের শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
২) তৃতীয় শ্রেণী- বাদ দেওয়া হয়েছে ‘খলিফা হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
৩) চতুর্থ শ্রেণী- খলিফা হযরত ওমর এর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত বাদ দেওয়া হয়েছে।
৪) পঞ্চম শ্রেণী- ‘বিদায় হজ্জ’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত বাদ দেওয়া হয়েছে।
৫) পঞ্চম শ্রেণী- বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী কাদের নেওয়াজের লিখিত‘শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ নামক একটি কবিতা। যাতে বাদশাহ আলমগীর মহত্ব বর্ণনা উঠে এসেছে। এবং শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে আদব কেমন হওয়া উচিত, তা বর্ণনা করা হয়েছিলো।
৬) পঞ্চম শ্রেণী- শহীদ তিতুমীর নামক একটি জীবন চরিত বাদ দেওয়া হয়েছে। এ প্রবন্ধটিতে মুসলিম নেতা শহীদ তিতুমীরের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্যে সংগ্রামের ঘটনার উল্লেখ ছিলো।
৭) ষষ্ঠ শ্রেণী- ড. মুহম্মদ শহীদ্ল্লুাহ লিখিত ‘সততার পুরষ্কার’ নামক একটি ধর্মীয় শিক্ষনীয় ঘটনা বাদ দেওয়া হয়েছে।
৮) ষষ্ঠ শ্রেণী- মুসলিম দেশ ভ্রমণ কাহিনী- ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ নামক মিসর ভ্রমণের উপর লেখাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
৯) ষষ্ঠ শ্রেণী- মুসলিম সাহিত্যিক কায়কোবাদের লেখা ‘প্রার্থনা’ নামক কবিতাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
১০) সপ্তম শ্রেণী- বাদ দেয়া হয়েছে ‘মরু ভাস্কর’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
১১) অষ্টম শ্রেণী- বাদ দেওয়া হয়েছে‘বাবরের মহত্ত্ব’ নামক কবিতাটি।
১২) অষ্টম শ্রেণী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বেগম সুফিয়া কামালের লেখা ‘প্রার্থনা’ কবিতা।
১৩) নবম-দশম শ্রেণী- সর্বপ্রথম বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের বাংলা কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামক ইসলাম ধর্মভিত্তিক কবিতাটি।
১৪) নবম-দশম শ্রেণী- এরপর বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি ‘আলাওল’-এর ধর্মভিত্তিক ‘হামদ’ নামক কবিতাটি।
১৫) নবম-দশম শ্রেণী- আরো বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি আব্দুল হাকিমের লেখা বঙ্গবাণী কবিতাটি।
১৬) নবম-দশম শ্রেণী- বাদ দেওয়া হয়েছে শিক্ষণীয় লেখা ‘জীবন বিনিময়’ কবিতাটি। কবিতাটি মোঘল বাদশাহ বাবর ও তার পুত্র হুমায়ূনকে নিয়ে লেখা।
১৭) নবম-দশম শ্রেণী- বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী নজরুল ইস
উপরের বিষয়গুলো বাদ দিয়ে নতুন স্কুল পাঠ্য বইয়ে নীচের বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়েছে-
১) পঞ্চম শ্রেণী- স্বঘোষিত নাস্তিক হুমায়ূন আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা মূলতঃ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআন বিরোধী কবিতা।
২) ষষ্ঠ শ্রেণী- প্রবেশ করানো হয়েছে ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নামক একটি কবিতা। যেখানে রয়েছে হিন্দুদের ‘দেবী দূর্গা’র প্রশংসা।
৩) ষষ্ঠ শ্রেণী- সংযুক্ত হয়েছে ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোটগল্প। যা দিয়ে কোটি কোটি মুসলিম শিক্ষার্থীদেরকে শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে মায়ের মত, অর্থাৎ- হিন্দুত্ববাদ।
৪) ষষ্ঠ শ্রেণী- অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান রাঁচি’র ভ্রমণ কাহিনী।
৫) সপ্তম শ্রেণী- ‘লালু’ নামক গল্পে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদেরকে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে পাঁঠাবলির নিয়ম কানুন।
৬) অষ্টম শ্রেণী- পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ‘রামায়ণ’-এর সংক্ষিপ্তরূপ।
৭) নবম-দশম শ্রেণী- প্রবেশে করেছে ‘আমার সন্তান’ নামক একটি কবিতা। কবিতাটি হিন্দুদের ধর্ম সম্পর্কিত ‘মঙ্গল কাব্যে’র অন্তর্ভুক্ত, যা দেবী অন্নপূর্ণার প্রশংসা ও তার কাছে প্রার্থনাসূচক কবিতা।
৮) নবম-দশম শ্রেণী- অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের পর্যটন স্পট ‘পালমৌ’ এর ভ্রমণ কাহিনী।
৯) নবম-দশম শ্রেণী- পড়ানো হচ্ছে ‘সময় গেলে সাধন হবে না’ শিরোনামে বাউলদের বিকৃত যৌনাচারের কাহিনী।
১০) নবম-দশম শ্রেণী- ‘সাকোটা দুলছে’ শিরোনামের কবিতা দিয়ে ৪৭-এর দেশভাগকে হেয় করা হয়েছে, যা দিয়ে কৌশলে ‘দুই বাংলা এক করে দেওয়া’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
১১) নবম-দশম শ্রেণী- প্রবেশ করেছে ‘সুখের লাগিয়া’ নামক একটি কবিতা, যা হিন্দুদের রাধা-কৃষ্ণের লীলাকীর্তণ।
১২) প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে দেওয়া হয়েছে ‘নিজেকে জানুন’ নামক যৌন শিক্ষার বই।
(collected)
বিষয়: বিবিধ
১৫৫০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ম্যাগাজিন এ লিখাটা পড়ে ভাবছিলাম, 'বুঝিবা আল্লাহ তায়ালা দয়া করে বাংলার আলেম ওলামা ও অত্র ভূখন্ডের লিডারশিপ বেহেস্ত নিশ্চিত করার অসংখ্য সুযোগ নিশ্চিত করে দিয়েছেন'।
মুসলমান মাত্রই শহীদি মৃত্যু কামনা করে। মুনাজাতে অনেকে তাই প্রার্থনা করে। আল্লাহ আমাদের সামনে অমন মৃত্যু বরন করার জন্য অসংখ্য সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, করছেন এবং হয়তো আরো করবেন। কিন্তু কেন যেন আমাদের নেতৃবৃন্দ সেই সুযোগ নিজেরাও কাজে লাগাচ্ছেন না আবার অন্যদেরকে ও কাজে লাগাতে দিচ্ছেন না।
সালেহ আঃ এর উম্মত মাত্র 'নয় জন' অসৎ লোকের ট্রান্সগেশানকে সহ্য করেছিল, প্রতিবাদ করেনি। ফলাফল হয়েছে এই যে আল্লাহ ঐ নয় জনের সাথে পুরো জাতি কে ই ধ্বংশ করে ছিল। বাংলাদেশে আজকে অমন নয় জন মানুষ ই পুরো একটা জাতির উপর অসৎ রকমের ট্রান্সগেশান একের পর এক চাপিয়ে দিচ্ছে এবং আমাদের লিডারশীপ তথাকথিত ধৈর্য্যের পারাকাষ্ঠা দেখাচ্ছেন। ওনারা মাহাত্ম্যাগান্ধির সুন্নাহ তথা অহিংসা, শান্তিপূর্ন আন্দোলন ফলো করছেন। ওনারা বৃটিশ গনতান্ত্রিক পদ্ধতির আন্দোলন সংগ্রাম চালাচ্ছেন। আখেরে অসৎ লোকদের সাথে বাংলার সব মানুষকেই না গভীর কোন খাদে পতিত হতে হয়। আল্লাহ আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন আমাদের কে সত্য বোঝার তৌফিক দিন। আমাদের আলেম ওলামা ও লিডারদের মধ্যে কোরান, হাদীস ও সুন্নাহ হতে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিন।
কী আর বলবো.....
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ,
মন্তব্য করতে লগইন করুন