চলিতেছে সার্কাস?বাংলাদেশ নিয়ে বিজেপির গোপন বৈঠক..

লিখেছেন লিখেছেন বার্তা কেন্দ্র ০৩ মার্চ, ২০১৬, ০৬:০৩:৫৮ সন্ধ্যা



বাংলাদেশ নিয়ে বিজেপির গোপন বৈঠক

(ভারতের এমন আচারকে ঘৃণাভরে ধিক্কার জানাচ্ছি )

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার পর দেশটির প্রকৃত অবস্থা মূল্যায়ন করতে ঢাকার কিছু নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে কলকাতায় একটি গোপন বৈঠক করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাম লাল। বুধবার কলকাতার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো পক্ষই ওই বৈঠকের ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে দিল্লির একটি বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংস্থা)-এর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবালে ওই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও মালদ্বীপে সংঘের পরিকল্পনা সম্পর্কিত বিষয় বাস্তবায়নে ওই বৈঠকের আয়োজন করেন তিনি।

সংঘ সূত্র বলছে, হোসাবালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রামমাধবকে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানালেও আসামে বিধানসভা নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা তিনি অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘বৈঠকের সময় আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থার ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছি। বিজেপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যেকার সম্পর্ক কীভাবে আরো উন্নত করা যায় সেটা নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়েছে।’

বিজেপি ও গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী আরএসএসের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশের সরকারি দলের কোনো সমস্যা নেই বিষয়টি স্পষ্ট করে ওই নেতা যোগ করেন, ‘দলের শীর্ষ নেতাদের প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার পরই আমি ভারতে এসেছি।’

খবরে বলা হয়, ভারতে বিজেপির উত্থান আওয়ামী লীগের প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াতের জন্য এটা সুবিধাজনক বিষয় বলে মনে করা হয়। কিন্তু বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে যওয়ায় এ সমস্যা কমেছে।

প্রতিবদেনে আরো বলা হয়, কংগ্রেসের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিষয়ে বেশি সতর্ক। কিন্তু দুপক্ষের কূটনীতিকরা মনে করেন, ‘দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক এত ভালো আগে ছিল না’।

প্রতিবেশি দেশের ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আরো বেশি করে সুসম্পর্ক ঘরে তুলতে চাই ভারত সরকার। আর সেটা বোঝা গেল দিল্লি সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবু হাসান মাহমুদ আলীর সম্মানে বুধবার আরএসএসের থিঙ্কট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান দি ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশনের এক একটি ভোজসভার আয়োজনের মাধ্যমে। এতে সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া মাধব।

দিল্লির সূত্র জানায়, ‘দিল্লি-ঢাকা সম্পর্কে অনেক কিছু ঘটছে বলে মনে হচ্ছে। বাংলায় (কলকাতায়) অনুষ্ঠিত বৈঠক একটি ভিন্ন বিষয়ের ওপর। কিন্তু এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।’

খবরে বলা হয়, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের সদস্য, সাংবাদিক ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশার ১০ জনের মতো সদস্য ওই বৈঠকে যোগ দেন। পর পর দুইদিনের ওই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন রাম লাল।

বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সূত্রটি জানায়, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বেশিরভাগ সদস্য দেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষায় হাসিনা সরকারের অঙ্গীকারকে সমর্থন করেন। সংখ্যালঘুদের সম্পদ আওয়ামী লীগ নেতারা জবর-দখল করে নিচ্ছেন, এমন অভিযোগের বিষয়টিও ওই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

একজন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ‘আমরা জানি না, আসলে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমরা জট পাকাতে পারি না। আমার একটি অনুরোধ থাকবে- এ বৈঠকটি যেন প্রতিবেশি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ হিসেবে না দেখি।’

(collected)

বিষয়: বিবিধ

১০৫৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

361244
০৩ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১৯
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : এ আর নতুন কি ! এই রকম তো হরহামেশাই ঘটতেছে, বাংলাদেশের মুসলিমদের কপালে নিশ্চিত দু:খ আছে।
ধন্যবাদ আপনাকে
361246
০৩ মার্চ ২০১৬ রাত ০৮:০৬
শেখের পোলা লিখেছেন : খাল কেটে কূমীরকে যখন আনা হয়েছে তখন তার উৎপাত সইতেই হবে৷ উৎপাত বন্ধ করতে হলে খালটাই আবার ভরাট করে ফেলতে হবে৷ গভীরতা এতটাই হয়েছে যে সেটাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে৷
361572
০৬ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৯:০৯
হতভাগা লিখেছেন : এত ঢাক ঢাক গুড় গুড় না করে সোজা দখল করে ফেললেই হয় । বাংলাদেশের মানুষ ভারতের অধীনে যেতে এক পায়ে খাঁড়া সেই কবে থেকে !

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File