সৌদি আরব -তুরস্ক-পাকিস্তানের নেতৃত্বে বিশ্ব মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের অনিবার্য দাবী.....

লিখেছেন লিখেছেন বার্তা কেন্দ্র ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৯:২৫:২৭ রাত

যে কারণে আপনি ইসলামিক জোটকে (সৌদি-তুর্কী) সমর্থন করবেন?



প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯২৪ সালে ওসমানীয়া খেলাফতের বিলুপ্তির পর থেকে আজ পর্যন্ত মুসলমানেরা বিশ্ব ব্যাপি ব্যাপক নির্যাতিত, লাঞ্চিত, নিপিড়িত এমনকি ইসলাম পন্থী রাজনীতিবিদদের ব্যাপক হারে ফাসিঁর রশিতে ঝুলতে হচ্ছে। গনতন্ত্রের পাইকারী বিক্রতারা গনতন্ত্রের নামে মুখে ফনা তুললেও বাস্তবে যখন কোন ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ব্যাপক ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয় তখন অল্পদিনের মাথায় সেই দলকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। যেমন বাংলাদেশে জামায়াতকে সরকারে নেওয়ায় বিএনপি সরকারকে বিনা অজুহাতে উৎখাত করা হয়েছে। অনুরুপ ভাবে মিশর, তিউনিসিয়া, ফিলিস্তিন সহ অনেক দেশে যেখানে ইসলাম পন্থী রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করেছে তখন তাদেরকে চলে বলে কৌশলে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

অবশেষে আল্লাহর রহমতে ওসমানীয় খলিফাদের বংশধর তুরস্কের প্রেসিড়েন্ট রজব তৈয়ব এরদুগান মুসলমান জাতির নেতৃত্বের হাল ধরেছে। মুসলমান জাতি এরদুগানকে নিয়ে আশার আলো দেখতে পাচ্ছে, কারণ ইতিপুর্বে এরদুগান মধ্যবিত্ত তুরস্ক রাষ্ট্রটিকে মাত্র ১৫বছরের ব্যাবধানে পৃথিবীর ৪র্থ ক্ষমতাধর ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশে পরিনত করেছে। তাই মধ্যপ্রাচ্যর বাদশাহ’রা এরদুগানকে মুসলিম জাতির যোগ্য নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

ইসলামিক জোট আপনার কি উপকারে আসবে?

--------------------------------------------------------------

বর্তমান অসংখ্য মুসলিম দেশে সমস্যা বিরাজমান, রাতারাতি এইগুলো সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে বর্তমানে ইসলামিক জোট যে প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছে তাতে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে…

• প্রথমে সিরিয়ার আসাদকে উৎখাত করে ইসলামিক জোট সমর্থিতদের হাতে ক্ষমতা তুলেদেবে।

• ২য় মিশরের সিসি সরকারকে উৎখাত করে বাদ্রারহুডকে আবার ক্ষমতায় বসাবে।

• ৩য় বাংলাদেশে হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে ইসলামিক জোট সমর্থিতদের হাতে ক্ষমতা তুলেদেবে।

• ৪র্থ ইরাক, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সোমালিয়ার ইসলামিক জোট সমর্থিতদের হাতে ক্ষমতা তুলেদেবে।

• তৎপরবর্তীতে ইসলামিক জোট ১৯৫০ সালের পুর্ব সীমানায় যেতে বাধ্য করবে ইসরাইলকে।

ইসলামিক জোটের নেতৃত্বে কারা?

---------------------------------

১. তুরস্ক সরকার ২. সৌদি সরকার ৩. কাতার সরকার ৪.পাকিস্তান সরকার

ইসলামিক জোটের সার্পোট রাষ্ট্র বা দল কারা?



১. লিবিয়া ২. তিউনিসিয়া ৩.মরক্কো ৪. সুদান ৫. জর্দান ৬. ওমান ৭. কুয়েত ৮. বাহারাইন ৯. আরব আমিরাত ১০. মালয়েশিয়া ১১. ব্রুনাই ১২.ফিলিস্তন (হামাস) ১৩. সিরিয়া (আন-নুসরা, ফ্রি-সিরিয়ান আর্মী,) ১৪. বাংলাদেশ (জামায়াত-হেফাজত সহ ইসলামী দল সমুহ) ১৫. আফগানিস্তান (তালেবান) ১৬. মিশর (ব্রাদারহুড় –আলনুর পাটি) ১৭. ইয়েমেন (ইসলামিক গ্রুফ) ১৮. আলজেরিয়া (বোকোহারাম ও অন্য ইসলামিক গ্রুফ)

চুড়ান্ত ভাবে বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে,

এক ভাগের নেতৃত্বে থাকবে ১.. তুরস্ক ২.সৌদিয়া ৩. পাকিস্তান

অন্য গ্রুফে নেতৃত্ব দেবে ১. রাশিয়া ২. ইরান ৩. ভারত

এই লেখার একমাত্র উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপি ইসলামী শক্তিকে ইমানদার মুসলমানদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। যেহেতু বর্তমানে বিশ্বব্যাপি নাস্তিক বা সেকুলার সমর্থিত মিড়িয়া অনেক বেশী তাই তারা উপরে উল্লেখিত ইসলামী শক্তির বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত ও মিথ্যা প্রতিবেদন লিখে সরলমনা মুসলমানদের ধোকায় ফেলছে।

COURTESY BY :



=====

বিষয়: বিবিধ

৩০৬১ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

359739
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:৩২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আসলে বিশ্ব পরিস্থিতি এখন এমন যে কোন পক্ষ নেওয়া মুশকিল।
০৪ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
302430
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে!
359782
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৬:২৮
শেখের পোলা লিখেছেন : সৌদীতে আসল ইসলামী শাসণ অনুপস্থিত৷ তারাকি সত্যই ইসলামের পক্ষে? তা হলে আমেরিকাকি তাদের প্রভু থাকবে? আর আমার নিজের দেশের সরকার কাদের পক্ষে তা আর বলার দরকার নাই৷ এখানে আমাদের সমর্থনের কতটুকু দাম আছে?
০৪ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
302431
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্য..ধন্যবাদ
359792
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:০৬
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : এধরনের জোট অনেক আগেই হওয়া উচিৎ ছিল, বিশেষ করে ফিলিস্তিন এবং বর্তমান আইসিস ইস্যুতে।
আরবদের ওআইসি নামের একটি সংগঠন আছে, যাকে আমরা মজা করে বলি- O, I SEE!! মানে, আমি কিন্তু সব দেখছি!
তারা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে অনেক কিছু দেখে কিন্তু কামের কাম কিচ্ছুই করেনা।
মরেছে ইরাকে, আফগানিস্তানে, ফিলিস্তিনে, তারাতো আর মরে নাই!
এখন ঘুম ভেঙ্গেছে, কারন কুর্দীদের বোমা তাদের গায়েও পড়া শুরু হয়েছে তাই!!
তবে আমেরিকাকে আমি ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে, কুর্দীদেরকে লেলিয়ে দিয়ে তারা অন্তত বিলাসী অলস আরবদের ঘুম ভাঙ্গাতে পেরেছে!
কিন্তু আমেরিকা এই জোটটাকে রাশিয়াকে সাইজ করার জন্য ব্যবহার করবেনা তো আবার? সেরকম কিছু হলে আরবদের সঞ্চিত শক্তি যা ছিল তা হারাবে। সাবধান থাকতে হবে কিন্তু!
আর ইরান মনে হয়না যুদ্ধে জড়াবে, তারা এখন কৌশলে আগাচ্ছে। ফ্রান্স থেকে বিমান ক্রয় করে তারা ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করার চেষ্টা করছে।
০৪ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৩৮
302432
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
359794
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:৩১
আবু বকর সিদ্দিকী লিখেছেন : ২য় মিশরের সিসি সরকারকে উৎখাত করে বাদ্রারহুডকে আবার ক্ষমতায় বসাবে।
সৌদি আরবই তো সিসিকে ক্ষমতায় বসালো এবং এখনো দুধ কলা দিয়ে যাচ্ছে।
আবেগের বশে না থেকে বাস্তবতায় আসুন।
০৪ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
302433
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : তখন সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ ছিল, এখন সালমান। পরিবর্তন অনেক পরিবর্তন হয়েছে সৌদি পররাষ্ট্রনীতি।
359795
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:৪১
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : আর আপনার কিছু কল্পিত লেখার সঙ্গে আমি একমত হতে পারলামনা।
আপনি বলেছেন এই জোট বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবর্তন করে দিবে!!
তা কিভাবে সম্ভব? মিশরওতো এই জোটে আছে! পরিবর্তন করতে হলে আগে সৌদির নিজকে পরিবর্তন করতে হবে। তারা সাহস করে গনগন্ত্র বাস্তবায়ন করুক আগে।
০৪ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
302434
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : ধন্যবাদ।
359800
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪
ওসমান গনি লিখেছেন : মুসলিম বিশ্বে এ রকম সামরিক অর্থনৈতিক জোট হওয়া অনেক আগেই দরকার ছিল। তবে সৌদি আরব,আরব আমিরাতের মত দেশসমুহ সব সময় ভারত ইঙ্গ-মার্কিন জায়নবাদীদের লেজুরবৃত্তি করার কারণে এটি হয়ে উঠেনি। অথচ বিশ্ব রাজনৈতিক, সামরিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইসলাম বিরোধীদের পোলারাইজেশন হচ্ছে। ওরা শক্তি সঞ্চয় করছে ও মুসলিম জাতিসমুহে বিবেধ সৃষ্টি করছে। দূর্ভাগ্যক্রমে আমাদের শাসকবর্গ ওদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। আমাদের শেখ শাসিত ঐসব রাজা বাদশাহদের এখনও হুশ হয়নি। এখনও ওরা শত্রুদের বুকে টেনে নিচ্ছে। আর্থিকভাবে উপকার করছে। এ কদিন আগে আরব আমিরাত আর ভারত বলেছে তাদের ব্যবসা ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। শত্রুদের এভাবে পেট ভরিয়ে সাদ্দাম-গাদ্দাফীদের যে শেষ রক্ষা হয়নি সেটাও তাদের চোখে পড়েনা। আবার এখন তারাই বলছে জোট হবে। ভালো কথা। এ জোট দরকার। অনেক আগেই হওয়া উচিৎ ছিল। তবে এ জোটের টার্মস অব রেফারেন্স ঠিক হওয়া দরকার। এটি ঐক্যের স্বার্থে দরকার। যেমন ১)নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে অবস্থান নেয়া। ২)পারস্পরিক সামরিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও দৃঢ় করা। ৩)শত্রু মিত্র চিহ্নিত করা। ৪)প্রকৃত শত্রুদের ছাড় না দেয়া তথা দহরম-মহরম বন্ধ করা। ৫)এক সদস্য দেশের উপর বিপদ সকলের উপর মনে করা। ৬)শিয়াদের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে নেয়া বৃহত্তর স্বার্থে তথা ঐক্যের স্বার্থে এটা দরকার আর যদি এরা তা করতে না চায় তাহলে বয়কট করা। ৭) নিজেদের মধ্যে ব্যবসা বানিজ্যে অগ্রাধিকার দেয়া। ৮) ধীরে ধীরে ইসলাম বিরোধী শক্তির হাত থেকে নিজেদের ব্যবসা বানিজ্য গুটিয়ে নেয়া। ৯) মিডিয়া সৃষ্টি ও বৃদ্ধিতে কাজ করা আর মিডিয়ার অপপ্রচারে বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতি বিরূপ না হওয়া। ১০) নিজ দেশে কর্মী নিয়োগে বন্ধু রাষ্ট্ররে অগ্রাধিকার দেয়া। ১১) নিজেদের মধ্যে সব ধরণের যেমন নৌ,বিমান ও স্থল বাহিনীর উপযুক্ত অস্ত্র তৈরিতে পারঙ্গম হওয়া। ১২) বন্ধু রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীন সন্ত্রাস দমনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানো ও নির্মুল করা। ১৩) সদস্য রাষ্ট্রসমুহে বাধ্যতামূলকভাবে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট থাকা। ১৪) অর্থের নামে ও আধুনিকতার নামে বেহায়াপনা ছড়িয়ে না দেয়া। ১৫) সকল উস্কানীর মুখে ঐক্যবদ্ধ থাকা ও কুশলী হওয়া। আশা রাখি এভাবে যদি মুসলিম বিশ্ব একতাবদ্ধ হয় তাহলে তাদেরকে কেউ দমিয়ে রাখদত পারবেনা।
০৪ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৪০
302435
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : খুবই গঠনমূলক মন্তব্য স্যার,ধন্যবাদ আপনাকে।
359927
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
হতভাগা লিখেছেন : এরা যেখানে যেখানে হাত দেবে সেখানে আমেরিকার স্বার্থ জড়িত আর আমেরিকার সাথে সৌদি আরবের সখ্য সব সময়ের ।

বরং এটা আমেরিকারই একটা সেটআপ যা দিয়ে তারা সাপও মারবে লাঠিও ভাঙবে না । গত কয়েক দশকে এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে আমেরিকা প্রচুর টাকা হারিয়েছে ।

মুসলিম বিশ্বের উচিত আগে মধ্যপ্রাচ্য তথা পৃথিবীরই বিষফোঁড়া ইসরায়েলকে কঠিনভাবে সাইজ করা , নিজেদের মধ্যে অহেতুক বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে উদ্যোগ নেওয়া ।
০৪ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৪১
302436
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : ভালই বলেছেন জনাব।ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File