ভয়ঙ্কর টর্চার সেল-Torture cell
লিখেছেন লিখেছেন বার্তা কেন্দ্র ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৬:৪৫:৪৪ সন্ধ্যা
আরিফ(ছদ্মনাম) চট্টগ্রাম কলেজে সম্মান ৩য় বর্ষে পড়ে। কলেজে যায় না বহুদিন। কারণ কলেজ এখন ছাত্র নামধারী কিছু সন্ত্রাসীদের দখলে। সামনে তার ফাইনাল পরীক্ষা বিধায় কলেজে গিয়েছে এডমিড কার্ড তুলতে। সুস্থ সবল আরিফ কলেজে ঢুকেই ফিরতে হলো রক্তাক্ত হয়ে। ছাত্রলীগের কিছু সন্ত্রাসীরা তাকে শিবির সন্দেহ করে প্রথমে আটক করে। সস্ত্রাসীদের একজন বললো তাকে "আদালত" এ নিয়ে চল। এই আদালত টা চট্টগ্রাম আদলত ভবন নয়। এটা ছাত্রলীগের অস্থায়ী আদালত যা কলেজ ক্যান্টিনের পাশের একটি কক্ষে অবস্থিত। অস্ত্র, হকিস্টিক, রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত সেই ঘর। সেই কক্ষে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহভাজন শিবির কর্মীদের বিচার করা হয়।
আরিফকেও প্রথমে সেই আদালতে নিয়ে যায়। প্রথমিকভাবে সন্ত্রাসীরা তাকে শিবির সভাপতির নাম্বার দিতে বলে। অথবা প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের দশজন করে শিবির কর্মীদের তালিকা দিতে বলে। এসব তথ্য না দিলে আরিফকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। অথচ আরিফ শিবিরের একজন নূন্যতম সমর্থকও নয়। সে কিভাবে শিবিরের এতগুলো তথ্য দিবে??
.
আরিফ তাদের কাছে হাতজোর করে অনেক অনুনয়-বিনয় করে বললো সে শিবির করে না। তবুও তাকে রেহায় দিলো না পাষন্ডরা। তাকে হকিস্টিক দিয়ে ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত করে দেয়া হলো। ভাগ্যক্রমে আরিফের একজন বন্ধু ছাত্রলীগ করে। সে তাকে ফোন করে অনেক কষ্টে ঐ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বেঁচে ফিরে আসে।
.
আরিফকে ছেড়ে দেয়ার পূর্বে ছাত্রলীগের ছেলেরা কঠিন হুশিয়ারী দিলো। কলেজে গেলে প্রতিদিন ছাত্রলীগের ছেলেদের সাথে মিশতে হবে এবং সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করতে হবে। এবং তাকে যে "আদালত" এ নেওয়া হয়েছিলো, সেই আদালতের কথা যেন কেউ না জানে।
.
এটাই হলো মোটামুটি চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগ কর্তৃক সাধারণ ছাত্রদের উপর চলা অমানবিক নির্যাতনের দৃশ্য।
.
চট্টগ্রাম এবং মহসিন কলেজের শিক্ষার্থীরা একটু সতর্কতার সাথে চলাফেরা করুন। ছাত্রলীগের গুন্ডাদের হাত থেকে নিজে সেইফ থাকুন, অপরকেও সেইফ থাকতে বলুন।
[সংগৃহীত]
বিষয়: বিবিধ
১১১১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন