তোমরা যারা শিবির করো, না তোমরা যারা ভারতীয় দালাল!
লিখেছেন লিখেছেন বার্তা কেন্দ্র ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১২:৩২:১৯ দুপুর
১৯৭১ সালে আপনার বয়স ছিল, ধরে নিলাম ১৯ বা ২০ বছর। আপনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। ধরে নিলাম আপনি শেখ মুজিবের আদর্শ অনুসরণ করেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। শেখ মুজিবের নেতারা সব ভারতে পালিয়েছিল এবং শেখ মুজিব নিজে পাকিস্তানের বিরোধিতা করতে চাননি সেজন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। কারণ শেখ মুজিব পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শেখ মুজিব পাকিস্তানে পালিয়ে গেছিলেন কিন্তু আপনি বাংলাদেশেই ছিলেন। আপনার নানা একজন মুসলিম লীগার ছিলেন এবং শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন, ধরে নিলাম সেজন্য আপনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। আপনার নানাকে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করে, ধরে নিলাম সে কারনেই আপনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি।
ধরে নিলাম মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করার কারনেই আপনি “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” বাক্যটি এত বেশী ব্যবহার করেন সেই শূন্যতা পূরণ করার জন্য বা সবার চোখে ধুলো দেবার জন্য। আপনি একজন শিক্ষক, একজন স্বামী, একজন পিতা। গণজাগরণ মঞ্চে যখন আপনার স্ত্রীকে ছেলেরা অপমান করে, তখন একজন স্বামী হিসাবে আপনি আপনার স্ত্রীকে রক্ষা করেননি বা সেখান থেকে চলে আসেননি বা প্রশ্ন করেননি কি ধরনের ছাত্র আপনি তৈরি করেছেন যারা অন্য একজন শিক্ষিকা ও মা’কে যৌন হয়রানী করে? আপনি সেদিন আপনার স্ত্রীর পাশে দাঁড়াননি। যুদ্ধাপরাধীরা সেটাই করেছিল – তারা আপনার মাবোনের ইজ্জ্বত লুটেছিল যেমন আপনার স্ত্রীর ইজ্জ্বতের উপরে হামলা হয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চে। সেদিন জনগণকে জাগাইতে যেয়ে আপনার ভেতরে “পুরুষ” ঘুমিয়ে গেছিল। একজন স্বামীর দায়িত্ব একজন স্ত্রীকে রক্ষা করা।
১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর গনহত্যা ও ধর্ষনের হাত থেকে মাবোনের ইজ্জ্বত ও দেশকে রক্ষা করার জন্যই নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন কমরেড সিরাজ সিকদার, মতিউর রহমান রেন্টু, মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর শারফুল হক ডালিম, মেজর বজলুল হুদা, মেজর জিয়াউর রহমান, খন্দকার আব্দুর রশিদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, এ কে এম মহিউদ্দীন আহমেদ, নূর চৌধুরী, এবং সমগ্র পূর্ব বাংলার অরক্ষিত জনগণ।
আপনি, আপনার ভাই হুমায়ুন আহমেদ, আপনার বাবা পুলিশ অফিসার, আপনার মুসলিম লীগার নানা শান্তি কমিটির সভাপতি, শেখ মুজিব, শেখ মুজিবের পরিবার, শেখ মুজিবের দলের বড় বড় নেতারা ছাড়া বাকী সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
ফাঁকা পাতিলে আওয়াজ বেশী। আপনি আওয়াজ করেন বেশী। আপনি একজন স্বামী হয়ে নিজের স্ত্রীর সন্মান রক্ষা করতে পারেননা আপনি একজন শিক্ষক হয়ে অন্য একজন শিক্ষিকার সন্মান রক্ষা করতে পারেন না কারণ আপনি একজন কাপুরুষ।
আপনি একজন শিক্ষক হয়ে ছাত্রীদের উপদেশ দেন খোলা আকাশের নীচে রাস্তার মাঝখানে রাতদিন চিৎকার করে গলা ফাটানের। বিচার বহির্ভুত ফাঁসীর দাবী করেন কোন আইন না মেনেই কোন সাক্ষীপ্রমান বিচার পদ্ধুতি নিয়ম কানুন না মেনেই। একজন শিক্ষক হয়ে আপনি ছাত্রীদের ইজ্জ্বতের কথা চিন্তা করেননা আপনি বৃষ্টিতে ভিজে প্রতিবাদ করেন “জয় বাংলা” শব্দের ইজ্জ্বত নস্ট হবার দুঃখে।
আপনার ছাত্ররা আপনার স্ত্রীকে যৌন হয়রানী করেছে – এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। আপনি যেমন শিক্ষক তেমন ছাত্র তৈরি করেছেন। আপনি “জয় বাংলা” বলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই। শেখ মুজিব “জয় বাংলা” বলে মুক্তিযুদ্ধ না করে পাকিস্তানে পালিয়ে গেছিল। সেটা দেখেই আপনার ছাত্ররা “জয় বাংলা” বলেই আপনার স্ত্রী এবং শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি ও মারপিট করেছে, অপমান করেছে।
মোহাম্মদ জাফর ইকবাল আপনি একজন বৈজ্ঞানিক। আপনি নিশ্চয় সেই গল্গ পড়েছেন – মেরি শেলীর লেখা উপন্যাস — Frankenstein । একজন বিজ্ঞানের ছাত্র ভিক্টর ফ্রাঙ্কেন্সটাইন গবেষনা করে এক দানব সৃষ্টি করেছিল। সেই দানব প্রথমে তার সৃষ্টিকর্তাকে হত্যা করে। আপনি দানব সৃষ্টি করেছেন আপনার ছাত্রছাত্রীদের লেলিয়ে দিয়েছেন আইন আদালতকে ধর্ষন করার জন্য, নিরীহ মানুষকে জবাই করার জন্য, নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করে হয়রানী করার জন্য, খোলা মাঠে মেয়েদের বস্ত্রহরণ করার জন্য এখন সেই দানবেরা “জয় বাংলা” বলে আপনার স্ত্রীর বস্ত্রহরণ করছে তাতে আপনার কোন আফসোস নাই। আপনার আফসোস “জয় বাংলা” শব্দটা না বলে ওরা যদি “আল্লাহ্ আকবার” বলে আপনার স্ত্রীকে অপমান করতো তাহলে আপনার নাটক ভাল জমতো।
শিক্ষক হিসাবে এটা আপনার ব্যর্থতা। “তোমরা যারা শিবির করো” তারা কোনদিন কোন মহিলাকে অসন্মান করবেনা সেজন্য ব্যঙ্গ করে “তোমরা যারা শিবির করো” তাদেরকে ব্যঙ্গ করে “ছাগল” বলা হয়। আপনার নানা মুসলীম লীগার ছিলেন, শান্তি কমিটিতে ছিলেন তাই জামাতে ইসলামের রাজনীতি আপনি ভাল বুঝবেন।
আ
পনি অবশ্যই জানেন “তোমরা যারা শিবির করো” তারাই বাংলাদেশের সব চাইতে ভদ্র এবং সব চাইতে মেধাবী ছাত্রছাত্রী। আপনার উচিৎ শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে যৌনকর্মী সরবরাহের ব্যবসা করা। আপনি শিক্ষকতা করে ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থণীতি টালমাটাল এখন চারিদিকে ক্ষুধা আর দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে আপনি এই ব্যবসাতে সফল হতে পারবেন। গনজাগরণ মঞ্চে রাস্তার মাঝখানে খোলা আকাশের নীচে দিনরাত ছাত্রীদের “জবাই করো আর ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই” করে লাফালাফি আর নাচগান করিয়ে আপনি আপনার যৌনকর্মী সরবরাহ ব্যবসার মার্কেটিং এর কাজ শেষ করেছেন এখন ব্যবসা শুরু করে দেন এবং শিক্ষক শব্দকে “জয় বাংলা” বলে কলংক থেকে মুক্তি দেন।
সৌজন্যে-
http://probasnews24.com/2015/08/31/10789/
বিষয়: বিবিধ
১৫৪৬ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যথার্থ বলেছেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
একটা দেশের সবাই কি আর যুদ্ধে নামে , বলেন ?
আর স্যার তো শেষ মুহূর্তে এসে লেফট রাইট শুরু করে দিয়েছিলেন যুদ্ধে যাবার জন্য , অমনিই যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল !!!!
উনি যদি আগে লেফট রাইট শুরু করে দিতেন তাহলে বাংলাদেশ কবেই স্বাধীন হয়ে যেত !!
যা হোক উনারা কিছু একটা তো করেছেন , ডক্টরেট ডিগ্রী হাসিল করে দেশকে বিশাল উদ্ধার করে ফেলেছেন । দেশে তো সে সময়ে কোন ডক্টরেটধারীই ছিল না !!
আর ছাত্রলীগের কথা বলছেন ? স্যার তো বলেই দিয়েছেন যে ওরা দুধের শিশু । ওদেরকে নিশ্চয়ই কেউ হিপনোটাইজ করেছে । না হলে এরকম সোনার ছেলেরা কেন এমন বিগড়ে যাবে ?
যথার্থই বলেছেন।
ওদের লজ্জার চামড়া নির্লজ্জতায় ঢেকে গেছে।
ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকুরীর সুবাদে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের এক অফিসারের সাথে মাঝে মাঝে কথা বলার সুযোগ হয়। কথা প্রসংগে সে যখন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে চাইলো, তখন আমি তাকে বললাম। জনাব আওয়াজ নিচু করে কথা বলুন, ৯৩ হাজার সৈন্য একসাথে বাংগালী জাতীর সামনে আত্বসমর্পন করেছিলেন।
সাথে সাথে ঐ অফিসার আমাকে প্রশ্ন করলো তোমরা কি এখন স্বাধীন?? আমার উত্তরের অপেক্ষা না করে আবার বলতে লাগলো, "১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বাংগালীদেরকে আমাদের গোলামি করিয়েছি এবং ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ভারতের অরোরা সিংয়ের কাছে আমরা আত্বসমর্পন করে এই গোলামির দায়িত্ব আমরা ভারতের হাতেই তুলে দিয়েছি। আমরা কোন বাংগালীর সামনে মাথানত করিনি, ভাল করে ইতিহাস পড়ে দেখ। আগে তোমরা পাকিস্তানীদের গোলাম ছিলে এখন তোমরা ভারতের গোলাম। আর তোমরা যে মুজিব-হাছিনাকে নিয়ে গর্ব করছ সে ভারতের পিউর এজেন্ট।"
নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে আমি কোন উত্তর পেলাম না। আমাকে নিরব দেখে সে কথার প্রসংগ পাল্টে পেললো।
আমার প্রাণের বাংলা.....আমি তোমায় ভালবাসি।
ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন