আগামী দিনের জুমার খোতবা কি হতে পারে?

লিখেছেন লিখেছেন বার্তা কেন্দ্র ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:১৯:৪৬ দুপুর

(১)

জুমা'র খুতবা :

নিম্নলিখিত জুমার খোতবাটি এ সপ্তাহে জুম্মার জন্য উলামা লীগের ড্রাফট। এটি সব মসজিদে ঠিকমতো আদায় করা হচ্ছে কি না তা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তদারক করবে। বায়তুল মোকাররমে মুসল্লী হিসেবে থাকবেন ডিআইজি বনজ কুমার চাকমা। ইমাম সাহেব বঙ্গবন্ধুর সুন্নত হিসেবে একটা পাইপ হাতে নিয়ে মিম্বরে উঠবেন।

নাহমাদুল বঙ্গবন্ধু নাসতাইনুল বঙ্গবন্ধু ক্কালা বঙ্গবন্ধু এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ওয়া ক্কলা শেখ হাসিনা, একটা লাশের বদলে দশটা লাশ ফেলে দাও।ক্কালা ষাড় বুকের ভেতর ঘৃণার আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হবে হু।

এরপর ইমাম সাহেব বেচারাকে মিম্বরে বসে এক মিনিট পাইপ টানতে হবে। তারপর আবার দাঁড়িয়ে বলবেন,

সালাম আলা সাইয়েদেনা শেখ জামাল। সালাম সাইয়েদেনা শেখ কামাল। সালাম সাইয়েদেনা শেখ রাসেল। সালাম সমস্ত শেখ আহলে বাইত বঙ্গবন্ধু আলে বাইতের শত্রুদের উপর লানত। লানত যুদ্ধাপরাধী বিএনপি জামায়াত। শাহবাগ জিতে রহো। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ফাযকুরুনি .......

এই খোতবা যাদের পছন্দ হবে না তারা পাকিস্তান চলে যান। নাইলে পুলিশের ডিজি শহীদুল আপনারে পাইলে খবর আছে। যারা মনে করছেন এইটা কৌতুক, একসময় তুরস্কের বঙ্গবন্ধু কামাল মিয়া তার ভাষাতে আযান নামায এইসব চালু করেছিলো। দেখেন কোথাকার জল কোথায় গড়ায় শেষ পর্যন্ত। অনেক জয় বাংলা হওয়ার বাকী আছে হে!



(২)

বাংলাদেশের ইসলাম/মসজিদ নিয়ন্ত্রণ করতে হাসিনার হিন্দুত্ববাদী/ যায়নবাদী চক্রান্ত রুখতে হবে :

কেবল গতকালই পুলিশের আইজি শহীদুল হক বরেছিল, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোতে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) একজন করে সদস্য মোতায়েন করা হবে। এর মাধ্যমে জুমার খুতবাসহ ওয়াজের সময় খতিবরা যাতে সরকারের কোনো ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে না পারেন তা নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু আইজিপির এ ঘোষণা আগে থেকেই উপজেলা পর্যায়ে একই রকম নজরদারির কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিতর্কিত ডিজি শামীম আফজাল।

সম্প্রতি দেশের সব জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়গুলোতে একটি ছক পাঠানো হয়েছে যেটির মাধ্যমে সংস্থাটির কর্মীরা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোর ইমাম/খতিবদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গোপনে সংগ্রহ করবেন। একই সাথে জুমাবার তাদের খুৎবায় কী ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, সেগুলো সরকারের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে যাচ্ছে কিনা, তাও মনিটর করবেন। একটি লিখিত ছকের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে এসব তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এর ভিত্তিতে সরকার কোনো খতিব বা ইমামকে নিজেদের স্বার্থের জন্য হুমকি মনে করলে তাকে সরিয়ে দেবে বা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তৈরি করা ছকটির শিরোনামে লেখা রয়েছে, “উপজেলা পর্যায়ে মসজিদসমুহের খুৎবার পূর্বের বয়ান/ওয়াজ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের ছক”। সেখানে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। ছকটির অন্যান্য অংশে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের ঘরের পাশাপাশি “কোন মতাদর্শে বিশ্বাসী” শিরোনামের একটি ঘরও রয়েছে।

সেটিতে (ক) তাবলীগ (খ) তরিকা (গ) মওদুদী জামাত (ঘ) গণতান্ত্রিক রাজনীতি (ঙ) বিতর্কিত (চ) সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম-- নামে ছয়টি অপশন রয়েছে।

তথ্য সংগ্রাহকরা একজন খতিবের তথ্য সংগ্রহের পর উপরের যে কোনো একটি অপশনে ঠিক চিহ্ন দিয়ে ওই খতিবের ‘মতাদর্শ’ নিশ্চিত করে উপরের কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।



এর বাইরে খতিবের প্রতি সপ্তাহের ওয়াজের আলোচ্য বিষয়ের ওপর আলাদা আরেকটি কলাম রয়েছে। তার সাপ্তাহিক ওয়াজের বিষয়বস্তু কী তা ওই কলামে বর্ণিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বহুল বিতর্কিত এবং দূর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল কর্তৃক ফের বিতর্কিতভাবে দেশের মসজিদগুলোতে ইসলামী ওয়াজ নসিহতের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপকে ইসলামের ওপর হস্তক্ষেপ করতে যাচ্ছে।

.........হাসিনা না হয় অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য পাগল, কিন্তু এরা কি জেনে শুনে আত্মঘাতি পথে পা বাড়িয়েছে। যে পথে যাচ্ছে, এই পথে তুরস্কে ইসলাম ধংস করেছিল কামাল আতাতুর্ক। হাসিনার এই রাম-বামের অবৈধ রাজত্ব কি অবশেষে সেই পথে চলল? এরা কি জানে এর পরিনাম কত ভয়াবহ হবে। গ্রামে গঞ্জে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে সংঘাত। যা তা ঘটনা ঘটবে? এ কুপথ থেকে ফিরাতে হবে এদের। নইলে কিন্তু ১৬ কোটি মুসলমানের দেশ ভয়ানক বিপদে পড়বে। ধেয়ে আসছে মহাপ্রলয়। অতএব হে বাংলার মুসলিম ভ্রাতাগণ এখন থেকেই দাজ্জাল মোকবেলায় আপনাদের করণীয় ঠিক করুন।

(ফেসবুক থেকে পাওয়া দু’টি পোস্ট অবলম্বনে)

বিষয়: বিবিধ

২১৪৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য