যত চেষ্টাই করুন না কেন ইসলামী আদর্শ ও ইসলামী সংগঠন নির্মূল করার চেষ্টা সফল হবে না..
লিখেছেন লিখেছেন বার্তা কেন্দ্র ২৭ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:৩৩:২৭ সকাল
যে যে কারণে দুনিয়ার কোন শক্তি (পুঁজিবাদী/ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী/নাস্তিক্যবাদী) ইসলামী সংগঠন ( জামায়াতে ইসলামীকে) ধ্বংস/নির্মূল করতে পারবে না :
যেহেতু তাদের/নেতা-কর্মীরা নিম্নোক্ত গুণাবলী দ্বারা পরিচালিত।
১। দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজকে জীবনের মিশন হিসেবে গ্রহণ করেছে.
২। নিয়মিত কুরআন-হাদীস অধ্যয়নের মাধ্যমে ওহীর জ্ঞান লাভ করে.
৩। নিয়মিতভাবে দিনের নির্দিষ্ট অংশ সময় দ্বীনের কাজে ব্যয় করে,
৪। দলীয় গঠনতন্ত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করে,
৫। ইনসাফ ভিত্তিক সকল কর্মীদের সমান চোখে দেখে থাকেন,
৬। সবাই ভ্রাতৃত্ববোধে দারুণভাবে উজ্জীবিত,
৭। পারস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্টকারী কাজ-কর্মকে এড়িয়ে চলেন,
৮। সদস্য/রুকনরা শপথের দাবী অনুযায়ী কাজ করে থাকেন,
৯। জনশক্তিরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে থাকেন,
১০। কারো মাঝে নেতৃত্বের কোন অভিলাষ নেই,
১১। আর্থিক সম্পদের লালসা কম দেখা যায়,
১২। নিয়মিত আয়ের একটি অংশ আর্থিক কুরবানী দেন,
১৩। অবৈধভাবে জীবন মান উন্নত করার মানসিকতা নেই,
১৪। সহজ-সরল জীবন যাপনে অভ্যস্ত,
১৫। নিয়মিত তওবা/আত্মসমালোচনা করে থাকেন,
১৬। নিয়মিতভাবে মানুষকে আল্লাহর দ্বীনের দিকে ডাকেন,
১৭। নেতৃত্বের প্রতি সবসময়ই আস্থাশীল,
১৮। উদ্ভুত সমস্যার ত্বরিত সমাধান করে থাকেন,
১৯। আমানতদারিতার ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকেন,
২০। মানসিকভাবে যে কোন ত্যাগ ও কুরবানীর জন্য প্রস্তুত থাকেন,
২১। কুরআন ও সুন্নাহকে ঐক্য ও চিন্তা-চেতনার উৎস হিসেবে মানেন,
২২। সংগঠনের সর্বপর্যায়ে ইসলামী গণতান্ত্রিক নীতিমালা মেনে চলেন,
২৩। মুসলমানদের মধ্যে ফেরকা সৃষ্টিকারী কাজ থেকে বিরত থাকেন,
২৪। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও নির্ভয়ে জীবনের জয়গান গেয়ে যান,
২৫। সর্বোপরি জীবনের চাইতেও বেশী ভালবাসে সংগঠন ও নেতৃবৃন্দকে।
এই সময়ের আলোকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হেদায়াত :
১। সূরা সফ : আয়াত ৮-৯
তারা চায় আল্লাহর নুরকে/দ্বীনকে মুখের এক ফুঁৎকারে নিভিয়ে দিতে, কিন্তু আল্লাহ তাঁর দ্বীনকে পূর্ণতা দান করবেনই, কাফেররা যতই অপছন্দ করুক না কেন। তিনিই সেই সত্তা, যিনি তাঁর রাসূলকে হেদায়াত ও সত্য দ্বীন সহকারে পাঠিয়েছেন, যাতে তিনি একে অন্য সব দ্বীনের উপর বিজয়ী করেন। মুশরিকদের নিকট এটা যতই অপছন্দ হোক না কেন।
২। সূরা আল্ আনকাবুত : আয়াত ১০-১১
“মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে, যারা বলে যে, আল্লাহর প্রত ঈমান আনলাম, কিন্তু যখন তাদেরকে আল্লাহর ব্যাপারে কিছু কষ্ট দেয়া হয়, তখন মানুষের পরীক্ষাকে আল্লাহর আযাবের মত মনে করে নেয়। অথচ তখন যদি তোমার খোদার সাহায্য এসে যায়, তাহলে তারাই বলবে যে, আমরা তো তোমাদের সাথেই ছিলাম। তবে কি আল্লাহতায়ালা দুনিয়াবাসীদের মনের খবর রাখেন না? আল্লাহতায়লার তো অবশ্যই দেখতে হবে সত্যিকার ঈমানদার কে আর কেই বা মুনাফিক?”
৩। সূরা নূর : আয়াত-৫৫
“আল্লাহ ওয়াদা করেছেন যে, তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনবে এবং নেক আমল করবে তাদেরকে তিনি পৃথিবীতে ঠিক তেমনি ভাবে খিলাফত দান করবেন যেমন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে দান করেছিলেন, তাদের জন্য দ্বীনকে মজবুত ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করে দিবেন, যাকে আল্লাহ তাদের পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতিকে নিরাপত্তায় পরিণত করবেন। তারা শুধু আমার বন্দেগী করুক এবং আমার সাথে কাউকে যেন শরীক না করে। আর যারা এরপর কুফরী করবে তারাই ফাসেক। ”
=======
বিষয়: বিবিধ
১৩৬১ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কেননা লেখক এখানে ভালভাবেই প্রমান করে দেখিয়েছে যে জামাত একটি কল্যাণকর ইসলামী দল যারা শত অপ-প্রচার ও জুলুম নির্যাতন সত্বেও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রত্যেক সাবালক ছেলের জন্য 'সত্য, ন্যায়, নিরাপত্তা ও প্রতারকের সৃষ্ট প্রক্সি যোদ্ধা তথা আইসিস ও বোকোহারাম টাইপ সংগঠনকে পৃথিবী হতে নিশ্চিহ্ন' করার জন্য স্কুলিং এর পাশাপাশি 'যুদ্ধবিদ্যা' শেখা বাধ্যতামূলক করা হোক।
Very very dangerious comment because her comment encouraging terrorism. Need proper investigation
অপি বাইদান, শয়তানের আরেক নাম
খালি খালি নিচেরটা, বেশি বেশি চুলকান!
অপি বাইদান, ইয়াহুদীদের জারজ সন্তান
সাহস নেই, ব্লক চালাতে দিয়ে নিজের নাম।
অপি বাইদান, নীলাঞ্জনার অপর নাম
দিনে-রাতে করে যত আকাম কুকাম!
অপি বাইদান, করে শুধু খোদার বদনাম!
দেব-দেবীর পুজা কর, গিয়ে হিন্দুস্থান।
অপি বাইদান, নারী বেশে পুরুষের ছদ্মনাম
এদেশ ভাল না লাগলে যেথায় খুশি যান।
অপি বাইদান, খালাতো ভাই ফখরুল ইসলাম,
ফুুয়াদ পাশা আছে না, করিস না আর সমকাম!
মন্তব্য করতে লগইন করুন